বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর বদলগাছীর একসময়ের খরস্রোতা ছোট যমুনা নদীতে এখন চলছে বোরো ধানের চাষ। নদীটি এখন ফসলের খেতে পরিণত হয়েছে। শুকনো মৌসুমের আগেই নদী শুকিয়ে যাওয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে অনেক দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। এতে জেলেরা মাছ শিকার বাদ দিয়ে চলে যাচ্ছে ভিন্ন পেশায়।
জানা গেছে, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ছোট যমুনা নদীকে কেন্দ্র করে জেলেরা একসময় মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নদীতে এখন পানি না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন শতাধিক জেলে পরিবার। তাঁরা বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে ভ্যান ও রিকশা চালাচ্ছেন। এ ছাড়া তাঁদের মধ্যে থেকে পানিশূন্য নদীতে ধান চাষ করছেন অনেকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বদলগাছী উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীতে ভূমিহীন কৃষকেরা বোরো ধানের চাষ করছেন। এখানে অন্য ফসলের আবাদ না হলেও বোরোর চাষ করে হাজারো দরিদ্র কৃষক তিন-চার মাসের খাবারের ব্যবস্থা করছেন। খরচ কম হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন তাঁরা। বালুচরে বোরো ধানের চাষ করতে সেচের পানি না লাগলেও অধিক ফলনের আশায় কৃষকেরা রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করছেন বেশি। ফলে কৃষকের অভাব মিটলেও হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য। নদ-নদী হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী।
যমুনা নদীর পাড়ের বাসিন্দা মিলন বলেন, তিনি আগে তাঁর বাবার সঙ্গে নদীতে মাছ ধরতে যেতেন। এখন নদীতে পানি না থাকায় অন্য কাজ করেন। তবে তিনি এখনো পুরোনো পেশায় ফিরে যেতে চান। তাঁর দাবি, খনন করে আবারও নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হোক।
ডাঙ্গিসাড়া এলাকার নদীর পাড়ের বাসিন্দা মো. বাবু বলেন, এই নদীর পানি দিয়ে সারা বছর নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করা যেত। বোরো ফসলের মাঠে সেচ দেওয়ার জন্য পানির কোনো চিন্তাই করতে হতো না। কিন্তু এখন আর নদীতে সেচ দেওয়ার মতো পানি নেই। নদীর বুকে চাষ করা হচ্ছে বোরো ধান।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সুবল বলেন, একসময় এই নদীতে সারা বছর জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু এখন নদীতে পানি না থাকায় তাঁরা আর মাছ ধরতে পারেন না। এ ছাড়া নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলে নদীর পানিদূষণসহ পলি পড়ে নদী ভরাট হয়ে গেছে। তাই থেমে গেছে নৌকা চলাচলও। আর নদীর আশপাশের জমিতে ফসলে কীটনাশক দেওয়ার ফলে হারাচ্ছে মাছ ও জলজ প্রাণী।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, বর্তমান সময়ে নদীর তলদেশ ভরাট হওয়ার কারণে নদীগুলো তাঁর রূপ হারিয়ে ফেলেছে। আর সেই সুযোগে কৃষকেরা সেখানে আবাদ শুরু করেছেন। এতে কৃষক উপকৃত হচ্ছেন। তবে নদী খনন করা জরুরি।
নদী খননের ব্যাপারে জানতে চাইলে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপপ্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দেশের নদী খননের একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়য়ে পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে বদলগাছীর ছোট যমুনা নদীর নামও আছে। প্রস্তাবনা পাস হলেই তাঁরা এই নদী খননের কাজ শুরু করবেন। যাতে নদীতে সব সময় পানি থাকে।
নওগাঁর বদলগাছীর একসময়ের খরস্রোতা ছোট যমুনা নদীতে এখন চলছে বোরো ধানের চাষ। নদীটি এখন ফসলের খেতে পরিণত হয়েছে। শুকনো মৌসুমের আগেই নদী শুকিয়ে যাওয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে অনেক দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। এতে জেলেরা মাছ শিকার বাদ দিয়ে চলে যাচ্ছে ভিন্ন পেশায়।
জানা গেছে, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ছোট যমুনা নদীকে কেন্দ্র করে জেলেরা একসময় মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নদীতে এখন পানি না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন শতাধিক জেলে পরিবার। তাঁরা বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে ভ্যান ও রিকশা চালাচ্ছেন। এ ছাড়া তাঁদের মধ্যে থেকে পানিশূন্য নদীতে ধান চাষ করছেন অনেকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বদলগাছী উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীতে ভূমিহীন কৃষকেরা বোরো ধানের চাষ করছেন। এখানে অন্য ফসলের আবাদ না হলেও বোরোর চাষ করে হাজারো দরিদ্র কৃষক তিন-চার মাসের খাবারের ব্যবস্থা করছেন। খরচ কম হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন তাঁরা। বালুচরে বোরো ধানের চাষ করতে সেচের পানি না লাগলেও অধিক ফলনের আশায় কৃষকেরা রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করছেন বেশি। ফলে কৃষকের অভাব মিটলেও হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য। নদ-নদী হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী।
যমুনা নদীর পাড়ের বাসিন্দা মিলন বলেন, তিনি আগে তাঁর বাবার সঙ্গে নদীতে মাছ ধরতে যেতেন। এখন নদীতে পানি না থাকায় অন্য কাজ করেন। তবে তিনি এখনো পুরোনো পেশায় ফিরে যেতে চান। তাঁর দাবি, খনন করে আবারও নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হোক।
ডাঙ্গিসাড়া এলাকার নদীর পাড়ের বাসিন্দা মো. বাবু বলেন, এই নদীর পানি দিয়ে সারা বছর নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করা যেত। বোরো ফসলের মাঠে সেচ দেওয়ার জন্য পানির কোনো চিন্তাই করতে হতো না। কিন্তু এখন আর নদীতে সেচ দেওয়ার মতো পানি নেই। নদীর বুকে চাষ করা হচ্ছে বোরো ধান।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সুবল বলেন, একসময় এই নদীতে সারা বছর জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু এখন নদীতে পানি না থাকায় তাঁরা আর মাছ ধরতে পারেন না। এ ছাড়া নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলে নদীর পানিদূষণসহ পলি পড়ে নদী ভরাট হয়ে গেছে। তাই থেমে গেছে নৌকা চলাচলও। আর নদীর আশপাশের জমিতে ফসলে কীটনাশক দেওয়ার ফলে হারাচ্ছে মাছ ও জলজ প্রাণী।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, বর্তমান সময়ে নদীর তলদেশ ভরাট হওয়ার কারণে নদীগুলো তাঁর রূপ হারিয়ে ফেলেছে। আর সেই সুযোগে কৃষকেরা সেখানে আবাদ শুরু করেছেন। এতে কৃষক উপকৃত হচ্ছেন। তবে নদী খনন করা জরুরি।
নদী খননের ব্যাপারে জানতে চাইলে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপপ্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দেশের নদী খননের একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়য়ে পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে বদলগাছীর ছোট যমুনা নদীর নামও আছে। প্রস্তাবনা পাস হলেই তাঁরা এই নদী খননের কাজ শুরু করবেন। যাতে নদীতে সব সময় পানি থাকে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪