Ajker Patrika

বণ্টনের আগেই ভাড়া-বাণিজ্য

সাইফুল মাসুম, ঢাকা
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২১, ১৭: ৪২
বণ্টনের আগেই ভাড়া-বাণিজ্য

এখনো শেষ হয়নি নির্মাণকাজ। ঠিকাদার কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না! ফুলবাড়িয়া সিটি প্লাজা মার্কেটের যতটুকু কাজ শেষ হয়েছে, সেখানেও কাউকে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। তবে বরাদ্দের আগেই দোকানগুলো নিয়ে কোটি টাকার ভাড়া বাণিজ্য হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, আসছে ডিসেম্বরের মধ্যেই ঠিকাদার দোকানগুলো বুঝিয়ে দেবেন বলে কথা দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের নভেম্বরে মার্কেটের নকশাবহির্ভূত প্রায় ৯০০ অবৈধ দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। পরে শুরু হয় সিটি প্লাজার ৬, ৭ এবং ৮ তলার নির্মাণকাজ। ৬ এবং ৭ তলার কাজ শেষ হলেও ৮ তলার কাজ চলমান। টেন্ডার হয়ে বৈধ নকশা অনুসারে সংস্কারকাজ এগিয়ে চলেছে সেখানে। এই তিন ফ্লোরে প্রায় ৩০০ দোকান রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, সিটি করপোরেশন এখনো ঠিকাদার থেকে দোকান বুঝে না নিলেও নির্মাণাধীন তলার অধিকাংশ দোকান গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক দোকানের জন্য দোকানিরা ভাড়া গুনছেন সাত থেকে ১০ হাজার টাকা। ৩০০ দোকানে ন্যূনতম পাঁচ হাজার টাকা করে ভাড়া হিসাব করলে প্রতি মাসে ভাড়া ওঠে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আট মাসে ভাড়া উঠেছে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা। সিটি প্লাজার ৬ তলার ল্যাক্সমার্ট অ্যাপারেলসের মালিক নজরুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘আমি শুনেছি কিছু কিছু লোক ভাড়া দিচ্ছে। মার্কেটের অফিসের লোকেরা জানে।’

ফুলবাড়িয়া সিটি প্লাজা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন বলেন, ‘তিন ফ্লোরের কোনো দোকানই বরাদ্দ হয়নি। উচ্ছেদ অভিযানের সময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা মালামাল সাময়িকভাবে রাখছেন।’ ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে সুমন বলেন, ‘ওপরের তিন ফ্লোর আমাদের অফিসের আন্ডারে পড়ে না। আমরা ভাড়া দেওয়ার কেউ না।’

উচ্ছেদের শিকার কলি পাঞ্জাবির মালিক নূরে আলম বলেন, ‘দ্বিতীয় তলায় আমার দুটি দোকান ছিল। উচ্ছেদের পর মালামাল নিয়ে বেকায়দায় পড়লেও আমি মার্কেটে মালামাল রাখতে পারিনি।’

সরেজমিনে সিটি প্লাজার ৫ তলায় দোকান মালিক সমিতির অফিসে গেলে তাঁরা জানান, ৬, ৭ এবং ৮ তলায় নির্মাণকাজ চলছে, ওপরে ওঠার সুযোগ নেই। অফিসসংলগ্ন ওপরে ওঠার সিঁড়িও তালা বদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। পরে অন্য সিঁড়ি দিয়ে উঠে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকান খোলা রয়েছে। মালপত্র নিয়ে বিক্রির অপেক্ষায় বসে আছেন দোকানিরা। তবে দোকানের নাম বা নম্বর কিছুই নেই।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এভাবে দোকান ভাড়া দেওয়া বেআইনি। কেউ এ রকম করে থাকলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সিটি করপোরেশনের মতো সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্যিক কাজ থেকে দূরে থাকা উচিত বলে মনে করেন স্থপতি ইকবাল হাবিব। তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছ ও জবাবদিহি মূলক প্রক্রিয়া থাকা প্রয়োজন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘তেলের ক্রেতা’ হিসেবে ভারতকে আর পাবে না রাশিয়া, জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

শাস্তি পাচ্ছেন বিটিআরসির মহাপরিচালকসহ ৩০ জনের বেশি কর্মকর্তা

বরখাস্ত সৈনিককে অস্ত্র দিয়েছেন বিএনপি নেতা, অডিও নিয়ে তোলপাড়

ভূমি অফিসের কাণ্ড: এসি ল্যান্ড দপ্তরের নামে দেড় কোটি টাকা আদায়

হোলি আর্টিজানের ঘটনায় ‘জঙ্গি সন্দেহে’ আটক ছিলেন অনিন্দ্য, রাজশাহীর সাবেক মেয়র লিটনের চাচাতো ভাই তিনি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত