Ajker Patrika

আদালতে নিজেকে মৃত দেখালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ৩৮
আদালতে নিজেকে মৃত দেখালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে। ঋণের দায় থেকে অব্যাহতি পেতে অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে নিজেকে মৃত দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের আবু শোয়েব নামে একজন ভোটার গত বৃহস্পতিবার জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ফাতেমা আফসার অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্যুইটি অ্যান্ড অন্ট্র্যাপ্র্যানারশীপ ফান্ড (ইইএফ) এর সহায়তায় বিগত ২০১২ সালের ২৯ এপ্রিল ৩০ লাখ, একই বছরের ১৬ অক্টোবর ৫১ লাখ ও ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর ২১ লাখ ২১ হাজারসহ সর্বমোট ১ কোটি ২ লাখ ২১ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধ না করায় খেলাপি হন। ঋণ খেলাপি ও ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা হয়। মানিস্যুট মামলা নম্বর ২৯/২০১৮। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। মামলা ও ঋণ থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় তিনি মারা গেছেন মর্মে আদালতে মৃত্যুর সনদ প্রদান করা হয়।

২০২০ সালের ৩ মার্চ আদালতকে অবহিত করা হয় মোস্তাফিজুর রহমান ও তাঁর বাবা আফছার আলী মিয়া মারা গেছেন। আফছার আলীর মৃত্যুর খবর সঠিক থাকলেও তাঁর পুত্র ফাতেমা আফসার এগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের মৃত্যুর খবরটি মিথ্যা।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মাদারগঞ্জের মোসলেমাবাদ গ্রামের মৃত আফছার আলীর পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান ঋণ খেলাপী ও মামলার তথ্য গোপন করে গুনারীতলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। গত ২৯ নভেম্বর যাচাই বাছাইয়ের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন না করায় তিনি বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন। তথ্য গোপন করে তিনি স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৪ (জ) উপধারা লঙ্ঘন করেছেন।

এ ব্যাপারে গুনারীতলা ইউপিতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেকে অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান না বলে দাবি করেন। তিনি নিজেকে মোস্তাফিজুর রহমান সাজু বলে দাবি করেন। তিনি উল্লেখিত নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো দিন জড়িত ছিলেন না বলেও দাবি করেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি বলেও দাবি করেন।

এ ব্যাপারে জামালপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোনো প্রার্থী প্রতারণার আশ্রয় নিলে তাঁর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত