Ajker Patrika

বেড়েছে আদা-রসুনের দাম , কমেছে পেঁয়াজের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৩০
বেড়েছে আদা-রসুনের দাম , কমেছে পেঁয়াজের

দুই দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে চায়না আদার দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার চায়না আদা প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। গতকাল সোমবার একই আদা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। একইভাবে দাম বেড়েছে চায়না রসুনের। তবে কমের দিকে পেঁয়াজের দাম।

আড়তদারেরা বলেছেন, আমদানি কমে যাওয়ায় হঠাৎ চায়না আদার দাম বেড়ে গেছে। আগে যেখানে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ টন চায়না আদা বাজারে ঢুকত। এখন সেখানে ৫ থেকে ৭ টন চায়না আদা ঢোকে। আর বাজারে এখন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এর দাম কমেছে।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স মাহিন ট্রেডার্সের মালিক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমদানি পর্যায়ে দাম বেশি হওয়ায় আমদানিকারকেরা চায়না আদার এলসি (লেটার ক্রেডিট) কমিয়ে দিয়েছেন। এ কারণে বাজারে এখন চায়না আদার সরবরাহ অনেক কম। বিপরীতে বাজারে চায়না আদার চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে।’

পাইকারিতে দাম বাড়ায় খুচরাতেও দাম বেড়েছে। নগরীর কাজীর দেউড়ি, চকবাজার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখায় যায় খুচরায় চায়না আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।

চকবাজার কাঁচাবাজারের মুদি দোকানদার আব্দুর রহিম বলেন, ‘৯০ টাকায় কিনে আমরা ১২০ টাকায় বিক্রি করছি। পাইকারিতে দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশি দামে আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে।’

খাতুনগঞ্জ বাজারের মেসার্স এন আলম এন্টারপ্রাইজের মালিক নবী হোসাইন বলেন, ‘চায়না আদার মান দেশি আর ভারতীয় আদার চেয়ে ভালো। বাজারে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ অনেক কম। অন্যদিকে দেশি ও ভারতীয় আদার সরবরাহ বেড়েছে। তাই দেশি আদার দাম এখন স্বাভাবিক আছে।’ ভবিষ্যতে চায়না আদার দাম আরও বাড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন।

খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘বাজারে দেশি আদা আসায় লোকসানের মুখোমুখি হতে পারেন, এই আশঙ্কায় আমদানিকারকেরা চায়না আদা আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। যে কারণে এখন বাজারে চায়না আদা সরবরাহ কমেছে।’ তবে মানুষ দেশি আদা কিনলে চায়না আদার দাম এমনিতেই কমে যাবে মনে করেন তিনি।

এদিকে আদার দাম বাড়লেও বাজারে পেঁয়াজ, রসুনের দাম অপরিবর্তিত আছে। যদিও চায়না রসুনের দামও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। ১৫ দিন আগে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। সেখানে এখন বাজারে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।

অন্যদিকে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় নাসিক জাতের পেঁয়াজ। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৪০ থেকে ৪২ টাকা। ইন্দুরি জাতের পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৫ টাকায়। মিয়ানমারের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৭ থেকে ৩৮ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকায়।

জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেটের পেঁয়াজ-রসুন ব্যবসায়ী মেহের ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ আলী বলেন, বাজারে এখন পেঁয়াজের সরবরাহ অনেক বেড়েছে। দেশি জাতের পেঁয়াজের পাশাপাশি মিয়ানমার, ভারতের পেঁয়াজও প্রচুর আসছে। যে কারণে পেঁয়াজের দাম এখন কমতির দিকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

মুচলেকা দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লেন আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত