Ajker Patrika

দুই দিনেও সেন্ট মার্টিন ছাড়তে পারেননি পর্যটকেরা

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১০: ৫৭
দুই দিনেও সেন্ট মার্টিন ছাড়তে পারেননি পর্যটকেরা

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ-এর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় গতকাল সোমবারও টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। ফলে দুই দিনেও ফিরতে পারেননি দ্বীপটিতে আটকা পড়া এক হাজারের বেশি পর্যটক।

তবে ফিরতে না পারলেও সেন্ট মার্টিনে অবস্থান করা পর্যটকেরা ভালো রয়েছেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী।

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে গত শনিবার বিকেলে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তখন থেকেই টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন, সেন্ট মার্টিন-কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিন-চট্টগ্রাম নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়ায় গতকালও তিন নম্বর সতর্কসংকেত বলবৎ ছিল। এ কারণে যাত্রী নিয়ে কোনো ট্রলার বা জাহাজ সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে পারেনি।

আটকে পড়া বেশ কয়েকজন পর্যটকের সঙ্গে গতকাল মোবাইল ফোনে কথা হয়। ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে এসে সেন্ট মার্টিনে আটকা পড়া পর্যটক শহিদুল ইসলাম বলেন, পরিবার-পরিজন নিয়ে ভ্রমণে এসে ফিরতে পারছি না। রোববার অফিসে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখানে আটকা পড়ায় তা সম্ভব হয়নি।

সেন্ট মার্টিন বিচ ইকো রিসোর্টে অবস্থানকারী ঢাকার পর্যটক ও ব্যবসায়ী রাজিব সোহেল বলেন, মনে করেছিলাম এক দিন পর আবহাওয়া ভালো হয়ে যাবে। সে হিসাবে থেকে ছিলাম। কিন্তু সোমবারেও আবহাওয়া ভালো না হওয়ায় আটকা পড়েছি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের পরিদর্শক আমজাদ হোসেন জানান, শনিবার সকালে টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনে যাওয়া ছয়টি জাহাজ সন্ধ্যার দিকে টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেয়। ওই দিন ছয়টি জাহাজে ১ হাজার ৬০৩ জন পর্যটক দ্বীপে বেড়াতে গেলেও পাঁচ শতাধিক পর্যটক স্বেচ্ছায় রাত্রিযাপনের জন্য সেন্ট মার্টিনে থেকে যান। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়ায় এবং সতর্কসংকেত বলবৎ থাকায় দ্বীপে অবস্থান করা পর্যটকেরাও ফিরতে পারেননি।

টেকনাফের পাশাপাশি কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন ও চট্টগ্রাম-সেন্ট মার্টিন হয়ে আসা এক হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছেন বলে জনিয়েছেন সেন্ট মার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ। তিনি বলেন, এখানে অবস্থান করা পর্যটকেরা ভালো আছেন। হোটেল-মোটেলগুলোকে ভাড়া ৫০% কমিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এরপরেও কোনো ধরনের পর্যটক হয়রানি যাতে না হয়, সে জন্য সার্বিকভাবে নজর রাখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত