মাদারীপুর প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে প্রবল বর্ষণে মাঠের রবি শস্যের সঙ্গে কৃষকের স্বপ্নও পানির নিচে চলে গেছে। এতে মাদারীপুর জেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমির রবি শস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। এই ক্ষতি কাটাতে দরিদ্র কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে দাবি কৃষি অফিসের।
মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে মাদারীপুরে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিতে কৃষকের জমির পাকা আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ কৃষকের ধান বৃষ্টিতে ভিজে জমিতে নষ্ট হচ্ছে। এ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে জেলায় ৪৫ হাজার ১০৯ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষ করা হয়। এর মধ্যে ১০ হাজার ৪২৬ হেক্টর জমির রবি শস্য ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলার পাঁচটি উপজেলার কৃষি অফিসের মাঠ কর্মীরা এই ক্ষতি নিরূপণ করেন।
অফিসের তথ্যমতে, ক্ষতিগ্রস্ত রবি ফসলের মধ্যে সরিষা ২ হাজার ৯৫, মসুর ২ হাজার ১৫২, খেসারি ১ হাজার ৩০৫ হেক্টর, মাষকলাই ৪৫ হেক্টর, ধনিয়া ৪২০ হেক্টর, পেঁয়াজ ১ হাজার ৭৫ হেক্টর, রসুন ১ হাজার ২০৫ হেক্টর, কালোজিরা ৪৩০ হেক্টর, আলু ৪০ হেক্টর, ভুট্টা ৫৩ হেক্টর, মিষ্টি আলু ১৪ হেক্টর, গম ৬০২ হেক্টর, মরিচ ৮০ হেক্টর, শাকসবজি ৬৯৮ হেক্টর, বোরো বীজতলা ১৬১ এবং অন্যান্য ৬০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সদর উপজেলার কুনিয়ার কৃষক জাহাঙ্গীর শরীফ বলেন, ‘দু’দিন আগে ১২ কাটা জমির আমন ধান কেটে রেখেছি। দু’দিন ধরে বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হয়ে গেল। বৃষ্টি যদি আবারও আসে তাহলে ধানের অনেকটাই নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় করছি। এ ছাড়া বৃষ্টিতে সবজির ক্ষতি হচ্ছে। এখন আমাদের মরণ ছাড়া কিছু করার নাই।’
রাস্তি এলাকার কৃষক বেলাল খান বলেন, ‘আমাদের এলাকার নিচু জায়গায় যেসব মসুর, খেসারি ও সরিষা চাষাবাদ করা হয়েছিল, তা এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে। কোনো ফসলই আর জীবিত নাই। এই পানি না সরলে নতুন করে ফসলও চাষ করা যাবে না। অসময়ে বৃষ্টিতে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেল। কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা না করলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারব না।’ একই কথা বলেন, রাস্তি এলাকার একাধিক কৃষক। এ ছাড়া শিবচর উপজেলার চরাঞ্চল এলাকায় রবি শস্যের অনেক ক্ষতি হয়েছে। যা এখনো পানির নিচে।
মাদারীপুর কৃষি অফিসের প্রধান প্রশিক্ষক এসএম সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও শস্যের সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করা প্রয়োজন। যাতে কোনো ঘাটতির সম্ভাবনা থাকলে সহজেই সরবরাহ বাড়ানোর বিকল্প উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে থাকার উদ্যোগ নিতে হবে। বীজ, সার ও উপকরণ সহায়তা দিয়ে কৃষকের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভর্তুকি কার্যক্রম থেকেও কৃষকদের সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।’
এ ব্যাপারে মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘মাদারীপুর জেলার আমন ধান ঘরে তোলা শেষ পর্যায়ে। বৃষ্টিতে শীতকালীন সবজি, মসুর ও সরিষার ক্ষতি হয়েছে। এতে কৃষকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এখনো পুরোপুরি ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি। তবে আক্রান্তের পরিমাণ নির্ণয় করা গেছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করবেন। আমরা কৃষকদের সঙ্গে রয়েছি। সরকারি বিভিন্ন প্রণোদনার ব্যবস্থা করব।’
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে প্রবল বর্ষণে মাঠের রবি শস্যের সঙ্গে কৃষকের স্বপ্নও পানির নিচে চলে গেছে। এতে মাদারীপুর জেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমির রবি শস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। এই ক্ষতি কাটাতে দরিদ্র কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে দাবি কৃষি অফিসের।
মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে মাদারীপুরে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিতে কৃষকের জমির পাকা আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ কৃষকের ধান বৃষ্টিতে ভিজে জমিতে নষ্ট হচ্ছে। এ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে জেলায় ৪৫ হাজার ১০৯ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষ করা হয়। এর মধ্যে ১০ হাজার ৪২৬ হেক্টর জমির রবি শস্য ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলার পাঁচটি উপজেলার কৃষি অফিসের মাঠ কর্মীরা এই ক্ষতি নিরূপণ করেন।
অফিসের তথ্যমতে, ক্ষতিগ্রস্ত রবি ফসলের মধ্যে সরিষা ২ হাজার ৯৫, মসুর ২ হাজার ১৫২, খেসারি ১ হাজার ৩০৫ হেক্টর, মাষকলাই ৪৫ হেক্টর, ধনিয়া ৪২০ হেক্টর, পেঁয়াজ ১ হাজার ৭৫ হেক্টর, রসুন ১ হাজার ২০৫ হেক্টর, কালোজিরা ৪৩০ হেক্টর, আলু ৪০ হেক্টর, ভুট্টা ৫৩ হেক্টর, মিষ্টি আলু ১৪ হেক্টর, গম ৬০২ হেক্টর, মরিচ ৮০ হেক্টর, শাকসবজি ৬৯৮ হেক্টর, বোরো বীজতলা ১৬১ এবং অন্যান্য ৬০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সদর উপজেলার কুনিয়ার কৃষক জাহাঙ্গীর শরীফ বলেন, ‘দু’দিন আগে ১২ কাটা জমির আমন ধান কেটে রেখেছি। দু’দিন ধরে বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হয়ে গেল। বৃষ্টি যদি আবারও আসে তাহলে ধানের অনেকটাই নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় করছি। এ ছাড়া বৃষ্টিতে সবজির ক্ষতি হচ্ছে। এখন আমাদের মরণ ছাড়া কিছু করার নাই।’
রাস্তি এলাকার কৃষক বেলাল খান বলেন, ‘আমাদের এলাকার নিচু জায়গায় যেসব মসুর, খেসারি ও সরিষা চাষাবাদ করা হয়েছিল, তা এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে। কোনো ফসলই আর জীবিত নাই। এই পানি না সরলে নতুন করে ফসলও চাষ করা যাবে না। অসময়ে বৃষ্টিতে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেল। কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা না করলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারব না।’ একই কথা বলেন, রাস্তি এলাকার একাধিক কৃষক। এ ছাড়া শিবচর উপজেলার চরাঞ্চল এলাকায় রবি শস্যের অনেক ক্ষতি হয়েছে। যা এখনো পানির নিচে।
মাদারীপুর কৃষি অফিসের প্রধান প্রশিক্ষক এসএম সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও শস্যের সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করা প্রয়োজন। যাতে কোনো ঘাটতির সম্ভাবনা থাকলে সহজেই সরবরাহ বাড়ানোর বিকল্প উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে থাকার উদ্যোগ নিতে হবে। বীজ, সার ও উপকরণ সহায়তা দিয়ে কৃষকের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভর্তুকি কার্যক্রম থেকেও কৃষকদের সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।’
এ ব্যাপারে মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘মাদারীপুর জেলার আমন ধান ঘরে তোলা শেষ পর্যায়ে। বৃষ্টিতে শীতকালীন সবজি, মসুর ও সরিষার ক্ষতি হয়েছে। এতে কৃষকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এখনো পুরোপুরি ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি। তবে আক্রান্তের পরিমাণ নির্ণয় করা গেছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করবেন। আমরা কৃষকদের সঙ্গে রয়েছি। সরকারি বিভিন্ন প্রণোদনার ব্যবস্থা করব।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
৪ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫