পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় বোরো ধান কাটার শ্রমিকের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। সময়মতো ধান কাটতে পারছেন না অনেক কৃষক। ফলে উপজেলায় ধানের ভালো ফলন হলেও শঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় কয়েক হাজার কৃষককে। এদিকে এক মণ ধানের দামেও একজন শ্রমিক পাওয়া যায় না বলে জানান কৃষক।
উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সত্যনগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক আবুল কাশেম ৫ থেকে ৬ জন শ্রমিক নিয়ে বোরো ধান কাটছেন। তিনি বলেন, ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া খুব কষ্টের। ধান কাটার শ্রমিকের উচ্চমূল্য। শ্রমিকদের মাথাপিছু ১ হাজার ২০০ টাকা দেওয়া লাগে। তারপর খাবার তো আছে। আগামী মৌসুমে আর বোরো চাষাবাদ করবেন না বলে তিনি জানান।
গত বৃহস্পতিবার ও শনিবার উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, শ্রমিক-সংকটের কারণে যে ক’জন শ্রমিক আছেন, তাঁরা ১ হাজার ২০০ টাকা করে ধান কাটতে রাজি হচ্ছেন না।
এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে এক মণ ধান বিক্রি করছেন ৬৮০ টাকায়। অথচ একজন শ্রমিক ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে নেন। এতে কৃষকেরা চরম লোকসানের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
ধান কাটার শ্রমিক কবির আহাম্মদ বলেন, তিনি দৈনিক ১ হাজার ২০০ টাকা করে ধান কাটতে ৫ দিনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। দুপুরে ও রাতে ভাত খাওয়া আর সকালের নাশতাও মালিক বহন করবেন।
পরশুরাম ডাকবাংলো মোড় এলাকার ধান ব্যবসায়ী আবদুল কাইয়ুম বলেন, তিনি প্রতি মণ ধান ৬৮০ টাকা করে কিনছেন। ধানের চাহিদা না থাকায় ধানের দাম হঠাৎ কমে গেছে। এ ছাড়া শ্রমিক খরচও ওই টাকা থেকে বাদ যাবে।
উপজেলার পৌর এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকায়। কিন্তু শ্রমিকদের জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। সঙ্গে দুই বেলা খাবার। এতে গৃহস্থের শুধু ধান কাটাতেই চরম লোকসান গুনতে হচ্ছে।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, অন্যান্য খরচ-জমি চাষ, সেচ, চারা, সার, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচ তো আছেই। এতে তাঁর ৪০ শতক জমিতে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা করে লোকসান হচ্ছে।
পরশুরাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, পরশুরাম উপজেলায় চলতি বছর ৩ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা জানান এবার ভালো ফলনও হয়েছে।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেব রঞ্জন বণিক বলেন, বোরো আবাদের জন্য সবকিছুই অনুকূলে ছিল। বিদ্যুৎ, পানি, সার, বীজ কোনো কিছুরই সমস্যা ছিল না। চলতি মৌসুমে ধানের ফলনও ভালো হয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেব রঞ্জন বণিক আরও বলেন, বোরো ধানের দাম কম থাকায় কৃষকদের ধান ভালোভাবে শুকিয়ে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিচ্ছি। যাতে তাঁরা সংরক্ষিত ধান পরে বিক্রি করে দামটা ভালো পান। আর শ্রমিকের সংকট থাকায় কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনে কৃষকদের সহজভাবে ধান কাটা, মাড়াই, বস্তা প্যাকেটজাতকরণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় বোরো ধান কাটার শ্রমিকের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। সময়মতো ধান কাটতে পারছেন না অনেক কৃষক। ফলে উপজেলায় ধানের ভালো ফলন হলেও শঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় কয়েক হাজার কৃষককে। এদিকে এক মণ ধানের দামেও একজন শ্রমিক পাওয়া যায় না বলে জানান কৃষক।
উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সত্যনগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক আবুল কাশেম ৫ থেকে ৬ জন শ্রমিক নিয়ে বোরো ধান কাটছেন। তিনি বলেন, ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া খুব কষ্টের। ধান কাটার শ্রমিকের উচ্চমূল্য। শ্রমিকদের মাথাপিছু ১ হাজার ২০০ টাকা দেওয়া লাগে। তারপর খাবার তো আছে। আগামী মৌসুমে আর বোরো চাষাবাদ করবেন না বলে তিনি জানান।
গত বৃহস্পতিবার ও শনিবার উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, শ্রমিক-সংকটের কারণে যে ক’জন শ্রমিক আছেন, তাঁরা ১ হাজার ২০০ টাকা করে ধান কাটতে রাজি হচ্ছেন না।
এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে এক মণ ধান বিক্রি করছেন ৬৮০ টাকায়। অথচ একজন শ্রমিক ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে নেন। এতে কৃষকেরা চরম লোকসানের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
ধান কাটার শ্রমিক কবির আহাম্মদ বলেন, তিনি দৈনিক ১ হাজার ২০০ টাকা করে ধান কাটতে ৫ দিনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। দুপুরে ও রাতে ভাত খাওয়া আর সকালের নাশতাও মালিক বহন করবেন।
পরশুরাম ডাকবাংলো মোড় এলাকার ধান ব্যবসায়ী আবদুল কাইয়ুম বলেন, তিনি প্রতি মণ ধান ৬৮০ টাকা করে কিনছেন। ধানের চাহিদা না থাকায় ধানের দাম হঠাৎ কমে গেছে। এ ছাড়া শ্রমিক খরচও ওই টাকা থেকে বাদ যাবে।
উপজেলার পৌর এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকায়। কিন্তু শ্রমিকদের জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। সঙ্গে দুই বেলা খাবার। এতে গৃহস্থের শুধু ধান কাটাতেই চরম লোকসান গুনতে হচ্ছে।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, অন্যান্য খরচ-জমি চাষ, সেচ, চারা, সার, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচ তো আছেই। এতে তাঁর ৪০ শতক জমিতে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা করে লোকসান হচ্ছে।
পরশুরাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, পরশুরাম উপজেলায় চলতি বছর ৩ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা জানান এবার ভালো ফলনও হয়েছে।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেব রঞ্জন বণিক বলেন, বোরো আবাদের জন্য সবকিছুই অনুকূলে ছিল। বিদ্যুৎ, পানি, সার, বীজ কোনো কিছুরই সমস্যা ছিল না। চলতি মৌসুমে ধানের ফলনও ভালো হয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেব রঞ্জন বণিক আরও বলেন, বোরো ধানের দাম কম থাকায় কৃষকদের ধান ভালোভাবে শুকিয়ে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিচ্ছি। যাতে তাঁরা সংরক্ষিত ধান পরে বিক্রি করে দামটা ভালো পান। আর শ্রমিকের সংকট থাকায় কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনে কৃষকদের সহজভাবে ধান কাটা, মাড়াই, বস্তা প্যাকেটজাতকরণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪