Ajker Patrika

এক ঘাটে ভাড়া দুই রকম

পিরোজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২২, ১১: ২৯
এক ঘাটে ভাড়া দুই রকম

এক খেয়ায় পার হলে যাত্রীপ্রতি ১০ টাকা, আর মোটরসাইকেলপ্রতি ৫০ টাকা। একই ঘাটের আরেকটি খেয়ায় পার হতে যাত্রীপ্রতি ১৫ টাকা এবং মোটরসাইকেলপ্রতি ৭০-৮০ টাকা দিতে হয়। অতিরিক্ত ভাড়া দেওয়ার পাশাপাশি দুই খেয়ায় দিতে হয় দুই রকমের ভাড়া। মাত্র ২৫০ মিটার দীর্ঘ নদী পারাপারে যাত্রীদের এ ভোগান্তির শিকার হতে হয়। তবে এ অনিয়ম বন্ধে নেওয়া হয় না কোনো পদক্ষেপ। এভাবে দুই রকমের ভাড়া আদায় করা হচ্ছে পিরোজপুরের নেছারাবাদের কালীগঙ্গা নদীর কলাখালী-চাঁদকাঠী খেয়াঘাটে।

নিয়ম অনুসারে ইজারাদার নিজের খেয়ায় করে যাত্রীদের পরিবহন করবেন। এ ছাড়া পরিবহনের জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে যে পরিমাণ ভাড়া নেওয়া হবে, এ জন্য ঘাটের দুই পাশে চার্ট টাঙিয়ে প্রদর্শন করতে হবে। তবে এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই চলছে পিরোজপুরের কালীগঙ্গা নদীর কলাখালী-চাঁদকাঠী রুটের খেয়া। এ ঘাটে এক খেয়ায় যে ভাড়া নেওয়া হয়, অন্য খেয়ায় নেওয়া হয় তার দ্বিগুণ—এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।

জানা গেছে, বর্তমানে কালীগঙ্গা নদী পার হতে সরাসরি ইজারাদার পরিচালিত খেয়ায় যাত্রীপ্রতি ১০ টাকা আর মোটরসাইকেল পরিবহনে ৫০ টাকা দিতে হয় খেয়া ব্যবহারকারীদের। তবে সেখানে থাকা ‘প্রাইভেট’ নাম দিয়ে চালু রাখা হয়েছে আরেকটি খেয়া, যেখানে প্রতি যাত্রীকে ১৫ টাকা এবং মোটরসাইকেল পরিবহনে ৭০-৮০ টাকা দিতে হয়। আর রাত হলে তো কথাই নেই। এ ছাড়া নিয়মিত চলাচলকারী খেয়াটি ঘাটে বেঁধে রেখে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার খেয়াটিই বেশি চালানো হয়।

স্থানীয় হারুন সেখ বলেন, ‘যাত্রী পারাপার ১০ টাকা হলেও প্রায় সময়ই নেওয়া হয় ১৫ টাকা, মোটরসাইকেলপ্রতি ৫০ টাকা হলেও নেওয়া হয় ৭০-৮০ টাকা। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এই অনিয়ম। ভোগান্তি থেকে আমরা মুক্তি চাই।’

পথচারী মোকলেস মোল্লা বলেন, ‘ঘাটের ইজারাদারেরা অতিরিক্ত টাকা উপার্জনের জন্য এ পদ্ধতি চালু রয়েছে অনেক দিন ধরে। আর এ জন্য ঘাট ব্যবহারকারীদের গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা। তবে মাসের পর মাস ধরে এই অনিয়ম চললেও তা বন্ধে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। এ সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

অভিযোগের বিষয়ে ইজারাদার কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, ৫ থেকে ৬ ব্যক্তি যৌথভাবে খেয়াঘাট পরিচালনা করেন।

পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বশির আহমেদ বলেন, ‘এর আগেও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার জন্য মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ইজারাদারকে জরিমানা করা হয়েছিল। পরে কিছুদিন ভালোই ছিল। আমরা বিষয়টি আবারও খোঁজ নিয়ে দেখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত