Ajker Patrika

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ‘ডাল মে কুচকালা’: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ মে ২০২৪, ০১: ১৮
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ‘ডাল মে কুচকালা’: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়। এখন ডালটা মসুরের ডাল নাকি মুগের ডাল, বুটের ডাল নাকি সব ডালেই সমস্যা হয়েছে, সেটা বুঝতে হবে।’

অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইআরএফের এক অনুষ্ঠানে গতকাল মঙ্গলবার এসব মন্তব্য করেন দেবপ্রিয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফের প্রেসিডেন্ট রেফায়েত উল্লাহ মৃধা। আর সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, অনেক তথ্য-উপাত্ত আগে অন্য কোথাও না পাওয়া গেলেও বাংলাদেশ ব্যাংকে পাওয়া যেত। এখন সেটাও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। আগে দেশে তথ্য-উপাত্তের নৈরাজ্য ছিল, এরপর শুরু হয় অন্ধত্ব। এখন দেখা যাচ্ছে, তথ্য-উপাত্তের অপঘাত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে সম্প্রতি যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, এটা তারই প্রমাণ।

দেশের নীতি-নেতৃত্ব দুর্বল হয়ে গেছে মন্তব্য করে দেবপ্রিয় বলেন, নীতি ব্যাখ্যা করার জন্য এখানে কাউকে পাওয়া যায় না। নীতির ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। আর এ সমন্বয়হীনতা মোকাবিলায় রাজনৈতিক শক্তিরও দুর্বলতা রয়েছে।

রিজার্ভ, ডলার-সংকট, ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম, ব্যাংক একীভূতকরণ, রাজস্ব খাতের দুর্বলতাসহ অর্থনীতির নানা দিক তুলে ধরেন ড. দেবপ্রিয়। বৈদেশিক ঋণ শোধ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ঋণের দায় শোধ করতে গিয়ে ২০২৬ সালে আরও বড় ঝুঁকিতে পড়বে বাংলাদেশ। অনেকেই বলেন, বাংলাদেশের অনেক বড় গর্বের জায়গা আমরা কোনো দিন ঋণখেলাপি হইনি। তাহলে ৫ বিলিয়ন ঋণ তো দীর্ঘদিন দিতে পারছেন না। তেল আমদানি করেছেন তার টাকা দিতে পারছেন না, বিদেশিরা বিনিয়োগ করেছেন, তাঁদের মুনাফার টাকা দিতে পারছেন না। তার মানে আপনার সেই গর্বের জায়গায় ফাটল ধরিয়ে দিয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত