Ajker Patrika

সমালোচনা করার মতো কোনো দৃশ্য নেই

সমালোচনা করার মতো কোনো দৃশ্য নেই

সিনেমা ও ওয়েব কনটেন্ট—দুই মাধ্যমেই কাজ করছেন এ প্রজন্মের অভিনেত্রী শাহনাজ সুমি। সম্প্রতি হইচইয়ে মুক্তি পেয়েছে নতুন ওয়েব সিরিজ ‘মোবারকনামা’। গোলাম সোহরাব দোদুলের পরিচালনায় এ সিরিজে প্রশংসিত হচ্ছে তাঁর অভিনয়। নতুন সিরিজ ও বিভিন্ন বিষয়ে সুমির সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ

মোবারকনামা সিরিজে আপনার অভিনীত সুরাইয়া চরিত্রটি বেশ উচ্ছৃঙ্খল, একপর্যায়ে যে ধর্ষণের শিকার হয়। এ ধরনের চরিত্রে অনেকে অভিনয়ের আগ্রহ দেখান না। আপনি রাজি হলেন কী ভেবে?
কোনো স্ক্রিপ্ট পড়ার সময় আমি দেখি, যে চরিত্রটি করব, গল্পে সেই চরিত্রের প্রভাব কেমন। সেই সঙ্গে দেখি, চরিত্রটির সঙ্গে আমি বাস করতে পারব কি না। সুরাইয়া চরিত্রে অভিনয় করার সময়েও এ বিষয়গুলো ভেবেছি। যখন শুনলাম, এখানে রেপের বিষয়টি থাকবে, তখন সংলাপ ও দৃশ্যগুলো গল্পের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা জানার চেষ্টা করেছি। আমার মধ্যেও প্রশ্ন জেগেছিল, চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে কি এভাবেই উপস্থাপন করতে হবে? সবকিছু জেনে বুঝতে পারি, সুরাইয়াকে দর্শকের সামনে বাস্তবরূপে ফুটিয়ে তুলতে এভাবেই করতে হবে। এককথায়, চরিত্রটি ঠিকঠাকভাবে ফুটিয়ে তুলতে যা দরকার, সেটাই করেছি।  

এ সিরিজে আপনার চরিত্রের মুখে অনেক ‘বোল্ড’ সংলাপ আছে। এটা নিয়ে দর্শকের কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?
নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আসতে পারে এটা বুঝতে পেরেছি রিলিজের পর। গল্প নিয়ে সবাই পজিটিভ বলছে। অনেককে দেখলাম আমাকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। এ সিরিজে সমালোচনা করার মতো কোনো দৃশ্য নেই। তবে হ্যাঁ, কিছু সংলাপ অনেক বোল্ড ছিল। যাঁরা দেখেছেন তাঁরা নিশ্চয় বুঝবেন, সংলাপগুলো গল্পের প্রয়োজনেই এসেছে।

পোশাক দিয়ে নারীর চরিত্র বিচার করা হয়, নারীর ‘না’ মানে সমাজ ‘হ্যাঁ’ ভেবে নেয়—এ রকম কিছু বিষয় উঠে এসেছে মোবারকনামায়। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?
সব ক্ষেত্রে নয়, একটা অংশে এই কথার সঙ্গে আমি একমত। পোশাক দিয়ে কখনোই কোনো মানুষের ব্যক্তিত্ব যাচাই করা যায় না।মেয়েদের জায়গা থেকে বলি, পোশাক শরীরের সুরক্ষা, মানসিক শান্তি, কাজের কমফোর্ট ও স্টাইলের বহিঃপ্রকাশ। এ ছাড়া আবহাওয়া অনুযায়ী আমরা পোশাক পরে থাকি। এখনো অনেকে পোশাক দিয়ে নারীর চরিত্র যাচাইয়ের চেষ্টা করেন বা এমন ধারণা পোষণ করেন। তবে ধীরে ধীরে এ মানসিকতা কমছে। সামনে আরও কমবে। 

মোবারকনামায় মোশাররফ করিমের সঙ্গে অভিনয় করলেন। সহশিল্পী হিসেবে তিনি কেমন?
সেটে প্রতিদিন তাঁকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। উনি এমন একজন মানুষ, যিনি পুরো ইউনিটকে নিয়ে একসঙ্গে এগোতে চান। সেটে উনি একজন লিডারের মতো। আর মানুষ হিসেবে একেবারে মাটির কাছাকাছি।

শাহনাজ সুমিদেশে ওয়েব মাধ্যম এখন চলছে সিন্ডিকেট। নির্দিষ্ট দলে না থাকলে কাজ পাওয়া যায় না—এমন অভিযোগ করেন অনেকে। এ বিষয়টি নিয়ে আপনার মন্তব্য কী? 
যাঁদের সঙ্গে আমার চলাফেরা আছে, তাঁদের প্রতি টান বেশি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এ কারণেই হয়তো নির্মাতাদের কাছের মানুষেরা বেশি কাজ পাচ্ছেন। আমি এখনো কারও কাছের মানুষ হতে পারিনি। কিন্তু দর্শকেরা আমাকে পছন্দ করেন বলেই কিছু কাজ পাচ্ছি। সব মিলিয়ে আমি সন্তুষ্ট।  

আপনি তো নৃত্যশিল্পী। অভিনয়ে এলেন কীভাবে?
ছোটবেলায় টিভিতে নাচের অনুষ্ঠান দেখতাম। বিশেষ করে লায়লা হাসান, অপি করিম, শাবনূর, রিচি সোলায়মান, বিজরী বরকতউল্লাহ, মাধুরী দীক্ষিতের নাচ দেখেই নাচের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে। উনারা তো একই সঙ্গে অভিনয়শিল্পী। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের অভিনয় আমাকে আকৃষ্ট করে। আমার অভিনয়ের শুরুটা হয়েছে ২০১৫ সালে। সালাউদ্দিন লাভলুর ‘সোনার পাখি রুপার পাখি’ নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পাই। সুযোগ পাওয়ার পর মনে হলো, শুরু যখন হয়েই গেল, তাহলে ভালো করেই করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত