রজত কান্তি রায়, ঢাকা
দিল থাকে সিনার ভেতর।
কিন্তু দিলবাহার থাকে লোহার পিঞ্জিরায়।
দুপুরে একটা জবরদস্ত খাওয়া শেষে রাস্তায় দাঁড়াতে হলো দম নিতে। কারণ রেস্তোরাঁটা ছোট। জায়গাটা পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার। ভরদুপুরে আশ্বিনের গরমও পড়েছে তেড়েফুঁড়ে। ঠান্ডা পানির জন্য সামনে পা বাড়াতেই চোখে পড়ল বিল্লাল ভাইয়ের দিলবাহার আইসক্রিম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঠেলাগাড়ি!
দলেবলে এগিয়ে গেলাম। ঠেলাগাড়ির গায়ে স্পষ্ট করে দাম লেখা আছে— সাধারণ আইসক্রিম ১০ টাকা আর স্পেশাল আইসক্রিম ২০ টাকা। ঠেলাগাড়িতে করে বিল্লাল ভাইয়ের দিলবাহার আইসক্রিম বিক্রি করছিলেন রুহুল আমিন। জনপ্রতি একটা করে আইসক্রিম বরাদ্দ হলো।
সাধারণত যে ধরনের আইসক্রিম আমরা খেয়ে অভ্যস্ত, দিলবাহার আইসক্রিম তেমন নয়। কুলফির সঙ্গে এর রেসিপি এবং নির্মাণ কৌশলের মিল আছে। লোহার লম্বা চোঙায় ভরানো থাকে দিলবাহার। রুহুল আমিন একটি করে লোহার চোঙা তুলে বালতিতে রাখা পানিতে নিচের দিকটি একটু ডুবিয়ে নেন প্রতিবার। তারপর ঝাঁকি দিয়ে বের করে আমাদের হাতে তুলে দেন।
দিলবাহার বেশ অভিমানী বলে মুখের ওমেই গলে যায়! জিবে কিক মারে দুধ, চিনি, পেস্তাবাদাম আর টোস্ট বিস্কুটের গুঁড়োর এক মিলিত স্বাদ। খেয়াল করলে পাওয়া যায় এলাচির হালকা সুগন্ধ। দিলবাহার তখন দিলখুশ করছে আমাদের। তবে রাস্তায় প্রচুর মানুষের আনাগোনা বলে ‘নিমীলিত নেত্রে’ আরাম করে স্বাদ নেওয়া কষ্টকর।
ছবিতে পাওয়া গেল বিল্লাল ভাইয়ের মোবাইল ফোন নম্বর। রিং হতেই ধরলেন তিনি। জানালেন, তাঁর পুরো নাম বিল্লাল হোসেন। থাকেন কদমতলীর দিকে। সেখানেই তাঁর কারখানা। দুধের সঙ্গে পেস্তাবাদামের গুঁড়ো আর গুড় জ্বাল দিয়ে তার সঙ্গে মেশানো হয় টোস্ট বিস্কুটের গুঁড়ো। তারপর লোহার চোঙায় পরিমাণমতো সেগুলো ঢেলে বরফে রেখে ঠান্ডা করা হয়।
পুরান ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বিল্লাল ভাইয়ের তিনখানা ঠেলাগাড়ি চলে। তার একখানা তিনি নিজেই ঠেলেন, একখানা তাঁর ভাই আর একখানা রুহুল আমিন। রুহুলও তাঁর ভাই। তবে নিজের নয়, পাড়াতো ভাই। সারা দিনের বিক্রীত অর্থ তিন ভাগ করা হয়। তার দুই ভাগ নেন বিল্লাল ভাই। আর এক ভাগ যিনি ঠেলা চালান, তিনি। শীতকালে বন্ধ থাকলেও গরমকালে বিল্লাল ভাইয়ের দিলবাহারের আকর্ষণ লোকজন ঠেলতে পারে না খুব একটা।
দিল থাকে সিনার ভেতর।
কিন্তু দিলবাহার থাকে লোহার পিঞ্জিরায়।
দুপুরে একটা জবরদস্ত খাওয়া শেষে রাস্তায় দাঁড়াতে হলো দম নিতে। কারণ রেস্তোরাঁটা ছোট। জায়গাটা পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার। ভরদুপুরে আশ্বিনের গরমও পড়েছে তেড়েফুঁড়ে। ঠান্ডা পানির জন্য সামনে পা বাড়াতেই চোখে পড়ল বিল্লাল ভাইয়ের দিলবাহার আইসক্রিম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঠেলাগাড়ি!
দলেবলে এগিয়ে গেলাম। ঠেলাগাড়ির গায়ে স্পষ্ট করে দাম লেখা আছে— সাধারণ আইসক্রিম ১০ টাকা আর স্পেশাল আইসক্রিম ২০ টাকা। ঠেলাগাড়িতে করে বিল্লাল ভাইয়ের দিলবাহার আইসক্রিম বিক্রি করছিলেন রুহুল আমিন। জনপ্রতি একটা করে আইসক্রিম বরাদ্দ হলো।
সাধারণত যে ধরনের আইসক্রিম আমরা খেয়ে অভ্যস্ত, দিলবাহার আইসক্রিম তেমন নয়। কুলফির সঙ্গে এর রেসিপি এবং নির্মাণ কৌশলের মিল আছে। লোহার লম্বা চোঙায় ভরানো থাকে দিলবাহার। রুহুল আমিন একটি করে লোহার চোঙা তুলে বালতিতে রাখা পানিতে নিচের দিকটি একটু ডুবিয়ে নেন প্রতিবার। তারপর ঝাঁকি দিয়ে বের করে আমাদের হাতে তুলে দেন।
দিলবাহার বেশ অভিমানী বলে মুখের ওমেই গলে যায়! জিবে কিক মারে দুধ, চিনি, পেস্তাবাদাম আর টোস্ট বিস্কুটের গুঁড়োর এক মিলিত স্বাদ। খেয়াল করলে পাওয়া যায় এলাচির হালকা সুগন্ধ। দিলবাহার তখন দিলখুশ করছে আমাদের। তবে রাস্তায় প্রচুর মানুষের আনাগোনা বলে ‘নিমীলিত নেত্রে’ আরাম করে স্বাদ নেওয়া কষ্টকর।
ছবিতে পাওয়া গেল বিল্লাল ভাইয়ের মোবাইল ফোন নম্বর। রিং হতেই ধরলেন তিনি। জানালেন, তাঁর পুরো নাম বিল্লাল হোসেন। থাকেন কদমতলীর দিকে। সেখানেই তাঁর কারখানা। দুধের সঙ্গে পেস্তাবাদামের গুঁড়ো আর গুড় জ্বাল দিয়ে তার সঙ্গে মেশানো হয় টোস্ট বিস্কুটের গুঁড়ো। তারপর লোহার চোঙায় পরিমাণমতো সেগুলো ঢেলে বরফে রেখে ঠান্ডা করা হয়।
পুরান ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বিল্লাল ভাইয়ের তিনখানা ঠেলাগাড়ি চলে। তার একখানা তিনি নিজেই ঠেলেন, একখানা তাঁর ভাই আর একখানা রুহুল আমিন। রুহুলও তাঁর ভাই। তবে নিজের নয়, পাড়াতো ভাই। সারা দিনের বিক্রীত অর্থ তিন ভাগ করা হয়। তার দুই ভাগ নেন বিল্লাল ভাই। আর এক ভাগ যিনি ঠেলা চালান, তিনি। শীতকালে বন্ধ থাকলেও গরমকালে বিল্লাল ভাইয়ের দিলবাহারের আকর্ষণ লোকজন ঠেলতে পারে না খুব একটা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪