Ajker Patrika

ভাগনেকে ফাঁসাতে ভাড়াটে খুনি দিয়ে সহযোগীকে খুন

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৪১
ভাগনেকে ফাঁসাতে ভাড়াটে খুনি দিয়ে সহযোগীকে খুন

গাজীপুরের কাপাসিয়ার ইদ্রিস হত্যার দেড় বছর পর এর রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ খুনের ঘটনায় করা মামলার আসামি মো. মেজবাহ উদ্দিনকে (১৯) গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ রহস্য উদ্ঘাটিত হয়। মেজবাহ জানিয়েছেন, উপজেলার টোক বাইপাস এলাকায় সম্পত্তি নিয়ে ভাগনে সৈয়দ জহির আহসান জাহিদকে ফাঁসাতে ভাড়াটে খুনি দিয়ে নিজের সহযোগী ইদ্রিসকে খুন করেন রবিন ভূঁইয়া।

এর আগে গত রোববার টোক ফেরিঘাট সেতুর ওপর থেকে মেজবাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত সোমবার তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার মেজবাহ উদ্দিন ময়মনসিংহের পাগলা থানার টাঙ্গাব এলাকার মো. আফতাব উদ্দিনের ছেলে।

গতকাল বুধবার গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, সৈয়দ জহির আহসান জাহিদের সঙ্গে তাঁর নানাবাড়ির ওয়ারিশ সম্পত্তি নিয়ে মামা রবিন ভূঁইয়ার বিরোধ চলছিল। ওই সময় স্থানীয় ইদ্রিস ও রফিক জাহিদের পক্ষ নিয়ে তাঁর মামাবাড়ির সম্পত্তি দখলে তাঁকে সহযোগিতা করে। পরে জাহিদের সঙ্গে ইদ্রিসের দ্বন্দ্ব হলে ইদ্রিস রবিন ভূঁইয়া সঙ্গে যোগ দেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার তিন দিন আগে টোক বাইপাস এলাকায় জাহিদ তাঁর লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে ইদ্রিসকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এই সুযোগে রবিন ভূঁইয়া তাঁর সহযোগীদের নিয়ে জাহিদকে ফাঁসাতে ইদ্রিসকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে মেজবাহ উদ্দিন ও ঘটনায় জড়িত আসামিরা রবিন ভূঁইয়ার কাছ থেকে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে ইদ্রিসকে হত্যার চুক্তি করেন।

মাকছুদের রহমান বলেন, পরিকল্পনা মোতাবেক মেজবাহ উদ্দিন ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট রাত দুইটার সময় কৌশলে ইদ্রিসকে রবিন ভূঁইয়ার বাড়িতে নিয়ে আসেন। আগে থেকে সেখানে অবস্থানরত বাকি আসামিরা গলা চেপে ধরে ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করেন এবং এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে ইদ্রিসকে হত্যা করেন। পরে জাহিদ তাঁর নানাবাড়িতে যে ঘরে ঘুমাতেন, তার পেছনের পুকুরপাড়ে ইদ্রিসের লাশ ফেলে চলে যান।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার বলেন, পরের দিন সকালে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ওই দিন ইদ্রিসের মা মোর্শেদা জাহিদসহ ১০ জনের নামে মামলা করেন। এর প্রায় চার মাস পর মামলাটি পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট অপর খুনি দুখু মিয়া ওরফে সুমনকে গ্রেপ্তার করলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি রবিন ভূঁইয়ার সঙ্গে ১২ লাখ টাকায় খুনের চুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করেন। বর্তমানে কারাগারে আছেন সুমন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত