Ajker Patrika

বৈরী আবহাওয়ায় পান চাষে লোকসানের আশঙ্কা

জামালপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪: ৪৪
বৈরী আবহাওয়ায় পান চাষে লোকসানের আশঙ্কা

পানে দাগ পড়া, পাতা কোঁকড়ানো, গোড়া পচা রোগসহ পোকার আক্রমণে ক্ষতির শঙ্কায় পড়েছেন জামালপুরের চাষিরা। তাঁরা বলছেন, এমনিতেই বৈরী আবহাওয়ার কারণে পানের আকার ছোট হয়েছে। ফলে বাজারে দাম না থাকায় এ বছর বরজ টিকিয়ে রাখতে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে।

সদর উপজেলার রানাগাছা, ঘোড়াধাপ, বাঁশচরা, নরুন্দি, ইটাইলসহ পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, পানচাষিদের মাথায় হাত। পোকার আক্রমণ, প্রচণ্ড দাবদাহ আর বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানের পাতার আকার ছোট হয়েছে।

ফলে কম দামে পান কিনছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে বড় আকারের প্রতি বিড়া পান ৫০-৬০ টাকা, মাঝারি আকারের প্রতি বিড়া পান ৩০-৪০ টাকা এবং ছোট আকারের প্রতি বিড়া পান ১০-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব উপজেলার পানচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বছরজুড়ে পান বিক্রি করে বেশি লাভ পাওয়া যায়। তাই কৃষকেরা অন্য ফসলের চেয়ে 
পান চাষে বেশি আগ্রহী। একটি বরজ ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। গাছের গোড়ায় মাটি দেওয়া, সেচ, সার, বিষ, খৈল ব্যবহার করে এক বিঘা জমির বরজে খরচ হয় বছরে তিন-চার লাখ টাকা। একটি পরিপূর্ণ বরজ থেকে মাসে চার-পাঁচবার পান পাওয়া যায়। এতে প্রতি মাসে এক বিঘা জমি থেকে ৩০-৪০ হাজার টাকার পান বিক্রি করা যায়।

পান ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, এই অঞ্চলে বাবলাফর, মন্টু, ভেড়ামারা এবং রাজশাহীতে পান বেশি চাষ হয়ে থাকে। জামালপুরের পানের মান ভালো হওয়ায় সারা দেশে এ পানের বেশ চাহিদা রয়েছে। নিজ জেলার পানের চাহিদা পূরণ করে রাজধানী ঢাকা, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পান পাঠানো হয়।

পানচাষি মুসলিম উদ্দিন বলেন, এ বছর পানে দাগ পড়া, পাতা কোঁকড়ানো রোগ, গোড়া পচা রোগসহ নানা ধরনের পোকার আক্রমণে পানের বেশ ক্ষতি হয়েছে। এসব রোগ থেকে মুক্তি পেতে কৃষককে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে।

আরেক পানচাষি বলেন, এ বছর পানে লোকসানের শঙ্কা রয়েছে। তাপমাত্রা বেশি এবং বৃষ্টি কম হওয়ায় পান পাতার আকার ছোট হয়ে গেছে। ফলে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানা বলেন, এ বছর সদর উপজেলায় ২০০ হেক্টর জমিতে বরজ করা হয়েছে। এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পানচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তাঁদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত