সম্পাদকীয়
স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন ছাগল-কাণ্ডে ফেঁসে যাওয়া সরকারি কর্মকর্তা মতিউর রহমান। একটা ছাগল যে এত বড় এক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে, সেটা নিশ্চয়ই তাঁর ধারণায়ও ছিল না। কী করে কোরবানির সময় একটি ছাগলের দাম ১৫ লাখ টাকা ওঠে, সেই বাস্তবসম্মত প্রশ্ন তো উঠতেই পারে।
সেই ছাগল যিনি কিনতে পারেন, তাঁর পরিচয় জানাটাও একটা জরুরি জিজ্ঞাসা হতে পারে। মনে সে প্রশ্নটি জেগেছে আর তারই উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, একজন ডাকসাইটে সরকারি কর্মকর্তা ডাইনে-বাঁয়ে না তাকিয়ে শুধু খেয়েই চলেছেন। যা খাচ্ছেন, তার সবই তাঁকে হেফাজত করতে দিয়েছিল সরকার। তিনি তা খেয়ে খেয়ে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন। এ যেন সেলিম আল দীনের লেখা ‘মুনতাসির’ নাটকের সেই জ্বলন্ত চরিত্রটি, যে শুধু খেতেই থাকে, খেতেই থাকে।
এ রকম এক কাণ্ডের জন্ম দিয়ে হঠাৎ করে আত্মগোপনে চলে গেলেন মতিউরের ছেলে। মতিউর রহমানও হঠাৎ করে গায়েব হয়ে গেলেন। তাঁকে বদলি করার পর অদৃশ্য অবস্থা থেকেই তিনি কর্মস্থল থেকে স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করলেন। সে আবেদন দ্রুত গৃহীত হলো। সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর যে সুবিধাগুলো পাওয়া যায়, অর্থাৎ অবসরজনিত আর্থিক সুবিধা, যেমন অবসরোত্তর ছুটি, ল্যাম্প গ্রান্ট, পেনশন ইত্যাদি তিনি পাবেন না। এটা একধরনের শাস্তি বটে।
কিন্তু এ ধরনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জন্য কি এই শাস্তিটুকুই যথেষ্ট? উচ্চবংশীয় ছাগল কেনার জন্য যাঁর ছেলে এ রকম মরিয়া হয়ে উঠেছিল এবং দেশজুড়ে খবরের জন্ম দিয়েছিল, তাঁর অবারিত দুর্নীতির শাস্তিও কি উচ্চমার্গের হওয়া উচিত না? পত্রপত্রিকায় তাঁর অবৈধ সম্পদভান্ডারের যে খবর বেরিয়েছে, তাতে বোঝা যায়, তিনি শুধু বর্তমান প্রজন্মের জন্যই নয়, প্রজন্মের পর প্রজন্মের জন্য সরকারি টাকা লুটে নিয়েছেন। সুতরাং তাঁকে ধরে এনে এমন শাস্তি দিতে হবে, যেন পরবর্তীকালে আর কেউ এ ধরনের পুকুরচুরি করতে গেলে ভয় পায়।
মুশকিল হলো, এ কথাগুলো ক্লিশে হয়ে গেছে। ক্ষমতায় যখন যে দল থাকে, সেই দলের নেতাদের মুখে যখন শোনা যায়, অপরাধী যে-ই হোক, রেহাই পাবে না, শাস্তি তাকে ভোগ করতেই হবে, তখন প্রতিবারই আমজনতার মনে কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার হয় এবং প্রতিবারই সেই আশার ভরাডুবি হয়। অপরাধীরা অপরাধ করে যেতেই থাকে এবং তাদের বেশির ভাগই থাকে শাস্তিমুক্ত।
মতিউর রহমান কিংবা তাঁর মতো সরকারি কর্মকর্তারা আজীবন ‘করে’ খাচ্ছেন। দেশের মালিকানা যেন তাঁদেরই। তাঁদের যে সন্তানসন্ততি আছে, তারাও বুঝে গেছে দেশটা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার তাদের আছে। ন্যূনতম বিবেক এবং রুচিবোধ তাদের মধ্যে জন্ম নেয়নি।
স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়া এই মতিউর রহমানকে গর্ত থেকে উদ্ধার করে বিচারের সম্মুখীন করাই হবে সত্যিকার কাজ। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল কি সে কাজটি করবে?
স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন ছাগল-কাণ্ডে ফেঁসে যাওয়া সরকারি কর্মকর্তা মতিউর রহমান। একটা ছাগল যে এত বড় এক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে, সেটা নিশ্চয়ই তাঁর ধারণায়ও ছিল না। কী করে কোরবানির সময় একটি ছাগলের দাম ১৫ লাখ টাকা ওঠে, সেই বাস্তবসম্মত প্রশ্ন তো উঠতেই পারে।
সেই ছাগল যিনি কিনতে পারেন, তাঁর পরিচয় জানাটাও একটা জরুরি জিজ্ঞাসা হতে পারে। মনে সে প্রশ্নটি জেগেছে আর তারই উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, একজন ডাকসাইটে সরকারি কর্মকর্তা ডাইনে-বাঁয়ে না তাকিয়ে শুধু খেয়েই চলেছেন। যা খাচ্ছেন, তার সবই তাঁকে হেফাজত করতে দিয়েছিল সরকার। তিনি তা খেয়ে খেয়ে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন। এ যেন সেলিম আল দীনের লেখা ‘মুনতাসির’ নাটকের সেই জ্বলন্ত চরিত্রটি, যে শুধু খেতেই থাকে, খেতেই থাকে।
এ রকম এক কাণ্ডের জন্ম দিয়ে হঠাৎ করে আত্মগোপনে চলে গেলেন মতিউরের ছেলে। মতিউর রহমানও হঠাৎ করে গায়েব হয়ে গেলেন। তাঁকে বদলি করার পর অদৃশ্য অবস্থা থেকেই তিনি কর্মস্থল থেকে স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করলেন। সে আবেদন দ্রুত গৃহীত হলো। সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর যে সুবিধাগুলো পাওয়া যায়, অর্থাৎ অবসরজনিত আর্থিক সুবিধা, যেমন অবসরোত্তর ছুটি, ল্যাম্প গ্রান্ট, পেনশন ইত্যাদি তিনি পাবেন না। এটা একধরনের শাস্তি বটে।
কিন্তু এ ধরনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জন্য কি এই শাস্তিটুকুই যথেষ্ট? উচ্চবংশীয় ছাগল কেনার জন্য যাঁর ছেলে এ রকম মরিয়া হয়ে উঠেছিল এবং দেশজুড়ে খবরের জন্ম দিয়েছিল, তাঁর অবারিত দুর্নীতির শাস্তিও কি উচ্চমার্গের হওয়া উচিত না? পত্রপত্রিকায় তাঁর অবৈধ সম্পদভান্ডারের যে খবর বেরিয়েছে, তাতে বোঝা যায়, তিনি শুধু বর্তমান প্রজন্মের জন্যই নয়, প্রজন্মের পর প্রজন্মের জন্য সরকারি টাকা লুটে নিয়েছেন। সুতরাং তাঁকে ধরে এনে এমন শাস্তি দিতে হবে, যেন পরবর্তীকালে আর কেউ এ ধরনের পুকুরচুরি করতে গেলে ভয় পায়।
মুশকিল হলো, এ কথাগুলো ক্লিশে হয়ে গেছে। ক্ষমতায় যখন যে দল থাকে, সেই দলের নেতাদের মুখে যখন শোনা যায়, অপরাধী যে-ই হোক, রেহাই পাবে না, শাস্তি তাকে ভোগ করতেই হবে, তখন প্রতিবারই আমজনতার মনে কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার হয় এবং প্রতিবারই সেই আশার ভরাডুবি হয়। অপরাধীরা অপরাধ করে যেতেই থাকে এবং তাদের বেশির ভাগই থাকে শাস্তিমুক্ত।
মতিউর রহমান কিংবা তাঁর মতো সরকারি কর্মকর্তারা আজীবন ‘করে’ খাচ্ছেন। দেশের মালিকানা যেন তাঁদেরই। তাঁদের যে সন্তানসন্ততি আছে, তারাও বুঝে গেছে দেশটা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার তাদের আছে। ন্যূনতম বিবেক এবং রুচিবোধ তাদের মধ্যে জন্ম নেয়নি।
স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়া এই মতিউর রহমানকে গর্ত থেকে উদ্ধার করে বিচারের সম্মুখীন করাই হবে সত্যিকার কাজ। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল কি সে কাজটি করবে?
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪