মাহমুদ সোহেল, ঢাকা
‘হাতিরঝিলের দূষিত পানিতে লোহাও গলে যাবে।’ সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে হাতিরঝিল নিয়ে এমন মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তবে তিনি ভুল কিছু বলেননি। সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাও বলছে, হাতিরঝিলের পানিতে তিন রকমের ক্ষতিকর পদার্থ রয়েছে, যেগুলো বাতাসেও রোগের জীবাণু ছড়াতে সক্ষম।
গবেষকদের দাবি, ঢাকার অধিকাংশ এলাকার বর্জ্য ও নোংরা পানি ১১টি ড্রেনের মাধ্যমে হাতিরঝিলে আসছে, যা দূষণের অন্যতম কারণ। আবার শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সেসব জীবাণু মানবদেহে প্রবেশ করে পেটের পীড়াসহ নানা রোগ সৃষ্টি করছে। তা ছাড়া হাতিরঝিলের নৌকা ভ্রমণ ও খাবার হোটেলগুলোও স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
হাতিরঝিল নিয়ে করা এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও দূষণ গবেষক ড. মাহবুবুল হাসান সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি এমন তিন রকম ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান মিলেছে হাতিরঝিলের পানিতে। যার মধ্যে চার রকম ক্ষতিকর জিনও রয়েছে। যেকোনো জাতীয় দিবসে হাতিরঝিলে বিশেষ রঙের পানির ঝরনা চালানো হয়। দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় মানুষ আনন্দে তা উপভোগ করেন। কিন্তু ভয়ের কারণ হচ্ছে ওই পানির মধ্যেও ক্ষতিকর জীবাণু আছে, যা কারও চোখে-মুখে লাগলে সেখানে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। ঝরনা চলাকালে আশপাশের বাতাসের মাধ্যমেও পানিতে থাকা দূষণ ছড়াতে পারে।’
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষক আরও জানান, পান্থপথ, ধানমন্ডি এবং কলাবাগান থেকে আসা বর্জ্য সোনারগাঁও হোটেলের পেছনের ড্রেন দিয়ে পরিশোধন ছাড়াই হাতিরঝিলে ঢুকছে। ভয়ের কারণ হলো কিছু হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ডাক্তার নার্স, কর্মীসহ রোগীদের কাপড়ও এই লেকে ধোয়া হচ্ছে। ফলে পোশাকের সঙ্গে এই জীবাণুগুলো হাসপাতালে পৌঁছে যাচ্ছে।
গবেষণায় দাবি করা হয়, বিরূপ পরিবেশেও বেঁচে থাকার ক্ষমতা রয়েছে রোগ সৃষ্টিকারী এসব জিনের। তা ছাড়া হাতিরঝিলের পানিতে ফিকাল স্ট্রেপটোকক্কি, কলিফর্ম ও ফিকাল কলিফর্ম-এর মতো ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে, যা অন্যান্য রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির জানান দেয়। ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে ক্ষতিকর যে চার ধরনের জিনের সন্ধান মিলেছে সেগুলো হলো, এন্টিগ্রন, কনস, টক্সিক শক সিন্ড্রম ও প্যান্টন ভ্যালেন্টাইন লিউকোসিডিন (পি ভি এল) নামক জিন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাতিরঝিলের বয়স এক যুগ পার হয়েছে। এত দিনেও পানি দূষণমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে পারেনি রাজউক। এটা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এমন অবহেলা ক্ষমার অযোগ্য। পৃথিবীর কোনো আধুনিক দেশেই শহরের বর্জ্য এভাবে পরিশোধন ছাড়া খালে বা ঝিলে ফেলা হয় না। ঢাকার বর্তমান ও সাবেক মেয়ররা এর দায় এড়াতে পারেন না।
রাজউক চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকার চারপাশের নদী দূষণ বন্ধ করতে না পারলে হাতিরঝিলের পানি নিয়ে কথা বলে লাভ হবে না। হাতিরঝিলে পানি কমে আসলে কেমিক্যাল দিয়ে পানিকে দূষণমুক্ত করার চেষ্টা করা হবে। এ জন্য একটি প্রজেক্ট তৈরির কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
‘হাতিরঝিলের দূষিত পানিতে লোহাও গলে যাবে।’ সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে হাতিরঝিল নিয়ে এমন মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তবে তিনি ভুল কিছু বলেননি। সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাও বলছে, হাতিরঝিলের পানিতে তিন রকমের ক্ষতিকর পদার্থ রয়েছে, যেগুলো বাতাসেও রোগের জীবাণু ছড়াতে সক্ষম।
গবেষকদের দাবি, ঢাকার অধিকাংশ এলাকার বর্জ্য ও নোংরা পানি ১১টি ড্রেনের মাধ্যমে হাতিরঝিলে আসছে, যা দূষণের অন্যতম কারণ। আবার শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সেসব জীবাণু মানবদেহে প্রবেশ করে পেটের পীড়াসহ নানা রোগ সৃষ্টি করছে। তা ছাড়া হাতিরঝিলের নৌকা ভ্রমণ ও খাবার হোটেলগুলোও স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
হাতিরঝিল নিয়ে করা এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও দূষণ গবেষক ড. মাহবুবুল হাসান সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি এমন তিন রকম ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান মিলেছে হাতিরঝিলের পানিতে। যার মধ্যে চার রকম ক্ষতিকর জিনও রয়েছে। যেকোনো জাতীয় দিবসে হাতিরঝিলে বিশেষ রঙের পানির ঝরনা চালানো হয়। দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় মানুষ আনন্দে তা উপভোগ করেন। কিন্তু ভয়ের কারণ হচ্ছে ওই পানির মধ্যেও ক্ষতিকর জীবাণু আছে, যা কারও চোখে-মুখে লাগলে সেখানে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। ঝরনা চলাকালে আশপাশের বাতাসের মাধ্যমেও পানিতে থাকা দূষণ ছড়াতে পারে।’
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষক আরও জানান, পান্থপথ, ধানমন্ডি এবং কলাবাগান থেকে আসা বর্জ্য সোনারগাঁও হোটেলের পেছনের ড্রেন দিয়ে পরিশোধন ছাড়াই হাতিরঝিলে ঢুকছে। ভয়ের কারণ হলো কিছু হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ডাক্তার নার্স, কর্মীসহ রোগীদের কাপড়ও এই লেকে ধোয়া হচ্ছে। ফলে পোশাকের সঙ্গে এই জীবাণুগুলো হাসপাতালে পৌঁছে যাচ্ছে।
গবেষণায় দাবি করা হয়, বিরূপ পরিবেশেও বেঁচে থাকার ক্ষমতা রয়েছে রোগ সৃষ্টিকারী এসব জিনের। তা ছাড়া হাতিরঝিলের পানিতে ফিকাল স্ট্রেপটোকক্কি, কলিফর্ম ও ফিকাল কলিফর্ম-এর মতো ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে, যা অন্যান্য রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির জানান দেয়। ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে ক্ষতিকর যে চার ধরনের জিনের সন্ধান মিলেছে সেগুলো হলো, এন্টিগ্রন, কনস, টক্সিক শক সিন্ড্রম ও প্যান্টন ভ্যালেন্টাইন লিউকোসিডিন (পি ভি এল) নামক জিন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাতিরঝিলের বয়স এক যুগ পার হয়েছে। এত দিনেও পানি দূষণমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে পারেনি রাজউক। এটা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এমন অবহেলা ক্ষমার অযোগ্য। পৃথিবীর কোনো আধুনিক দেশেই শহরের বর্জ্য এভাবে পরিশোধন ছাড়া খালে বা ঝিলে ফেলা হয় না। ঢাকার বর্তমান ও সাবেক মেয়ররা এর দায় এড়াতে পারেন না।
রাজউক চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকার চারপাশের নদী দূষণ বন্ধ করতে না পারলে হাতিরঝিলের পানি নিয়ে কথা বলে লাভ হবে না। হাতিরঝিলে পানি কমে আসলে কেমিক্যাল দিয়ে পানিকে দূষণমুক্ত করার চেষ্টা করা হবে। এ জন্য একটি প্রজেক্ট তৈরির কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫