Ajker Patrika

এক কক্ষে ৬ শ্রেণির ক্লাস

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ জুন ২০২২, ১৪: ৪৫
এক কক্ষে ৬ শ্রেণির ক্লাস

ভবন পরিত্যক্ত হওয়ায় বরগুনার পাথরঘাটায় একটি কক্ষে ছয়টি শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ফলে অনেক শিক্ষার্থী স্কুল পরিবর্তন করে অন্যত্র চলে গেছে।

স্কুলটিতে গিয়ে জানা যায়, ১৯৪৩ সালে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১৬ নম্বর দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। পরে ১৯৯৩ সালে একটি চার কক্ষের ভবন নির্মিত। ছাত্র-ছাত্রী সংকুলান না হওয়ায় ২০০৬-০৭ সালে দুই কক্ষের আরও একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী হওয়ায় লবণাক্ত আবহাওয়ার কারণে পুরোনো ভবন থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে জরাজীর্ণ হয়ে যায়। করোনাকালীন দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হলে পুরোনো ভবনে ক্লাস নেওয়ার পরিবেশ না থাকায় সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

এরপর থেকে দুই কক্ষবিশিষ্ট ভবনের একটিতে লাইব্রেরি ও অপরটিতে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হচ্ছে। জানা যায় কখনো একসঙ্গে দুটি-তিনটি শ্রেণির ক্লাসও হয় ওই কক্ষটিতে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৬ নম্বর দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিখা রানী জানান, ভবন পরিত্যক্ত হওয়ার পর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় একটি কক্ষে ছয়টি শ্রেণির ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছি। বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানালে তিনি ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য একটি বরাদ্দ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য একটি টিনশেড ঘর তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন।

একাধিক অভিভাবক জানান, গাদাগাদি করে একটি শ্রেণিকক্ষে ছয়টি ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া করানো হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা কিছুই শিখতে পারছে না। এ কারণে অনেকেই স্কুল পরিবর্তন করেছে। তাঁদের দাবি এখানে একটি নতুন ভবন তৈরি করে পুনরায় এ স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক। তা না হলে তাঁদের সন্তানদেরও লেখাপড়ার স্বার্থে অন্যত্র নিতে বাধ্য হবেন।

বিদ্যালয়ের জমিদাতা মোস্তফা মোল্লা ও জামাল মোল্লা বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার বিষয়টি সংসদ সদস্য এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়ে নতুন ভবন চেয়ে আবেদন করেছি। কিন্তু কোনো অগ্রগতি দেখছি না।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা টি এম শাহ আলম জানান, স্থানীয়দের আবেদনের আগেই ১৬ নম্বর দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। আশা করি সামনের বরাদ্দে বাস্তবায়ন করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত