জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ে একের পর এক মারা পড়ছে বন্য হাতি। সর্বশেষ ২ জুন ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী পর্যটনকেন্দ্র গজনি অবকাশের পাশে ভারত-বাংলাদেশ সীমানার বেরবেরী এলাকা থেকে একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বন্য হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। তবে সন্ধ্যা হওয়ায় ও বন্য হাতির বিচরণের কারণে গত শুক্রবার সকালে হাতিটির সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। এদিকে এ নিয়ে সীমান্তের বনভূমি থেকে গত ছয় মাসে অন্তত পাঁচটি বন্য হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রকৃতি ও পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গারো পাহাড়ে হাতির প্রয়োজনীয় খাবার না থাকায় তারা চলে আসছে লোকালয়সহ কৃষকের ফসলের খেতে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বের।
গত ২৭ বছরে জেলায় হাতির আক্রমণে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আর মানুষের আক্রমণে এবং নানাভাবে মারা পড়েছে অন্তত ৪০টি বন্য হাতি। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনি অবকাশ পর্যটনকেন্দ্রের উত্তর পশ্চিম দিকে বেরবেরী এলাকার শেষ সীমানায় ১১০১ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে একটি বন্য হাতির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বন বিভাগ, প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা, বিজিবি ও পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মৃত বন্য হাতিটির পেট ফুলে গেছে এবং শরীর থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। হাতির পিঠে ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাতিটি কীভাবে মারা গেছে তা জানা যায়নি।
তবে এলাকাবাসী ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের ধারণা, ভারতের মেঘালয়ে বল্লম (দেশীয় অস্ত্র) দিয়ে হাতিটিকে আঘাত করা হয়েছে। পরে বাংলাদেশে এসে এটি মারা গেছে। হাতিটি হয়তো দুই-তিন দিন আগেই মারা গেছে বলেও ধারণা তাঁদের।
গজনি এলাকার এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের (ইআরটি) সদস্য আব্রাহাম বলেন, হাতিটি সম্ভবত সীমান্তে ওপার থেকে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এপারে এসে মারা গেছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাদিয়া আফরিন বলেন, বন্য হাতিটি পুরুষ, আনুমানিক বয়স ১৫-২০ বছর হতে পারে। হাতিটি আঘাতজনিত কারণে মারা যেতে পারে। কারণ হাতিটির পিঠে ও মুখে বড় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পাশাপাশি হাতিটির দাঁত কে বা কারা খুলে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে ময়নাতদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।
এ বিষয়ে প্রকৃতি ও পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন বলেন, শেরপুরের গারো পাহাড়ে একের পর এক হাতির মৃত্যু ও হত্যার ঘটনা ঘটেই চলছে। এসব হাতিকে নানা উপায়ে হত্যা করা হলেও হত্যাকারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, হাতিটির সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে সেটি কীভাবে মারা গেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া এ ঘটনায় আপাতত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হচ্ছে।
শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ে একের পর এক মারা পড়ছে বন্য হাতি। সর্বশেষ ২ জুন ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী পর্যটনকেন্দ্র গজনি অবকাশের পাশে ভারত-বাংলাদেশ সীমানার বেরবেরী এলাকা থেকে একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বন্য হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। তবে সন্ধ্যা হওয়ায় ও বন্য হাতির বিচরণের কারণে গত শুক্রবার সকালে হাতিটির সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। এদিকে এ নিয়ে সীমান্তের বনভূমি থেকে গত ছয় মাসে অন্তত পাঁচটি বন্য হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রকৃতি ও পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গারো পাহাড়ে হাতির প্রয়োজনীয় খাবার না থাকায় তারা চলে আসছে লোকালয়সহ কৃষকের ফসলের খেতে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বের।
গত ২৭ বছরে জেলায় হাতির আক্রমণে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আর মানুষের আক্রমণে এবং নানাভাবে মারা পড়েছে অন্তত ৪০টি বন্য হাতি। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনি অবকাশ পর্যটনকেন্দ্রের উত্তর পশ্চিম দিকে বেরবেরী এলাকার শেষ সীমানায় ১১০১ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে একটি বন্য হাতির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বন বিভাগ, প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা, বিজিবি ও পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মৃত বন্য হাতিটির পেট ফুলে গেছে এবং শরীর থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। হাতির পিঠে ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাতিটি কীভাবে মারা গেছে তা জানা যায়নি।
তবে এলাকাবাসী ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের ধারণা, ভারতের মেঘালয়ে বল্লম (দেশীয় অস্ত্র) দিয়ে হাতিটিকে আঘাত করা হয়েছে। পরে বাংলাদেশে এসে এটি মারা গেছে। হাতিটি হয়তো দুই-তিন দিন আগেই মারা গেছে বলেও ধারণা তাঁদের।
গজনি এলাকার এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের (ইআরটি) সদস্য আব্রাহাম বলেন, হাতিটি সম্ভবত সীমান্তে ওপার থেকে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এপারে এসে মারা গেছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাদিয়া আফরিন বলেন, বন্য হাতিটি পুরুষ, আনুমানিক বয়স ১৫-২০ বছর হতে পারে। হাতিটি আঘাতজনিত কারণে মারা যেতে পারে। কারণ হাতিটির পিঠে ও মুখে বড় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পাশাপাশি হাতিটির দাঁত কে বা কারা খুলে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে ময়নাতদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।
এ বিষয়ে প্রকৃতি ও পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন বলেন, শেরপুরের গারো পাহাড়ে একের পর এক হাতির মৃত্যু ও হত্যার ঘটনা ঘটেই চলছে। এসব হাতিকে নানা উপায়ে হত্যা করা হলেও হত্যাকারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, হাতিটির সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে সেটি কীভাবে মারা গেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া এ ঘটনায় আপাতত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪