রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীতে এমওপি (পটাশ) সার দ্বিগুণ দামে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর ইউরিয়াসহ অন্যান্য সার নির্ধারিত দাম থেকে কেজিতে ৪-৫ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, সংকটের কারণে এমওপি আর পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কারণে ইউরিয়াসহ অন্যান্য সারের দাম বেড়েছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় সারের কোনো সংকট নেই। দাম বেশি রাখলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, এ বছর রাজবাড়ীতে আম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। তবে কৃষককে সব ধরনের সারই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। সরকারনির্ধারিত দামে কোনো সারই কিনতে পারছেন না তাঁরা। এমওপি কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ দামে।
সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের কৃষক রহমান মণ্ডল বলেন, ‘ইউরিয়াসহ অন্যান্য সারও নির্ধারিত দাম থেকে কেজিতে ৪-৫ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সরকার ইউরিয়া সারের দাম ২২ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও ২৫-২৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। টিএসপি সারের দাম প্রতি কেজি ২২ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ২৬-২৮ টাকা। ডিএপি সারের দাম ব্যবসায়ীরা কেজিতে ৪-৫ টাকা বেশি রাখছেন।’
আরেক কৃষক মোস্তফা খান বলেন, ‘সার ও তেলের দাম বেশি, আমরা যাব কোথায়। তেলের দাম বাড়ায় চাষে ও সেচে খরচ বেড়েছে। সারের দাম বাড়ায় প্রয়োজনের তুলনায় সার পাচ্ছি না।’ কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সরকার সারের দাম বাড়িয়েছে। তেলের দাম বাড়িয়েছে। চাষাবাদ খরচ অনেক বেড়ে যাবে। টাকা খরচ করে হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে শেষে ন্যায্য দাম না পেলে না খেয়ে থাকতে হবে।’ সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের কৃষক আবু বক্কার জানান, তিনি দুই একর জমিতে আমন ধান চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সার ও তেলের দাম বেড়েছে। বৃষ্টি না থাকায় জমি শুকনা। পানি দিতে হবে বিকল্প উপায়ে। সে ক্ষেত্রে খরচ অনেক বেড়ে যাবে। এ ছাড়া কৃষিশ্রমিক পাওয়াও দুষ্কর হয়ে গেছে। একজন শ্রমিককে দিনে ৭০০-৮০০ টাকা দিতে হয়। সব মিলিয়ে আমন চাষাবাদ নিয়ে তিনি খুব সমস্যায় আছেন।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের সারের ডিলার সহিদ হোসেন বলেন, ‘সার রাজবাড়ী পর্যন্ত নিয়ে আসার গাড়িভাড়া বেড়েছে। এরপর আমাদের কাছ থেকে সাব-ডিলাররা সার নিয়ে যায়, সেখানেও খরচ বেড়েছে। সার পরিবহন করতে গিয়ে অনেক নষ্ট হয়, সেটিও আমাদের মধ্যে। সব মিলিয়ে আমাদের লাভ কমেছে, খরচ বেড়েছে।’ তিনি সারের বেশি দাম নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘১৫ দিনের বেশি সময় ধরে আমাদের কোনো এমওপি সার সরবরাহ নেই। এ জন্য যাঁদের আছে, তাঁরা হয়তো বেশি দামে বিক্রি করছেন।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় চলতি বছর ৫০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। জেলায় তিন ধরনের আমন ধানের আবাদ হয়। উফশী, হাইব্রিড এবং স্থানীয় জাত। এর মধ্যে উফশী আমন ৪৩ হাজার ৩০০ হেক্টর, হাইব্রিড ৬ হাজার ৩৫০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাত ৭৫০ হেক্টর জমিতে চাষ হওয়ার কথা রয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন, যা গতবারের চেয়ে ২ হাজার মেট্রিক টন বেশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শহীদ নূর আকবর বলেন, ‘জেলার কোথাও এমওপি সারের সংকট নেই। বর্তমানে জেলায় ১৩২ মেট্রিক টন এমওপি সার মজুত আছে। কেউ বেশি দামে সার বিক্রি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজবাড়ীতে এমওপি (পটাশ) সার দ্বিগুণ দামে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর ইউরিয়াসহ অন্যান্য সার নির্ধারিত দাম থেকে কেজিতে ৪-৫ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, সংকটের কারণে এমওপি আর পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কারণে ইউরিয়াসহ অন্যান্য সারের দাম বেড়েছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় সারের কোনো সংকট নেই। দাম বেশি রাখলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, এ বছর রাজবাড়ীতে আম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। তবে কৃষককে সব ধরনের সারই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। সরকারনির্ধারিত দামে কোনো সারই কিনতে পারছেন না তাঁরা। এমওপি কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ দামে।
সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের কৃষক রহমান মণ্ডল বলেন, ‘ইউরিয়াসহ অন্যান্য সারও নির্ধারিত দাম থেকে কেজিতে ৪-৫ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সরকার ইউরিয়া সারের দাম ২২ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও ২৫-২৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। টিএসপি সারের দাম প্রতি কেজি ২২ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ২৬-২৮ টাকা। ডিএপি সারের দাম ব্যবসায়ীরা কেজিতে ৪-৫ টাকা বেশি রাখছেন।’
আরেক কৃষক মোস্তফা খান বলেন, ‘সার ও তেলের দাম বেশি, আমরা যাব কোথায়। তেলের দাম বাড়ায় চাষে ও সেচে খরচ বেড়েছে। সারের দাম বাড়ায় প্রয়োজনের তুলনায় সার পাচ্ছি না।’ কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সরকার সারের দাম বাড়িয়েছে। তেলের দাম বাড়িয়েছে। চাষাবাদ খরচ অনেক বেড়ে যাবে। টাকা খরচ করে হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে শেষে ন্যায্য দাম না পেলে না খেয়ে থাকতে হবে।’ সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের কৃষক আবু বক্কার জানান, তিনি দুই একর জমিতে আমন ধান চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সার ও তেলের দাম বেড়েছে। বৃষ্টি না থাকায় জমি শুকনা। পানি দিতে হবে বিকল্প উপায়ে। সে ক্ষেত্রে খরচ অনেক বেড়ে যাবে। এ ছাড়া কৃষিশ্রমিক পাওয়াও দুষ্কর হয়ে গেছে। একজন শ্রমিককে দিনে ৭০০-৮০০ টাকা দিতে হয়। সব মিলিয়ে আমন চাষাবাদ নিয়ে তিনি খুব সমস্যায় আছেন।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের সারের ডিলার সহিদ হোসেন বলেন, ‘সার রাজবাড়ী পর্যন্ত নিয়ে আসার গাড়িভাড়া বেড়েছে। এরপর আমাদের কাছ থেকে সাব-ডিলাররা সার নিয়ে যায়, সেখানেও খরচ বেড়েছে। সার পরিবহন করতে গিয়ে অনেক নষ্ট হয়, সেটিও আমাদের মধ্যে। সব মিলিয়ে আমাদের লাভ কমেছে, খরচ বেড়েছে।’ তিনি সারের বেশি দাম নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘১৫ দিনের বেশি সময় ধরে আমাদের কোনো এমওপি সার সরবরাহ নেই। এ জন্য যাঁদের আছে, তাঁরা হয়তো বেশি দামে বিক্রি করছেন।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় চলতি বছর ৫০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। জেলায় তিন ধরনের আমন ধানের আবাদ হয়। উফশী, হাইব্রিড এবং স্থানীয় জাত। এর মধ্যে উফশী আমন ৪৩ হাজার ৩০০ হেক্টর, হাইব্রিড ৬ হাজার ৩৫০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাত ৭৫০ হেক্টর জমিতে চাষ হওয়ার কথা রয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন, যা গতবারের চেয়ে ২ হাজার মেট্রিক টন বেশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শহীদ নূর আকবর বলেন, ‘জেলার কোথাও এমওপি সারের সংকট নেই। বর্তমানে জেলায় ১৩২ মেট্রিক টন এমওপি সার মজুত আছে। কেউ বেশি দামে সার বিক্রি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
৬ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫