জয়নাল আবেদীন খান
আজকের পত্রিকা: দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কেমন দেখছেন?
হেলাল উদ্দিন: করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে সেই বিবেচনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলক ভালো। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। আমদানি ও রপ্তানি বৃদ্ধি পায়। তবে করোনাকালে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আয় কমেছে অনেক মানুষের। এ অবস্থায় নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
আজকের পত্রিকা: হঠাৎ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। নিম্ন আয়ের সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের ভারসাম্যের উপায় কী?
হেলাল উদ্দিন: করোনায় সাধারণ মানুষের জীবনমান কমেছে। তার ওপর মূল্যস্ফীতি ও লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। সাধারণ ভোক্তা ও নিম্ন আয়ের মানুষ চাহিদার তুলনায় ভোগ ব্যয় কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁদের ভোগ্যপণ্যের দামের ধরন ও গুরুত্ব বিবেচনা করে আরও বাছাই করতে হবে। যদিও বাজারে পণ্যমূল্য এতটাই বেশি যে তাঁদের এ নীতি খুব একটা কার্যকর হওয়ার সুযোগ কম। আবার তাঁদের এটাও মনে রাখতে হবে যে, চলতি বছরটা পার করার জন্য ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, বিশেষজ্ঞদের মতে ২০২২ সাল হবে করোনার বিদায় বছর। এরপর অর্থনীতি চাঙা হবে। তখন মানুষের আয় বাড়বে। আয় বৃদ্ধি পেলে নিত্যপণ্যের চাহিদা মেটানোর অবারিত সুযোগ হয়তো তাঁরা পাবেন।
আজকের পত্রিকা: পণ্যমূল্য যেভাবে বাড়ছে, এটাকে কি স্বাভাবিক বলা যায়?
হেলাল উদ্দিন: বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পায় মূল্যস্ফীতি, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম ও ডলারের দাম এবং উৎপাদন ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে। এ ছাড়া বাড়তি প্রচার ও অপ্রয়োজনীয় আগাম ঘোষণাও মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী। যেমন আন্তর্জাতিক বাজারে আমদানি পণ্য বা কাঁচামালের দাম বাড়লে তার প্রভাবে স্বাভাবিকভাবে পড়ে। আবার ডলারের দাম বাড়লে তা বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হয়। বাজারে তার প্রভাব পড়ে। আমদানি ব্যয় বাড়লেও দ্রব্যমূল্য বাড়ে। আবার কখনো কখনো পত্রিকায় মূল্যবৃদ্ধির খবর প্রকাশিত হলে অনেকে পণ্যের দাম বাড়াতে চেষ্টা করেন। সরকার আমদানি করবে না—এমন ঘোষণা দিলেও কখনো কখনো দাম বাড়তে পারে। এসবের পরেও বাজারে সিন্ডিকেট তো একটা ইস্যু হিসেবে রয়েছে। তাদের কারণেও সময়ে সময়ে মূল্যবৃদ্ধি পেতে পারে। তবে খুচরা পর্যায়ে সিন্ডিকেট করা সম্ভব নয়। কারণ, লাখ লাখ ব্যবসায়ীর মধ্যে সিন্ডিকেট গড়ার সুযোগ নেই। এত মানুষ একজোট হয়ে কাজ করা অসম্ভব। সে জন্য খুচরা পর্যায়ে সিন্ডিকেটের প্রভাব খুব একটা পড়ে না। কিন্তু বড় কয়েকটি সিন্ডিকেট বাজারে প্রভাব ফেলতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করে। মাঝে মাঝে তাদের বিরুদ্ধে লোকদেখানো অভিযান পরিচালনা করা হয়। তাদের শাস্তি জরিমানায় সীমাবদ্ধ না রেখে জেলের ব্যবস্থা করা দরকার। তা না হলে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযান খুব একটা কাজে আসবে না।
আজকের পত্রিকা: উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দামের পার্থক্য কেমন?
হেলাল উদ্দিন: উৎপাদন ও পাইকারি পর্যায়ে দামের খুব একটা পার্থক্য লক্ষ করা যায় না। কিন্তু পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দামের পার্থক্য থাকে। এর কারণ হলো কোম্পানি বা সরকার থেকে দাম নির্ধারণ ও ভ্যাট আরোপ করা হয়।
আজকের পত্রিকা: প্রতিযোগিতামূলক বাজারেও কি সব সময় ক্রেতার দর-কষাকষির সুযোগ থাকে?
হেলাল উদ্দিন: অর্থনীতির নীতি হলো পণ্যের দাম ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে দর-কষাকষির ফলে নির্ধারিত হবে। কখনো কখনো ক্রেতাই দাম নির্ধারণ করে। অর্থাৎ ক্রেতা যে দামে পণ্য কিনবে, সেটাই ওই পণ্যের দাম। তবে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল অনেক দেশে এসব নীতি কাজ করে না। যেমন অনেক পণ্যের গায়ে কোম্পানির দেওয়া একচেটিয়াভাবে দাম লেখা থাকে। আবার কখনো কখনো সরকার দাম নির্ধারণ করে দেয়। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পণ্যের দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়। এসব ক্ষেত্রে ক্রেতার দরদাম করার সুযোগ থাকে না। এটা প্রতিযোগিতামূলক বা উন্মুক্ত বাজার নীতির পরিপন্থী।
আজকের পত্রিকা: দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কেমন দেখছেন?
হেলাল উদ্দিন: করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে সেই বিবেচনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলক ভালো। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। আমদানি ও রপ্তানি বৃদ্ধি পায়। তবে করোনাকালে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আয় কমেছে অনেক মানুষের। এ অবস্থায় নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
আজকের পত্রিকা: হঠাৎ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। নিম্ন আয়ের সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের ভারসাম্যের উপায় কী?
হেলাল উদ্দিন: করোনায় সাধারণ মানুষের জীবনমান কমেছে। তার ওপর মূল্যস্ফীতি ও লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। সাধারণ ভোক্তা ও নিম্ন আয়ের মানুষ চাহিদার তুলনায় ভোগ ব্যয় কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁদের ভোগ্যপণ্যের দামের ধরন ও গুরুত্ব বিবেচনা করে আরও বাছাই করতে হবে। যদিও বাজারে পণ্যমূল্য এতটাই বেশি যে তাঁদের এ নীতি খুব একটা কার্যকর হওয়ার সুযোগ কম। আবার তাঁদের এটাও মনে রাখতে হবে যে, চলতি বছরটা পার করার জন্য ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, বিশেষজ্ঞদের মতে ২০২২ সাল হবে করোনার বিদায় বছর। এরপর অর্থনীতি চাঙা হবে। তখন মানুষের আয় বাড়বে। আয় বৃদ্ধি পেলে নিত্যপণ্যের চাহিদা মেটানোর অবারিত সুযোগ হয়তো তাঁরা পাবেন।
আজকের পত্রিকা: পণ্যমূল্য যেভাবে বাড়ছে, এটাকে কি স্বাভাবিক বলা যায়?
হেলাল উদ্দিন: বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পায় মূল্যস্ফীতি, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম ও ডলারের দাম এবং উৎপাদন ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে। এ ছাড়া বাড়তি প্রচার ও অপ্রয়োজনীয় আগাম ঘোষণাও মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী। যেমন আন্তর্জাতিক বাজারে আমদানি পণ্য বা কাঁচামালের দাম বাড়লে তার প্রভাবে স্বাভাবিকভাবে পড়ে। আবার ডলারের দাম বাড়লে তা বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হয়। বাজারে তার প্রভাব পড়ে। আমদানি ব্যয় বাড়লেও দ্রব্যমূল্য বাড়ে। আবার কখনো কখনো পত্রিকায় মূল্যবৃদ্ধির খবর প্রকাশিত হলে অনেকে পণ্যের দাম বাড়াতে চেষ্টা করেন। সরকার আমদানি করবে না—এমন ঘোষণা দিলেও কখনো কখনো দাম বাড়তে পারে। এসবের পরেও বাজারে সিন্ডিকেট তো একটা ইস্যু হিসেবে রয়েছে। তাদের কারণেও সময়ে সময়ে মূল্যবৃদ্ধি পেতে পারে। তবে খুচরা পর্যায়ে সিন্ডিকেট করা সম্ভব নয়। কারণ, লাখ লাখ ব্যবসায়ীর মধ্যে সিন্ডিকেট গড়ার সুযোগ নেই। এত মানুষ একজোট হয়ে কাজ করা অসম্ভব। সে জন্য খুচরা পর্যায়ে সিন্ডিকেটের প্রভাব খুব একটা পড়ে না। কিন্তু বড় কয়েকটি সিন্ডিকেট বাজারে প্রভাব ফেলতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করে। মাঝে মাঝে তাদের বিরুদ্ধে লোকদেখানো অভিযান পরিচালনা করা হয়। তাদের শাস্তি জরিমানায় সীমাবদ্ধ না রেখে জেলের ব্যবস্থা করা দরকার। তা না হলে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযান খুব একটা কাজে আসবে না।
আজকের পত্রিকা: উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দামের পার্থক্য কেমন?
হেলাল উদ্দিন: উৎপাদন ও পাইকারি পর্যায়ে দামের খুব একটা পার্থক্য লক্ষ করা যায় না। কিন্তু পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দামের পার্থক্য থাকে। এর কারণ হলো কোম্পানি বা সরকার থেকে দাম নির্ধারণ ও ভ্যাট আরোপ করা হয়।
আজকের পত্রিকা: প্রতিযোগিতামূলক বাজারেও কি সব সময় ক্রেতার দর-কষাকষির সুযোগ থাকে?
হেলাল উদ্দিন: অর্থনীতির নীতি হলো পণ্যের দাম ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে দর-কষাকষির ফলে নির্ধারিত হবে। কখনো কখনো ক্রেতাই দাম নির্ধারণ করে। অর্থাৎ ক্রেতা যে দামে পণ্য কিনবে, সেটাই ওই পণ্যের দাম। তবে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল অনেক দেশে এসব নীতি কাজ করে না। যেমন অনেক পণ্যের গায়ে কোম্পানির দেওয়া একচেটিয়াভাবে দাম লেখা থাকে। আবার কখনো কখনো সরকার দাম নির্ধারণ করে দেয়। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পণ্যের দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়। এসব ক্ষেত্রে ক্রেতার দরদাম করার সুযোগ থাকে না। এটা প্রতিযোগিতামূলক বা উন্মুক্ত বাজার নীতির পরিপন্থী।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪