নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে পরিবেশ রক্ষায় নানা আইন থাকলেও দেশে চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ দিনদিন কমে যাচ্ছে। শিল্প কলকারখানার নানা বর্জ্য পরিবেশকে দূষণ করছে। অনেক নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। এখনো জীব-বৈচিত্র্যের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়নি। বন ও বন্যপ্রাণীকে হত্যা বন্ধ হয়নি এবং ভূগর্ভস্থ পানির আহরণ বেড়েছে। উন্নত বিশ্ব পরিবেশের স্বাস্থ্যের কথা না ভাবায় আজ আমাদের ভুগতে হচ্ছে। তবে সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে বুড়িগঙ্গাসহ নানা নদী দখলমুক্ত হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় সবাই নিজের জায়গা থেকে সচেতন হওয়া খুবই জরুরি।
আজ শনিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ গ্রীন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্ট আয়োজিত ‘প্রকৃতির ঐকতান টেকসই জীবন: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব।
তিনি বলেন, ‘আমর যখন ছোট ছিলাম তখন ৭০ শতাংশ জমি চাষাবাদযোগ্য ছিল। কিন্তু এখন তা কমে ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে। তার মানে দেশে দিনদিন চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এই যে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে এর প্রভাব স্বাস্থ্য-কৃষিসহ সব খাতে পড়ছে। পরিবেশ দূষণের প্রভাবও বাংলাদেশের সব খাতেই পড়ছে। বাংলাদেশকে কেউ দখল করবে না। এখন আর কলোনিয়াল যুগ নেই। তবে পানি দূষিত হওয়া মানে আমরা শেষ! কারণ পানি দূষিত হলে খাদ্য, মৎস্য ও কৃষিতে উৎপাদনসহ আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন বলেন, ‘আমাদের প্রজাতিকে যখন রক্ষা করতে পারব তখন আমরা পরিবেশ দিবস পালনের সক্ষমতা অনুধাবন করতে পারব।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে গ্রীন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্টের সভাপতি আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘মানুষ যদি ভাবে একমাত্র তারাই পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ করবে তাহলে মানুষও পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এইরকম করলে ডাইনোসরের মতো আমরাও বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারি। আমরা যেই দূষণের শিকার তা নিয়ে আমরা কথা বলব। শুধু কথা বলব না, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। আমরা পরিবেশ দূষণ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চাই না আমরা টেকসই বাংলাদেশ চাই।’
এ সময় তিনি যারা মেয়র হবেন তাঁদের শহরের পরিবেশ নিয়ে ভাবতে অনুরোধ জানান। পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার ফারজানা মাহমুদ বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় এত আইন থাকলেও জীব-বৈচিত্র্যের সুরক্ষা নেই এবং বন ও বন্যপ্রাণীকে উচ্ছেদ বন্ধ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির আহরণ আরও বেড়েছে। আসলে উন্নত বিশ্ব পরিবেশের স্বাস্থ্যের কথা ভাবেনি। আমাদের পরিবেশ রক্ষায় ব্যক্তিগত সচেতনতা বাড়ানো, অনেক গাছ লাগানো, পানি ও খাদ্য অপচয় রোধ করা, পরিবেশ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা জরুরি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের টুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামশাদ নওরিন বলেন, ‘পরিবেশ আমাদের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। করোনার সময় আমরা দেখেছি অক্সিজেন কত গুরুত্বপূর্ণ। সেসময় টাকা দিয়ে যেই অক্সিজেন সিলিন্ডার পেয়েছি সেটা কিন্তু আমরা পরিবেশ থেকেই পাচ্ছি।’
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘মেট্রোরেল হলে ঢাকায় দূষণ অনেক কমে যাবে। পদ্মা সেতু হয়ে গেলে মাওয়াঘাটে মানুষের ভিড়ে যেই হাজার হাজার টন বর্জ্য নিক্ষেপ ও শব্দ দূষণ হতো সেটা কমে যাবে। মেট্রোরেল চালু হলে আমাদের চলাচলেরও গতি বাড়বে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, ‘এক সময় আমরা সবাই পড়েছি, পানির কোনো রং নেই। কিন্তু কয়েক দিন আগে বুড়িগঙ্গাকে দেখে আমাদের মনে হয়েছে, না, পানির রং আছে। আর সেটা হলো কালো রং। তবে এটা এখন পরিবর্তন হচ্ছে। বুড়িগঙ্গাকে দখলমুক্ত করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে, সে জন্য সরকার সাধুবাদ পাওয়ার দাবিদার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, ‘পানিকে পৃথিবীর অন্যতম উপহার বলা হয়। তাই আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের পরিষ্কার পানি দিয়েছে এটা দূষণ করার অধিকার আমাদের কারও নেই।’
গ্রীন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মল্লিক আকরাম হোসেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যাওয়া বিভিন্ন জেলা ও মহানগরকে পুরস্কৃত করা হয়।

দেশে পরিবেশ রক্ষায় নানা আইন থাকলেও দেশে চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ দিনদিন কমে যাচ্ছে। শিল্প কলকারখানার নানা বর্জ্য পরিবেশকে দূষণ করছে। অনেক নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। এখনো জীব-বৈচিত্র্যের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়নি। বন ও বন্যপ্রাণীকে হত্যা বন্ধ হয়নি এবং ভূগর্ভস্থ পানির আহরণ বেড়েছে। উন্নত বিশ্ব পরিবেশের স্বাস্থ্যের কথা না ভাবায় আজ আমাদের ভুগতে হচ্ছে। তবে সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে বুড়িগঙ্গাসহ নানা নদী দখলমুক্ত হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় সবাই নিজের জায়গা থেকে সচেতন হওয়া খুবই জরুরি।
আজ শনিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ গ্রীন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্ট আয়োজিত ‘প্রকৃতির ঐকতান টেকসই জীবন: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব।
তিনি বলেন, ‘আমর যখন ছোট ছিলাম তখন ৭০ শতাংশ জমি চাষাবাদযোগ্য ছিল। কিন্তু এখন তা কমে ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে। তার মানে দেশে দিনদিন চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এই যে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে এর প্রভাব স্বাস্থ্য-কৃষিসহ সব খাতে পড়ছে। পরিবেশ দূষণের প্রভাবও বাংলাদেশের সব খাতেই পড়ছে। বাংলাদেশকে কেউ দখল করবে না। এখন আর কলোনিয়াল যুগ নেই। তবে পানি দূষিত হওয়া মানে আমরা শেষ! কারণ পানি দূষিত হলে খাদ্য, মৎস্য ও কৃষিতে উৎপাদনসহ আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন বলেন, ‘আমাদের প্রজাতিকে যখন রক্ষা করতে পারব তখন আমরা পরিবেশ দিবস পালনের সক্ষমতা অনুধাবন করতে পারব।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে গ্রীন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্টের সভাপতি আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘মানুষ যদি ভাবে একমাত্র তারাই পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ করবে তাহলে মানুষও পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এইরকম করলে ডাইনোসরের মতো আমরাও বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারি। আমরা যেই দূষণের শিকার তা নিয়ে আমরা কথা বলব। শুধু কথা বলব না, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। আমরা পরিবেশ দূষণ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চাই না আমরা টেকসই বাংলাদেশ চাই।’
এ সময় তিনি যারা মেয়র হবেন তাঁদের শহরের পরিবেশ নিয়ে ভাবতে অনুরোধ জানান। পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার ফারজানা মাহমুদ বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় এত আইন থাকলেও জীব-বৈচিত্র্যের সুরক্ষা নেই এবং বন ও বন্যপ্রাণীকে উচ্ছেদ বন্ধ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির আহরণ আরও বেড়েছে। আসলে উন্নত বিশ্ব পরিবেশের স্বাস্থ্যের কথা ভাবেনি। আমাদের পরিবেশ রক্ষায় ব্যক্তিগত সচেতনতা বাড়ানো, অনেক গাছ লাগানো, পানি ও খাদ্য অপচয় রোধ করা, পরিবেশ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা জরুরি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের টুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামশাদ নওরিন বলেন, ‘পরিবেশ আমাদের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। করোনার সময় আমরা দেখেছি অক্সিজেন কত গুরুত্বপূর্ণ। সেসময় টাকা দিয়ে যেই অক্সিজেন সিলিন্ডার পেয়েছি সেটা কিন্তু আমরা পরিবেশ থেকেই পাচ্ছি।’
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘মেট্রোরেল হলে ঢাকায় দূষণ অনেক কমে যাবে। পদ্মা সেতু হয়ে গেলে মাওয়াঘাটে মানুষের ভিড়ে যেই হাজার হাজার টন বর্জ্য নিক্ষেপ ও শব্দ দূষণ হতো সেটা কমে যাবে। মেট্রোরেল চালু হলে আমাদের চলাচলেরও গতি বাড়বে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, ‘এক সময় আমরা সবাই পড়েছি, পানির কোনো রং নেই। কিন্তু কয়েক দিন আগে বুড়িগঙ্গাকে দেখে আমাদের মনে হয়েছে, না, পানির রং আছে। আর সেটা হলো কালো রং। তবে এটা এখন পরিবর্তন হচ্ছে। বুড়িগঙ্গাকে দখলমুক্ত করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে, সে জন্য সরকার সাধুবাদ পাওয়ার দাবিদার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, ‘পানিকে পৃথিবীর অন্যতম উপহার বলা হয়। তাই আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের পরিষ্কার পানি দিয়েছে এটা দূষণ করার অধিকার আমাদের কারও নেই।’
গ্রীন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মল্লিক আকরাম হোসেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যাওয়া বিভিন্ন জেলা ও মহানগরকে পুরস্কৃত করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে পরিবেশ রক্ষায় নানা আইন থাকলেও দেশে চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ দিনদিন কমে যাচ্ছে। শিল্প কলকারখানার নানা বর্জ্য পরিবেশকে দূষণ করছে। অনেক নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। এখনো জীব-বৈচিত্র্যের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়নি। বন ও বন্যপ্রাণীকে হত্যা বন্ধ হয়নি এবং ভূগর্ভস্থ পানির আহরণ বেড়েছে। উন্নত বিশ্ব পরিবেশের স্বাস্থ্যের কথা না ভাবায় আজ আমাদের ভুগতে হচ্ছে। তবে সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে বুড়িগঙ্গাসহ নানা নদী দখলমুক্ত হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় সবাই নিজের জায়গা থেকে সচেতন হওয়া খুবই জরুরি।
আজ শনিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ গ্রীন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্ট আয়োজিত ‘প্রকৃতির ঐকতান টেকসই জীবন: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব।
তিনি বলেন, ‘আমর যখন ছোট ছিলাম তখন ৭০ শতাংশ জমি চাষাবাদযোগ্য ছিল। কিন্তু এখন তা কমে ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে। তার মানে দেশে দিনদিন চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এই যে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে এর প্রভাব স্বাস্থ্য-কৃষিসহ সব খাতে পড়ছে। পরিবেশ দূষণের প্রভাবও বাংলাদেশের সব খাতেই পড়ছে। বাংলাদেশকে কেউ দখল করবে না। এখন আর কলোনিয়াল যুগ নেই। তবে পানি দূষিত হওয়া মানে আমরা শেষ! কারণ পানি দূষিত হলে খাদ্য, মৎস্য ও কৃষিতে উৎপাদনসহ আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন বলেন, ‘আমাদের প্রজাতিকে যখন রক্ষা করতে পারব তখন আমরা পরিবেশ দিবস পালনের সক্ষমতা অনুধাবন করতে পারব।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে গ্রীন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্টের সভাপতি আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘মানুষ যদি ভাবে একমাত্র তারাই পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ করবে তাহলে মানুষও পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এইরকম করলে ডাইনোসরের মতো আমরাও বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারি। আমরা যেই দূষণের শিকার তা নিয়ে আমরা কথা বলব। শুধু কথা বলব না, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। আমরা পরিবেশ দূষণ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চাই না আমরা টেকসই বাংলাদেশ চাই।’
এ সময় তিনি যারা মেয়র হবেন তাঁদের শহরের পরিবেশ নিয়ে ভাবতে অনুরোধ জানান। পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার ফারজানা মাহমুদ বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় এত আইন থাকলেও জীব-বৈচিত্র্যের সুরক্ষা নেই এবং বন ও বন্যপ্রাণীকে উচ্ছেদ বন্ধ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির আহরণ আরও বেড়েছে। আসলে উন্নত বিশ্ব পরিবেশের স্বাস্থ্যের কথা ভাবেনি। আমাদের পরিবেশ রক্ষায় ব্যক্তিগত সচেতনতা বাড়ানো, অনেক গাছ লাগানো, পানি ও খাদ্য অপচয় রোধ করা, পরিবেশ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা জরুরি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের টুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামশাদ নওরিন বলেন, ‘পরিবেশ আমাদের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। করোনার সময় আমরা দেখেছি অক্সিজেন কত গুরুত্বপূর্ণ। সেসময় টাকা দিয়ে যেই অক্সিজেন সিলিন্ডার পেয়েছি সেটা কিন্তু আমরা পরিবেশ থেকেই পাচ্ছি।’
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘মেট্রোরেল হলে ঢাকায় দূষণ অনেক কমে যাবে। পদ্মা সেতু হয়ে গেলে মাওয়াঘাটে মানুষের ভিড়ে যেই হাজার হাজার টন বর্জ্য নিক্ষেপ ও শব্দ দূষণ হতো সেটা কমে যাবে। মেট্রোরেল চালু হলে আমাদের চলাচলেরও গতি বাড়বে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, ‘এক সময় আমরা সবাই পড়েছি, পানির কোনো রং নেই। কিন্তু কয়েক দিন আগে বুড়িগঙ্গাকে দেখে আমাদের মনে হয়েছে, না, পানির রং আছে। আর সেটা হলো কালো রং। তবে এটা এখন পরিবর্তন হচ্ছে। বুড়িগঙ্গাকে দখলমুক্ত করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে, সে জন্য সরকার সাধুবাদ পাওয়ার দাবিদার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, ‘পানিকে পৃথিবীর অন্যতম উপহার বলা হয়। তাই আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের পরিষ্কার পানি দিয়েছে এটা দূষণ করার অধিকার আমাদের কারও নেই।’
গ্রীন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মল্লিক আকরাম হোসেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যাওয়া বিভিন্ন জেলা ও মহানগরকে পুরস্কৃত করা হয়।

দেশে পরিবেশ রক্ষায় নানা আইন থাকলেও দেশে চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ দিনদিন কমে যাচ্ছে। শিল্প কলকারখানার নানা বর্জ্য পরিবেশকে দূষণ করছে। অনেক নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। এখনো জীব-বৈচিত্র্যের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়নি। বন ও বন্যপ্রাণীকে হত্যা বন্ধ হয়নি এবং ভূগর্ভস্থ পানির আহরণ বেড়েছে। উন্নত বিশ্ব পরিবেশের স্বাস্থ্যের কথা না ভাবায় আজ আমাদের ভুগতে হচ্ছে। তবে সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে বুড়িগঙ্গাসহ নানা নদী দখলমুক্ত হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় সবাই নিজের জায়গা থেকে সচেতন হওয়া খুবই জরুরি।
আজ শনিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ গ্রীন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্ট আয়োজিত ‘প্রকৃতির ঐকতান টেকসই জীবন: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব।
তিনি বলেন, ‘আমর যখন ছোট ছিলাম তখন ৭০ শতাংশ জমি চাষাবাদযোগ্য ছিল। কিন্তু এখন তা কমে ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে। তার মানে দেশে দিনদিন চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এই যে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে এর প্রভাব স্বাস্থ্য-কৃষিসহ সব খাতে পড়ছে। পরিবেশ দূষণের প্রভাবও বাংলাদেশের সব খাতেই পড়ছে। বাংলাদেশকে কেউ দখল করবে না। এখন আর কলোনিয়াল যুগ নেই। তবে পানি দূষিত হওয়া মানে আমরা শেষ! কারণ পানি দূষিত হলে খাদ্য, মৎস্য ও কৃষিতে উৎপাদনসহ আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন বলেন, ‘আমাদের প্রজাতিকে যখন রক্ষা করতে পারব তখন আমরা পরিবেশ দিবস পালনের সক্ষমতা অনুধাবন করতে পারব।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে গ্রীন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্টের সভাপতি আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘মানুষ যদি ভাবে একমাত্র তারাই পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ করবে তাহলে মানুষও পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এইরকম করলে ডাইনোসরের মতো আমরাও বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারি। আমরা যেই দূষণের শিকার তা নিয়ে আমরা কথা বলব। শুধু কথা বলব না, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। আমরা পরিবেশ দূষণ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চাই না আমরা টেকসই বাংলাদেশ চাই।’
এ সময় তিনি যারা মেয়র হবেন তাঁদের শহরের পরিবেশ নিয়ে ভাবতে অনুরোধ জানান। পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার ফারজানা মাহমুদ বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় এত আইন থাকলেও জীব-বৈচিত্র্যের সুরক্ষা নেই এবং বন ও বন্যপ্রাণীকে উচ্ছেদ বন্ধ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির আহরণ আরও বেড়েছে। আসলে উন্নত বিশ্ব পরিবেশের স্বাস্থ্যের কথা ভাবেনি। আমাদের পরিবেশ রক্ষায় ব্যক্তিগত সচেতনতা বাড়ানো, অনেক গাছ লাগানো, পানি ও খাদ্য অপচয় রোধ করা, পরিবেশ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা জরুরি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের টুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামশাদ নওরিন বলেন, ‘পরিবেশ আমাদের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। করোনার সময় আমরা দেখেছি অক্সিজেন কত গুরুত্বপূর্ণ। সেসময় টাকা দিয়ে যেই অক্সিজেন সিলিন্ডার পেয়েছি সেটা কিন্তু আমরা পরিবেশ থেকেই পাচ্ছি।’
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘মেট্রোরেল হলে ঢাকায় দূষণ অনেক কমে যাবে। পদ্মা সেতু হয়ে গেলে মাওয়াঘাটে মানুষের ভিড়ে যেই হাজার হাজার টন বর্জ্য নিক্ষেপ ও শব্দ দূষণ হতো সেটা কমে যাবে। মেট্রোরেল চালু হলে আমাদের চলাচলেরও গতি বাড়বে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, ‘এক সময় আমরা সবাই পড়েছি, পানির কোনো রং নেই। কিন্তু কয়েক দিন আগে বুড়িগঙ্গাকে দেখে আমাদের মনে হয়েছে, না, পানির রং আছে। আর সেটা হলো কালো রং। তবে এটা এখন পরিবর্তন হচ্ছে। বুড়িগঙ্গাকে দখলমুক্ত করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে, সে জন্য সরকার সাধুবাদ পাওয়ার দাবিদার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, ‘পানিকে পৃথিবীর অন্যতম উপহার বলা হয়। তাই আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের পরিষ্কার পানি দিয়েছে এটা দূষণ করার অধিকার আমাদের কারও নেই।’
গ্রীন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মল্লিক আকরাম হোসেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যাওয়া বিভিন্ন জেলা ও মহানগরকে পুরস্কৃত করা হয়।

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
১১ ঘণ্টা আগে
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
১৯ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
২০ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
এটি আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মোন্থা’ ২৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থকে ১৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থকে ১৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থকে ১২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থকে ১২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। ‘মোন্থা’ আগামীকাল মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা অথবা রাতের দিকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরর্বতী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যার কিছুটা প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানতে পারে কাল সন্ধ্যা বা এর পরবর্তী সময়। আজ বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে না। তবে কাল আঘাত হানার সময় বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রাজধানী ঢাকায়ও কাল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মোন্থা’ প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
এদিকে আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। উত্তর উত্তরপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫-১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
এটি আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মোন্থা’ ২৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থকে ১৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থকে ১৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থকে ১২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থকে ১২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। ‘মোন্থা’ আগামীকাল মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা অথবা রাতের দিকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরর্বতী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যার কিছুটা প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানতে পারে কাল সন্ধ্যা বা এর পরবর্তী সময়। আজ বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে না। তবে কাল আঘাত হানার সময় বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রাজধানী ঢাকায়ও কাল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মোন্থা’ প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
এদিকে আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। উত্তর উত্তরপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫-১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আমর যখন ছোট ছিলাম তখন ৭০ শতাংশ জমি চাষাবাদযোগ্য ছিল। কিন্তু এখন তা কমে ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে। তার মানে দেশে দিনদিন চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এই যে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে এর প্রভাব স্বাস্থ্য-কৃষিসহ সব খাতে পড়ছে।
০৪ জুন ২০২২
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
১৯ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
২০ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগ্নেয়গিরিটির নিচে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনো না কোনোভাবে ভবিষ্যতে নির্গত হতে বাধ্য। এটি সহিংস বিস্ফোরণের মাধ্যমেও ঘটতে পারে, অথবা ধীরে ধীরে গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ও আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ পাবলো গনজালেস লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, ‘এটি আতঙ্ক তৈরির জন্য নয়, বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সতর্কবার্তা—যাতে তারা অঞ্চলটিতে পর্যবেক্ষণের জন্য রসদ বরাদ্দ করে।’
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইতিমধ্যে ২০২৩ সাল থেকেই আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি এলাকায় গ্যাস নিঃসরণের ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ লক্ষ্য করেছেন। এমনকি চূড়া থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরেও এমনটি টের পাওয়া গেছে। ১২ হাজার ৯২৭ ফুট উচ্চতার এই বিশাল আগ্নেয়গিরি দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের সবচেয়ে বড় এবং পার্শ্ববর্তী ছোট পাহাড়গুলোকে ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অবস্থানের কারণে এটিকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করাও কঠিন। এ অবস্থায় গবেষণারত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হোসেইন মোহাম্মদনিয়া ও পাবলো গনজালেস স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে আগ্নেয়গিরির চূড়ার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রমাণ পান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তনের কারণ সম্ভবত আগ্নেয়গিরির নিচের হাইড্রোথার্মাল ব্যবস্থায় পরিবর্তন, যা গ্যাস জমা বা ম্যাগমার স্থানচ্যুতি ঘটাতে পারে। তাঁরা জানিয়েছেন, তাফতান আগ্নেয়গিরির পরিস্থিতি এখন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং গবেষণা অব্যাহত থাকবে।

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগ্নেয়গিরিটির নিচে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনো না কোনোভাবে ভবিষ্যতে নির্গত হতে বাধ্য। এটি সহিংস বিস্ফোরণের মাধ্যমেও ঘটতে পারে, অথবা ধীরে ধীরে গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ও আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ পাবলো গনজালেস লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, ‘এটি আতঙ্ক তৈরির জন্য নয়, বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সতর্কবার্তা—যাতে তারা অঞ্চলটিতে পর্যবেক্ষণের জন্য রসদ বরাদ্দ করে।’
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইতিমধ্যে ২০২৩ সাল থেকেই আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি এলাকায় গ্যাস নিঃসরণের ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ লক্ষ্য করেছেন। এমনকি চূড়া থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরেও এমনটি টের পাওয়া গেছে। ১২ হাজার ৯২৭ ফুট উচ্চতার এই বিশাল আগ্নেয়গিরি দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের সবচেয়ে বড় এবং পার্শ্ববর্তী ছোট পাহাড়গুলোকে ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অবস্থানের কারণে এটিকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করাও কঠিন। এ অবস্থায় গবেষণারত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হোসেইন মোহাম্মদনিয়া ও পাবলো গনজালেস স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে আগ্নেয়গিরির চূড়ার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রমাণ পান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তনের কারণ সম্ভবত আগ্নেয়গিরির নিচের হাইড্রোথার্মাল ব্যবস্থায় পরিবর্তন, যা গ্যাস জমা বা ম্যাগমার স্থানচ্যুতি ঘটাতে পারে। তাঁরা জানিয়েছেন, তাফতান আগ্নেয়গিরির পরিস্থিতি এখন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং গবেষণা অব্যাহত থাকবে।

আমর যখন ছোট ছিলাম তখন ৭০ শতাংশ জমি চাষাবাদযোগ্য ছিল। কিন্তু এখন তা কমে ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে। তার মানে দেশে দিনদিন চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এই যে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে এর প্রভাব স্বাস্থ্য-কৃষিসহ সব খাতে পড়ছে।
০৪ জুন ২০২২
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
২০ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

আমর যখন ছোট ছিলাম তখন ৭০ শতাংশ জমি চাষাবাদযোগ্য ছিল। কিন্তু এখন তা কমে ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে। তার মানে দেশে দিনদিন চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এই যে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে এর প্রভাব স্বাস্থ্য-কৃষিসহ সব খাতে পড়ছে।
০৪ জুন ২০২২
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
১১ ঘণ্টা আগে
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
১৯ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

আমর যখন ছোট ছিলাম তখন ৭০ শতাংশ জমি চাষাবাদযোগ্য ছিল। কিন্তু এখন তা কমে ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে। তার মানে দেশে দিনদিন চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এই যে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে এর প্রভাব স্বাস্থ্য-কৃষিসহ সব খাতে পড়ছে।
০৪ জুন ২০২২
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
১১ ঘণ্টা আগে
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
১৯ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
২০ ঘণ্টা আগে