Ajker Patrika

খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭: ১৪
খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষকেরা চাহিদা অনুযায়ী সরকারকে ধান দিচ্ছেন না। এবার উপজেলায় ২৭ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ২৩৬ মেট্রিক টন আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় গত ৭ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু উপজেলায় নির্বাচিত ৪১২ জন কৃষকের মধ্যে এ যাবৎ মাত্র ১১ জন কৃষক ৩২ মেট্রিক টন ধান খাদ্যগুদামে বিক্রি করেছেন।

সরকারি খাদ্যগুদামে ধান না দেওয়া প্রসঙ্গে স্থানীয় কৃষকেরা জানান, সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে তা খুচরা বাজারের সমমান। বাজারে কেজিতে আরও দু-এক টাকা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তা ছাড়া খাদ্যগুদামে ধান দিলে বস্তার ঝামেলায় পড়তে হয়। অতিরিক্ত পরিবহন খরচ লাগে। তাই বাড়ি থেকেই ধান বিক্রি করছেন চাষিরা। ফড়িয়ারা বাড়িতে এসে ধান নিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমন ধান সংগ্রহের জন্য সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন নেওয়া হয়। এতে ৬ হাজার ৩১ জন কৃষকের আবেদন পড়ে। গত বছরের ৭ নভেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইন্দ্রজিত সাহার সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানে আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে ৪১২ জন কৃষককে নির্বাচন করা হয়।

জানা গেছে, উপজেলায় দুটি খাদ্যগুদাম রয়েছে। এর মধ্যে পৌরশহরের রাজবাড়ী খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩৪ জন কৃষকের কাছে ৭০২ মেট্রিক টন ধান। নেকমরদ খাদ্যগুদামে ১৭৮ জন কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহের কথা ছিল ৫৩৪ মেট্রিক টন। কিন্তু দুই খাদ্যগুদামে এ পর্যন্ত মাত্র ৩২ মেট্রিক টন সংগ্রহ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারে এবার ধানের দাম ভালো। কৃষকেরা বাজারেই ২ হাজার ৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা বস্তা দরে ধান বিক্রি করছেন। কৃষকদের বাড়ি থেকে নিজস্ব পরিবহনে ফড়িয়ারা ধান কিনে নিচ্ছে। এতে কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।’

রাজবাড়ী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকেরা এবার ধান দেয়নি। এই গুদামে মাত্র ১০ জন কৃষক ধান দিয়েছেন। মাত্র ৩০ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে।’

নেকমরদ খাদ্যগুদামের উপপরিদর্শক বাবুলুর রহমান বলেন, ‘তালিকাভুক্ত কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও ধান পাওয়া যায়নি। একজন কৃষক মাত্র দুই মেট্রিক টন ধান দিয়েছেন।’

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জিয়াউল হক শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ধান সংগ্রহের জন্য আমরা কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তাঁরা দেননি। বাজারেই ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকেরা ধান দেয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত