সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (নাসিক) মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুজন ভিন্ন পেশার মানুষ। একজন চিকিৎসক, অন্যজন আইনজীবী। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী মেয়র হওয়ার পর চিকিৎসা পেশায় আগের মতো মনোনিবেশ করতে পারেন না। তবে আইন পেশা ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগেও তাঁদের রুটিন ছিল আলাদা। আর নির্বাচন শুরু হতেই পাল্টে গেছে সেই রুটিন। প্রার্থী ও তাঁদের ঘনিষ্ঠ অনুসারীদের সঙ্গে আলাপ করে জেনে নেওয়া হয়েছে কেমন ছিল তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের রুটিন।
সেলিনা হায়াৎ আইভী: মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর দিন শুরু হতো একরাশ চিন্তা মাথায় নিয়ে। তবে সেই চিন্তা পরিবারের সামনে কখনোই দেখাতেন না। সবার সঙ্গে হাসিমুখে দিনের শুরু করতেন তিনি। বাড়ির বয়স্ক থেকে শুরু করে শিশু-কিশোর সবার খোঁজখবর নিয়ে প্রস্তুত হতেন নগর ভবনে যাওয়ার জন্য। সকাল ৯টার মধ্যে নিজেকে প্রস্তুত করে ফেলে নিজ কর্মস্থলে চলে যেতেন নির্ধারিত সময়ে।
গত ৫ বছর সিটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করার সময় এভাবেই নিজের রুটিনমাফিক সব কাজ শুরু করতেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। তবে নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে পাল্টে গেছে আইভীর নিত্যদিনের রুটিন। ফজরের সময় উঠে পড়েন ঘুম থেকে। এরপর হালকা নাশতা করে প্রস্তুত হন নির্বাচনের প্রচারে যাওয়ার জন্য। প্রায় প্রতিদিনই পায়ের যন্ত্রণা নিয়েই প্রস্তুত হন। যেই পায়ে হকারদের ছুড়ে মারা ইটে আঘাত পেয়েছিলেন আইভী। সকাল ৯টার মধ্যে বেরিয়ে পড়েন নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে।
সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত একটি ওয়ার্ডে চালান গণসংযোগ। এরপর বেলা ৩টা থেকে আবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত গণসংযোগ। বাসায় ফেরেন সন্ধ্যার পর। ৩০ মিনিটেরও কম সময় বিশ্রাম নিয়ে নেমে আসেন বাড়ির সামনের ক্যাম্পে। সেখানে আগত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, কর্মীদের পরামর্শ ও আলাপ-আলোচনা করেন অন্তত রাত ৯টা পর্যন্ত। তারপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান, কখনো টেলিভিশনের টক শোতে অংশগ্রহণ কিংবা নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা করে ১১টার ভেতর ঘুমিয়ে যান আইভী।
তৈমুর আলম খন্দকার: নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগে তৈমুর আলম খন্দকার ফজরের সময় ঘুম থেকে উঠতেন। এরপর ডায়েরি মতো দিনের কার্যসূচি দেখে নিতেন। কালো কোট চাপিয়ে সকাল ৯টার মধ্যে বেরিয়ে পড়তেন সুপ্রিম কোর্টের উদ্দেশে।
তবে নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হতেই পাল্টেছে সেই জীবনযাত্রা। ফজরে উঠে নামাজ আদায় করেন। এরপর কোরআন পাঠ করেন দীর্ঘ সময়। চা-নাশতা করে কিছু সময় শুয়ে ৮টার মধ্যে প্রস্তুত হন। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ৯টার মধ্যে বেরিয়ে পড়েন গণসংযোগে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত গণসংযোগ চালান। জোহরের নামাজ ও খাওয়া শেষে বেলা ৩টা থেকে আবারও গণসংযোগ। বাসায় ফেরেন সন্ধ্যার পর। নিজ বাসায় আসা নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন। পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদের সময় দেন রাত ১১টা পর্যন্ত। এর মাঝে টক শো, সাক্ষাৎকার দিয়েই সময় পার করেন। ফাঁকে ফাঁকে নেতা-কর্মীদের সাক্ষাৎ ও পরামর্শ দিয়ে যান নির্বাচন সম্পর্কে। কাজ শেষ করতে করতে ঘুমাতে যান রাত ২টায়।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (নাসিক) মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুজন ভিন্ন পেশার মানুষ। একজন চিকিৎসক, অন্যজন আইনজীবী। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী মেয়র হওয়ার পর চিকিৎসা পেশায় আগের মতো মনোনিবেশ করতে পারেন না। তবে আইন পেশা ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগেও তাঁদের রুটিন ছিল আলাদা। আর নির্বাচন শুরু হতেই পাল্টে গেছে সেই রুটিন। প্রার্থী ও তাঁদের ঘনিষ্ঠ অনুসারীদের সঙ্গে আলাপ করে জেনে নেওয়া হয়েছে কেমন ছিল তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের রুটিন।
সেলিনা হায়াৎ আইভী: মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর দিন শুরু হতো একরাশ চিন্তা মাথায় নিয়ে। তবে সেই চিন্তা পরিবারের সামনে কখনোই দেখাতেন না। সবার সঙ্গে হাসিমুখে দিনের শুরু করতেন তিনি। বাড়ির বয়স্ক থেকে শুরু করে শিশু-কিশোর সবার খোঁজখবর নিয়ে প্রস্তুত হতেন নগর ভবনে যাওয়ার জন্য। সকাল ৯টার মধ্যে নিজেকে প্রস্তুত করে ফেলে নিজ কর্মস্থলে চলে যেতেন নির্ধারিত সময়ে।
গত ৫ বছর সিটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করার সময় এভাবেই নিজের রুটিনমাফিক সব কাজ শুরু করতেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। তবে নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে পাল্টে গেছে আইভীর নিত্যদিনের রুটিন। ফজরের সময় উঠে পড়েন ঘুম থেকে। এরপর হালকা নাশতা করে প্রস্তুত হন নির্বাচনের প্রচারে যাওয়ার জন্য। প্রায় প্রতিদিনই পায়ের যন্ত্রণা নিয়েই প্রস্তুত হন। যেই পায়ে হকারদের ছুড়ে মারা ইটে আঘাত পেয়েছিলেন আইভী। সকাল ৯টার মধ্যে বেরিয়ে পড়েন নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে।
সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত একটি ওয়ার্ডে চালান গণসংযোগ। এরপর বেলা ৩টা থেকে আবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত গণসংযোগ। বাসায় ফেরেন সন্ধ্যার পর। ৩০ মিনিটেরও কম সময় বিশ্রাম নিয়ে নেমে আসেন বাড়ির সামনের ক্যাম্পে। সেখানে আগত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, কর্মীদের পরামর্শ ও আলাপ-আলোচনা করেন অন্তত রাত ৯টা পর্যন্ত। তারপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান, কখনো টেলিভিশনের টক শোতে অংশগ্রহণ কিংবা নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা করে ১১টার ভেতর ঘুমিয়ে যান আইভী।
তৈমুর আলম খন্দকার: নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগে তৈমুর আলম খন্দকার ফজরের সময় ঘুম থেকে উঠতেন। এরপর ডায়েরি মতো দিনের কার্যসূচি দেখে নিতেন। কালো কোট চাপিয়ে সকাল ৯টার মধ্যে বেরিয়ে পড়তেন সুপ্রিম কোর্টের উদ্দেশে।
তবে নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হতেই পাল্টেছে সেই জীবনযাত্রা। ফজরে উঠে নামাজ আদায় করেন। এরপর কোরআন পাঠ করেন দীর্ঘ সময়। চা-নাশতা করে কিছু সময় শুয়ে ৮টার মধ্যে প্রস্তুত হন। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ৯টার মধ্যে বেরিয়ে পড়েন গণসংযোগে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত গণসংযোগ চালান। জোহরের নামাজ ও খাওয়া শেষে বেলা ৩টা থেকে আবারও গণসংযোগ। বাসায় ফেরেন সন্ধ্যার পর। নিজ বাসায় আসা নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন। পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদের সময় দেন রাত ১১টা পর্যন্ত। এর মাঝে টক শো, সাক্ষাৎকার দিয়েই সময় পার করেন। ফাঁকে ফাঁকে নেতা-কর্মীদের সাক্ষাৎ ও পরামর্শ দিয়ে যান নির্বাচন সম্পর্কে। কাজ শেষ করতে করতে ঘুমাতে যান রাত ২টায়।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫