পটুয়াখালীর বাউফলে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে শেষ সময়ে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব না থাকলে লাভের পরিমাণ আরও বেশি হতো বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি বছর ৩৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ১ শতাংশ আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। অপর দিকে লেদা পোকা ও ফলস স্মার্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিলেও কৃষি অফিসের মাঠপর্যায়ে তদারকির কারণে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষতি হয়নি।
সরেজমিন উপজেলার কালাইয়া বন্দরের ধানহাট ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা ধান বিক্রি করতে হাটে নিয়ে এসেছেন। ধান কেনার জন্য ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, কুমিল্লা, ঝালকাঠী, দিনাজপুর, যশোর, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারীরা এসেছেন। হাটে প্রতিমণ (৪৮ কেজি) মোটা প্রজাতির আমন ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা। আর চিকন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায়।
উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের চরকান্দা গ্রামের চাষি বাদল প্যাদা জানান, তিনি এ বছর ৫ একর জমিতে ধান চাষ করেছেন। প্রতি একরে সার ও অন্য খরচ বাবদ খরচ হয়েছে ১৬ হাজার ৯০০ টাকা। এর মধ্যে ৪ হাজার ৭০০ টাকা ট্রাক্টর খরচ ও রোপণ বাবদ খরচ হয়েছে ৭ হাজার ৪০০ টাকা, খেত থেকে ধান কাটা এবং মাড়াই বাবদ শ্রমিক খরচ হয়েছে ৪ হাজার ৮০০ টাকা। প্রতি একরে ধান পেয়েছেন ৩০ থেকে ৩৫ মণ। প্রতি মণ ধান ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষকের প্রতি একরে লাভ হচ্ছে ১৩ থেকে ১৬ হাজার টাকা। তাঁর ৫ একরে লাভ হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। ওই গ্রামের শুধু বাদল প্যাদাই নন। উপজেলার চর ফেডারেশনের কৃষক ওমর আলী, কালাইয়া গ্রামের সোহরাব হোসেন, ইউসুফ মিয়া ও জিতেন্দ্র নাথসহ অনেক কৃষক এ বছর ধান চাষে লাভবান হয়েছেন।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চাষি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘শেষ সময়ে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বিরামহীন বৃষ্টির কারণে কিছু নিচু জমির ধান তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাওয়া ধানগুলোর দাম বাজারের চেয়ে কম পাওয়ায় লাভের পরিমাণ কম হয়েছে। যদি ঘূর্ণিঝড় না হতো, তাহলে এ বছর কৃষকেরা শতভাগ লাভে পরিপূর্ণ থাকত।’
কালাইয়া বন্দরের আড়তদার মানিক লাল কুণ্ডু বলেন, ‘দেশে ধানের চাহিদা অনেক বেশি হওয়ায় মূল্য বেড়ে গেছে। কালাইয়া বাজারসহ দক্ষিণাঞ্চলের উলানিয়া, গলাচিপা ও রাঙ্গাবালিতেও ধানের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। যেভাবে চাহিদা বাড়ছে তাতে দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে কৃষকেরা ধান ভালোভাবে শুকিয়ে বিক্রি করলে দাম আরও বেশি পাবে।’
বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে উৎপাদনে কোনো খতি হয়নি। কিছু নিচু জমির ধান তলিয়ে যাওয়ার কারণে ধানের রং নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দাম কম পেয়েছে। তবে বিগত বছরের চেয়ে কৃষকেরা অনেক লাভবান হওয়ায় সামনের মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
পটুয়াখালীর বাউফলে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে শেষ সময়ে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব না থাকলে লাভের পরিমাণ আরও বেশি হতো বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি বছর ৩৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ১ শতাংশ আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। অপর দিকে লেদা পোকা ও ফলস স্মার্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিলেও কৃষি অফিসের মাঠপর্যায়ে তদারকির কারণে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষতি হয়নি।
সরেজমিন উপজেলার কালাইয়া বন্দরের ধানহাট ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা ধান বিক্রি করতে হাটে নিয়ে এসেছেন। ধান কেনার জন্য ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, কুমিল্লা, ঝালকাঠী, দিনাজপুর, যশোর, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারীরা এসেছেন। হাটে প্রতিমণ (৪৮ কেজি) মোটা প্রজাতির আমন ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা। আর চিকন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায়।
উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের চরকান্দা গ্রামের চাষি বাদল প্যাদা জানান, তিনি এ বছর ৫ একর জমিতে ধান চাষ করেছেন। প্রতি একরে সার ও অন্য খরচ বাবদ খরচ হয়েছে ১৬ হাজার ৯০০ টাকা। এর মধ্যে ৪ হাজার ৭০০ টাকা ট্রাক্টর খরচ ও রোপণ বাবদ খরচ হয়েছে ৭ হাজার ৪০০ টাকা, খেত থেকে ধান কাটা এবং মাড়াই বাবদ শ্রমিক খরচ হয়েছে ৪ হাজার ৮০০ টাকা। প্রতি একরে ধান পেয়েছেন ৩০ থেকে ৩৫ মণ। প্রতি মণ ধান ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষকের প্রতি একরে লাভ হচ্ছে ১৩ থেকে ১৬ হাজার টাকা। তাঁর ৫ একরে লাভ হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। ওই গ্রামের শুধু বাদল প্যাদাই নন। উপজেলার চর ফেডারেশনের কৃষক ওমর আলী, কালাইয়া গ্রামের সোহরাব হোসেন, ইউসুফ মিয়া ও জিতেন্দ্র নাথসহ অনেক কৃষক এ বছর ধান চাষে লাভবান হয়েছেন।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চাষি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘শেষ সময়ে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বিরামহীন বৃষ্টির কারণে কিছু নিচু জমির ধান তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাওয়া ধানগুলোর দাম বাজারের চেয়ে কম পাওয়ায় লাভের পরিমাণ কম হয়েছে। যদি ঘূর্ণিঝড় না হতো, তাহলে এ বছর কৃষকেরা শতভাগ লাভে পরিপূর্ণ থাকত।’
কালাইয়া বন্দরের আড়তদার মানিক লাল কুণ্ডু বলেন, ‘দেশে ধানের চাহিদা অনেক বেশি হওয়ায় মূল্য বেড়ে গেছে। কালাইয়া বাজারসহ দক্ষিণাঞ্চলের উলানিয়া, গলাচিপা ও রাঙ্গাবালিতেও ধানের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। যেভাবে চাহিদা বাড়ছে তাতে দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে কৃষকেরা ধান ভালোভাবে শুকিয়ে বিক্রি করলে দাম আরও বেশি পাবে।’
বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে উৎপাদনে কোনো খতি হয়নি। কিছু নিচু জমির ধান তলিয়ে যাওয়ার কারণে ধানের রং নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দাম কম পেয়েছে। তবে বিগত বছরের চেয়ে কৃষকেরা অনেক লাভবান হওয়ায় সামনের মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
৪ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫