Ajker Patrika

পিঠা খেতে বাড়ছে ভিড়

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১৪: ৩৬
পিঠা খেতে বাড়ছে ভিড়

দিনে দিনে একটু করে বাড়ছে শীত। আর শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিঠার দোকানগুলোতে বাড়ছে মানুষের ভিড়। কদর বাড়ছে রকমারি পিঠার।

জয়পুরহাট সদরসহ পাঁচবিবি, কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুরের বিভিন্ন সড়কের পাশে বিকেল থেকে রাত ৯-১০টা পর্যন্ত রকমারি পিঠার পসরা সাজিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় থাকেন দোকানিরা। আর ক্রেতারাও মুখিয়ে থাকেন—সন্ধ্যা নামবে, পাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত পিঠা।

সদর উপজেলার তেঘরবিশা গ্রাম থেকে জয়পুরহাট রেলওয়ে পৌর হকার্স মার্কেটের পূর্ব পাশের রাস্তার পাশে প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত পিঠার দোকান দেন শিপন ও তাঁর নানি হাজেরা। শিপন বলেন, তাঁরা প্রতিদিন ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকার পিঠা ও মাষকলাইয়ের রুটি বিক্রি করছেন। প্রতিটি ভাপা পিঠা ১০ টাকায়, চিতই পিঠা ১০ টাকা এবং মাষকলাইয়ের রুটি ২০ টাকায় বিক্রি করছেন। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন তাঁদের লাভ থাকছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। দোকানে ক্রেতাদের প্রতিদিনই ভিড় থাকে। পিঠা ও রুটি তৈরি করে দিতে হিমশিম খেতে হয়।

শিপনদের পাশাপাশি দোকান দিয়েছেন আইজুল ও বুলি দম্পতি। আইজুল জানান, তাঁরাও ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা ও মাষকলাইয়ের রুটি বিক্রি করেন। প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বেচাবিক্রি হয়। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে তাঁদের লাভ থেকে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। এটা তাঁদের সংসারের জন্য একটা বাড়তি আয়। আর রুটি, পিঠা খেয়ে ক্রেতারা তৃপ্তি প্রকাশ করেন, যা তাঁদের মনে বাড়তি আনন্দ দেয়।

সদর উপজেলার বেলআমলা গ্রাম থেকে পিঠা খেতে এসেছেন বৈশাখী বেগম। তিনি বলেন, ‘যখনই জয়পুরহাটে আসি, তখন সময় করে পিঠা তৈরির দোকানে আসি।’

জয়পুরহাট সদর উপজেলার করিমনগর গ্রাম থেকে পিঠা খেতে এসেছেন জাকের ও রুপালি দম্পতি। রুপালি বেগম বলেন, ‘জয়পুরহাট সদরে মার্কেট করতে এসে সপরিবারে পিঠা খাচ্ছি। বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সময় কিছু পিঠা নিয়েও যাব।’

নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার চাকলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান জয়পুরহাট শহরে রিকশা চালাতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘পিঠা আমার খুব প্রিয় খাবার। তাই সময়-সুযোগ পেলেই দু-একটা ভাপা পিঠা খেয়ে যাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত