Ajker Patrika

আনসার ভিডিপির জমি বিক্রির চেষ্টা কমান্ডারের

ঝিকরগাছা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ৫৫
আনসার ভিডিপির জমি  বিক্রির চেষ্টা কমান্ডারের

যশোরের ঝিকরগাছার হাড়িয়াদেয়াড়া আনসার ভিডিপি উন্নয়ন গ্রাম বহুমুখী সমবায় সমিতির জমি বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুই কমান্ডারের বিরুদ্ধে। জালিয়াতির মাধ্যমে তাঁরা এ জমি বিক্রির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।

বাংলাদেশ আনসার ভিডিপির মহাপরিচালকের কাছে ডাকযোগে পাঠানো অভিযোগে তিনজনকে বিবাদী করা হয়েছেন। তাঁরা হলেন আনসার ভিডিপির ঝিকরগাছা পৌরসভার ওয়ার্ড কমান্ডার আল ইমরান, সদর ইউনিয়ন কমান্ডার মজনু মিয়া ও হাড়িয়াদেয়াড়ার জাহাঙ্গীর আলম।

এ বিষয়ে অভিযোগপত্র পেয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝিকরগাছা উপজেলা আনসার ভিডিপি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারা খাতুন।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান অভিযোগপত্রে বলেছেন, ‘১৯৯০ সালে উপজেলার হাড়িয়াদেয়াড়ায় আনসার ভিডিপি উন্নয়ন গ্রাম বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের নামে প্রায় তিন শতক জমি কেনা হয়। কিন্তু আমাদের সদস্যদের মধ্যে বিবাদী আল এমরান ও মজনু মিয়া ওই সম্পত্তি নিজ স্বার্থে ও ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে জাহাঙ্গীর আলমকে মালিকানা দিতে চলতি বছরের ২ জুলাই স্ট্যাম্প করেন।’

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, ‘স্ট্যাম্পে প্রথম পক্ষ জাহাঙ্গীর আলম ও দ্বিতীয় পক্ষ হাড়িয়াদেয়াড়া আনসার ও ভিডিপি উন্নয়ন গ্রাম বহুমুখী সমবায় সমিতির পক্ষে মহাপরিচালকের নাম অন্তর্ভুক্ত করে একটি জাল অ্যাফিডেভিট তৈরি করেন। আদৌও উল্লেখিত সম্পত্তি হস্তান্তরে কেউ কোনো ক্ষমতা রাখেন না। বিষয়টি আইন বহির্ভূত।’

হাড়িয়াদেয়াড়া আনসার ভিডিপি উন্নয়ন গ্রাম বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক অভিযোগপত্রে আরও বলেন, ‘বিবাদীর মধ্যে আল এমরান ও মজনু মিয়া ধূর্ত প্রকৃতির লোক। তাঁরা আনসার ভিডিপির একজন ওয়ার্ড কমান্ডার ও একজন ইউনিয়ন কমান্ডার হওয়ার সুবাদে ইতিপূর্বে অন্যান্য সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য উৎকোচ গ্রহণ করেছেন।’

অভিযোগকারী মিজানুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগপত্রটি সম্প্রতি মহাপরিচালকের কাছে ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগের অনুলিপি পাঠানো দিয়েছি।’

অভিযুক্ত আল এমরানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আনসার ভিডিপির জমি দখলের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

ঝিকরগাছা উপজেলা আনসার ভিডিপি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘মহাপরিচালকের নামের জমি জালিয়াতি করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে আমিও একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত