সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
গ্রীষ্মের শুরুতে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির তীব্র সংকট। বেড়িবাঁধ ভেঙে পুকুরের পানি নষ্ট হয়ে যাওয়া ও ফিল্টারগুলো অকেজো হয়ে পড়ায় দুষ্কর হয়ে পড়েছে সুপেয় পানি সংগ্রহ। বেঁচে থাকার তাগিদে দূষিত পানি পান করায় পেটের পীড়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, এলাকার মানুষদের বাঁচাতে সরকারিভাবে নির্মিত হোক বড় ধরনের জলাধার বা পানির প্ল্যান্ট।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৬০ ভাগ মানুষ সুপেয় পানি পাচ্ছে। বাকি ৪০ ভাগ মানুষকে সুপেয় পানির আওতায় আনতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, নতুন করে গভীর-অগভীর নলকূপ স্থাপন, রেইন ওয়াটার হারভেস্টর, আরও প্ল্যান্ট (রিভার্স অসমোসিস) ও এআইআরপি (আর্সেনিক, আয়রন রিমুভাল) প্ল্যান্ট নির্মাণ ইত্যাদি।
তবে সরকারিভাবে ৬০ ভাগ মানুষকে সুপেয় পানির আওতায় আনার কথা বলা হলেও সুপেয় পানি পান করতে পারছেন না ৫০ ভাগের বেশি মানুষ। সংস্কারের অভাবে উপকূলীয় এলাকায় সরকারিভাবে বসানো ৬৫০টি পিএসএফের অধিকাংশ অকেজো হয়ে আছে। জেলা পরিষদের অধীনে ৭৩টি পুকুর পুনঃখনন করা হয়েছে। তবে কাজ হাতে নেওয়া হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই কম বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ এলাকায় দেখা যায়, কয়েক কিলোমিটার দুর থেকে পানি আনতে গিয়ে ক্লান্ত গাঁয়ের নারীরা। বেড়িবাঁধ ভাঙনের ফলে জলাশয় লবণাক্ত হওয়ায় বেসরকারি একটি সংস্থার সরবরাহ করা জারের পানিই ভরসা এসব পরিবারের।
২০০৯ সালে আইলার পর থেকে সুপেয় পানির সংকট শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ জুড়ে। তবে শ্যামনগরে সুপেয় পানির সংকট ভয়াবহ। প্রতিবছর ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে সুপেয় পানির উৎস। বিকল্প হিসেবে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও পুকুরের পানি ফিল্টারিং করে খেতেন স্থানীয়রা। তবে গত বছর শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোনা পানি ঢোকায় সেসব পানিও এখন পানের অযোগ্য।
শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ গ্রামের লক্ষ্মী দাস বলেন, ‘এলাকায় একটি পুকুর রয়েছে। সুপেয় পানির জন্য পিসিএফের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বছর খানেক তা নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। তাই বাড়ি থেকে ৩ কিলোমিটার দূরের পুকুর থেকে জল আনতে হয়। সেখানেও লাইনে দাঁড়াতে হয়।’
বুড়িগোয়ালিনী গ্রামের অশোক রায় বলেন, ‘নোংরা জলে আমাদের গোসল করতে হয়। অনেকের গায়ে পাঁচড়া হয়েছে।
টেকসই বেড়িবাঁধই এসব সমস্যার একমাত্র সমাধান হতে পারে। নদীর লবণাক্ত জল যদি লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পারে, তবে লবণাক্ততা ধীরে-ধীরে কেটে যাবে।’
সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সহিদুল ইসলাম জানান, যেসব এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানি পর্যাপ্ত নয় বা পানি পানযোগ্য নয়, সেসব এলাকায় প্রায় ৯ হাজার ওয়াটার হার্ভেস্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ১৬টি রিভার্স অসমোসিস বা আরও প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৫ হাজার গভীর ও ১১ হাজার অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪২ হাজার পানির উৎস চলমান রয়েছে।
গ্রীষ্মের শুরুতে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির তীব্র সংকট। বেড়িবাঁধ ভেঙে পুকুরের পানি নষ্ট হয়ে যাওয়া ও ফিল্টারগুলো অকেজো হয়ে পড়ায় দুষ্কর হয়ে পড়েছে সুপেয় পানি সংগ্রহ। বেঁচে থাকার তাগিদে দূষিত পানি পান করায় পেটের পীড়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, এলাকার মানুষদের বাঁচাতে সরকারিভাবে নির্মিত হোক বড় ধরনের জলাধার বা পানির প্ল্যান্ট।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৬০ ভাগ মানুষ সুপেয় পানি পাচ্ছে। বাকি ৪০ ভাগ মানুষকে সুপেয় পানির আওতায় আনতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, নতুন করে গভীর-অগভীর নলকূপ স্থাপন, রেইন ওয়াটার হারভেস্টর, আরও প্ল্যান্ট (রিভার্স অসমোসিস) ও এআইআরপি (আর্সেনিক, আয়রন রিমুভাল) প্ল্যান্ট নির্মাণ ইত্যাদি।
তবে সরকারিভাবে ৬০ ভাগ মানুষকে সুপেয় পানির আওতায় আনার কথা বলা হলেও সুপেয় পানি পান করতে পারছেন না ৫০ ভাগের বেশি মানুষ। সংস্কারের অভাবে উপকূলীয় এলাকায় সরকারিভাবে বসানো ৬৫০টি পিএসএফের অধিকাংশ অকেজো হয়ে আছে। জেলা পরিষদের অধীনে ৭৩টি পুকুর পুনঃখনন করা হয়েছে। তবে কাজ হাতে নেওয়া হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই কম বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ এলাকায় দেখা যায়, কয়েক কিলোমিটার দুর থেকে পানি আনতে গিয়ে ক্লান্ত গাঁয়ের নারীরা। বেড়িবাঁধ ভাঙনের ফলে জলাশয় লবণাক্ত হওয়ায় বেসরকারি একটি সংস্থার সরবরাহ করা জারের পানিই ভরসা এসব পরিবারের।
২০০৯ সালে আইলার পর থেকে সুপেয় পানির সংকট শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ জুড়ে। তবে শ্যামনগরে সুপেয় পানির সংকট ভয়াবহ। প্রতিবছর ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে সুপেয় পানির উৎস। বিকল্প হিসেবে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও পুকুরের পানি ফিল্টারিং করে খেতেন স্থানীয়রা। তবে গত বছর শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোনা পানি ঢোকায় সেসব পানিও এখন পানের অযোগ্য।
শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ গ্রামের লক্ষ্মী দাস বলেন, ‘এলাকায় একটি পুকুর রয়েছে। সুপেয় পানির জন্য পিসিএফের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বছর খানেক তা নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। তাই বাড়ি থেকে ৩ কিলোমিটার দূরের পুকুর থেকে জল আনতে হয়। সেখানেও লাইনে দাঁড়াতে হয়।’
বুড়িগোয়ালিনী গ্রামের অশোক রায় বলেন, ‘নোংরা জলে আমাদের গোসল করতে হয়। অনেকের গায়ে পাঁচড়া হয়েছে।
টেকসই বেড়িবাঁধই এসব সমস্যার একমাত্র সমাধান হতে পারে। নদীর লবণাক্ত জল যদি লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পারে, তবে লবণাক্ততা ধীরে-ধীরে কেটে যাবে।’
সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সহিদুল ইসলাম জানান, যেসব এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানি পর্যাপ্ত নয় বা পানি পানযোগ্য নয়, সেসব এলাকায় প্রায় ৯ হাজার ওয়াটার হার্ভেস্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ১৬টি রিভার্স অসমোসিস বা আরও প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৫ হাজার গভীর ও ১১ হাজার অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪২ হাজার পানির উৎস চলমান রয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৯ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪