Ajker Patrika

টেমস নদীতে বিষধর হাঙরের বিচরণ কিসের ইঙ্গিত

টেমস নদীতে বিষধর হাঙরের বিচরণ কিসের ইঙ্গিত

লন্ডনের বিখ্যাত নদী টেমস নিয়ে তো গল্প কবিতার শেষ নেই। তবে সাম্প্রতিককালে গল্প কল্পনার চেয়েও রোমাঞ্চকর খবর পাওয়া যাচ্ছে। সিন্ধুঘটক, ইল (বাইম জাতীয়), সিলসহ আরও বেশ কয়েক প্রজাতির জলজ প্রাণী দেখা যাচ্ছে। এবার আরও অবাক করেছে এক প্রজাতির হাঙর। বিষধর হাঙর দেখা গেছে টেমসের জলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নানা প্রজাতির জলজ প্রাণীর এই বিচরণই প্রমাণ করে টেমসের শরীর সেরে উঠছে।

গত বুধবার ব্রিটেনের জুয়োলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডন বন্যপ্রাণী নিয়ে এমন বেশ কিছু ইতিবাচক খবর দিয়েছে। তারা বলছে, বাস্তুতন্ত্র ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছে। 

যেখানে ১৯৫৭ সালে ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনের বিখ্যাত নদী টেমসকে ‘জৈবিকভাবে মৃত’ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নদীতে এখন অবাক করা সব জলজ প্রাণীর বিচরণ দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে অবাক করেছে বিষধর হাঙর। অবশ্য বেশ কয়েক প্রজাতির হাঙরই দেখা যাচ্ছে টেমসে। বিষধর এই হাঙর ৬ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। 

যুক্তরাজ্যের ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্টের তথ্য অনুযায়ী, বিষধর টপ শার্কের পাখনায় কাঁটা থাকে। সেটির মাধ্যমেই শিং মাছের মতো বিষ ছাড়তে পারে তারা। এই বিষে মানুষের শরীরে ব্যথা এবং ক্ষতস্থান ফুলে যেতে পারে। তবে বিরক্ত না করলে বা আক্রান্ত না হলে এরা কখনো আক্রমণ করে না। 

অবশ্য টেমসের জোয়ার-ভাটা এলাকায় মাছের প্রজাতি কিছুটা কমে এসেছে। এই ঘটনা বিজ্ঞানীদের ভাবাচ্ছে। 

টেমস নদীর দৈর্ঘ্য ২১৫ মাইল। এই নদীতে মেলে ১১৫টিরও বেশি প্রজাতির মাছ, ৯২ প্রজাতির পাখি। তবে দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তারা হুমকির মুখে। এই নদী খাওয়ার পানি ও খাদ্য সরবরাহ, বহু মানুষের জীবিকা এবং উপকূলীয় বন্যা থেকে দুই পাড়ের বাসিন্দাদের রক্ষা করে আসছে। 

জুয়োলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডন বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে টেমসের পানির তাপমাত্রা প্রতি বছর গড়ে দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বাড়ছে। ১৯১১ সালে পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম শুরুর পর টেমসের পানির গড় উচ্চতাও বেড়েছে। ১৯৯০ সাল থেকে নদীর কিছু পয়েন্টে পানির উচ্চতা প্রতি বছর গড়ে দশমিক ১৭ ইঞ্চি করে বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত