রাস্তা আটকে আড্ডা, সরতে বলায় সংঘর্ষ-ছুরিকাঘাত

বগুড়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের চার নেতা-কর্মী ছুরিকাহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসের পেছনে জহুরুলনগর এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁরা ছুরিকাঘাতের শিকার হন।

আহতরা হলেন ছাত্রলীগ নেতা শুভ, তাঁর কর্মী আকশ, হৃদয় ও আমির। বর্তমানে তাঁরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে জহুরুলনগর এলাকায় স্থানীয় রাস্তায় কলেজ ছাত্রলীগ নেতা শুভর কয়েকজন অনুসারী বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক দুটি মোটরসাইকেলে ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁরা (স্থানীয় যুবক) রাস্তা থেকে ছাত্রলীগের কর্মীদের সরে যেতে বলেন। কারণ, ছাত্রলীগ কর্মীরা এমনভাবে বসে ছিলেন যে ওদিক দিয়ে মোটরসাইকেল পার করা যাচ্ছিল না। কিন্তু রাস্তা থেকে সরে যেতে বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে ওই যুবকদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় লিপ্ত হন তাঁরা। একপর্যায়ে স্থানীয় যুবকেরা ঘটনাস্থলে ৩০ থেকে ৩৫ জন যুবককে ডেকে নেন। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরাও তাঁদের নেতা শুভকে ডেকে নেন। শুভ ওই সময় ১৫ জনের মতো কর্মী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। দুই পক্ষই তর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে শুরু হয় সংঘর্ষ। ওই সময় ছাত্রলীগ নেতা শুভসহ তাঁর তিন অনুসারী ছুরিকাহত হন। তাঁদের শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতের শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যান ছাত্রলীগের অন্য নেতা-কর্মীরা।

জানতে চাইলে সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বুলবুল হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিতে হবে। তা না হলে কলেজ ছাত্রলীগ নিজেদের দাবি আদায় করে নিতে জানে।

জানতে চাইলে বগুড়া উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলে ইলাহী জানান, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। আর ছুরিকাঘাতের ঘটনায় এখানো মামলা দায়ের হয়নি।