শামিমুজ্জামান, খুলনা
খুলনা অঞ্চলে বাড়ছে এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত বছরের চেয়ে চলতি বছর দ্বিগুণের বেশি রোগী আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে খুলনার চিকিৎসকসহ সুশীল সমাজের মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এআরটি (অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি) বিভাগের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের নভেম্বর মাসে খুলনায় ৬৫ জন এইচআইভি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ বছর মারা গেছে ১৮ জন। গত বছর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২৮ জন। তাদের মধ্যে মারা যায় ৭ জন। এ ছাড়া গত ১০ বছরে ৫১৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মারা গেছে মোট ৪৮ জন। হাসপাতালটিতে বর্তমানে ৪১০ জন রোগী নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ছাড়া অনিয়মিত রয়েছে ৪৫ জন। অন্য স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছে ১২ জন।
এমন বাস্তবতায় আজ ১ ডিসেম্বর পালিত হচ্ছে বিশ্ব এইডস দিবস। এ উপলক্ষে খুলনা জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে সকাল নয়টার দিকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হবে। শোভাযাত্রাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হবে এবং সেখানে এ বিষয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, খুলনা বিভাগের ১০ জেলার এইডসে আক্রান্ত রোগীরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। এদিকে সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় খুলনা অঞ্চলে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে চিকিৎসকেরা মনে করছেন। এ ব্যাপারে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এআরটি সেন্টারের ফোকাল পারসন দীপ কুমার দাশ বলেন, ২০১৭ সালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এইডসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়। এর আগে বিভিন্ন এনজিও এইডসে আক্রান্তদের চিকিৎসা করত।
২০১৭ সালে বিভিন্ন এনজিওর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ১৫৮ জন রোগী ছিল। গত ৫ বছরে ৩৬৭ জন এইডস রোগীর সন্ধান মিলেছে, যা উদ্বেগজনক। ডা. দীপ কুমার দাশ আরও বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিনা মূল্যে এইডস রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারপরও আক্রান্ত অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছে না। সামাজিক কারণে লোকলজ্জার ভয়ে আক্রান্ত অনেকে চিকিৎসা নিতে নিরুৎসাহিত বোধ করে। তিনি বলেন, শুধু অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের জন্য এইডসে আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত নিলেও এইডসে আক্রান্ত হয়। তাই আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবজ্ঞা নয়, ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখা উচিত। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় নিয়মিত মনিটরিংয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরীক্ষা আরও জোরদার করতে হবে।, পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
এদিকে খুলনা অঞ্চলে এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুশীল সমাজ। এ ব্যাপারে খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর খুলনা অঞ্চলে এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি, যা উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, এইডস নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রচারণা হচ্ছে।
তারপরও মানুষের মধ্যে সচেতনতা অনেক কম। তিনি এইডস প্রতিরোধে প্রচার প্রচারণা জোরদারের আহ্বান জানান।
এদিকে খুলনা সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় খুলনা অঞ্চলে এইডসে আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। মানুষের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনও এর জন্য দায়ী। এইডস প্রতিরোধে প্রচার চালানো হচ্ছে। মানুষের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। এ ছাড়া এইডস শনাক্তের জন্য উপজেলা পর্যায়ে পরীক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অনেক সময় লজ্জায় আক্রান্ত অনেকে চিকিৎসা নেন না। আক্রান্তদের প্রতিও সবার আরও বেশি সহানুভূতি হতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
খুলনা অঞ্চলে বাড়ছে এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত বছরের চেয়ে চলতি বছর দ্বিগুণের বেশি রোগী আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে খুলনার চিকিৎসকসহ সুশীল সমাজের মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এআরটি (অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি) বিভাগের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের নভেম্বর মাসে খুলনায় ৬৫ জন এইচআইভি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ বছর মারা গেছে ১৮ জন। গত বছর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২৮ জন। তাদের মধ্যে মারা যায় ৭ জন। এ ছাড়া গত ১০ বছরে ৫১৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মারা গেছে মোট ৪৮ জন। হাসপাতালটিতে বর্তমানে ৪১০ জন রোগী নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ছাড়া অনিয়মিত রয়েছে ৪৫ জন। অন্য স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছে ১২ জন।
এমন বাস্তবতায় আজ ১ ডিসেম্বর পালিত হচ্ছে বিশ্ব এইডস দিবস। এ উপলক্ষে খুলনা জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে সকাল নয়টার দিকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হবে। শোভাযাত্রাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হবে এবং সেখানে এ বিষয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, খুলনা বিভাগের ১০ জেলার এইডসে আক্রান্ত রোগীরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। এদিকে সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় খুলনা অঞ্চলে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে চিকিৎসকেরা মনে করছেন। এ ব্যাপারে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এআরটি সেন্টারের ফোকাল পারসন দীপ কুমার দাশ বলেন, ২০১৭ সালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এইডসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়। এর আগে বিভিন্ন এনজিও এইডসে আক্রান্তদের চিকিৎসা করত।
২০১৭ সালে বিভিন্ন এনজিওর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ১৫৮ জন রোগী ছিল। গত ৫ বছরে ৩৬৭ জন এইডস রোগীর সন্ধান মিলেছে, যা উদ্বেগজনক। ডা. দীপ কুমার দাশ আরও বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিনা মূল্যে এইডস রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারপরও আক্রান্ত অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছে না। সামাজিক কারণে লোকলজ্জার ভয়ে আক্রান্ত অনেকে চিকিৎসা নিতে নিরুৎসাহিত বোধ করে। তিনি বলেন, শুধু অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের জন্য এইডসে আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত নিলেও এইডসে আক্রান্ত হয়। তাই আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবজ্ঞা নয়, ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখা উচিত। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় নিয়মিত মনিটরিংয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরীক্ষা আরও জোরদার করতে হবে।, পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
এদিকে খুলনা অঞ্চলে এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুশীল সমাজ। এ ব্যাপারে খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর খুলনা অঞ্চলে এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি, যা উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, এইডস নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রচারণা হচ্ছে।
তারপরও মানুষের মধ্যে সচেতনতা অনেক কম। তিনি এইডস প্রতিরোধে প্রচার প্রচারণা জোরদারের আহ্বান জানান।
এদিকে খুলনা সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় খুলনা অঞ্চলে এইডসে আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। মানুষের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনও এর জন্য দায়ী। এইডস প্রতিরোধে প্রচার চালানো হচ্ছে। মানুষের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। এ ছাড়া এইডস শনাক্তের জন্য উপজেলা পর্যায়ে পরীক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অনেক সময় লজ্জায় আক্রান্ত অনেকে চিকিৎসা নেন না। আক্রান্তদের প্রতিও সবার আরও বেশি সহানুভূতি হতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪