সাগর হোসেন তামিম, মাদারীপুর
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় সংস্কারের মাত্র তিন মাসের মধ্যে ধসে গেছে সড়ক। সড়কের আর মাত্র দেড় ফুট ভাঙলেই বন্ধ হয়ে যাবে যান চলাচল। এতে দুর্ভোগে আছে দুই ইউনিয়নের অন্তত ৪০ হাজার মানুষ।
সড়ক ধসে যাওয়ার দায় নিতে রাজি নয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। তারা দায় চাপাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ওপর।
জানা গেছে, কালকিনি উপজেলায় ওই সড়কটি নির্মাণ করে এলজিইডি। সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, মাত্র দেড় ফুট ভাঙলেই পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে যান চলাচল। বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে কিছু ভ্যান, ইজিবাইক, অটোরিকশা চলছে। তবে ভাঙা অংশে যাত্রীদের হেঁটে চলতে হচ্ছে। এমন চিত্র কালকিনি উপজেলার ভূরঘাটা থেকে পূর্ব বনগ্রাম পর্যন্ত সাত কিলোমিটার মধ্যে দেড় কিলোমিটার সড়কে। অথচ সড়কটি তিন মাস আগে সংস্কার করে এলজিইডি। গ্রামীণ সড়ক পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কার করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নারগীস এন্টারপ্রাইজ তিন মাস আগে নির্মাণ ব্যয় তুলে নেয়।
এ সড়ক ব্যবহার করে গোপালপুর ও কাজীবাকাই ইউনিয়নের ৪০ হাজার মানুষ। অল্প সময়ের ব্যবধানে সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। সড়ক পুনরায় নির্মাণ করে যান চলাচলের দাবি স্থানীয়দের। সেই সঙ্গে দোষীদের বিচারের দাবি করেছেন তাঁরা।
গোপালপুর ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঠিকাদার নিজেদের ইচ্ছেমাফিক কাজ করেছেন। ফলে নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তা ভেঙে গেছে। আর অল্প একটু ভাঙলেই চলাচল করা যাবে না। এখন দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ইজিবাইক, অটোরিকশায় এলেও ভাঙনের জায়গায় নেমে হেঁটে যেতে হচ্ছে। এটা দুঃখজনক। দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়ার উচিত।’
কাজীবাকাই ইউনিয়নের নোয়াব আলী বলেন, ‘পূর্ব বনগ্রাম থেকে ইজিবাইকে আইছি। এখন হাইটা যাইতে হচ্ছে। হুনছি অনেক টাকা-পয়সা দিয়ে রাস্তাটা করছে। কিন্তু কী লাভ হলো আমাগো? রাস্তা শেষ হয়ে গেল। এখন কত দিন এভাবে পড়ে থাকে, আল্লাহই ভালো জানে। যাঁরা রাস্তার কাম করছেন, তাঁদের ধরে এনে দেখানো উচিত।’
তবে এলজিইজির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফ আলী খান বলেন, ‘মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত আমানগঞ্জ খাল খননের ফলে সড়কটি ভেঙে পড়েছে। বিষয়টি পাউবো’কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা রাখি তারা বিষয়টিতে নজর দেবে। এ ছাড়া আমাদের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবহেলা আছে কি না, সেটাও খুঁজে বের করা হবে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি মানি এখনো দেওয়া হয়নি।’
আর পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী আ স ম হাসান কবির বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সড়কটি ভেঙেছে। ফলে ওই ভাঙনকবলিত স্থানে খাল খনন করা হয়নি। আর খাল খনন নিয়ম মেনেই করা হয়। যেসব জায়গায় খালঘেঁষা রাস্তা আছে, সেখানে গভীরও কম করা হয়। আর ভাঙনকবলিত স্থানে খাল খনন করার প্রশ্নেই ওঠে না। এটা সড়ক বিভাগের বিষয়, আমাদের জড়ানো ঠিক হচ্ছে না।’
অন্যদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নারগীস এন্টারপ্রাইজের কোনো কর্মকর্তাই সড়ক ভাঙার বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে স্থানীয়দের দাবি, ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সড়ক সংস্কার করেছে। ফলে তিন মাসের মাথায় সড়ক ধসে পড়েছে। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি সচেতন মহলের।
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় সংস্কারের মাত্র তিন মাসের মধ্যে ধসে গেছে সড়ক। সড়কের আর মাত্র দেড় ফুট ভাঙলেই বন্ধ হয়ে যাবে যান চলাচল। এতে দুর্ভোগে আছে দুই ইউনিয়নের অন্তত ৪০ হাজার মানুষ।
সড়ক ধসে যাওয়ার দায় নিতে রাজি নয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। তারা দায় চাপাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ওপর।
জানা গেছে, কালকিনি উপজেলায় ওই সড়কটি নির্মাণ করে এলজিইডি। সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, মাত্র দেড় ফুট ভাঙলেই পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে যান চলাচল। বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে কিছু ভ্যান, ইজিবাইক, অটোরিকশা চলছে। তবে ভাঙা অংশে যাত্রীদের হেঁটে চলতে হচ্ছে। এমন চিত্র কালকিনি উপজেলার ভূরঘাটা থেকে পূর্ব বনগ্রাম পর্যন্ত সাত কিলোমিটার মধ্যে দেড় কিলোমিটার সড়কে। অথচ সড়কটি তিন মাস আগে সংস্কার করে এলজিইডি। গ্রামীণ সড়ক পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কার করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নারগীস এন্টারপ্রাইজ তিন মাস আগে নির্মাণ ব্যয় তুলে নেয়।
এ সড়ক ব্যবহার করে গোপালপুর ও কাজীবাকাই ইউনিয়নের ৪০ হাজার মানুষ। অল্প সময়ের ব্যবধানে সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। সড়ক পুনরায় নির্মাণ করে যান চলাচলের দাবি স্থানীয়দের। সেই সঙ্গে দোষীদের বিচারের দাবি করেছেন তাঁরা।
গোপালপুর ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঠিকাদার নিজেদের ইচ্ছেমাফিক কাজ করেছেন। ফলে নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তা ভেঙে গেছে। আর অল্প একটু ভাঙলেই চলাচল করা যাবে না। এখন দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ইজিবাইক, অটোরিকশায় এলেও ভাঙনের জায়গায় নেমে হেঁটে যেতে হচ্ছে। এটা দুঃখজনক। দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়ার উচিত।’
কাজীবাকাই ইউনিয়নের নোয়াব আলী বলেন, ‘পূর্ব বনগ্রাম থেকে ইজিবাইকে আইছি। এখন হাইটা যাইতে হচ্ছে। হুনছি অনেক টাকা-পয়সা দিয়ে রাস্তাটা করছে। কিন্তু কী লাভ হলো আমাগো? রাস্তা শেষ হয়ে গেল। এখন কত দিন এভাবে পড়ে থাকে, আল্লাহই ভালো জানে। যাঁরা রাস্তার কাম করছেন, তাঁদের ধরে এনে দেখানো উচিত।’
তবে এলজিইজির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফ আলী খান বলেন, ‘মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত আমানগঞ্জ খাল খননের ফলে সড়কটি ভেঙে পড়েছে। বিষয়টি পাউবো’কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা রাখি তারা বিষয়টিতে নজর দেবে। এ ছাড়া আমাদের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবহেলা আছে কি না, সেটাও খুঁজে বের করা হবে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি মানি এখনো দেওয়া হয়নি।’
আর পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী আ স ম হাসান কবির বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সড়কটি ভেঙেছে। ফলে ওই ভাঙনকবলিত স্থানে খাল খনন করা হয়নি। আর খাল খনন নিয়ম মেনেই করা হয়। যেসব জায়গায় খালঘেঁষা রাস্তা আছে, সেখানে গভীরও কম করা হয়। আর ভাঙনকবলিত স্থানে খাল খনন করার প্রশ্নেই ওঠে না। এটা সড়ক বিভাগের বিষয়, আমাদের জড়ানো ঠিক হচ্ছে না।’
অন্যদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নারগীস এন্টারপ্রাইজের কোনো কর্মকর্তাই সড়ক ভাঙার বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে স্থানীয়দের দাবি, ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সড়ক সংস্কার করেছে। ফলে তিন মাসের মাথায় সড়ক ধসে পড়েছে। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি সচেতন মহলের।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪