Ajker Patrika

সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে খেপুপাড়া অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ মে ২০২৪, ১৫: ৩৬
সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে খেপুপাড়া অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। আজ রোববার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। 

আজ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড়বিষয়ক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য বলা হয়। বলা হয়, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে বৃষ্টিসহ দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে মোংলার কাছ দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ)-খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র অতিক্রমের পর এর নিম্নভাগ অতিক্রম অব্যাহত থাকবে। 

রিমালের কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। 

এদিকে সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, সন্ধ্যার পর থেকে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড়। এর কেন্দ্র রাত ১২টায় উপকূল অতিক্রম করবে, নিম্নভাগ পার হতে রাত ৩টা বেজে যাবে। স্থলে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা তাণ্ডব চালাতে পারে। এরপর এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল উপকূল পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও পশ্চিমবঙ্গের দ্বীপগুলোর মাঝ দিয়ে অতিক্রম করতে পারে রিমাল। এ সময় এর সর্বোচ্চ গতিবেগ দমকা হাওয়াসহ ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। আর প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৮৯ থেকে ১১৮ কিলোমিটারের মধ্যে।

এদিকে রিমালের জন্য পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। 

অন্যদিকে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহা বিপদসংকেতের আওতায় থাকবে। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ মহা বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত