Ajker Patrika

নানা সংকটে শতবর্ষী পুকুর

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ৪২
নানা সংকটে শতবর্ষী পুকুর

মানিকগঞ্জের ঘিওর বাজারের সরকারি শতবর্ষী পুকুরে ফেলা হয় ময়লা-আবর্জনা। ফলে এটি এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় পুকুরটির বেশির ভাগই ভরাট হয়ে গেছে। এর বেশকিছু জায়গা দখলও হয়ে গেছে। ময়লা-আবর্জনা ছাড়াও কচুরিপানা ও লতাপাতায় ভরে গেছে পুকুর।

পয়োবর্জ্য, গৃহস্থালি বর্জ্য, হোটেল ও বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে পুকুরটি দূষিত হয়ে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই জবর-দখলে অস্তিত্ব হারাবে ঐতিহ্যবাহী ঘিওর হাটবাজারের সৌন্দর্যময় এই পুকুরটি। শতবর্ষী এই পুকুর রক্ষায় এখনই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

হাজামজা এ পুকুরের পানিতে জন্ম নিচ্ছে মশা। সে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ করে তুলেছে পুকুরপাড়ের সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ডাকঘর, মসজিদের মুসল্লি ও বসবাসকারী এলাকাবাসীর। এ ছাড়া দূষিত পানিতে ছড়াচ্ছে রোগ-জীবাণু।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুকুরের উত্তর-পূর্ব পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। চারদিকে বসতবাড়িসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় কচুরিপানা ও আগাছায় ভরে আছে। বাজারের নালার বর্জ্য, বাসাবাড়ি, হোটেল, দোকানপাটের ময়লা-আবর্জনা, কচুরিপানায় পুকুরটি বেহাল। আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে পুকুরের দূষিত ও ময়লা-আবর্জনাপূর্ণ পানি গন্ধ হয়ে গেছে।

বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. শামসুল বলেন, ‘শতবর্ষী এই পুকুরটির পানি একসময় এলাকাবাসী পান করত। কিন্তু ২০-২৫ বছর ধরে এটি সংস্কার ও খনন না করায় বেশির ভাগ স্থানই এখন ভরাট হয়ে গেছে। পুকুরটির কিছু জায়গা লোকজন দখল করে নিয়েছেন। এটি রক্ষায় কারও কোনো উদ্যোগ নেই।’

ঘিওর বাজারের ব্যবসায়ী শ্রী দিলীপ বলেন, আবর্জনার দুর্গন্ধে পুকুরের পাশের রাস্তা দিয়ে চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে। দুর্গন্ধে দুই পাশের দোকানদার ও ক্রেতারা পড়েছেন ভোগান্তিতে। অন্যদিকে একশ্রেণির প্রভাবশালী ব্যবসায়ী পুকুরের পাশের জমি রাতারাতি দখল করে নিচ্ছেন। তবে পুকুরটি খনন করলে এলাকার লোকজনের নানা উপকারে আসত।

ঘিওর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি মো. সরোয়ার কিরন খান বলেন, ‘বাজারের একশ্রেণির লোকজন এসব আবর্জনা ফেলে বাজারের পরিবেশ নষ্ট করছেন। তবে অচিরেই একটি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঘিওর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. অহিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, ‘পুকুরটির চারপাশ পরিষ্কার করে বাজারে ব্যবসায়ীসহ সবার ব্যবহারের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এ ছাড়া দখলমুক্ত করে মাছ চাষ করলে লাভবান হওয়া যাবে।’

ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসিব আহ্সান বলেন, ‘পুকুরের দূষিত পানি ব্যবহার ও বর্জ্যের দুর্গন্ধে পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।’

ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ওয়াদিয়া শাবাব বলেন, ‘আমি পুকুরটি সম্পর্কে অবগত আছি। পুকুরটির জায়গা দখল-সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া এই প্রাচীন পুকুরটির খনন ও সংস্কারের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মধুচন্দ্রিমায় স্বামী নিহত, কফিন জড়িয়ে হিমাশি

বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক সাফিনুলের পরিবারের ৫৬ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ দুদক: আইনজীবী

এটা ছোটখাটো অপহরণ: চবির ৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

তৃতীয় শ্রেণিতেও বৃত্তি দেওয়া হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত