‘অরণ্য আমাদের সুপারমার্কেট। আমরা এই দ্বীপপুঞ্জের অরণ্য থেকে প্রায় সবকিছু পাই। এর ওপরই বেঁচে আছি আমরা।’ বলেন অ্যানিস জাস্টিন।
এই নৃবিজ্ঞানী ভারতের পূর্ব উপকূলের অদূরে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বড় হয়েছেন। কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত এই অঞ্চলটি ৮৩৬টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে মাত্র ৩৮টি জনবসতিপূর্ণ। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ হলো অঞ্চলটির দক্ষিণ অংশে অবস্থিত এক অনন্য দ্বীপগুচ্ছ, যা আন্দামান দ্বীপ থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত।
এখন মি. জাস্টিন উদ্বেগের সঙ্গে দেখছেন, ভারত গ্রেট নিকোবর দ্বীপে একটি বহু-বিলিয়ন ডলারের ‘হংকং-এর মতো’ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে। দ্বীপটি নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম বৃহৎ এবং বিচ্ছিন্ন এলাকা। ৭২ হাজার কোটি রুপির এই প্রকল্পটি ১৬৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে একটি ট্রান্সশিপমেন্ট পোতাশ্রয়, একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, একটি বিমানবন্দর এবং একটি নতুন শহর। ভারত মহাসাগর এবং সুয়েজ খালের গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক বাণিজ্য রুটের সঙ্গে এলাকাটিকে সংযুক্ত করার জন্য পরিকল্পনাটি নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত জাহাজ চলাচলের পথগুলোর একটি মালাক্কা প্রণালির কাছাকাছি অবস্থিত এলাকায় হাতে নেওয়া কার্যক্রম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং পর্যটন বাড়ানোর সুযোগ করে দেবে। সরকারের ধারণা অনুযায়ী, প্রকল্পটি শেষ হতে ৩০ বছর লাগবে এবং তখন এই দ্বীপে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষ বসবাস করবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই বহু-বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি এ অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলা করতে ভারতের বৃহত্তর লক্ষ্যগুলির অংশ।
কিন্তু এটি দ্বীপবাসীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এই মানুষেরা তাদের জমি, সংস্কৃতি এবং স্বাভাবিক জীবন-যাপন পদ্ধতি হারানোর ভয় পাচ্ছে। তাদের আশঙ্কা, এই প্রকল্প তাদের অস্তিত্বকে হুমকির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ পৃথিবীর অন্যতম বিচ্ছিন্ন এবং ঝুঁকিতে থাকা কিছু জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল, যার মধ্যে পাঁচটি গোষ্ঠীকে ‘বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
এদের মধ্যে রয়েছে জারাওয়া, নর্থ সেন্টিনেলিজ, গ্রেট আন্দামানিজ, ওংগে এবং শোম্পেন। জারাওয়া এবং নর্থ সেন্টিনেলিজরা বাইরের জগতের সঙ্গে সংস্পর্শহীন থাকলেও, গ্রেট নিকোবর দ্বীপের শোম্পেন গোষ্ঠী বাইরের চাপের কারণে তাদের জীবনধারা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। এই যাযাবর জনগোষ্ঠীর ৪০০-র মতো সদস্য টিকে আছে এখন।
শোম্পেন জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই গভীর অরণ্যে বসবাস করে এবং তাদের জীবিকাও অরণ্যনির্ভর। তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি, কারণ এদের খুব কমসংখ্যকই বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
‘তাদের জন্য এটা বড় ক্ষতি এবং মানসিক আঘাতের কারণ হবে,’ বলেন মি. জাস্টিন, যিনি ১৯৮৫ সাল থেকে দ্বীপটি নিয়ে গবেষণা করছেন।
‘বাইরের পৃথিবীর যেটিকে আমরা উন্নয়ন বলি, সেটি তাদের কাছে আকর্ষণীয় নয়। তাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা রয়েছে।’ বলেন তিনি।
এদিকে পরিবেশবিদরা বলছেন, এই প্রকল্পের কারণে পরিবেশেরও ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
৯২১ বর্গকিলোমিটার (৩৫৫ দশমিক ৬ বর্গমাইল) এলাকাজুড়ে বিস্তৃত গ্রেট নিকোবর দ্বীপের প্রায় ৮০ শতাংশ অঞ্চল চিরসবুজ বনে আচ্ছাদিত, যা এক হাজার ৮০০ প্রজাতির বেশি প্রাণী এবং ৮০০ টিরও বেশি উদ্ভিদ প্রজাতির বাসস্থান। এদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় এবং অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, প্রকল্পটির জন্য দ্বীপের মোট এলাকার মাত্র ১৩০ বর্গকিলোমিটার বা ১৪ শতাংশ পরিষ্কার করা হবে, কিন্তু তবুও এতে প্রায় ৯ লাখ ৬৪,০০০ গাছ কাটতে হবে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
‘সরকার সব সময় দাবি করে যে অরণ্যের কেবল একটি অংশ পরিষ্কার করা হবে। কিন্তু আপনি যে পরিকাঠামো তৈরি করছেন, তা আরও দূষণ সৃষ্টি করবে, যা পুরো বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করবে।’ বলেন পরিবেশবিদ মাধব গাড়গিল।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বিবিসির প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি।
তবে পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব গত আগস্টে বলেছিলেন, এই প্রকল্পে ‘কোনো জনগোষ্ঠীকে বিরক্ত বা স্থানান্তর করবে না’ এবং ‘কঠোর পরিবেশগত মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা’ গ্রহণের পরই এটি অনুমোদন পেয়েছে।
তবুও, সবাই এই আশ্বাসে সন্তুষ্ট নয়।
এ বছরের শুরুর দিকে, সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার ৩৯ জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেছিলেন যে এই উন্নয়ন প্রকল্প শোম্পেন জনগোষ্ঠীর জন্য একটি ‘মৃত্যুদণ্ড’ হয়ে উঠতে পারে, কারণ এটি তাদের বাসস্থান ধ্বংস করবে।
এই আশঙ্কা মি. জাস্টিনকেও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ‘শোম্পেন জনগোষ্ঠীর শিল্পবিশ্বের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জ্ঞান বা উপায় নেই।’
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে এই জনগোষ্ঠীও হয়তো নিকোবারিজদের মতো ভাগ্যের শিকার হতে পারে। নিকোবারিজরা দ্বীপের সবচেয়ে বড় জনজাতি এবং ২০০৪ সালের ভারত মহাসাগরের ভয়াবহ সুনামির সময় তাদের গ্রাম ধ্বংস হয়ে যায়, যার ফলে তারা বাস্তুচ্যুত হয়।
বছরের পর বছর ধরে সরকার তাদের অন্য অঞ্চলে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করেছে, তবে সেটিও একটি মূল্য দিয়ে এসেছে।
‘এখানকার বেশির ভাগ নিকোবারিজ এখন শ্রমিক এবং তাদের পূর্বপুরুষের জমির বদলে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে বসবাস করছে,’ বলেন মি. জাস্টিন, ‘তাদের আর ফসল চাষ বা প্রাণী পালনের কোনো জায়গা নেই।’
এই প্রকল্পটি শোম্পেন জনগোষ্ঠীকে রোগের ঝুঁকিতেও ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংরক্ষণ সংস্থা সারভাইভাল ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা ক্যালাম রাসেল বলেন, ‘বাইরের সংস্পর্শহীন জনগোষ্ঠীর ফ্লু বা হাম জাতীয় রোগের প্রতি খুব কম বা কোনো প্রতিরোধক্ষমতাই থাকে না, যা তাদের ধ্বংস করে দিতে পারে। সাধারণত সংস্পর্শের পরে তাদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জনগণ হারিয়ে যায়।’
এই প্রকল্পটি দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত গ্যালাথিয়া উপসাগরে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। অঞ্চলটি শত শত বছর ধরে বিশালাকার লেদারব্যাক সামুদ্রিক কচ্ছপের বাসা বাঁধার স্থান।
সামাজিক পরিবেশবিদ ড. মণীশ চান্ডি বলছেন, প্রকল্পটি নোনা পানির কুমির, দ্বীপের গুইসাপ, মাছ এবং পাখিদের ওপরও প্রভাব ফেলবে।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব প্রজাতির বাসা বাঁধা ও প্রজননস্থল পরিবর্তন করা হবে না।
তবে ড. চান্ডি উল্লেখ করেছেন, এই এলাকায় আরও অনেক প্রজাতি রয়েছে, যারা বড় সংখ্যায় এখানে বাসা বাঁধে। তিনি বলেন, ‘সরকার এমন স্থানে প্রবাল স্থানান্তরের প্রস্তাব করছে, যেখানে তারা প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায় না। তবে অন্য প্রজাতিদের কী করা হবে?’
যদিও প্রকল্পটি শেষ হতে ৩০ বছর সময় লাগবে। তবে এটি পরিবেশ এবং দ্বীপের আদিবাসী জনগণের জীবনের সূক্ষ্ম ভারসাম্যের অপূরণীয় পরিবর্তন করে দেওয়ার আশঙ্কায় ইতিমধ্যে উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদ এবং স্থানীয় অধিবাসীরা।
‘অরণ্য আমাদের সুপারমার্কেট। আমরা এই দ্বীপপুঞ্জের অরণ্য থেকে প্রায় সবকিছু পাই। এর ওপরই বেঁচে আছি আমরা।’ বলেন অ্যানিস জাস্টিন।
এই নৃবিজ্ঞানী ভারতের পূর্ব উপকূলের অদূরে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বড় হয়েছেন। কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত এই অঞ্চলটি ৮৩৬টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে মাত্র ৩৮টি জনবসতিপূর্ণ। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ হলো অঞ্চলটির দক্ষিণ অংশে অবস্থিত এক অনন্য দ্বীপগুচ্ছ, যা আন্দামান দ্বীপ থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত।
এখন মি. জাস্টিন উদ্বেগের সঙ্গে দেখছেন, ভারত গ্রেট নিকোবর দ্বীপে একটি বহু-বিলিয়ন ডলারের ‘হংকং-এর মতো’ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে। দ্বীপটি নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম বৃহৎ এবং বিচ্ছিন্ন এলাকা। ৭২ হাজার কোটি রুপির এই প্রকল্পটি ১৬৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে একটি ট্রান্সশিপমেন্ট পোতাশ্রয়, একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, একটি বিমানবন্দর এবং একটি নতুন শহর। ভারত মহাসাগর এবং সুয়েজ খালের গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক বাণিজ্য রুটের সঙ্গে এলাকাটিকে সংযুক্ত করার জন্য পরিকল্পনাটি নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত জাহাজ চলাচলের পথগুলোর একটি মালাক্কা প্রণালির কাছাকাছি অবস্থিত এলাকায় হাতে নেওয়া কার্যক্রম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং পর্যটন বাড়ানোর সুযোগ করে দেবে। সরকারের ধারণা অনুযায়ী, প্রকল্পটি শেষ হতে ৩০ বছর লাগবে এবং তখন এই দ্বীপে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষ বসবাস করবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই বহু-বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি এ অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলা করতে ভারতের বৃহত্তর লক্ষ্যগুলির অংশ।
কিন্তু এটি দ্বীপবাসীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এই মানুষেরা তাদের জমি, সংস্কৃতি এবং স্বাভাবিক জীবন-যাপন পদ্ধতি হারানোর ভয় পাচ্ছে। তাদের আশঙ্কা, এই প্রকল্প তাদের অস্তিত্বকে হুমকির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ পৃথিবীর অন্যতম বিচ্ছিন্ন এবং ঝুঁকিতে থাকা কিছু জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল, যার মধ্যে পাঁচটি গোষ্ঠীকে ‘বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
এদের মধ্যে রয়েছে জারাওয়া, নর্থ সেন্টিনেলিজ, গ্রেট আন্দামানিজ, ওংগে এবং শোম্পেন। জারাওয়া এবং নর্থ সেন্টিনেলিজরা বাইরের জগতের সঙ্গে সংস্পর্শহীন থাকলেও, গ্রেট নিকোবর দ্বীপের শোম্পেন গোষ্ঠী বাইরের চাপের কারণে তাদের জীবনধারা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। এই যাযাবর জনগোষ্ঠীর ৪০০-র মতো সদস্য টিকে আছে এখন।
শোম্পেন জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই গভীর অরণ্যে বসবাস করে এবং তাদের জীবিকাও অরণ্যনির্ভর। তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি, কারণ এদের খুব কমসংখ্যকই বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
‘তাদের জন্য এটা বড় ক্ষতি এবং মানসিক আঘাতের কারণ হবে,’ বলেন মি. জাস্টিন, যিনি ১৯৮৫ সাল থেকে দ্বীপটি নিয়ে গবেষণা করছেন।
‘বাইরের পৃথিবীর যেটিকে আমরা উন্নয়ন বলি, সেটি তাদের কাছে আকর্ষণীয় নয়। তাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা রয়েছে।’ বলেন তিনি।
এদিকে পরিবেশবিদরা বলছেন, এই প্রকল্পের কারণে পরিবেশেরও ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
৯২১ বর্গকিলোমিটার (৩৫৫ দশমিক ৬ বর্গমাইল) এলাকাজুড়ে বিস্তৃত গ্রেট নিকোবর দ্বীপের প্রায় ৮০ শতাংশ অঞ্চল চিরসবুজ বনে আচ্ছাদিত, যা এক হাজার ৮০০ প্রজাতির বেশি প্রাণী এবং ৮০০ টিরও বেশি উদ্ভিদ প্রজাতির বাসস্থান। এদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় এবং অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, প্রকল্পটির জন্য দ্বীপের মোট এলাকার মাত্র ১৩০ বর্গকিলোমিটার বা ১৪ শতাংশ পরিষ্কার করা হবে, কিন্তু তবুও এতে প্রায় ৯ লাখ ৬৪,০০০ গাছ কাটতে হবে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
‘সরকার সব সময় দাবি করে যে অরণ্যের কেবল একটি অংশ পরিষ্কার করা হবে। কিন্তু আপনি যে পরিকাঠামো তৈরি করছেন, তা আরও দূষণ সৃষ্টি করবে, যা পুরো বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করবে।’ বলেন পরিবেশবিদ মাধব গাড়গিল।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বিবিসির প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি।
তবে পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব গত আগস্টে বলেছিলেন, এই প্রকল্পে ‘কোনো জনগোষ্ঠীকে বিরক্ত বা স্থানান্তর করবে না’ এবং ‘কঠোর পরিবেশগত মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা’ গ্রহণের পরই এটি অনুমোদন পেয়েছে।
তবুও, সবাই এই আশ্বাসে সন্তুষ্ট নয়।
এ বছরের শুরুর দিকে, সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার ৩৯ জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেছিলেন যে এই উন্নয়ন প্রকল্প শোম্পেন জনগোষ্ঠীর জন্য একটি ‘মৃত্যুদণ্ড’ হয়ে উঠতে পারে, কারণ এটি তাদের বাসস্থান ধ্বংস করবে।
এই আশঙ্কা মি. জাস্টিনকেও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ‘শোম্পেন জনগোষ্ঠীর শিল্পবিশ্বের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জ্ঞান বা উপায় নেই।’
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে এই জনগোষ্ঠীও হয়তো নিকোবারিজদের মতো ভাগ্যের শিকার হতে পারে। নিকোবারিজরা দ্বীপের সবচেয়ে বড় জনজাতি এবং ২০০৪ সালের ভারত মহাসাগরের ভয়াবহ সুনামির সময় তাদের গ্রাম ধ্বংস হয়ে যায়, যার ফলে তারা বাস্তুচ্যুত হয়।
বছরের পর বছর ধরে সরকার তাদের অন্য অঞ্চলে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করেছে, তবে সেটিও একটি মূল্য দিয়ে এসেছে।
‘এখানকার বেশির ভাগ নিকোবারিজ এখন শ্রমিক এবং তাদের পূর্বপুরুষের জমির বদলে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে বসবাস করছে,’ বলেন মি. জাস্টিন, ‘তাদের আর ফসল চাষ বা প্রাণী পালনের কোনো জায়গা নেই।’
এই প্রকল্পটি শোম্পেন জনগোষ্ঠীকে রোগের ঝুঁকিতেও ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংরক্ষণ সংস্থা সারভাইভাল ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা ক্যালাম রাসেল বলেন, ‘বাইরের সংস্পর্শহীন জনগোষ্ঠীর ফ্লু বা হাম জাতীয় রোগের প্রতি খুব কম বা কোনো প্রতিরোধক্ষমতাই থাকে না, যা তাদের ধ্বংস করে দিতে পারে। সাধারণত সংস্পর্শের পরে তাদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জনগণ হারিয়ে যায়।’
এই প্রকল্পটি দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত গ্যালাথিয়া উপসাগরে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। অঞ্চলটি শত শত বছর ধরে বিশালাকার লেদারব্যাক সামুদ্রিক কচ্ছপের বাসা বাঁধার স্থান।
সামাজিক পরিবেশবিদ ড. মণীশ চান্ডি বলছেন, প্রকল্পটি নোনা পানির কুমির, দ্বীপের গুইসাপ, মাছ এবং পাখিদের ওপরও প্রভাব ফেলবে।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব প্রজাতির বাসা বাঁধা ও প্রজননস্থল পরিবর্তন করা হবে না।
তবে ড. চান্ডি উল্লেখ করেছেন, এই এলাকায় আরও অনেক প্রজাতি রয়েছে, যারা বড় সংখ্যায় এখানে বাসা বাঁধে। তিনি বলেন, ‘সরকার এমন স্থানে প্রবাল স্থানান্তরের প্রস্তাব করছে, যেখানে তারা প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায় না। তবে অন্য প্রজাতিদের কী করা হবে?’
যদিও প্রকল্পটি শেষ হতে ৩০ বছর সময় লাগবে। তবে এটি পরিবেশ এবং দ্বীপের আদিবাসী জনগণের জীবনের সূক্ষ্ম ভারসাম্যের অপূরণীয় পরিবর্তন করে দেওয়ার আশঙ্কায় ইতিমধ্যে উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদ এবং স্থানীয় অধিবাসীরা।
‘অরণ্য আমাদের সুপারমার্কেট। আমরা এই দ্বীপপুঞ্জের অরণ্য থেকে প্রায় সবকিছু পাই। এর ওপরই বেঁচে আছি আমরা।’ বলেন অ্যানিস জাস্টিন।
এই নৃবিজ্ঞানী ভারতের পূর্ব উপকূলের অদূরে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বড় হয়েছেন। কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত এই অঞ্চলটি ৮৩৬টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে মাত্র ৩৮টি জনবসতিপূর্ণ। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ হলো অঞ্চলটির দক্ষিণ অংশে অবস্থিত এক অনন্য দ্বীপগুচ্ছ, যা আন্দামান দ্বীপ থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত।
এখন মি. জাস্টিন উদ্বেগের সঙ্গে দেখছেন, ভারত গ্রেট নিকোবর দ্বীপে একটি বহু-বিলিয়ন ডলারের ‘হংকং-এর মতো’ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে। দ্বীপটি নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম বৃহৎ এবং বিচ্ছিন্ন এলাকা। ৭২ হাজার কোটি রুপির এই প্রকল্পটি ১৬৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে একটি ট্রান্সশিপমেন্ট পোতাশ্রয়, একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, একটি বিমানবন্দর এবং একটি নতুন শহর। ভারত মহাসাগর এবং সুয়েজ খালের গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক বাণিজ্য রুটের সঙ্গে এলাকাটিকে সংযুক্ত করার জন্য পরিকল্পনাটি নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত জাহাজ চলাচলের পথগুলোর একটি মালাক্কা প্রণালির কাছাকাছি অবস্থিত এলাকায় হাতে নেওয়া কার্যক্রম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং পর্যটন বাড়ানোর সুযোগ করে দেবে। সরকারের ধারণা অনুযায়ী, প্রকল্পটি শেষ হতে ৩০ বছর লাগবে এবং তখন এই দ্বীপে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষ বসবাস করবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই বহু-বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি এ অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলা করতে ভারতের বৃহত্তর লক্ষ্যগুলির অংশ।
কিন্তু এটি দ্বীপবাসীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এই মানুষেরা তাদের জমি, সংস্কৃতি এবং স্বাভাবিক জীবন-যাপন পদ্ধতি হারানোর ভয় পাচ্ছে। তাদের আশঙ্কা, এই প্রকল্প তাদের অস্তিত্বকে হুমকির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ পৃথিবীর অন্যতম বিচ্ছিন্ন এবং ঝুঁকিতে থাকা কিছু জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল, যার মধ্যে পাঁচটি গোষ্ঠীকে ‘বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
এদের মধ্যে রয়েছে জারাওয়া, নর্থ সেন্টিনেলিজ, গ্রেট আন্দামানিজ, ওংগে এবং শোম্পেন। জারাওয়া এবং নর্থ সেন্টিনেলিজরা বাইরের জগতের সঙ্গে সংস্পর্শহীন থাকলেও, গ্রেট নিকোবর দ্বীপের শোম্পেন গোষ্ঠী বাইরের চাপের কারণে তাদের জীবনধারা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। এই যাযাবর জনগোষ্ঠীর ৪০০-র মতো সদস্য টিকে আছে এখন।
শোম্পেন জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই গভীর অরণ্যে বসবাস করে এবং তাদের জীবিকাও অরণ্যনির্ভর। তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি, কারণ এদের খুব কমসংখ্যকই বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
‘তাদের জন্য এটা বড় ক্ষতি এবং মানসিক আঘাতের কারণ হবে,’ বলেন মি. জাস্টিন, যিনি ১৯৮৫ সাল থেকে দ্বীপটি নিয়ে গবেষণা করছেন।
‘বাইরের পৃথিবীর যেটিকে আমরা উন্নয়ন বলি, সেটি তাদের কাছে আকর্ষণীয় নয়। তাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা রয়েছে।’ বলেন তিনি।
এদিকে পরিবেশবিদরা বলছেন, এই প্রকল্পের কারণে পরিবেশেরও ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
৯২১ বর্গকিলোমিটার (৩৫৫ দশমিক ৬ বর্গমাইল) এলাকাজুড়ে বিস্তৃত গ্রেট নিকোবর দ্বীপের প্রায় ৮০ শতাংশ অঞ্চল চিরসবুজ বনে আচ্ছাদিত, যা এক হাজার ৮০০ প্রজাতির বেশি প্রাণী এবং ৮০০ টিরও বেশি উদ্ভিদ প্রজাতির বাসস্থান। এদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় এবং অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, প্রকল্পটির জন্য দ্বীপের মোট এলাকার মাত্র ১৩০ বর্গকিলোমিটার বা ১৪ শতাংশ পরিষ্কার করা হবে, কিন্তু তবুও এতে প্রায় ৯ লাখ ৬৪,০০০ গাছ কাটতে হবে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
‘সরকার সব সময় দাবি করে যে অরণ্যের কেবল একটি অংশ পরিষ্কার করা হবে। কিন্তু আপনি যে পরিকাঠামো তৈরি করছেন, তা আরও দূষণ সৃষ্টি করবে, যা পুরো বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করবে।’ বলেন পরিবেশবিদ মাধব গাড়গিল।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বিবিসির প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি।
তবে পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব গত আগস্টে বলেছিলেন, এই প্রকল্পে ‘কোনো জনগোষ্ঠীকে বিরক্ত বা স্থানান্তর করবে না’ এবং ‘কঠোর পরিবেশগত মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা’ গ্রহণের পরই এটি অনুমোদন পেয়েছে।
তবুও, সবাই এই আশ্বাসে সন্তুষ্ট নয়।
এ বছরের শুরুর দিকে, সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার ৩৯ জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেছিলেন যে এই উন্নয়ন প্রকল্প শোম্পেন জনগোষ্ঠীর জন্য একটি ‘মৃত্যুদণ্ড’ হয়ে উঠতে পারে, কারণ এটি তাদের বাসস্থান ধ্বংস করবে।
এই আশঙ্কা মি. জাস্টিনকেও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ‘শোম্পেন জনগোষ্ঠীর শিল্পবিশ্বের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জ্ঞান বা উপায় নেই।’
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে এই জনগোষ্ঠীও হয়তো নিকোবারিজদের মতো ভাগ্যের শিকার হতে পারে। নিকোবারিজরা দ্বীপের সবচেয়ে বড় জনজাতি এবং ২০০৪ সালের ভারত মহাসাগরের ভয়াবহ সুনামির সময় তাদের গ্রাম ধ্বংস হয়ে যায়, যার ফলে তারা বাস্তুচ্যুত হয়।
বছরের পর বছর ধরে সরকার তাদের অন্য অঞ্চলে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করেছে, তবে সেটিও একটি মূল্য দিয়ে এসেছে।
‘এখানকার বেশির ভাগ নিকোবারিজ এখন শ্রমিক এবং তাদের পূর্বপুরুষের জমির বদলে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে বসবাস করছে,’ বলেন মি. জাস্টিন, ‘তাদের আর ফসল চাষ বা প্রাণী পালনের কোনো জায়গা নেই।’
এই প্রকল্পটি শোম্পেন জনগোষ্ঠীকে রোগের ঝুঁকিতেও ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংরক্ষণ সংস্থা সারভাইভাল ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা ক্যালাম রাসেল বলেন, ‘বাইরের সংস্পর্শহীন জনগোষ্ঠীর ফ্লু বা হাম জাতীয় রোগের প্রতি খুব কম বা কোনো প্রতিরোধক্ষমতাই থাকে না, যা তাদের ধ্বংস করে দিতে পারে। সাধারণত সংস্পর্শের পরে তাদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জনগণ হারিয়ে যায়।’
এই প্রকল্পটি দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত গ্যালাথিয়া উপসাগরে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। অঞ্চলটি শত শত বছর ধরে বিশালাকার লেদারব্যাক সামুদ্রিক কচ্ছপের বাসা বাঁধার স্থান।
সামাজিক পরিবেশবিদ ড. মণীশ চান্ডি বলছেন, প্রকল্পটি নোনা পানির কুমির, দ্বীপের গুইসাপ, মাছ এবং পাখিদের ওপরও প্রভাব ফেলবে।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব প্রজাতির বাসা বাঁধা ও প্রজননস্থল পরিবর্তন করা হবে না।
তবে ড. চান্ডি উল্লেখ করেছেন, এই এলাকায় আরও অনেক প্রজাতি রয়েছে, যারা বড় সংখ্যায় এখানে বাসা বাঁধে। তিনি বলেন, ‘সরকার এমন স্থানে প্রবাল স্থানান্তরের প্রস্তাব করছে, যেখানে তারা প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায় না। তবে অন্য প্রজাতিদের কী করা হবে?’
যদিও প্রকল্পটি শেষ হতে ৩০ বছর সময় লাগবে। তবে এটি পরিবেশ এবং দ্বীপের আদিবাসী জনগণের জীবনের সূক্ষ্ম ভারসাম্যের অপূরণীয় পরিবর্তন করে দেওয়ার আশঙ্কায় ইতিমধ্যে উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদ এবং স্থানীয় অধিবাসীরা।
‘অরণ্য আমাদের সুপারমার্কেট। আমরা এই দ্বীপপুঞ্জের অরণ্য থেকে প্রায় সবকিছু পাই। এর ওপরই বেঁচে আছি আমরা।’ বলেন অ্যানিস জাস্টিন।
এই নৃবিজ্ঞানী ভারতের পূর্ব উপকূলের অদূরে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বড় হয়েছেন। কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত এই অঞ্চলটি ৮৩৬টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে মাত্র ৩৮টি জনবসতিপূর্ণ। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ হলো অঞ্চলটির দক্ষিণ অংশে অবস্থিত এক অনন্য দ্বীপগুচ্ছ, যা আন্দামান দ্বীপ থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত।
এখন মি. জাস্টিন উদ্বেগের সঙ্গে দেখছেন, ভারত গ্রেট নিকোবর দ্বীপে একটি বহু-বিলিয়ন ডলারের ‘হংকং-এর মতো’ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে। দ্বীপটি নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম বৃহৎ এবং বিচ্ছিন্ন এলাকা। ৭২ হাজার কোটি রুপির এই প্রকল্পটি ১৬৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে একটি ট্রান্সশিপমেন্ট পোতাশ্রয়, একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, একটি বিমানবন্দর এবং একটি নতুন শহর। ভারত মহাসাগর এবং সুয়েজ খালের গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক বাণিজ্য রুটের সঙ্গে এলাকাটিকে সংযুক্ত করার জন্য পরিকল্পনাটি নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত জাহাজ চলাচলের পথগুলোর একটি মালাক্কা প্রণালির কাছাকাছি অবস্থিত এলাকায় হাতে নেওয়া কার্যক্রম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং পর্যটন বাড়ানোর সুযোগ করে দেবে। সরকারের ধারণা অনুযায়ী, প্রকল্পটি শেষ হতে ৩০ বছর লাগবে এবং তখন এই দ্বীপে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষ বসবাস করবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই বহু-বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি এ অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলা করতে ভারতের বৃহত্তর লক্ষ্যগুলির অংশ।
কিন্তু এটি দ্বীপবাসীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এই মানুষেরা তাদের জমি, সংস্কৃতি এবং স্বাভাবিক জীবন-যাপন পদ্ধতি হারানোর ভয় পাচ্ছে। তাদের আশঙ্কা, এই প্রকল্প তাদের অস্তিত্বকে হুমকির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ পৃথিবীর অন্যতম বিচ্ছিন্ন এবং ঝুঁকিতে থাকা কিছু জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল, যার মধ্যে পাঁচটি গোষ্ঠীকে ‘বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
এদের মধ্যে রয়েছে জারাওয়া, নর্থ সেন্টিনেলিজ, গ্রেট আন্দামানিজ, ওংগে এবং শোম্পেন। জারাওয়া এবং নর্থ সেন্টিনেলিজরা বাইরের জগতের সঙ্গে সংস্পর্শহীন থাকলেও, গ্রেট নিকোবর দ্বীপের শোম্পেন গোষ্ঠী বাইরের চাপের কারণে তাদের জীবনধারা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। এই যাযাবর জনগোষ্ঠীর ৪০০-র মতো সদস্য টিকে আছে এখন।
শোম্পেন জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই গভীর অরণ্যে বসবাস করে এবং তাদের জীবিকাও অরণ্যনির্ভর। তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি, কারণ এদের খুব কমসংখ্যকই বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
‘তাদের জন্য এটা বড় ক্ষতি এবং মানসিক আঘাতের কারণ হবে,’ বলেন মি. জাস্টিন, যিনি ১৯৮৫ সাল থেকে দ্বীপটি নিয়ে গবেষণা করছেন।
‘বাইরের পৃথিবীর যেটিকে আমরা উন্নয়ন বলি, সেটি তাদের কাছে আকর্ষণীয় নয়। তাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা রয়েছে।’ বলেন তিনি।
এদিকে পরিবেশবিদরা বলছেন, এই প্রকল্পের কারণে পরিবেশেরও ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
৯২১ বর্গকিলোমিটার (৩৫৫ দশমিক ৬ বর্গমাইল) এলাকাজুড়ে বিস্তৃত গ্রেট নিকোবর দ্বীপের প্রায় ৮০ শতাংশ অঞ্চল চিরসবুজ বনে আচ্ছাদিত, যা এক হাজার ৮০০ প্রজাতির বেশি প্রাণী এবং ৮০০ টিরও বেশি উদ্ভিদ প্রজাতির বাসস্থান। এদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় এবং অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, প্রকল্পটির জন্য দ্বীপের মোট এলাকার মাত্র ১৩০ বর্গকিলোমিটার বা ১৪ শতাংশ পরিষ্কার করা হবে, কিন্তু তবুও এতে প্রায় ৯ লাখ ৬৪,০০০ গাছ কাটতে হবে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
‘সরকার সব সময় দাবি করে যে অরণ্যের কেবল একটি অংশ পরিষ্কার করা হবে। কিন্তু আপনি যে পরিকাঠামো তৈরি করছেন, তা আরও দূষণ সৃষ্টি করবে, যা পুরো বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করবে।’ বলেন পরিবেশবিদ মাধব গাড়গিল।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বিবিসির প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি।
তবে পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব গত আগস্টে বলেছিলেন, এই প্রকল্পে ‘কোনো জনগোষ্ঠীকে বিরক্ত বা স্থানান্তর করবে না’ এবং ‘কঠোর পরিবেশগত মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা’ গ্রহণের পরই এটি অনুমোদন পেয়েছে।
তবুও, সবাই এই আশ্বাসে সন্তুষ্ট নয়।
এ বছরের শুরুর দিকে, সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার ৩৯ জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেছিলেন যে এই উন্নয়ন প্রকল্প শোম্পেন জনগোষ্ঠীর জন্য একটি ‘মৃত্যুদণ্ড’ হয়ে উঠতে পারে, কারণ এটি তাদের বাসস্থান ধ্বংস করবে।
এই আশঙ্কা মি. জাস্টিনকেও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ‘শোম্পেন জনগোষ্ঠীর শিল্পবিশ্বের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জ্ঞান বা উপায় নেই।’
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে এই জনগোষ্ঠীও হয়তো নিকোবারিজদের মতো ভাগ্যের শিকার হতে পারে। নিকোবারিজরা দ্বীপের সবচেয়ে বড় জনজাতি এবং ২০০৪ সালের ভারত মহাসাগরের ভয়াবহ সুনামির সময় তাদের গ্রাম ধ্বংস হয়ে যায়, যার ফলে তারা বাস্তুচ্যুত হয়।
বছরের পর বছর ধরে সরকার তাদের অন্য অঞ্চলে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করেছে, তবে সেটিও একটি মূল্য দিয়ে এসেছে।
‘এখানকার বেশির ভাগ নিকোবারিজ এখন শ্রমিক এবং তাদের পূর্বপুরুষের জমির বদলে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে বসবাস করছে,’ বলেন মি. জাস্টিন, ‘তাদের আর ফসল চাষ বা প্রাণী পালনের কোনো জায়গা নেই।’
এই প্রকল্পটি শোম্পেন জনগোষ্ঠীকে রোগের ঝুঁকিতেও ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংরক্ষণ সংস্থা সারভাইভাল ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা ক্যালাম রাসেল বলেন, ‘বাইরের সংস্পর্শহীন জনগোষ্ঠীর ফ্লু বা হাম জাতীয় রোগের প্রতি খুব কম বা কোনো প্রতিরোধক্ষমতাই থাকে না, যা তাদের ধ্বংস করে দিতে পারে। সাধারণত সংস্পর্শের পরে তাদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জনগণ হারিয়ে যায়।’
এই প্রকল্পটি দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত গ্যালাথিয়া উপসাগরে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। অঞ্চলটি শত শত বছর ধরে বিশালাকার লেদারব্যাক সামুদ্রিক কচ্ছপের বাসা বাঁধার স্থান।
সামাজিক পরিবেশবিদ ড. মণীশ চান্ডি বলছেন, প্রকল্পটি নোনা পানির কুমির, দ্বীপের গুইসাপ, মাছ এবং পাখিদের ওপরও প্রভাব ফেলবে।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব প্রজাতির বাসা বাঁধা ও প্রজননস্থল পরিবর্তন করা হবে না।
তবে ড. চান্ডি উল্লেখ করেছেন, এই এলাকায় আরও অনেক প্রজাতি রয়েছে, যারা বড় সংখ্যায় এখানে বাসা বাঁধে। তিনি বলেন, ‘সরকার এমন স্থানে প্রবাল স্থানান্তরের প্রস্তাব করছে, যেখানে তারা প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায় না। তবে অন্য প্রজাতিদের কী করা হবে?’
যদিও প্রকল্পটি শেষ হতে ৩০ বছর সময় লাগবে। তবে এটি পরিবেশ এবং দ্বীপের আদিবাসী জনগণের জীবনের সূক্ষ্ম ভারসাম্যের অপূরণীয় পরিবর্তন করে দেওয়ার আশঙ্কায় ইতিমধ্যে উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদ এবং স্থানীয় অধিবাসীরা।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২০ ঘণ্টা আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
১ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
২ দিন আগেখুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
ভারত গ্রেট নিকোবর দ্বীপে একটি বড় ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে। ৭২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পটি ১৬৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে একটি পোতাশ্রয়, একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, একটি বিমানবন্দর এবং একটি নতুন শহর। কিন্তু প্রকল্পটি দ্বীপবাসীদের মধ্যে উদ্বেগের স
০৯ ডিসেম্বর ২০২৪নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
১ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
২ দিন আগেখুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে চলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু আবহাওয়ার আচরণ অনেকটাই গ্রীষ্মকালের মতো। কয়েক দিন ধরে সকালে সূর্যের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেলের আগপর্যন্ত এর তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে।
নিম্নচাপ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২১ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, মধ্য অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কমে গেছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ পড়বে সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সোমবার সকাল ৭টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, আর সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৫ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাসে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যে ধরনের গরম পড়ছে সেটি বৃষ্টি কমে যাওয়ার জন্য হয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসের এই সময় মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কম হয়। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত মনে হচ্ছে কালকের (২১ অক্টোবর) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে শীতের আমেজ পড়বে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সূর্যের দক্ষিণায়ন (দক্ষিণ দিকে হেলে পড়া) এখনো পুরোপুরি হয়নি। এই দক্ষিণায়ন হলে দিনের ব্যাপ্তি আরও কমবে, তাপমাত্রা তখন কমে শীতও বাড়বে।
বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে চলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু আবহাওয়ার আচরণ অনেকটাই গ্রীষ্মকালের মতো। কয়েক দিন ধরে সকালে সূর্যের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেলের আগপর্যন্ত এর তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে।
নিম্নচাপ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২১ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, মধ্য অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কমে গেছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ পড়বে সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সোমবার সকাল ৭টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, আর সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৫ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাসে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যে ধরনের গরম পড়ছে সেটি বৃষ্টি কমে যাওয়ার জন্য হয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসের এই সময় মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কম হয়। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত মনে হচ্ছে কালকের (২১ অক্টোবর) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে শীতের আমেজ পড়বে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সূর্যের দক্ষিণায়ন (দক্ষিণ দিকে হেলে পড়া) এখনো পুরোপুরি হয়নি। এই দক্ষিণায়ন হলে দিনের ব্যাপ্তি আরও কমবে, তাপমাত্রা তখন কমে শীতও বাড়বে।
ভারত গ্রেট নিকোবর দ্বীপে একটি বড় ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে। ৭২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পটি ১৬৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে একটি পোতাশ্রয়, একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, একটি বিমানবন্দর এবং একটি নতুন শহর। কিন্তু প্রকল্পটি দ্বীপবাসীদের মধ্যে উদ্বেগের স
০৯ ডিসেম্বর ২০২৪বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২০ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
২ দিন আগেখুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। যা গতকাল শনিবার ৯টা ১৫ মিনিটে ছিল ১৭২। সে অনুযায়ী বলা যায় আজ দূষণ কিছুটা কমতির দিকে।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ঢাকা রয়েছে ৭ম স্থানে। গতকাল ছিল ৪র্থ স্থানে।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ৩১১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের করাচি ও ভিয়েতনামের হ্যানয়। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪১, ১৯০, ১৭৭ ও ১৫৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। যা গতকাল শনিবার ৯টা ১৫ মিনিটে ছিল ১৭২। সে অনুযায়ী বলা যায় আজ দূষণ কিছুটা কমতির দিকে।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ঢাকা রয়েছে ৭ম স্থানে। গতকাল ছিল ৪র্থ স্থানে।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ৩১১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের করাচি ও ভিয়েতনামের হ্যানয়। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪১, ১৯০, ১৭৭ ও ১৫৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
ভারত গ্রেট নিকোবর দ্বীপে একটি বড় ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে। ৭২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পটি ১৬৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে একটি পোতাশ্রয়, একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, একটি বিমানবন্দর এবং একটি নতুন শহর। কিন্তু প্রকল্পটি দ্বীপবাসীদের মধ্যে উদ্বেগের স
০৯ ডিসেম্বর ২০২৪বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২০ ঘণ্টা আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
১ দিন আগেখুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
কার্তিক মাস চলে এলেও বেশ ভ্যাপসা গরম পড়েছে সারা দেশে। গতকাল শনিবার সিলেটে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ৩৫ দশমিক ৭। আজ রোববারও আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তন হবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশের আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাস চলে এলেও বেশ ভ্যাপসা গরম পড়েছে সারা দেশে। গতকাল শনিবার সিলেটে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ৩৫ দশমিক ৭। আজ রোববারও আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তন হবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশের আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ভারত গ্রেট নিকোবর দ্বীপে একটি বড় ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে। ৭২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পটি ১৬৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে একটি পোতাশ্রয়, একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, একটি বিমানবন্দর এবং একটি নতুন শহর। কিন্তু প্রকল্পটি দ্বীপবাসীদের মধ্যে উদ্বেগের স
০৯ ডিসেম্বর ২০২৪বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২০ ঘণ্টা আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
১ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
২ দিন আগে