Ajker Patrika

ইউরোপে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের হুঁশিয়ারি মস্কোর

রয়টার্স, মস্কো
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ২১
ইউরোপে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের হুঁশিয়ারি মস্কোর

ইউরোপে মধ্যপাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে বাধ্য হতে পারে রাশিয়া। উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোটের (ন্যাটো) একই ধরনের পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো।

গত সোমবার রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রেবকভের এই সতর্কবার্তা নতুন করে পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতার ঝুঁকি বাড়িয়েছে। চলমান পরিস্থিতিকে তিন দশক আগে স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যে ‘সবচেয়ে খারাপ অবস্থা’ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতির মধ্যেই ইউক্রেনে রুশ হামলার আশঙ্কায় নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সম্প্রতি ন্যাটোর মাধ্যমে পূর্ব ইউরোপে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানায় ওয়াশিংটন।

এর প্রতিক্রিয়ায় রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ)’ নামক স্থগিত থাকা একটি চুক্তিতে পশ্চিমারা যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানালে পদক্ষেপ নিতে (পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন) বাধ্য হবে রাশিয়া। ইউক্রেন ইস্যুতে উত্তেজনা কমানোর পরিবর্তেই মূলত এই নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইছে মস্কো।

সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কথা উল্লেখ করে রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ-কে রেবকভ বলেছেন, রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিকভাবে সমস্যার সমাধান না হলে, রাশিয়াকে তা সামরিক প্রযুক্তির পাশাপাশি সামরিক উপায়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য করবে। অর্থাৎ পরবর্তী ধাপ হবে সংঘর্ষের।

১৯৮৭ সালে তৎকালীন সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের মধ্যে স্বাক্ষরিত আইএনএফ চুক্তির অধীনে ইউরোপে মধ্যপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ২০১৯ সালে আইএনএফ থেকে বেরিয়ে যায় ওয়াশিংটন।

পুতিন-জনসন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে বলেছেন যে ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্যরা ইউক্রেনে তৎপরতা বাড়িয়ে মূলত রাশিয়াকে হুমকি দিচ্ছে, জানিয়েছে ক্রেমলিন।

এদিকে মার্কিন গোয়েন্দাদের এক মূল্যায়ন বলছে, রাশিয়া আগামী বছরের শুরুর দিকে কমপক্ষে ১ লাখ ৭৫ হাজার সৈন্য মোতায়েনের মাধ্যমে প্রতিবেশী ইউক্রেনের ওপর বহুমুখী আক্রমণের পরিকল্পনা করতে পারে। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করে ক্রেমলিন বলছে, পশ্চিমাদের ‘রাশিয়াফোবিয়া’ আঁকড়ে ধরেছে।

তবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের ‘অস্থিতিশীল পদক্ষেপ’ একটি কৌশলগত ভুল হবে এবং এর পরিণতি ‘ভয়াবহ’ হবে বলে ভ্লাদিমির পুতিনকে সতর্ক করেছেন জনসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত