Ajker Patrika

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নীতিমালা প্রণয়নে একমত ১৯৩ দেশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২১, ১১: ৫৭
Thumbnail image

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) বলা যায় ডিজিটাল দুনিয়ার হৃৎপিণ্ড। কোনো না কোনোভাবে বর্তমান যুগের মানুষ এ অন্তহীন জগতের সঙ্গে যুক্ত। কারণ, অনলাইন যেকোনো কার্যক্রম বা লেনদেন, সিসিটিভি ক্যামেরা, মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে শুরু করে জটিল ও সূক্ষ্ম চিকিৎসাব্যবস্থা সর্বত্র এআইয়ের ব্যবহার রয়েছে। অথচ এটা নিয়ে বৈশ্বিক কোনো নিয়ম নেই। তাই এআইয়ের ব্যবহার নিয়ে বৈশ্বিক ব্যবহারবিধি বা এথিকস তৈরি করতে গত বৃহস্পতিবার সম্মত হয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের (ইউনেসকো) সদস্যভুক্ত ১৯৩টি দেশ।

প্রযুক্তি নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে জানিয়ে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইউনেসকোর এক বিবৃতিতে বলা হয়, লিঙ্গ এবং ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্য, ব্যক্তির গোপনীয়তা ও মর্যাদাহানি, গণনজরদারি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এসব সমস্যা মোকাবিলায় এআইয়ের ব্যবহার নিয়ে বৈশ্বিক ব্যবহারবিধি থাকা জরুরি।

এআই ব্যবহার করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের যথাযথ তথ্য পাওয়া যেতে পারে জানিয়ে ইউনেসকো প্রধান অড্রে আজৌলে বলেন, ‘মানুষের কল্যাণের জন্যই এআইয়ের ব্যবহার নিয়ে বৈশ্বিক নিয়ম থাকা দরকার। তাই এআইয়ের ব্যবহার নিয়ে এথিকস বা নীতিনৈতিকতা নির্ধারণের সুপারিশ করা হচ্ছে। এআই নিয়ে প্রতিটি দেশ যাতে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে, এ জন্য একটা রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।’

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এআইয়ের এথিকসের প্রথম খসড়া প্রকাশ করে ইউনেসকো। খসড়ার শুরুতেই বলা হয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমাজ, বাস্তুসংস্থান, মানুষের চিন্তাচেতনা, অনুভূতি, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, যোগাযোগ তথা জীব-জগতের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবিত করছে।

আর ইউনেসকোর সামাজিক ও মানবিক বিজ্ঞানের সহকারী পরিচালক গ্যাব্রিয়েলা রামোসের মতে, আমাদের যেকোনো সিদ্ধান্ত লাখ লাখ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে। তাই ন্যায্য, স্বচ্ছ এবং সবচেয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে আমাদের এআইয়ের সহায়তা নিতে হবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে হিতে বিপরীত না হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত