রকিব হাসান নয়ন, মেলান্দহ (জামালপুর)
জামালপুরের মেলান্দহ সরকারি কলেজের তিনটি ভবনের মধ্যে দুটি ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ। তিনতলা বিজ্ঞান ভবনটি ২০০৯ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেখানে এখনো পাঠদান চলছে। আর দোতলা প্রশাসনিক ভবনটি ২০১৮ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। দুই ভবনেই ঝুঁকি নিয়ে এখনো সব ধরনের কার্যক্রম চলছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জামালপুর শিক্ষা প্রকৌশল অফিস থেকে বলা হয়েছে, কলেজের দুটি ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দুটি ভবনই ইতিমধ্যে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞান শিক্ষা সম্প্রসারণ প্রকল্পে ভবন করার জন্য একটি প্রস্তাব প্রকল্প পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেলান্দহ সরকারি কলেজের বিজ্ঞান ভবন, প্রশাসনিক ভবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভবনে শেওলা জমে রয়েছে। বিজ্ঞান ভবনের তৃতীয় ও দ্বিতীয় তলার বিভিন্ন জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে। বেরিয়ে গেছে ভেতরের রড। পিলারে ফাটল ধরেছে। দরজা-জানালাগুলো ভেঙে পড়েছে। ভবনে প্রবেশপথের প্রথম গেট ভেঙে পড়ে আছে। প্রশাসনিক ভবনের একটি রুমে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে, পলেস্তারা যেন খসে না পড়ে তার জন্য কাঠ ও বাঁশ দিয়ে ঠেকা দিয়ে রাখা হয়েছে।
একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী লিনা আক্তার বলে, ‘ক্লাসে ঢুকলে ভয় লাগে, কখন যে ভেঙে পড়ে। আতঙ্ক নিয়ে কি ক্লাস করা সম্ভব? যদি কোনো সময় ভূমিকম্প হয় সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়বে। আমরা আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করে যাচ্ছি। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আল্লাহ না করুক, আমরাও দুর্ঘটনার শিকার হতে পারি।’
দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম বলে, ‘আমার যেদিন প্রথম ক্লাস হয়, ওই দিন চোখের সামনে শ্রেণিকক্ষের জানালা ভেঙে পড়ে। কিছুদিন আগে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির পানি রুমে পড়তে শুরু করে। পরে ওই রুম থেকে অন্য রুমে গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছি। সব ক্লাসরুমের একই অবস্থা। পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে।’
একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. লিটন বলে, ‘ভেঙে পড়ার ভয়ে বাড়ি থেকে কলেজে আসতে দেয় না মা। কখন যে ভেঙে পড়ে, এই আতঙ্ক সব সময়। কলেজের সব ক্লাসরুমে একই অবস্থা। সিঁড়ির ছাদ থেকেও পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভেঙে পড়ার ভয় নিয়েই মাঝেমধ্যে ক্লাস করি। কলেজে শিক্ষকও কম। শিক্ষকেরা আসার কিছুদিন পরেই কলেজের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ দেখে অন্য কলেজে চলে যান।’
আমিনুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ‘আমি একদিন কলেজে গিয়েছিলাম এক দরকারে। গিয়ে দেখি ছাদ থেকে শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে রড দেখা যাচ্ছে। তার পর থেকে আমার ছেলেকে আর কলেজে যেতে দেইনি। টিসি নিয়ে অন্য কলেজে ভর্তি করিয়ে দেব এখন।’
পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সব সময় আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করাতে হয়। কখন যে কী ঘটনা ঘটে। আমাদের সব সময় আতঙ্কে দিন কাটে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
মেলান্দহ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হাসান তৌফিক মো. আলী নূর বলেন, ‘বর্তমানে সরকারি কলেজের অবকাঠামো অত্যন্ত নাজুক। ইতিমধ্যে প্রশাসনিক ভবনের একাংশ ও বিজ্ঞান ভবন মৌখিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রী ও আমরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। কলেজে কর্মকর্তার সংখ্যাও কম। কলেজে অধ্যক্ষসহ ৬২টি পদ থাকা দরকার। রয়েছে মাত্র ১৬ জন কর্মকর্তা।’
জামালপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কলেজের ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। একটি ভবন ২০০৯ সালে ও ২০১৮ সালে আরেকটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞান শিক্ষা সম্প্রসারণ নামে একটি প্রকল্প আছে। সেই প্রকল্পে সংসদ সদস্যের ডিও লেটারসহ ছয়তলা ভবন করার জন্য প্রস্তাব প্রকল্প পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
জামালপুরের মেলান্দহ সরকারি কলেজের তিনটি ভবনের মধ্যে দুটি ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ। তিনতলা বিজ্ঞান ভবনটি ২০০৯ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেখানে এখনো পাঠদান চলছে। আর দোতলা প্রশাসনিক ভবনটি ২০১৮ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। দুই ভবনেই ঝুঁকি নিয়ে এখনো সব ধরনের কার্যক্রম চলছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জামালপুর শিক্ষা প্রকৌশল অফিস থেকে বলা হয়েছে, কলেজের দুটি ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দুটি ভবনই ইতিমধ্যে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞান শিক্ষা সম্প্রসারণ প্রকল্পে ভবন করার জন্য একটি প্রস্তাব প্রকল্প পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেলান্দহ সরকারি কলেজের বিজ্ঞান ভবন, প্রশাসনিক ভবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভবনে শেওলা জমে রয়েছে। বিজ্ঞান ভবনের তৃতীয় ও দ্বিতীয় তলার বিভিন্ন জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে। বেরিয়ে গেছে ভেতরের রড। পিলারে ফাটল ধরেছে। দরজা-জানালাগুলো ভেঙে পড়েছে। ভবনে প্রবেশপথের প্রথম গেট ভেঙে পড়ে আছে। প্রশাসনিক ভবনের একটি রুমে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে, পলেস্তারা যেন খসে না পড়ে তার জন্য কাঠ ও বাঁশ দিয়ে ঠেকা দিয়ে রাখা হয়েছে।
একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী লিনা আক্তার বলে, ‘ক্লাসে ঢুকলে ভয় লাগে, কখন যে ভেঙে পড়ে। আতঙ্ক নিয়ে কি ক্লাস করা সম্ভব? যদি কোনো সময় ভূমিকম্প হয় সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়বে। আমরা আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করে যাচ্ছি। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আল্লাহ না করুক, আমরাও দুর্ঘটনার শিকার হতে পারি।’
দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম বলে, ‘আমার যেদিন প্রথম ক্লাস হয়, ওই দিন চোখের সামনে শ্রেণিকক্ষের জানালা ভেঙে পড়ে। কিছুদিন আগে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির পানি রুমে পড়তে শুরু করে। পরে ওই রুম থেকে অন্য রুমে গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছি। সব ক্লাসরুমের একই অবস্থা। পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে।’
একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. লিটন বলে, ‘ভেঙে পড়ার ভয়ে বাড়ি থেকে কলেজে আসতে দেয় না মা। কখন যে ভেঙে পড়ে, এই আতঙ্ক সব সময়। কলেজের সব ক্লাসরুমে একই অবস্থা। সিঁড়ির ছাদ থেকেও পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভেঙে পড়ার ভয় নিয়েই মাঝেমধ্যে ক্লাস করি। কলেজে শিক্ষকও কম। শিক্ষকেরা আসার কিছুদিন পরেই কলেজের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ দেখে অন্য কলেজে চলে যান।’
আমিনুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ‘আমি একদিন কলেজে গিয়েছিলাম এক দরকারে। গিয়ে দেখি ছাদ থেকে শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে রড দেখা যাচ্ছে। তার পর থেকে আমার ছেলেকে আর কলেজে যেতে দেইনি। টিসি নিয়ে অন্য কলেজে ভর্তি করিয়ে দেব এখন।’
পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সব সময় আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করাতে হয়। কখন যে কী ঘটনা ঘটে। আমাদের সব সময় আতঙ্কে দিন কাটে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
মেলান্দহ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হাসান তৌফিক মো. আলী নূর বলেন, ‘বর্তমানে সরকারি কলেজের অবকাঠামো অত্যন্ত নাজুক। ইতিমধ্যে প্রশাসনিক ভবনের একাংশ ও বিজ্ঞান ভবন মৌখিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রী ও আমরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। কলেজে কর্মকর্তার সংখ্যাও কম। কলেজে অধ্যক্ষসহ ৬২টি পদ থাকা দরকার। রয়েছে মাত্র ১৬ জন কর্মকর্তা।’
জামালপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কলেজের ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। একটি ভবন ২০০৯ সালে ও ২০১৮ সালে আরেকটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞান শিক্ষা সম্প্রসারণ নামে একটি প্রকল্প আছে। সেই প্রকল্পে সংসদ সদস্যের ডিও লেটারসহ ছয়তলা ভবন করার জন্য প্রস্তাব প্রকল্প পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪