মনজুর রহমান, লালমোহন (ভোলা)
ভোলার লালমোহনে মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। আবার সাগরে গিয়ে যা পাওয়া যাচ্ছে, তাতেও উঠছে না খরচ। কারণ, জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। সব মিলিয়ে হতাশা বাড়ছে উপজেলার জেলেপল্লিতে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা মোট নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ২৩ হাজার ১৭৮ জন। তবে এর প্রকৃত সংখ্যা আরও অধিক। এর মধ্যে ধলীগৌরনগর এবং লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের জেলের সংখ্যা বেশি।
ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের বাত্তিরখাল এলাকার জেলে শহিজল হক বলেন, ‘নদীতে তেমন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। সাগরে কিছু ইলিশ থাকলেও তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে সাগরে গিয়ে যে ইলিশ পাওয়া যায় তাতে প্রতিবার ফিরে দেখা যায় লাভের চেয়ে লোকসান বেশি। কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম দুর্দশায় রয়েছি। মাস শেষে ঠিকমতো ৪টি বেসরকারি সংস্থার কিস্তি দিতে পারছি না।’
বাত্তিরখাল এলাকার একটি মাছ ধরা ট্রলারের মাঝি মো. শাহেআলম। তিনি বলেন, ‘নদী বা সাগরে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে ৭ দিনের জন্য একটি ট্রলারে অন্তত ১৫-১৬ জন জেলে বের হন। এ সাত দিনের জন্য ট্রলারে খরচের পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ টাকা। তবে মাছ শিকার শেষে তীরে ফিরে দেখা যায়, ৫০ হাজার টাকার মাছও পাওয়া যায়নি। এ জন্য অনেক জেলে এখন নদীতে যেতে চাচ্ছেন না।’
উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করা জেলে মো. ওয়াসিম বলেন, ‘বর্তমানে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ নেই বললেই চলে। তার ওপরে যে হারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, তাতে প্রতিবার নদী থেকে ফিরে হিসাব করে দেখা যায়, লাভের চেয়ে লোকসান বেশি। এ পেশায় টিকে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ঋণের দায়ে গ্রাম ছেড়ে পালাতে হবে।’
উপজেলার নাজিরপুর মাছ ঘাটের আড়তদার মো. মনির হাওলাদার বলেন, ‘নদীতে মাছ কম থাকার কারণে জেলেরা আমাদের থেকে যে টাকা নিয়েছে তাও ঠিকমতো শোধ করতে পারছেন না। এতে করে যেমন জেলেদের সমস্যা হচ্ছে, তেমনি আমাদেরও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চলতে সমস্যা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা তানভির আহমেদ বলেন, ‘নদীর মোহনা অঞ্চলে পলি জমার কারণে নদীতে গভীরতা কমে গেছে। নদীতে স্রোতও কমে গেছে। এ জন্য বর্তমানে যে পরিমাণ মাছ নদীতে আসার কথা তা আসতে পারছে না। কিছু স্থানে ড্রেজিং করলে আগের মতো মাছ পাওয়া যাবে।’
মেরিন ফিশারিজের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তবুও আশা করছি সেপ্টেম্বরের প্রথম দিক থেকে নদীতে ইলিশের সংখ্যা আরও বাড়বে। তখন হয়তো জেলেরা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাবেন।’
ভোলার লালমোহনে মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। আবার সাগরে গিয়ে যা পাওয়া যাচ্ছে, তাতেও উঠছে না খরচ। কারণ, জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। সব মিলিয়ে হতাশা বাড়ছে উপজেলার জেলেপল্লিতে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা মোট নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ২৩ হাজার ১৭৮ জন। তবে এর প্রকৃত সংখ্যা আরও অধিক। এর মধ্যে ধলীগৌরনগর এবং লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের জেলের সংখ্যা বেশি।
ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের বাত্তিরখাল এলাকার জেলে শহিজল হক বলেন, ‘নদীতে তেমন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। সাগরে কিছু ইলিশ থাকলেও তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে সাগরে গিয়ে যে ইলিশ পাওয়া যায় তাতে প্রতিবার ফিরে দেখা যায় লাভের চেয়ে লোকসান বেশি। কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম দুর্দশায় রয়েছি। মাস শেষে ঠিকমতো ৪টি বেসরকারি সংস্থার কিস্তি দিতে পারছি না।’
বাত্তিরখাল এলাকার একটি মাছ ধরা ট্রলারের মাঝি মো. শাহেআলম। তিনি বলেন, ‘নদী বা সাগরে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে ৭ দিনের জন্য একটি ট্রলারে অন্তত ১৫-১৬ জন জেলে বের হন। এ সাত দিনের জন্য ট্রলারে খরচের পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ টাকা। তবে মাছ শিকার শেষে তীরে ফিরে দেখা যায়, ৫০ হাজার টাকার মাছও পাওয়া যায়নি। এ জন্য অনেক জেলে এখন নদীতে যেতে চাচ্ছেন না।’
উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করা জেলে মো. ওয়াসিম বলেন, ‘বর্তমানে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ নেই বললেই চলে। তার ওপরে যে হারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, তাতে প্রতিবার নদী থেকে ফিরে হিসাব করে দেখা যায়, লাভের চেয়ে লোকসান বেশি। এ পেশায় টিকে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ঋণের দায়ে গ্রাম ছেড়ে পালাতে হবে।’
উপজেলার নাজিরপুর মাছ ঘাটের আড়তদার মো. মনির হাওলাদার বলেন, ‘নদীতে মাছ কম থাকার কারণে জেলেরা আমাদের থেকে যে টাকা নিয়েছে তাও ঠিকমতো শোধ করতে পারছেন না। এতে করে যেমন জেলেদের সমস্যা হচ্ছে, তেমনি আমাদেরও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চলতে সমস্যা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা তানভির আহমেদ বলেন, ‘নদীর মোহনা অঞ্চলে পলি জমার কারণে নদীতে গভীরতা কমে গেছে। নদীতে স্রোতও কমে গেছে। এ জন্য বর্তমানে যে পরিমাণ মাছ নদীতে আসার কথা তা আসতে পারছে না। কিছু স্থানে ড্রেজিং করলে আগের মতো মাছ পাওয়া যাবে।’
মেরিন ফিশারিজের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তবুও আশা করছি সেপ্টেম্বরের প্রথম দিক থেকে নদীতে ইলিশের সংখ্যা আরও বাড়বে। তখন হয়তো জেলেরা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাবেন।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪