নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে ঠেকাই মাথা’। গানটি ভেসে আসছিল ছায়ানট ভবনের সামনে থেকে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যে নৃশংসতা চলল কয়েক দিন ধরে, তার বিরুদ্ধেই ছিল প্রতিবাদ। যে রিকশাগুলো যাচ্ছিল ছায়ানট ভবন পার হয়ে, সেগুলো থমকে দাঁড়াচ্ছিল। যে রিকশাচালকেরা গানটি শুনেছেন আগে, তাঁরাও কণ্ঠ মেলাচ্ছিলেন। কিন্তু রাস্তায় যানজট তৈরি হয়ে যেতে পারে ভেবে তাঁদের সরিয়ে দিচ্ছিলেন ছায়ানটের কর্মীরা। তাতে উৎসাহী বাসচালক, সিএনজিচালকেরাও সরে যেতে বাধ্য হন।
শুক্রবার ঠিক বেলা সাড়ে ১১টায় ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন হাতে দাঁড়িয়ে পড়েছিল শান্তির পক্ষে মানুষ। ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী এ ধরনের হামলা ঠেকাতে পূর্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক চর্চার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক হামলা রুখে দাঁড়ানোর দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, এ জন্য সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। তিনি একাত্তরের অসাম্প্রদায়িক প্রতিরোধের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন।
ছায়ানটের সভাপতি সন্জীদা খাতুন শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ছায়ানটের সদস্যদের মনের মধ্যে ছিলেন। তিনি যে কথা প্রায়ই বলে থাকেন ছায়ানটের নানা অনুষ্ঠানে, তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল সারওয়ার আলীর কথায়। সারওয়ার আলী বলেন, ‘আগের গ্রামীণ সংস্কৃতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তাদের আবারও ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ, সংস্কৃতির চর্চা করা না হলে অসাম্প্রদায়িক জাতি গড়ে তোলা সম্ভব নয়।’
রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের নির্বাহী সভাপতি আতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বুলবুল ইসলাম এবং ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসাও কথা বলেন।
ছায়ানটের ব্যানারে লেখা ছিল: ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াও’, কণ্ঠশীলনের ব্যানারের লেখা: ‘এই নিত্য অপঘাত দূর করো’, জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের ব্যানারের লেখা: ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিষ্টান, বাংলার মুসলমান, আমরা সবাই বাঙালি/রুখে দাঁড়াও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি’, সংগঠনটির উত্তরা শাখার ব্যানারে লেখা ছিল: ‘কাঁদছে বাঙালি, কাঁদছে বাংলাদেশ’, নালন্দা উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যানারে লেখা ছিল গুরুদাস দত্তের সেই অমর বাণী: ‘বিশ্বমানব হবি যদি কায়মনে বাঙালি হ।’ মানুষের হাতে হাতে থাকা প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুনে ছিল বাংলা সাহিত্যের সেরা মানবতাবাদী পঙ্ক্তিগুলো।
যেকোনো জাতীয় সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ছায়ানট। রবীন্দ্রবিরোধী বর্বরতা, দেশের সংস্কৃতিবিরোধী ষড়যন্ত্র দেখলেই রুখে দাঁড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। স্বাধিকার আন্দোলনে ছায়ানটের সদস্যরা সংস্কৃতির মাধ্যমে দেশের জনগণের মনে মুক্তির স্বপ্ন বুনেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় শুনিয়েছেন মুক্তির গান। এবারও নিপীড়িত মানুষের পাশে এসে দাঁড়াল ছায়ানট।
মুক্তিযুদ্ধের সময় যে গানগুলো শরীরে আগুন ধরিয়ে দিত, সে গানগুলোই বেছে নেওয়া হয়েছিল পরিবেশনের জন্য। ‘আমি মারের সাগর পাড়ি দেব,’ ‘দুর্গমগিরি কান্তার মরু’সহ বেশ কয়েকটি গান যখন পরিবেশিত হচ্ছিল, তখন তা শুধু শিল্পীদের কণ্ঠেই ধ্বনিত হয়নি, প্রতিবাদে অংশ নেওয়া প্রত্যেকের কণ্ঠেই তা অনুরণিত হয়েছে।
মানববন্ধন শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারী কেউ কেউ কথা বলতে বলতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। মাঝবয়সী পেরিয়ে যাওয়া একজন বলেন, গানগুলো এখনো মনে আগুন ধরায়।
অন্যজন বলেন, কথাটা সত্য। তবে এই প্রেরণাদায়ী গানগুলোর পাশাপাশি এ সময়টাকে ধরে নতুন গানও তো তৈরি হতে হবে।
কথাটা ঘুরতে থাকে মাথায়।
‘ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে ঠেকাই মাথা’। গানটি ভেসে আসছিল ছায়ানট ভবনের সামনে থেকে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যে নৃশংসতা চলল কয়েক দিন ধরে, তার বিরুদ্ধেই ছিল প্রতিবাদ। যে রিকশাগুলো যাচ্ছিল ছায়ানট ভবন পার হয়ে, সেগুলো থমকে দাঁড়াচ্ছিল। যে রিকশাচালকেরা গানটি শুনেছেন আগে, তাঁরাও কণ্ঠ মেলাচ্ছিলেন। কিন্তু রাস্তায় যানজট তৈরি হয়ে যেতে পারে ভেবে তাঁদের সরিয়ে দিচ্ছিলেন ছায়ানটের কর্মীরা। তাতে উৎসাহী বাসচালক, সিএনজিচালকেরাও সরে যেতে বাধ্য হন।
শুক্রবার ঠিক বেলা সাড়ে ১১টায় ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন হাতে দাঁড়িয়ে পড়েছিল শান্তির পক্ষে মানুষ। ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী এ ধরনের হামলা ঠেকাতে পূর্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক চর্চার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক হামলা রুখে দাঁড়ানোর দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, এ জন্য সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। তিনি একাত্তরের অসাম্প্রদায়িক প্রতিরোধের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন।
ছায়ানটের সভাপতি সন্জীদা খাতুন শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ছায়ানটের সদস্যদের মনের মধ্যে ছিলেন। তিনি যে কথা প্রায়ই বলে থাকেন ছায়ানটের নানা অনুষ্ঠানে, তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল সারওয়ার আলীর কথায়। সারওয়ার আলী বলেন, ‘আগের গ্রামীণ সংস্কৃতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তাদের আবারও ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ, সংস্কৃতির চর্চা করা না হলে অসাম্প্রদায়িক জাতি গড়ে তোলা সম্ভব নয়।’
রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের নির্বাহী সভাপতি আতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বুলবুল ইসলাম এবং ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসাও কথা বলেন।
ছায়ানটের ব্যানারে লেখা ছিল: ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াও’, কণ্ঠশীলনের ব্যানারের লেখা: ‘এই নিত্য অপঘাত দূর করো’, জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের ব্যানারের লেখা: ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিষ্টান, বাংলার মুসলমান, আমরা সবাই বাঙালি/রুখে দাঁড়াও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি’, সংগঠনটির উত্তরা শাখার ব্যানারে লেখা ছিল: ‘কাঁদছে বাঙালি, কাঁদছে বাংলাদেশ’, নালন্দা উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যানারে লেখা ছিল গুরুদাস দত্তের সেই অমর বাণী: ‘বিশ্বমানব হবি যদি কায়মনে বাঙালি হ।’ মানুষের হাতে হাতে থাকা প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুনে ছিল বাংলা সাহিত্যের সেরা মানবতাবাদী পঙ্ক্তিগুলো।
যেকোনো জাতীয় সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ছায়ানট। রবীন্দ্রবিরোধী বর্বরতা, দেশের সংস্কৃতিবিরোধী ষড়যন্ত্র দেখলেই রুখে দাঁড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। স্বাধিকার আন্দোলনে ছায়ানটের সদস্যরা সংস্কৃতির মাধ্যমে দেশের জনগণের মনে মুক্তির স্বপ্ন বুনেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় শুনিয়েছেন মুক্তির গান। এবারও নিপীড়িত মানুষের পাশে এসে দাঁড়াল ছায়ানট।
মুক্তিযুদ্ধের সময় যে গানগুলো শরীরে আগুন ধরিয়ে দিত, সে গানগুলোই বেছে নেওয়া হয়েছিল পরিবেশনের জন্য। ‘আমি মারের সাগর পাড়ি দেব,’ ‘দুর্গমগিরি কান্তার মরু’সহ বেশ কয়েকটি গান যখন পরিবেশিত হচ্ছিল, তখন তা শুধু শিল্পীদের কণ্ঠেই ধ্বনিত হয়নি, প্রতিবাদে অংশ নেওয়া প্রত্যেকের কণ্ঠেই তা অনুরণিত হয়েছে।
মানববন্ধন শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারী কেউ কেউ কথা বলতে বলতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। মাঝবয়সী পেরিয়ে যাওয়া একজন বলেন, গানগুলো এখনো মনে আগুন ধরায়।
অন্যজন বলেন, কথাটা সত্য। তবে এই প্রেরণাদায়ী গানগুলোর পাশাপাশি এ সময়টাকে ধরে নতুন গানও তো তৈরি হতে হবে।
কথাটা ঘুরতে থাকে মাথায়।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫