গনেশ দাস, বগুড়া

তিন দশক আগেও নদীগুলোতে ছিল পানির প্রবাহ। ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছে ভরপুর। সেই নদীগুলো এখন মরা খাল। নদীর কোথাও চাষ হচ্ছে ফসল, আবার কোথাও সামান্য পানি থাকলেও তা ময়লা-আবর্জনা, কারখানার তরল বর্জ্যে দূষিত হয়ে কালো কুচকুচে রং ধারণ করেছে। এ দৃশ্য বগুড়ার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৮টি নদীর।
নদী গবেষকেরা জানান, ১০০ বছর আগেও বগুড়ায় নদী ছিল ৩০টির মতো। এখন কাগজে-কলমে ১৮টি বলা হলেও বাস্তবে ১০-১২টি নদী আছে, সেগুলোও এখন মরা খাল। সরেজমিনে দেখা গেছে, বগুড়ার প্রধান তিনটি নদী যমুনা, বাঙ্গালী ও করতোয়ার অবস্থা শোচনীয়। কোথাও সামান্য পানি থাকলেও বাঙ্গালী ও যমুনা নদীর বুকজুড়ে বিশাল বালুচর।
সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনাপারের বাসিন্দা হাসেম আলী বলেন, ৩০ বছর আগেও যমুনা নদীতে ছিল প্রচুর মাছ। সারা বছরই নদীতে মিলত দেশি প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের মাছ। অসংখ্য পরিবারের পেশা ছিল নদী থেকে মাছ ধরে বিক্রি করা। সেই নদী নামে থাকলেও এখন পানি নেই। ধু-ধু বালুচর। নদীতে মাছ নেই বললেই চলে।
একই অবস্থা বাঙ্গালী নদীর। তীরের বাসিন্দারা বলেন, বাঙ্গালী নদীতে পাওয়া যেত দেশি প্রজাতির ছোট ছোট মাছ। তাঁদের অনেকেই মাছ কিনে খেতেন না। এখন মাছ তো দূরের কথা, নদীতে গবাদিপশু গোসল করানোর মতো পানি নেই। বগুড়া শহরতলির বেজোড়া গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কর জানান, তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে প্রবাহিত করতোয়া নদী দিয়ে পালতোলা নৌকা যেতে দেখেছেন একসময়। শীতকালে নদীর তীরসংলগ্ন অল্প পানিতে বিভিন্ন গাছের ডালপালা দিয়ে রাখতেন। চৈত্র মাসে ঘেরজাল দিয়ে ঘিরে ডালপালা সরিয়ে মাছ ধরতেন। শুষ্ক মৌসুমে গ্রামের শত শত মানুষ মাছ ধরতে নামতেন। এখন নদীতে সামান্য পানি থাকলেও তা এতটাই দূষিত, গোসল করালে গরুরও চর্মরোগ দেখা দেয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদী রয়েছে ১৮টি। নিরঞ্জন এবং বেহুলার খাড়ি নামক দুটি নদীর নাম কাগজে পাওয়া গেলেও বাস্তবে কোনো চিহ্ন নেই। যে ১৮টি নদী দেখা যায়, সেগুলো হচ্ছে যমুনা, বাঙ্গালী, করতোয়া, নাগর, ইছামতী, ভদ্রাবতী, চন্দ্রাবতী, হলহলিয়া, মহিষাবান, সুখদহ, ডাকুরিয়া, বেলাই, গাংনাই, গজারিয়া, মানাস, বানিয়াজান, ইরামতি ও ভোলকা। এর মধ্যে প্রধান তিনটি—যমুনা, বাঙ্গালী ও করতোয়া নদীর অবস্থা করুণ। যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে শুষ্ক মৌসুমে বিশাল চর জেগে ওঠে। পানি না থাকায় নৌযান চলে না শুষ্ক মৌসুমে।
করতোয়া নদী দখলদারদের কবলে পড়ে নালায় পরিণত হয়েছে। তবে তারা নদীগুলো রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ভদ্রাবতী, সুখদহ, বানিয়াজানসহ কয়েকটি নদী খনন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নদীগুলো খনন করে নাব্যতা ফিরে আনার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু নদীর পুরো অংশ খনন না করায় এই নদীগুলোতে বর্তমানে পানি নেই।
নদী গবেষক ও বগুড়া সরকারি মজিবর রহমান মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. বেলাল হোসেন জানান, ৫০০ বছর আগে বগুড়ায় ১০০টির বেশি নদী ছিল। আর ১০০ বছর আগেও নদী ছিল ৩০টি। প্রাকৃতিক বিপর্যয়, জলবায়ু পরিবর্তন, দখল এবং উজানে বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়াসহ নানা কারণে নদীগুলো মরা খালে পরিণত হয়েছে।
বেলাল হোসেন বলেন, ‘এই অঞ্চলের অধিকাংশ বড় নদীগুলোর উৎপত্তি ভারত থেকে। ভারত আমাদের উজানে থাকায় তারা বাঁধ দিয়ে নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ভাটির দিকে নদীগুলো মরে যাচ্ছে। সেই সুযোগে নদী দখল করে কলকারখানা স্থাপন, বাড়িঘর নির্মাণ, অপরিকল্পিতভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করে নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’
পাউবো বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, চলতি মৌসুমে করতোয়া নদী ছাড়া আরও দুটি খাল খননের প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। ৪৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে করতোয়া নদীর ১৭ কিলোমিটার ও দুটি খালের খননকাজ শুরু হয়েছে। নদীগুলোর পানির প্রবাহ ধরে রাখতে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন।

তিন দশক আগেও নদীগুলোতে ছিল পানির প্রবাহ। ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছে ভরপুর। সেই নদীগুলো এখন মরা খাল। নদীর কোথাও চাষ হচ্ছে ফসল, আবার কোথাও সামান্য পানি থাকলেও তা ময়লা-আবর্জনা, কারখানার তরল বর্জ্যে দূষিত হয়ে কালো কুচকুচে রং ধারণ করেছে। এ দৃশ্য বগুড়ার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৮টি নদীর।
নদী গবেষকেরা জানান, ১০০ বছর আগেও বগুড়ায় নদী ছিল ৩০টির মতো। এখন কাগজে-কলমে ১৮টি বলা হলেও বাস্তবে ১০-১২টি নদী আছে, সেগুলোও এখন মরা খাল। সরেজমিনে দেখা গেছে, বগুড়ার প্রধান তিনটি নদী যমুনা, বাঙ্গালী ও করতোয়ার অবস্থা শোচনীয়। কোথাও সামান্য পানি থাকলেও বাঙ্গালী ও যমুনা নদীর বুকজুড়ে বিশাল বালুচর।
সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনাপারের বাসিন্দা হাসেম আলী বলেন, ৩০ বছর আগেও যমুনা নদীতে ছিল প্রচুর মাছ। সারা বছরই নদীতে মিলত দেশি প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের মাছ। অসংখ্য পরিবারের পেশা ছিল নদী থেকে মাছ ধরে বিক্রি করা। সেই নদী নামে থাকলেও এখন পানি নেই। ধু-ধু বালুচর। নদীতে মাছ নেই বললেই চলে।
একই অবস্থা বাঙ্গালী নদীর। তীরের বাসিন্দারা বলেন, বাঙ্গালী নদীতে পাওয়া যেত দেশি প্রজাতির ছোট ছোট মাছ। তাঁদের অনেকেই মাছ কিনে খেতেন না। এখন মাছ তো দূরের কথা, নদীতে গবাদিপশু গোসল করানোর মতো পানি নেই। বগুড়া শহরতলির বেজোড়া গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কর জানান, তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে প্রবাহিত করতোয়া নদী দিয়ে পালতোলা নৌকা যেতে দেখেছেন একসময়। শীতকালে নদীর তীরসংলগ্ন অল্প পানিতে বিভিন্ন গাছের ডালপালা দিয়ে রাখতেন। চৈত্র মাসে ঘেরজাল দিয়ে ঘিরে ডালপালা সরিয়ে মাছ ধরতেন। শুষ্ক মৌসুমে গ্রামের শত শত মানুষ মাছ ধরতে নামতেন। এখন নদীতে সামান্য পানি থাকলেও তা এতটাই দূষিত, গোসল করালে গরুরও চর্মরোগ দেখা দেয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদী রয়েছে ১৮টি। নিরঞ্জন এবং বেহুলার খাড়ি নামক দুটি নদীর নাম কাগজে পাওয়া গেলেও বাস্তবে কোনো চিহ্ন নেই। যে ১৮টি নদী দেখা যায়, সেগুলো হচ্ছে যমুনা, বাঙ্গালী, করতোয়া, নাগর, ইছামতী, ভদ্রাবতী, চন্দ্রাবতী, হলহলিয়া, মহিষাবান, সুখদহ, ডাকুরিয়া, বেলাই, গাংনাই, গজারিয়া, মানাস, বানিয়াজান, ইরামতি ও ভোলকা। এর মধ্যে প্রধান তিনটি—যমুনা, বাঙ্গালী ও করতোয়া নদীর অবস্থা করুণ। যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে শুষ্ক মৌসুমে বিশাল চর জেগে ওঠে। পানি না থাকায় নৌযান চলে না শুষ্ক মৌসুমে।
করতোয়া নদী দখলদারদের কবলে পড়ে নালায় পরিণত হয়েছে। তবে তারা নদীগুলো রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ভদ্রাবতী, সুখদহ, বানিয়াজানসহ কয়েকটি নদী খনন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নদীগুলো খনন করে নাব্যতা ফিরে আনার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু নদীর পুরো অংশ খনন না করায় এই নদীগুলোতে বর্তমানে পানি নেই।
নদী গবেষক ও বগুড়া সরকারি মজিবর রহমান মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. বেলাল হোসেন জানান, ৫০০ বছর আগে বগুড়ায় ১০০টির বেশি নদী ছিল। আর ১০০ বছর আগেও নদী ছিল ৩০টি। প্রাকৃতিক বিপর্যয়, জলবায়ু পরিবর্তন, দখল এবং উজানে বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়াসহ নানা কারণে নদীগুলো মরা খালে পরিণত হয়েছে।
বেলাল হোসেন বলেন, ‘এই অঞ্চলের অধিকাংশ বড় নদীগুলোর উৎপত্তি ভারত থেকে। ভারত আমাদের উজানে থাকায় তারা বাঁধ দিয়ে নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ভাটির দিকে নদীগুলো মরে যাচ্ছে। সেই সুযোগে নদী দখল করে কলকারখানা স্থাপন, বাড়িঘর নির্মাণ, অপরিকল্পিতভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করে নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’
পাউবো বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, চলতি মৌসুমে করতোয়া নদী ছাড়া আরও দুটি খাল খননের প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। ৪৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে করতোয়া নদীর ১৭ কিলোমিটার ও দুটি খালের খননকাজ শুরু হয়েছে। নদীগুলোর পানির প্রবাহ ধরে রাখতে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন।
গনেশ দাস, বগুড়া

তিন দশক আগেও নদীগুলোতে ছিল পানির প্রবাহ। ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছে ভরপুর। সেই নদীগুলো এখন মরা খাল। নদীর কোথাও চাষ হচ্ছে ফসল, আবার কোথাও সামান্য পানি থাকলেও তা ময়লা-আবর্জনা, কারখানার তরল বর্জ্যে দূষিত হয়ে কালো কুচকুচে রং ধারণ করেছে। এ দৃশ্য বগুড়ার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৮টি নদীর।
নদী গবেষকেরা জানান, ১০০ বছর আগেও বগুড়ায় নদী ছিল ৩০টির মতো। এখন কাগজে-কলমে ১৮টি বলা হলেও বাস্তবে ১০-১২টি নদী আছে, সেগুলোও এখন মরা খাল। সরেজমিনে দেখা গেছে, বগুড়ার প্রধান তিনটি নদী যমুনা, বাঙ্গালী ও করতোয়ার অবস্থা শোচনীয়। কোথাও সামান্য পানি থাকলেও বাঙ্গালী ও যমুনা নদীর বুকজুড়ে বিশাল বালুচর।
সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনাপারের বাসিন্দা হাসেম আলী বলেন, ৩০ বছর আগেও যমুনা নদীতে ছিল প্রচুর মাছ। সারা বছরই নদীতে মিলত দেশি প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের মাছ। অসংখ্য পরিবারের পেশা ছিল নদী থেকে মাছ ধরে বিক্রি করা। সেই নদী নামে থাকলেও এখন পানি নেই। ধু-ধু বালুচর। নদীতে মাছ নেই বললেই চলে।
একই অবস্থা বাঙ্গালী নদীর। তীরের বাসিন্দারা বলেন, বাঙ্গালী নদীতে পাওয়া যেত দেশি প্রজাতির ছোট ছোট মাছ। তাঁদের অনেকেই মাছ কিনে খেতেন না। এখন মাছ তো দূরের কথা, নদীতে গবাদিপশু গোসল করানোর মতো পানি নেই। বগুড়া শহরতলির বেজোড়া গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কর জানান, তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে প্রবাহিত করতোয়া নদী দিয়ে পালতোলা নৌকা যেতে দেখেছেন একসময়। শীতকালে নদীর তীরসংলগ্ন অল্প পানিতে বিভিন্ন গাছের ডালপালা দিয়ে রাখতেন। চৈত্র মাসে ঘেরজাল দিয়ে ঘিরে ডালপালা সরিয়ে মাছ ধরতেন। শুষ্ক মৌসুমে গ্রামের শত শত মানুষ মাছ ধরতে নামতেন। এখন নদীতে সামান্য পানি থাকলেও তা এতটাই দূষিত, গোসল করালে গরুরও চর্মরোগ দেখা দেয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদী রয়েছে ১৮টি। নিরঞ্জন এবং বেহুলার খাড়ি নামক দুটি নদীর নাম কাগজে পাওয়া গেলেও বাস্তবে কোনো চিহ্ন নেই। যে ১৮টি নদী দেখা যায়, সেগুলো হচ্ছে যমুনা, বাঙ্গালী, করতোয়া, নাগর, ইছামতী, ভদ্রাবতী, চন্দ্রাবতী, হলহলিয়া, মহিষাবান, সুখদহ, ডাকুরিয়া, বেলাই, গাংনাই, গজারিয়া, মানাস, বানিয়াজান, ইরামতি ও ভোলকা। এর মধ্যে প্রধান তিনটি—যমুনা, বাঙ্গালী ও করতোয়া নদীর অবস্থা করুণ। যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে শুষ্ক মৌসুমে বিশাল চর জেগে ওঠে। পানি না থাকায় নৌযান চলে না শুষ্ক মৌসুমে।
করতোয়া নদী দখলদারদের কবলে পড়ে নালায় পরিণত হয়েছে। তবে তারা নদীগুলো রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ভদ্রাবতী, সুখদহ, বানিয়াজানসহ কয়েকটি নদী খনন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নদীগুলো খনন করে নাব্যতা ফিরে আনার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু নদীর পুরো অংশ খনন না করায় এই নদীগুলোতে বর্তমানে পানি নেই।
নদী গবেষক ও বগুড়া সরকারি মজিবর রহমান মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. বেলাল হোসেন জানান, ৫০০ বছর আগে বগুড়ায় ১০০টির বেশি নদী ছিল। আর ১০০ বছর আগেও নদী ছিল ৩০টি। প্রাকৃতিক বিপর্যয়, জলবায়ু পরিবর্তন, দখল এবং উজানে বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়াসহ নানা কারণে নদীগুলো মরা খালে পরিণত হয়েছে।
বেলাল হোসেন বলেন, ‘এই অঞ্চলের অধিকাংশ বড় নদীগুলোর উৎপত্তি ভারত থেকে। ভারত আমাদের উজানে থাকায় তারা বাঁধ দিয়ে নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ভাটির দিকে নদীগুলো মরে যাচ্ছে। সেই সুযোগে নদী দখল করে কলকারখানা স্থাপন, বাড়িঘর নির্মাণ, অপরিকল্পিতভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করে নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’
পাউবো বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, চলতি মৌসুমে করতোয়া নদী ছাড়া আরও দুটি খাল খননের প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। ৪৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে করতোয়া নদীর ১৭ কিলোমিটার ও দুটি খালের খননকাজ শুরু হয়েছে। নদীগুলোর পানির প্রবাহ ধরে রাখতে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন।

তিন দশক আগেও নদীগুলোতে ছিল পানির প্রবাহ। ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছে ভরপুর। সেই নদীগুলো এখন মরা খাল। নদীর কোথাও চাষ হচ্ছে ফসল, আবার কোথাও সামান্য পানি থাকলেও তা ময়লা-আবর্জনা, কারখানার তরল বর্জ্যে দূষিত হয়ে কালো কুচকুচে রং ধারণ করেছে। এ দৃশ্য বগুড়ার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৮টি নদীর।
নদী গবেষকেরা জানান, ১০০ বছর আগেও বগুড়ায় নদী ছিল ৩০টির মতো। এখন কাগজে-কলমে ১৮টি বলা হলেও বাস্তবে ১০-১২টি নদী আছে, সেগুলোও এখন মরা খাল। সরেজমিনে দেখা গেছে, বগুড়ার প্রধান তিনটি নদী যমুনা, বাঙ্গালী ও করতোয়ার অবস্থা শোচনীয়। কোথাও সামান্য পানি থাকলেও বাঙ্গালী ও যমুনা নদীর বুকজুড়ে বিশাল বালুচর।
সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনাপারের বাসিন্দা হাসেম আলী বলেন, ৩০ বছর আগেও যমুনা নদীতে ছিল প্রচুর মাছ। সারা বছরই নদীতে মিলত দেশি প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের মাছ। অসংখ্য পরিবারের পেশা ছিল নদী থেকে মাছ ধরে বিক্রি করা। সেই নদী নামে থাকলেও এখন পানি নেই। ধু-ধু বালুচর। নদীতে মাছ নেই বললেই চলে।
একই অবস্থা বাঙ্গালী নদীর। তীরের বাসিন্দারা বলেন, বাঙ্গালী নদীতে পাওয়া যেত দেশি প্রজাতির ছোট ছোট মাছ। তাঁদের অনেকেই মাছ কিনে খেতেন না। এখন মাছ তো দূরের কথা, নদীতে গবাদিপশু গোসল করানোর মতো পানি নেই। বগুড়া শহরতলির বেজোড়া গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কর জানান, তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে প্রবাহিত করতোয়া নদী দিয়ে পালতোলা নৌকা যেতে দেখেছেন একসময়। শীতকালে নদীর তীরসংলগ্ন অল্প পানিতে বিভিন্ন গাছের ডালপালা দিয়ে রাখতেন। চৈত্র মাসে ঘেরজাল দিয়ে ঘিরে ডালপালা সরিয়ে মাছ ধরতেন। শুষ্ক মৌসুমে গ্রামের শত শত মানুষ মাছ ধরতে নামতেন। এখন নদীতে সামান্য পানি থাকলেও তা এতটাই দূষিত, গোসল করালে গরুরও চর্মরোগ দেখা দেয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদী রয়েছে ১৮টি। নিরঞ্জন এবং বেহুলার খাড়ি নামক দুটি নদীর নাম কাগজে পাওয়া গেলেও বাস্তবে কোনো চিহ্ন নেই। যে ১৮টি নদী দেখা যায়, সেগুলো হচ্ছে যমুনা, বাঙ্গালী, করতোয়া, নাগর, ইছামতী, ভদ্রাবতী, চন্দ্রাবতী, হলহলিয়া, মহিষাবান, সুখদহ, ডাকুরিয়া, বেলাই, গাংনাই, গজারিয়া, মানাস, বানিয়াজান, ইরামতি ও ভোলকা। এর মধ্যে প্রধান তিনটি—যমুনা, বাঙ্গালী ও করতোয়া নদীর অবস্থা করুণ। যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে শুষ্ক মৌসুমে বিশাল চর জেগে ওঠে। পানি না থাকায় নৌযান চলে না শুষ্ক মৌসুমে।
করতোয়া নদী দখলদারদের কবলে পড়ে নালায় পরিণত হয়েছে। তবে তারা নদীগুলো রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ভদ্রাবতী, সুখদহ, বানিয়াজানসহ কয়েকটি নদী খনন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নদীগুলো খনন করে নাব্যতা ফিরে আনার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু নদীর পুরো অংশ খনন না করায় এই নদীগুলোতে বর্তমানে পানি নেই।
নদী গবেষক ও বগুড়া সরকারি মজিবর রহমান মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. বেলাল হোসেন জানান, ৫০০ বছর আগে বগুড়ায় ১০০টির বেশি নদী ছিল। আর ১০০ বছর আগেও নদী ছিল ৩০টি। প্রাকৃতিক বিপর্যয়, জলবায়ু পরিবর্তন, দখল এবং উজানে বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়াসহ নানা কারণে নদীগুলো মরা খালে পরিণত হয়েছে।
বেলাল হোসেন বলেন, ‘এই অঞ্চলের অধিকাংশ বড় নদীগুলোর উৎপত্তি ভারত থেকে। ভারত আমাদের উজানে থাকায় তারা বাঁধ দিয়ে নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ভাটির দিকে নদীগুলো মরে যাচ্ছে। সেই সুযোগে নদী দখল করে কলকারখানা স্থাপন, বাড়িঘর নির্মাণ, অপরিকল্পিতভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করে নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’
পাউবো বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, চলতি মৌসুমে করতোয়া নদী ছাড়া আরও দুটি খাল খননের প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। ৪৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে করতোয়া নদীর ১৭ কিলোমিটার ও দুটি খালের খননকাজ শুরু হয়েছে। নদীগুলোর পানির প্রবাহ ধরে রাখতে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
৩৭ মিনিট আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
১ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
১ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

তিন দশক আগেও নদীগুলোতে ছিল পানির প্রবাহ। ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছে ভরপুর। সেই নদীগুলো এখন মরা খাল। নদীর কোথাও চাষ হচ্ছে ফসল, আবার কোথাও সামান্য পানি থাকলেও তা ময়লা-আবর্জনা, কারখানার তরল বর্জ্যে দূষিত হয়ে কালো কুচকুচে রং ধারণ করেছে। এ দৃশ্য বগুড়ার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৮টি নদীর।
১৯ মার্চ ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
১ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
১ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

তিন দশক আগেও নদীগুলোতে ছিল পানির প্রবাহ। ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছে ভরপুর। সেই নদীগুলো এখন মরা খাল। নদীর কোথাও চাষ হচ্ছে ফসল, আবার কোথাও সামান্য পানি থাকলেও তা ময়লা-আবর্জনা, কারখানার তরল বর্জ্যে দূষিত হয়ে কালো কুচকুচে রং ধারণ করেছে। এ দৃশ্য বগুড়ার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৮টি নদীর।
১৯ মার্চ ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
৩৭ মিনিট আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
১ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

তিন দশক আগেও নদীগুলোতে ছিল পানির প্রবাহ। ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছে ভরপুর। সেই নদীগুলো এখন মরা খাল। নদীর কোথাও চাষ হচ্ছে ফসল, আবার কোথাও সামান্য পানি থাকলেও তা ময়লা-আবর্জনা, কারখানার তরল বর্জ্যে দূষিত হয়ে কালো কুচকুচে রং ধারণ করেছে। এ দৃশ্য বগুড়ার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৮টি নদীর।
১৯ মার্চ ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
৩৭ মিনিট আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
১ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

তিন দশক আগেও নদীগুলোতে ছিল পানির প্রবাহ। ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছে ভরপুর। সেই নদীগুলো এখন মরা খাল। নদীর কোথাও চাষ হচ্ছে ফসল, আবার কোথাও সামান্য পানি থাকলেও তা ময়লা-আবর্জনা, কারখানার তরল বর্জ্যে দূষিত হয়ে কালো কুচকুচে রং ধারণ করেছে। এ দৃশ্য বগুড়ার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৮টি নদীর।
১৯ মার্চ ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
৩৭ মিনিট আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
১ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
১ দিন আগে