Ajker Patrika

থানায় আ.লীগ প্রার্থীর অভিযোগ, মানববন্ধন

সখীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ৪০
থানায় আ.লীগ প্রার্থীর অভিযোগ, মানববন্ধন

সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউপি নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) গোলাম কিবরিয়ার বাড়ি ও অফিসে ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কর্মী-সমর্থকেরা। গতকাল সোমবার উপজেলার কালমেঘা বাজারে মানববন্ধনে তাঁরা এ প্রতিবাদ জানান। বহুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে সখীপুর থানায় অভিযোগ করেন গোলাম কিবরিয়া।

মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন, বহুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শরীফ, গোলাম কিবরিয়া সেলিম প্রমুখ এ ঘটনার নিন্দা ও বিচারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন। এ ছাড়া মানববন্ধনে চার শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

এ সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, গত ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে বহুরিয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী সরকার নূরে আলম মুক্তা বিজয়ী হওয়ার পর থেকে বিজয় মিছিল করে চলেছেন। গত শনিবার এক বিজয় মিছিল থেকে তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম কিবরিয়ার বাড়ি ও অফিসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া তাঁরা মাইকে নানাভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করছেন। বিষয়টি খুবই নিন্দনীয়। এসব ক্রিয়াকলাপ থেকে বিজয়ী প্রার্থী নূরে আলম মুক্তাকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

মানববন্ধনে গোলাম কিবরিয়া সেলিম বলেন, জয়-পরাজয় থাকবেই। তাই বলে বিজয়ী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের এমন হীন কাজকর্ম মেনে নেওয়া যায় না।

এ সময় গোলাম কিবরিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আজকের পর থেকে আমার একজন কর্মীর ওপর যদি কোনো ধরনের জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, হামলা করা হয় তবে আওয়ামী লীগের বহুরিয়া ইউনিয়ন শাখা তা প্রতিহত করবে। এসব কর্মকাণ্ড কখনোই বরদাশত করা হবে না।’

জানতে চাইলে সরকার নূরে আলম মুক্তা বলেন, ‘আমার কর্মী-সমর্থকেরা ওই বাড়িতে ঢিল ছুড়েছেন কি না আমার জানা নেই। তবে আমার দুজন কর্মী বিষয়টি জানতে গোলাম কিবরিয়ার বাড়িতে গেলে তাঁদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। যা কোনোভাবেই কাম্য ছিল না। তিনি নির্বাচনে হেরে গিয়ে নানাভাবে আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন।’

এ বিষয়ে সখীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল গফুর বলেন, নির্বাচনের পর বিজয়ীদের আরও সহনশীল হওয়া প্রয়োজন। নির্বাচনের পর পরাজিত প্রার্থী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকেন। তাই বিজয়ী প্রার্থীর উচিত তাঁর বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানানো। এসব প্রথা চালু হলে বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরাও বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারবেন। হামলার ঘটনাও কমে আসবে।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে সাইদুল হক ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচন-পরবর্তী যেকোনো ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশ তৎপর রয়েছে। গোলাম কিবরিয়ার অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা পেলে মামলা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত