Ajker Patrika

ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ জুন ২০২২, ১১: ৫১
ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা

বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে সম্প্রতি ‘গ্যারান্টি’ দিয়ে গেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। এমন ঘোষণায় ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে উদ্দীপনা বেড়েছে। প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন, ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। কে জিতবেন, কে হারবেন তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। শহরের বিপণিবিতান, দোকানপাট ও সড়কে শোভা পাচ্ছে প্রার্থীদের ব্যানার ও ফেস্টুন।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ২৭ হাজারের ওপরে। ১৫ জুন হবে ভোটগ্রহণ। মেয়র পদে প্রার্থী ১০ জন। এর মধ্যে সদ্য সাবেক মেয়র মো. আব্দুস শুকুর এবারও নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। রাজনৈতিক দল মনোনীত আরও দুজন প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টির সুনাম উদ্দিন ও কমিউনিস্ট পার্টির আবুল কাশেম। তবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রচারণা ও ভোটের জরিপে অনেক পিছিয়ে। অপর সাত প্রার্থীর সবাই স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে দুজন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত।

ভোটের আর দুদিন বাকি। প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের যেন দম ফেরার সময় নেই। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরামহীন ছুটে চলেছেন তাঁরা।

দলের সবাইকে পাশে পাচ্ছেন জানিয়ে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুস শুকুর বলেন, গত পাঁচ বছরে পৌরসভাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ভাঙাচোরা সড়কগুলো পাকা করা হয়েছে। অতিদরিদ্র পৌর বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারি অনুদানের ভাতা কার্ড প্রদান করা হয়েছে।

প্রচারে পিছিয়ে নেই স্বতন্ত্র প্রার্থী তফজ্জুল হোসেন, ফারুকুল হক, আব্দুছ ছবুর, আব্দুস সামাদ আজাদ, আব্দুল কুদ্দুছ টিটু ও আহবাব হোসেন সাজু। প্রত্যেক প্রার্থীর নিজস্ব ভোট ব্যাংক আছে।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুকুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও গত পাঁচ বছরে বিয়ানীবাজারে তেমন উন্নয়ন হয়নি। মেয়রের কর্মকাণ্ডে কোনো জবাবদিহি ছিল না। ফলে মানুষ তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ। মানুষের ক্ষোভ আঁচ করতে পেরেই আমি প্রার্থী হয়েছি।’

সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন বলেন, ‘আমি ১৭ বছর পৌরসভার মানুষকে সেবা দিয়ে গেছি। কিন্তু গত পাঁচ বছর প্রবাসী অধ্যুষিত বিয়ানীবাজার পৌরসভায় যেভাবে উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল তার কিছুই হয়নি। পৌরবাসী নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত ছিলেন।’

বিয়ানীবাজার পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘প্রার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচার চালাচ্ছেন। ১৫ জুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত