অদ্রিকা অনু
ফুলে ফুলে সাজানো বাড়ি, মানুষজনের হইচই। বাড়ির মেজ মেয়ের আজ হলুদ সন্ধ্যা। এরই মাঝে ছেলের বাড়ি থেকে চলে এল বিয়ের তত্ত্ব। সবার চোখ, সুন্দর করে সাজানো ডালাগুলোর দিকে। এদিকে কনেরও বুক ঢিপ ঢিপ। আত্মীয়স্বজনেরা সব তত্ত্ব দেখে সুনাম করবে তো!
আমাদের দেশে গায়েহলুদের সময়ে বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়িতে আর কনের বাড়ি থেকে বরের বাড়িতে তত্ত্ব পাঠানোর রীতি অনেক পুরোনো। একটা সময় তত্ত্বের মূল উপকরণ ছিল হলুদ, মিষ্টি এবং পান-সুপারি। কনের ক্ষেত্রে সঙ্গী হিসেবে থাকত কনের পোশাক, আলতা, চুড়ি, গয়না ও বরের ক্ষেত্রে পোশাকসহ অন্য জিনিসপত্র। এখন অবশ্য তত্ত্ব সাজানোর ধরনে আর উপকরণে বেশ পরিবর্তন এসেছে। তত্ত্বের তালিকায় যোগ হয়েছে অনেক কিছু। সাজানোর পদ্ধতিতেও লেগেছে নতুন চমক।
যেভাবে তত্ত্ব সাজাবেন
তালিকা তৈরি করুন
তত্ত্বে কার জন্য কী সাজিয়েছেন সুন্দর করে নম্বরসহ তার একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। এর পরে তত্ত্বের জিনিসপত্রের ওপর ওই নাম বা নম্বরগুলো লিখে দিলে জিনিসগুলো গুছিয়ে রাখতে সুবিধা হবে, পাশাপাশি দেখাবেও সুন্দর।
ট্রে বা ডালা
আজকাল গোল, চৌকো, ষড়ভুজ ইত্যাদি আকৃতির ডালা কিনতে পাওয়া যায়। তত্ত্বের নানারকম জিনিসপত্র, যেমন—শাড়ি, জামা-কাপড়, মিষ্টি, ফুল, অন্য খাবারদাবার, জুতো, কসমেটিকস ইত্যাদি প্রতিটি আলাদা আলাদা ডালায় সাজাবেন। ডালাগুলো মুড়ে দিন রঙিন ও স্বচ্ছ সেলোফেন পেপার দিয়ে। ডালায় রঙিন বা ঝলমলে চকলেট, পুঁতি, ফুল ইত্যাদি জায়গায় জায়গায় ছড়িয়ে রেখে সাজে ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে পারেন।
ফল, মিষ্টি, চকলেট, ড্রাই ফ্রুট
বিয়ের তত্ত্বের আবশ্যক একটি অংশ হচ্ছে বিভিন্ন রকমের মিষ্টি। আজকাল ভালো মিষ্টির দোকানে অর্ডার দিলে তারা নিজেরাই সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়। আবার চাইলে বাড়িতে এনেও ভিন্ন ডালায় সাজাতে পারেন একেক রকম মিষ্টি। বাড়ির কোনো সদস্যের ডায়াবেটিস থাকলে তার জন্য তত্ত্বে সুগার ফ্রি মিষ্টি রাখতে ভুলবেন না।
এ ছাড়া তত্ত্বে রাখুন হরেক রকম মৌসুমি ফল। ফল সাজানো জন্য সুন্দর বেতের ঝুড়ি বেছে নিতে পারেন। ঝুড়িতে ফল রেখে তা স্বচ্ছ রঙিন কাগজে বা নরম স্বচ্ছ কাপড়ে মুড়ে দিলে সুন্দর দেখাবে।
তত্ত্বের একটা ডালা সাজাতে পারেন নানা ধরনের চকলেট দিয়ে। সঙ্গে রাখতে পারেন চিড়ে ভাজা, চিপস, ঝুরিভাজা, চাল ভাজা ইত্যাদি। তত্ত্বে শুকনো ফলের ডালা রাখলে তা স্বচ্ছ সুন্দর র্যাপারে মুড়ে, উজ্জ্বল ফিতা দিয়ে বেঁধে দিন। চমৎকার লাগবে দেখতে।
প্রসাধনী
কনের প্রসাধনী কেনার সময় অতিরিক্ত কিছু না কিনে বরং যা প্রয়োজন সেগুলোই দুই বাড়ির তরফে ভাগ করে নিন। মেকআপ প্রোডাক্টেরও কিন্তু এক্সপায়ার ডেট থাকে। তাই অহেতুক বেশি বেশি কিনে রেখে নষ্ট না করাই ভালো।
শাওয়ার জেল, ফেসওয়াশ, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, হেয়ার সিরাম, ফেস সিরাম, সানস্ক্রিন লোশন, বডি লোশন, নাইট ক্রিম, বডি অয়েল, হেয়ার অয়েল, ফেস স্ক্রাবার, ক্রিম এসব রোজকার ব্যবহারের সঙ্গী। তাই প্রথমেই এগুলো কিনে ফেলুন। এরপর পছন্দের শেডের লিপস্টিক, কাজল, নেলপলিশ, আই লাইনার, কমপ্যাক্ট, তরল ফাউন্ডেশন, ফেস টিস্যু, টোনার, মেকআপ রিমুভার, ব্লাশার, আইশ্যাডো প্যালেট, হাইলাইটার; মেকআপের জন্য এসব হলেই চলে যায়।
ফুলে ফুলে সাজানো বাড়ি, মানুষজনের হইচই। বাড়ির মেজ মেয়ের আজ হলুদ সন্ধ্যা। এরই মাঝে ছেলের বাড়ি থেকে চলে এল বিয়ের তত্ত্ব। সবার চোখ, সুন্দর করে সাজানো ডালাগুলোর দিকে। এদিকে কনেরও বুক ঢিপ ঢিপ। আত্মীয়স্বজনেরা সব তত্ত্ব দেখে সুনাম করবে তো!
আমাদের দেশে গায়েহলুদের সময়ে বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়িতে আর কনের বাড়ি থেকে বরের বাড়িতে তত্ত্ব পাঠানোর রীতি অনেক পুরোনো। একটা সময় তত্ত্বের মূল উপকরণ ছিল হলুদ, মিষ্টি এবং পান-সুপারি। কনের ক্ষেত্রে সঙ্গী হিসেবে থাকত কনের পোশাক, আলতা, চুড়ি, গয়না ও বরের ক্ষেত্রে পোশাকসহ অন্য জিনিসপত্র। এখন অবশ্য তত্ত্ব সাজানোর ধরনে আর উপকরণে বেশ পরিবর্তন এসেছে। তত্ত্বের তালিকায় যোগ হয়েছে অনেক কিছু। সাজানোর পদ্ধতিতেও লেগেছে নতুন চমক।
যেভাবে তত্ত্ব সাজাবেন
তালিকা তৈরি করুন
তত্ত্বে কার জন্য কী সাজিয়েছেন সুন্দর করে নম্বরসহ তার একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। এর পরে তত্ত্বের জিনিসপত্রের ওপর ওই নাম বা নম্বরগুলো লিখে দিলে জিনিসগুলো গুছিয়ে রাখতে সুবিধা হবে, পাশাপাশি দেখাবেও সুন্দর।
ট্রে বা ডালা
আজকাল গোল, চৌকো, ষড়ভুজ ইত্যাদি আকৃতির ডালা কিনতে পাওয়া যায়। তত্ত্বের নানারকম জিনিসপত্র, যেমন—শাড়ি, জামা-কাপড়, মিষ্টি, ফুল, অন্য খাবারদাবার, জুতো, কসমেটিকস ইত্যাদি প্রতিটি আলাদা আলাদা ডালায় সাজাবেন। ডালাগুলো মুড়ে দিন রঙিন ও স্বচ্ছ সেলোফেন পেপার দিয়ে। ডালায় রঙিন বা ঝলমলে চকলেট, পুঁতি, ফুল ইত্যাদি জায়গায় জায়গায় ছড়িয়ে রেখে সাজে ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে পারেন।
ফল, মিষ্টি, চকলেট, ড্রাই ফ্রুট
বিয়ের তত্ত্বের আবশ্যক একটি অংশ হচ্ছে বিভিন্ন রকমের মিষ্টি। আজকাল ভালো মিষ্টির দোকানে অর্ডার দিলে তারা নিজেরাই সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়। আবার চাইলে বাড়িতে এনেও ভিন্ন ডালায় সাজাতে পারেন একেক রকম মিষ্টি। বাড়ির কোনো সদস্যের ডায়াবেটিস থাকলে তার জন্য তত্ত্বে সুগার ফ্রি মিষ্টি রাখতে ভুলবেন না।
এ ছাড়া তত্ত্বে রাখুন হরেক রকম মৌসুমি ফল। ফল সাজানো জন্য সুন্দর বেতের ঝুড়ি বেছে নিতে পারেন। ঝুড়িতে ফল রেখে তা স্বচ্ছ রঙিন কাগজে বা নরম স্বচ্ছ কাপড়ে মুড়ে দিলে সুন্দর দেখাবে।
তত্ত্বের একটা ডালা সাজাতে পারেন নানা ধরনের চকলেট দিয়ে। সঙ্গে রাখতে পারেন চিড়ে ভাজা, চিপস, ঝুরিভাজা, চাল ভাজা ইত্যাদি। তত্ত্বে শুকনো ফলের ডালা রাখলে তা স্বচ্ছ সুন্দর র্যাপারে মুড়ে, উজ্জ্বল ফিতা দিয়ে বেঁধে দিন। চমৎকার লাগবে দেখতে।
প্রসাধনী
কনের প্রসাধনী কেনার সময় অতিরিক্ত কিছু না কিনে বরং যা প্রয়োজন সেগুলোই দুই বাড়ির তরফে ভাগ করে নিন। মেকআপ প্রোডাক্টেরও কিন্তু এক্সপায়ার ডেট থাকে। তাই অহেতুক বেশি বেশি কিনে রেখে নষ্ট না করাই ভালো।
শাওয়ার জেল, ফেসওয়াশ, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, হেয়ার সিরাম, ফেস সিরাম, সানস্ক্রিন লোশন, বডি লোশন, নাইট ক্রিম, বডি অয়েল, হেয়ার অয়েল, ফেস স্ক্রাবার, ক্রিম এসব রোজকার ব্যবহারের সঙ্গী। তাই প্রথমেই এগুলো কিনে ফেলুন। এরপর পছন্দের শেডের লিপস্টিক, কাজল, নেলপলিশ, আই লাইনার, কমপ্যাক্ট, তরল ফাউন্ডেশন, ফেস টিস্যু, টোনার, মেকআপ রিমুভার, ব্লাশার, আইশ্যাডো প্যালেট, হাইলাইটার; মেকআপের জন্য এসব হলেই চলে যায়।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪