সম্পাদকীয়
সড়ক-সেতু প্রকল্প নিয়ে গবেষণায় যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে, তা পাঠকের জন্য হজম করা খুবই কঠিন। আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে এই খাতের প্রকল্পগুলো থেকে লোপাট হয়েছে ৫১ হাজার কোটি টাকা।
পাঠক তথ্যটি হজম করতে পারুন আর না পারুন, এই পরিমাণ অর্থ বেআইনি পথে হজম করে ফেলেছেন কতিপয় অসৎ মানুষ। এদের কেউ রাজনীতি করেন, কেউ করেন ঠিকাদারি, কেউ সরকারি কর্মকর্তা।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল তাদের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে। ভয়াবহ এ তথ্য কারও জন্যই কোনো সুখকর অনুভূতির জন্ম দিতে পারে না।
অস্বীকার করা যাবে না, সড়কপথে নানা ধরনের উন্নয়নকাজ হয়েছে। মানুষের চলাচল সহজ হয়েছে। এই পুরো উন্নয়নকাজ পরিচালিত হয়েছে জনগণের টাকায় অথবা ঋণ করে। সেই ঋণ পরিশোধের ভারও কিন্তু জনগণের কাঁধে এসে পড়ে। ফলে সরকারি কাজে জনগণের টাকার সুচারু পরিকল্পিত ব্যয়ই কাঙ্ক্ষিত। অথচ জনগণের টাকাকে নিজের মনে করে এই যে যথেচ্ছ ব্যবহার, তা পীড়াদায়ক। এই দুর্নীতির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। একে পুকুরচুরি না বলে সমুদ্রচুরি বলাই সংগত।
ইতিহাস সাক্ষী, ক্ষমতার পালাবদলের সময় পত্রপত্রিকায় আগের সরকারের দুর্নীতির তথ্য ফলাও করে প্রকাশ করা হয়। অথচ যে সরকার সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণার মাধ্যমে ক্ষমতায় আহরণ করে, তারাও কিছুদিন পর থেকে একই দোষে দুষ্ট হতে থাকে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ আসলে নামকা ওয়াস্তে বলা কথামালার রাজনীতির অংশ। বাস্তবে সে রকম পরিকল্পনা করে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা হয় না। রাজনীতি ও আমলাতন্ত্রের ভাবনায় পরিবর্তন না এলে এই দুর্নীতির বেড়াজাল ভেঙে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়।
ঠিকাদার, রাজনীতিবিদ আর সরকারি কর্মকর্তারা যখন দল বেঁধে চুরি করতে থাকেন, তখন কে তাঁদের ঠেকাবে? চুরি রোধ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে শুধু সক্রিয় করে তুললেই হবে না, তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। চুরির ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে হবে, থাকতে হবে মনিটরিং। যাঁরা মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবেন, তাঁরা যেন বিশাল টাকা লেনদেনের সময় নিজেরাই বিক্রি হয়ে না যান, তা নিশ্চিত করতে হবে।
সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে দুর্নীতি ঠেকানো যাবে না। সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করে ত্যাগী তৃণমূল পর্যায়ের আদর্শকেন্দ্রিক নেতাদের দলের শীর্ষস্থানে নিয়ে এলে রাজনীতি যে জনগণের সেবার জন্য করা হয়, সে কথা প্রতিষ্ঠিত হবে। আর এই দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও সরকারি কর্মকর্তাদেরও আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। জনগণ যেন পরিষ্কার চোখে দেখতে পায়, অন্যায় করে পার পাওয়া যায় না।
কথাগুলো বলা সহজ, কাজে পরিণত করা কঠিন। লোভ যখন সততার চেয়ে বড় হয়ে ওঠে, তখন সততার প্রতি আস্থা রাখা কঠিন। শিশু বয়স থেকেই দুর্নীতিকে ঘৃণা করার শিক্ষা দেওয়া দরকার। ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতিও বাঞ্ছনীয়।
সড়ক-সেতু প্রকল্প নিয়ে গবেষণায় যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে, তা পাঠকের জন্য হজম করা খুবই কঠিন। আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে এই খাতের প্রকল্পগুলো থেকে লোপাট হয়েছে ৫১ হাজার কোটি টাকা।
পাঠক তথ্যটি হজম করতে পারুন আর না পারুন, এই পরিমাণ অর্থ বেআইনি পথে হজম করে ফেলেছেন কতিপয় অসৎ মানুষ। এদের কেউ রাজনীতি করেন, কেউ করেন ঠিকাদারি, কেউ সরকারি কর্মকর্তা।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল তাদের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে। ভয়াবহ এ তথ্য কারও জন্যই কোনো সুখকর অনুভূতির জন্ম দিতে পারে না।
অস্বীকার করা যাবে না, সড়কপথে নানা ধরনের উন্নয়নকাজ হয়েছে। মানুষের চলাচল সহজ হয়েছে। এই পুরো উন্নয়নকাজ পরিচালিত হয়েছে জনগণের টাকায় অথবা ঋণ করে। সেই ঋণ পরিশোধের ভারও কিন্তু জনগণের কাঁধে এসে পড়ে। ফলে সরকারি কাজে জনগণের টাকার সুচারু পরিকল্পিত ব্যয়ই কাঙ্ক্ষিত। অথচ জনগণের টাকাকে নিজের মনে করে এই যে যথেচ্ছ ব্যবহার, তা পীড়াদায়ক। এই দুর্নীতির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। একে পুকুরচুরি না বলে সমুদ্রচুরি বলাই সংগত।
ইতিহাস সাক্ষী, ক্ষমতার পালাবদলের সময় পত্রপত্রিকায় আগের সরকারের দুর্নীতির তথ্য ফলাও করে প্রকাশ করা হয়। অথচ যে সরকার সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণার মাধ্যমে ক্ষমতায় আহরণ করে, তারাও কিছুদিন পর থেকে একই দোষে দুষ্ট হতে থাকে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ আসলে নামকা ওয়াস্তে বলা কথামালার রাজনীতির অংশ। বাস্তবে সে রকম পরিকল্পনা করে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা হয় না। রাজনীতি ও আমলাতন্ত্রের ভাবনায় পরিবর্তন না এলে এই দুর্নীতির বেড়াজাল ভেঙে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়।
ঠিকাদার, রাজনীতিবিদ আর সরকারি কর্মকর্তারা যখন দল বেঁধে চুরি করতে থাকেন, তখন কে তাঁদের ঠেকাবে? চুরি রোধ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে শুধু সক্রিয় করে তুললেই হবে না, তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। চুরির ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে হবে, থাকতে হবে মনিটরিং। যাঁরা মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবেন, তাঁরা যেন বিশাল টাকা লেনদেনের সময় নিজেরাই বিক্রি হয়ে না যান, তা নিশ্চিত করতে হবে।
সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে দুর্নীতি ঠেকানো যাবে না। সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করে ত্যাগী তৃণমূল পর্যায়ের আদর্শকেন্দ্রিক নেতাদের দলের শীর্ষস্থানে নিয়ে এলে রাজনীতি যে জনগণের সেবার জন্য করা হয়, সে কথা প্রতিষ্ঠিত হবে। আর এই দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও সরকারি কর্মকর্তাদেরও আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। জনগণ যেন পরিষ্কার চোখে দেখতে পায়, অন্যায় করে পার পাওয়া যায় না।
কথাগুলো বলা সহজ, কাজে পরিণত করা কঠিন। লোভ যখন সততার চেয়ে বড় হয়ে ওঠে, তখন সততার প্রতি আস্থা রাখা কঠিন। শিশু বয়স থেকেই দুর্নীতিকে ঘৃণা করার শিক্ষা দেওয়া দরকার। ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতিও বাঞ্ছনীয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪