Ajker Patrika

দুই খালপাড়ের ১২৬ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২২, ২০: ২৩
দুই খালপাড়ের ১২৬ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ

চট্টগ্রাম নগরীর চাকতাই ও রাজাখালি খালের জায়গায় গড়ে ওঠা ১২৬ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করতে বলা হয়েছে। তবে উচ্ছেদের আগে নিজ খরচে এসব স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুই সপ্তাহ সময় দিতে বলেছেন আদালত।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

আদালতের নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদী হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুয়ায়ী খাল ভরাট নিষিদ্ধ। এরপরও কিছু অসাধু ব্যক্তি খালের জায়গা ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। আদালতের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।’

এর আগে চাকতাই ও রাজাখালি খালের প্রকৃত সীমানা চিহ্নিত করে খালের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং নির্মাণকাজ বন্ধে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের হয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১৬ সালের ৬ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

পরে জেলা প্রশাসন প্রতিবেদন দাখিল করে জানান, বাকলিয়া এবং পাঁচলাইশ মৌজায় ১২৬টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এর মধ্যে রাজাখালি এলাকায় ৬১ এবং চাকতাই এলাকায় রয়েছে ৬৫টি। গতকাল এ বিষয়ে জারি করা রুল মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।

রায়ে পরিবেশ, অর্থ, এলজিআরডি ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, সিডিএ চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, এডিসি, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, বাকলিয়ার এসিল্যান্ড এবং ওসিকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

হাইকোর্টের এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামের নদী রক্ষায় আন্দোলনকারীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি চৌধুরী ফরিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাইকোর্টের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা আশা করছি, আদালতের রায় মেনে সংশ্লিষ্টরা দ্রুত এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবেন।’

চৌধুরী ফরিদ আরও বলেন, ‘চাকতাই আর রাজাখালি নয়, চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। ওই সব অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ করার দাবি জানাচ্ছি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে নদী ও খাল রক্ষায় আন্দোলন করে যাচ্ছি। তাই এই রায়কে আমরা আমাদের আন্দোলনের সফলতা মনে করছি।’

রায় বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ শহীদুল আলমকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হয়। তবে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই দুটি খালের যে অংশ জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অধীনে আছে, সেই অংশের প্রায় ৩৫টির মতো অবৈধ স্থাপনা আমরা উচ্ছেদ করেছি। বাকি যেগুলো আছে, সেগুলোও আমরা উচ্ছেদ করব। জলাবদ্ধতার বাইরের অংশ দেখভালের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। ওই সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে তারা ব্যবস্থা নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত