অরূপ রায়, সাভার
ঢাকার ধামরাইয়ে ইটভাটা তৈরিতে ঘুষ দিয়ে মিলছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এভাবে গত ৮ মাসে ধামরাইয়ে ‘বৈধ’ ইটভাটার সংখ্যা বেড়েছে ৩২। একাধিক ইটভাটার মালিক স্বীকার করেছেন, টাকার বিনিময়ে তাঁরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেয়েছেন। আবার একটি ইটভাটার অনুমোদন নিয়ে একাধিক ইটভাটা স্থাপন, ভেঙে দেওয়া ইটভাটা নতুন নামে এই এলাকায় চালু করা হচ্ছে। এতে বাড়ছে পরিবেশদূষণ।
অভিযোগ রয়েছে, ঘুষের বিনিময়ে এসব ইটভাটার বেশির ভাগ পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাইয়ে দিতে কাজ করছেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিমের ভাতিজা রাকিবুল ইসলাম। যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে পরিচয় গোপন করে ইটভাটার মালিকের আত্মীয় পরিচয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বললে ইটভাটার ছাড়পত্র আনিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।
ইটভাটার সংখ্যা যত
তথ্য অধিকার আইনে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরে বিভিন্ন তথ্য চেয়ে আবেদন করা হয়। ওই সব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয়। তথ্য অনুযায়ী ধামরাইয়ে বৈধ ইটভাটার সংখ্যা ৬০ আর অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা ৭৩।
এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর সরবরাহ করা তথ্য অনুযায়ী, ধামরাইয়ে বৈধ ইটভাটা রয়েছে ১২৭টি, আর অবৈধ ইটভাটা ৩৮টি। অর্থাৎ তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ মাসে ধামরাইয়ে অবৈধ ইটভাটা কমেছে ৩৫টি, আর বৈধ ইটভাটা বেড়েছে ৩২টি।
নিয়ম যা বলে
ইটভাটা স্থাপনে প্রথমে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অবস্থানগত ও পরে পরিবেশগত ছাড়পত্র নিতে হয়। এই ছাড়পত্রের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের অনুমোদন নিতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইটভাটার মালিক বলেন, ‘পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকলে জেলা থেকে লাইসেন্স পাওয়া যায় না। লাইসেন্স না থাকলে স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে বছরে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়। এ জন্যই ভাটার মালিকেরা ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা খরচ করে ছাড়পত্র সংগ্রহ করেন। এতে টানা তিন বছর কোনো ঝামেলা ছাড়াই ইট পোড়ানো যায়।’
এ প্রসঙ্গে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইন অনুযায়ী ধামরাইয়ে একটি ইটভাটাও পরিবেশ, অবস্থানগত ছাড়পত্রসহ লাইসেন্স পাওয়ার উপযোগী নয়। এরপরেও নানা প্রেক্ষাপটে ভাটাগুলো ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পেয়ে থাকে।
রাকিবুলের সন্ধান যেভাবে
আইন লঙ্ঘন করে ভাটায় ইট পোড়ানোর দায়ে সম্প্রতি এক মালিককে পরিবেশ অধিদপ্তরে তলব করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইটভাটার মালিক বলেন, ‘আইন অমান্য করে ইট পোড়ানোর দায়ে আমাকে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং ডেকেছিল। সেখানে গেলেই জরিমানা করা হতো। তাই বাধ্য হয়ে আমি পরিবেশ অধিদপ্তরের ডাইরেক্টর অ্যাডমিনের ভাতিজা রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৪ লাখ টাকায় কন্ট্রাক্ট করেছি।’ রাকিবুলের সঙ্গে কীভাবে পরিচয় হয় জানতে চাইলে ওই ইটভাটার মালিক বলেন, ‘রাকিবুল এই এলাকার আরও কয়েকটি ইটভাটার ছাড়পত্র করিয়ে দিয়েছেন। সেই সূত্রে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।’
সূত্র বলছে, ঢাকা ব্রিকস, হোসেন ব্রিক ও ধামরাই ব্রিকস নামের তিনটি ইটভাটার ছাড়পত্র এনে দিয়েছেন রাকিবুল। এ বিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘রাকিবুলের কারণে আমরা খুব চাপে আছি।’
এরপরে পরিচয় গোপন করে কথা বললে টাকার বিনিময়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এনে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন রাকিবুল। তবে ছাড়পত্র এনে দেওয়ার বিষয়টি এ প্রতিবেদকের কাছে অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘না ভাই, আমি এসব করি না।’ এ কথা বলে ফোন কেটে দেন তিনি। রাকিবুলের বিষয়ে কথা বলার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরে তাঁর মোবাইলে নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
একটির অনুমোদনে একাধিক ইটভাটা
ধামরাইয়ে লামিয়া ব্রিকস নামের বিভিন্ন ইউনিয়নে সাতটি ইটভাটা রয়েছে। ডাউটিয়া, ভালুম, কাউলিপাড়া, গোয়ালদি, নান্নার, হাতকোড়া ও নান্দেশ্বরী এলাকায় এসব ভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। এই ইটভাটার মালিক আব্দুল লতিফ বলেন, তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এসব ভাটা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তবে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য থেকে জানা যায়, তাঁর চারটি ইটভাটার অনুমোদন রয়েছে।
নাম বদলে আবারও চালু
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মধুডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ঘনবসতির ১০০ গজের মধ্যে অবস্থিত খান ব্রিকস গুঁড়িয়ে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এই ইটভাটার মালিক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খালেদ মাসুদ খান (লালটু)। তবে তাঁর ভাই সিরাজুল ইসলাম একই জায়গায় সাজেদা ব্রিকস নামে ইটভাটা করছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়টির আশপাশে আরও ৬টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটারও কোনো অনুমোদন নেই। সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যরা যেভাবে করছেন, আমরাও সেভাবেই করছি।’
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু খান ব্রিকস নয়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আরও ৯টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়ে ওই সব ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছিল। প্রায় সব কটি ভাটা নতুন নির্মাণ করে এবার ইট পোড়ানো হচ্ছে। এভাবে বাড়ছে পরিবেশদূষণ।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান বলেন, যত্রতত্র ইটভাটা গড়ে ওঠার কারণে বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। তাই আইন অনুযায়ী যাতে ইটভাটা স্থাপিত হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের তা নিশ্চিত করা উচিত।
ঢাকার ধামরাইয়ে ইটভাটা তৈরিতে ঘুষ দিয়ে মিলছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এভাবে গত ৮ মাসে ধামরাইয়ে ‘বৈধ’ ইটভাটার সংখ্যা বেড়েছে ৩২। একাধিক ইটভাটার মালিক স্বীকার করেছেন, টাকার বিনিময়ে তাঁরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেয়েছেন। আবার একটি ইটভাটার অনুমোদন নিয়ে একাধিক ইটভাটা স্থাপন, ভেঙে দেওয়া ইটভাটা নতুন নামে এই এলাকায় চালু করা হচ্ছে। এতে বাড়ছে পরিবেশদূষণ।
অভিযোগ রয়েছে, ঘুষের বিনিময়ে এসব ইটভাটার বেশির ভাগ পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাইয়ে দিতে কাজ করছেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিমের ভাতিজা রাকিবুল ইসলাম। যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে পরিচয় গোপন করে ইটভাটার মালিকের আত্মীয় পরিচয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বললে ইটভাটার ছাড়পত্র আনিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।
ইটভাটার সংখ্যা যত
তথ্য অধিকার আইনে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরে বিভিন্ন তথ্য চেয়ে আবেদন করা হয়। ওই সব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয়। তথ্য অনুযায়ী ধামরাইয়ে বৈধ ইটভাটার সংখ্যা ৬০ আর অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা ৭৩।
এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর সরবরাহ করা তথ্য অনুযায়ী, ধামরাইয়ে বৈধ ইটভাটা রয়েছে ১২৭টি, আর অবৈধ ইটভাটা ৩৮টি। অর্থাৎ তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ মাসে ধামরাইয়ে অবৈধ ইটভাটা কমেছে ৩৫টি, আর বৈধ ইটভাটা বেড়েছে ৩২টি।
নিয়ম যা বলে
ইটভাটা স্থাপনে প্রথমে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অবস্থানগত ও পরে পরিবেশগত ছাড়পত্র নিতে হয়। এই ছাড়পত্রের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের অনুমোদন নিতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইটভাটার মালিক বলেন, ‘পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকলে জেলা থেকে লাইসেন্স পাওয়া যায় না। লাইসেন্স না থাকলে স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে বছরে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়। এ জন্যই ভাটার মালিকেরা ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা খরচ করে ছাড়পত্র সংগ্রহ করেন। এতে টানা তিন বছর কোনো ঝামেলা ছাড়াই ইট পোড়ানো যায়।’
এ প্রসঙ্গে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইন অনুযায়ী ধামরাইয়ে একটি ইটভাটাও পরিবেশ, অবস্থানগত ছাড়পত্রসহ লাইসেন্স পাওয়ার উপযোগী নয়। এরপরেও নানা প্রেক্ষাপটে ভাটাগুলো ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পেয়ে থাকে।
রাকিবুলের সন্ধান যেভাবে
আইন লঙ্ঘন করে ভাটায় ইট পোড়ানোর দায়ে সম্প্রতি এক মালিককে পরিবেশ অধিদপ্তরে তলব করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইটভাটার মালিক বলেন, ‘আইন অমান্য করে ইট পোড়ানোর দায়ে আমাকে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং ডেকেছিল। সেখানে গেলেই জরিমানা করা হতো। তাই বাধ্য হয়ে আমি পরিবেশ অধিদপ্তরের ডাইরেক্টর অ্যাডমিনের ভাতিজা রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৪ লাখ টাকায় কন্ট্রাক্ট করেছি।’ রাকিবুলের সঙ্গে কীভাবে পরিচয় হয় জানতে চাইলে ওই ইটভাটার মালিক বলেন, ‘রাকিবুল এই এলাকার আরও কয়েকটি ইটভাটার ছাড়পত্র করিয়ে দিয়েছেন। সেই সূত্রে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।’
সূত্র বলছে, ঢাকা ব্রিকস, হোসেন ব্রিক ও ধামরাই ব্রিকস নামের তিনটি ইটভাটার ছাড়পত্র এনে দিয়েছেন রাকিবুল। এ বিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘রাকিবুলের কারণে আমরা খুব চাপে আছি।’
এরপরে পরিচয় গোপন করে কথা বললে টাকার বিনিময়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এনে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন রাকিবুল। তবে ছাড়পত্র এনে দেওয়ার বিষয়টি এ প্রতিবেদকের কাছে অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘না ভাই, আমি এসব করি না।’ এ কথা বলে ফোন কেটে দেন তিনি। রাকিবুলের বিষয়ে কথা বলার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরে তাঁর মোবাইলে নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
একটির অনুমোদনে একাধিক ইটভাটা
ধামরাইয়ে লামিয়া ব্রিকস নামের বিভিন্ন ইউনিয়নে সাতটি ইটভাটা রয়েছে। ডাউটিয়া, ভালুম, কাউলিপাড়া, গোয়ালদি, নান্নার, হাতকোড়া ও নান্দেশ্বরী এলাকায় এসব ভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। এই ইটভাটার মালিক আব্দুল লতিফ বলেন, তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এসব ভাটা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তবে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য থেকে জানা যায়, তাঁর চারটি ইটভাটার অনুমোদন রয়েছে।
নাম বদলে আবারও চালু
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মধুডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ঘনবসতির ১০০ গজের মধ্যে অবস্থিত খান ব্রিকস গুঁড়িয়ে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এই ইটভাটার মালিক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খালেদ মাসুদ খান (লালটু)। তবে তাঁর ভাই সিরাজুল ইসলাম একই জায়গায় সাজেদা ব্রিকস নামে ইটভাটা করছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়টির আশপাশে আরও ৬টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটারও কোনো অনুমোদন নেই। সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যরা যেভাবে করছেন, আমরাও সেভাবেই করছি।’
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু খান ব্রিকস নয়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আরও ৯টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়ে ওই সব ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছিল। প্রায় সব কটি ভাটা নতুন নির্মাণ করে এবার ইট পোড়ানো হচ্ছে। এভাবে বাড়ছে পরিবেশদূষণ।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান বলেন, যত্রতত্র ইটভাটা গড়ে ওঠার কারণে বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। তাই আইন অনুযায়ী যাতে ইটভাটা স্থাপিত হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের তা নিশ্চিত করা উচিত।
অরূপ রায়, সাভার
ঢাকার ধামরাইয়ে ইটভাটা তৈরিতে ঘুষ দিয়ে মিলছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এভাবে গত ৮ মাসে ধামরাইয়ে ‘বৈধ’ ইটভাটার সংখ্যা বেড়েছে ৩২। একাধিক ইটভাটার মালিক স্বীকার করেছেন, টাকার বিনিময়ে তাঁরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেয়েছেন। আবার একটি ইটভাটার অনুমোদন নিয়ে একাধিক ইটভাটা স্থাপন, ভেঙে দেওয়া ইটভাটা নতুন নামে এই এলাকায় চালু করা হচ্ছে। এতে বাড়ছে পরিবেশদূষণ।
অভিযোগ রয়েছে, ঘুষের বিনিময়ে এসব ইটভাটার বেশির ভাগ পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাইয়ে দিতে কাজ করছেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিমের ভাতিজা রাকিবুল ইসলাম। যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে পরিচয় গোপন করে ইটভাটার মালিকের আত্মীয় পরিচয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বললে ইটভাটার ছাড়পত্র আনিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।
ইটভাটার সংখ্যা যত
তথ্য অধিকার আইনে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরে বিভিন্ন তথ্য চেয়ে আবেদন করা হয়। ওই সব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয়। তথ্য অনুযায়ী ধামরাইয়ে বৈধ ইটভাটার সংখ্যা ৬০ আর অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা ৭৩।
এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর সরবরাহ করা তথ্য অনুযায়ী, ধামরাইয়ে বৈধ ইটভাটা রয়েছে ১২৭টি, আর অবৈধ ইটভাটা ৩৮টি। অর্থাৎ তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ মাসে ধামরাইয়ে অবৈধ ইটভাটা কমেছে ৩৫টি, আর বৈধ ইটভাটা বেড়েছে ৩২টি।
নিয়ম যা বলে
ইটভাটা স্থাপনে প্রথমে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অবস্থানগত ও পরে পরিবেশগত ছাড়পত্র নিতে হয়। এই ছাড়পত্রের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের অনুমোদন নিতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইটভাটার মালিক বলেন, ‘পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকলে জেলা থেকে লাইসেন্স পাওয়া যায় না। লাইসেন্স না থাকলে স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে বছরে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়। এ জন্যই ভাটার মালিকেরা ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা খরচ করে ছাড়পত্র সংগ্রহ করেন। এতে টানা তিন বছর কোনো ঝামেলা ছাড়াই ইট পোড়ানো যায়।’
এ প্রসঙ্গে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইন অনুযায়ী ধামরাইয়ে একটি ইটভাটাও পরিবেশ, অবস্থানগত ছাড়পত্রসহ লাইসেন্স পাওয়ার উপযোগী নয়। এরপরেও নানা প্রেক্ষাপটে ভাটাগুলো ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পেয়ে থাকে।
রাকিবুলের সন্ধান যেভাবে
আইন লঙ্ঘন করে ভাটায় ইট পোড়ানোর দায়ে সম্প্রতি এক মালিককে পরিবেশ অধিদপ্তরে তলব করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইটভাটার মালিক বলেন, ‘আইন অমান্য করে ইট পোড়ানোর দায়ে আমাকে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং ডেকেছিল। সেখানে গেলেই জরিমানা করা হতো। তাই বাধ্য হয়ে আমি পরিবেশ অধিদপ্তরের ডাইরেক্টর অ্যাডমিনের ভাতিজা রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৪ লাখ টাকায় কন্ট্রাক্ট করেছি।’ রাকিবুলের সঙ্গে কীভাবে পরিচয় হয় জানতে চাইলে ওই ইটভাটার মালিক বলেন, ‘রাকিবুল এই এলাকার আরও কয়েকটি ইটভাটার ছাড়পত্র করিয়ে দিয়েছেন। সেই সূত্রে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।’
সূত্র বলছে, ঢাকা ব্রিকস, হোসেন ব্রিক ও ধামরাই ব্রিকস নামের তিনটি ইটভাটার ছাড়পত্র এনে দিয়েছেন রাকিবুল। এ বিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘রাকিবুলের কারণে আমরা খুব চাপে আছি।’
এরপরে পরিচয় গোপন করে কথা বললে টাকার বিনিময়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এনে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন রাকিবুল। তবে ছাড়পত্র এনে দেওয়ার বিষয়টি এ প্রতিবেদকের কাছে অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘না ভাই, আমি এসব করি না।’ এ কথা বলে ফোন কেটে দেন তিনি। রাকিবুলের বিষয়ে কথা বলার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরে তাঁর মোবাইলে নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
একটির অনুমোদনে একাধিক ইটভাটা
ধামরাইয়ে লামিয়া ব্রিকস নামের বিভিন্ন ইউনিয়নে সাতটি ইটভাটা রয়েছে। ডাউটিয়া, ভালুম, কাউলিপাড়া, গোয়ালদি, নান্নার, হাতকোড়া ও নান্দেশ্বরী এলাকায় এসব ভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। এই ইটভাটার মালিক আব্দুল লতিফ বলেন, তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এসব ভাটা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তবে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য থেকে জানা যায়, তাঁর চারটি ইটভাটার অনুমোদন রয়েছে।
নাম বদলে আবারও চালু
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মধুডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ঘনবসতির ১০০ গজের মধ্যে অবস্থিত খান ব্রিকস গুঁড়িয়ে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এই ইটভাটার মালিক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খালেদ মাসুদ খান (লালটু)। তবে তাঁর ভাই সিরাজুল ইসলাম একই জায়গায় সাজেদা ব্রিকস নামে ইটভাটা করছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়টির আশপাশে আরও ৬টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটারও কোনো অনুমোদন নেই। সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যরা যেভাবে করছেন, আমরাও সেভাবেই করছি।’
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু খান ব্রিকস নয়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আরও ৯টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়ে ওই সব ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছিল। প্রায় সব কটি ভাটা নতুন নির্মাণ করে এবার ইট পোড়ানো হচ্ছে। এভাবে বাড়ছে পরিবেশদূষণ।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান বলেন, যত্রতত্র ইটভাটা গড়ে ওঠার কারণে বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। তাই আইন অনুযায়ী যাতে ইটভাটা স্থাপিত হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের তা নিশ্চিত করা উচিত।
ঢাকার ধামরাইয়ে ইটভাটা তৈরিতে ঘুষ দিয়ে মিলছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এভাবে গত ৮ মাসে ধামরাইয়ে ‘বৈধ’ ইটভাটার সংখ্যা বেড়েছে ৩২। একাধিক ইটভাটার মালিক স্বীকার করেছেন, টাকার বিনিময়ে তাঁরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেয়েছেন। আবার একটি ইটভাটার অনুমোদন নিয়ে একাধিক ইটভাটা স্থাপন, ভেঙে দেওয়া ইটভাটা নতুন নামে এই এলাকায় চালু করা হচ্ছে। এতে বাড়ছে পরিবেশদূষণ।
অভিযোগ রয়েছে, ঘুষের বিনিময়ে এসব ইটভাটার বেশির ভাগ পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাইয়ে দিতে কাজ করছেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিমের ভাতিজা রাকিবুল ইসলাম। যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে পরিচয় গোপন করে ইটভাটার মালিকের আত্মীয় পরিচয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বললে ইটভাটার ছাড়পত্র আনিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।
ইটভাটার সংখ্যা যত
তথ্য অধিকার আইনে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরে বিভিন্ন তথ্য চেয়ে আবেদন করা হয়। ওই সব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয়। তথ্য অনুযায়ী ধামরাইয়ে বৈধ ইটভাটার সংখ্যা ৬০ আর অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা ৭৩।
এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর সরবরাহ করা তথ্য অনুযায়ী, ধামরাইয়ে বৈধ ইটভাটা রয়েছে ১২৭টি, আর অবৈধ ইটভাটা ৩৮টি। অর্থাৎ তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ মাসে ধামরাইয়ে অবৈধ ইটভাটা কমেছে ৩৫টি, আর বৈধ ইটভাটা বেড়েছে ৩২টি।
নিয়ম যা বলে
ইটভাটা স্থাপনে প্রথমে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অবস্থানগত ও পরে পরিবেশগত ছাড়পত্র নিতে হয়। এই ছাড়পত্রের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের অনুমোদন নিতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইটভাটার মালিক বলেন, ‘পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকলে জেলা থেকে লাইসেন্স পাওয়া যায় না। লাইসেন্স না থাকলে স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে বছরে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়। এ জন্যই ভাটার মালিকেরা ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা খরচ করে ছাড়পত্র সংগ্রহ করেন। এতে টানা তিন বছর কোনো ঝামেলা ছাড়াই ইট পোড়ানো যায়।’
এ প্রসঙ্গে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইন অনুযায়ী ধামরাইয়ে একটি ইটভাটাও পরিবেশ, অবস্থানগত ছাড়পত্রসহ লাইসেন্স পাওয়ার উপযোগী নয়। এরপরেও নানা প্রেক্ষাপটে ভাটাগুলো ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পেয়ে থাকে।
রাকিবুলের সন্ধান যেভাবে
আইন লঙ্ঘন করে ভাটায় ইট পোড়ানোর দায়ে সম্প্রতি এক মালিককে পরিবেশ অধিদপ্তরে তলব করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইটভাটার মালিক বলেন, ‘আইন অমান্য করে ইট পোড়ানোর দায়ে আমাকে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং ডেকেছিল। সেখানে গেলেই জরিমানা করা হতো। তাই বাধ্য হয়ে আমি পরিবেশ অধিদপ্তরের ডাইরেক্টর অ্যাডমিনের ভাতিজা রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৪ লাখ টাকায় কন্ট্রাক্ট করেছি।’ রাকিবুলের সঙ্গে কীভাবে পরিচয় হয় জানতে চাইলে ওই ইটভাটার মালিক বলেন, ‘রাকিবুল এই এলাকার আরও কয়েকটি ইটভাটার ছাড়পত্র করিয়ে দিয়েছেন। সেই সূত্রে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।’
সূত্র বলছে, ঢাকা ব্রিকস, হোসেন ব্রিক ও ধামরাই ব্রিকস নামের তিনটি ইটভাটার ছাড়পত্র এনে দিয়েছেন রাকিবুল। এ বিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘রাকিবুলের কারণে আমরা খুব চাপে আছি।’
এরপরে পরিচয় গোপন করে কথা বললে টাকার বিনিময়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এনে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন রাকিবুল। তবে ছাড়পত্র এনে দেওয়ার বিষয়টি এ প্রতিবেদকের কাছে অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘না ভাই, আমি এসব করি না।’ এ কথা বলে ফোন কেটে দেন তিনি। রাকিবুলের বিষয়ে কথা বলার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরে তাঁর মোবাইলে নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
একটির অনুমোদনে একাধিক ইটভাটা
ধামরাইয়ে লামিয়া ব্রিকস নামের বিভিন্ন ইউনিয়নে সাতটি ইটভাটা রয়েছে। ডাউটিয়া, ভালুম, কাউলিপাড়া, গোয়ালদি, নান্নার, হাতকোড়া ও নান্দেশ্বরী এলাকায় এসব ভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। এই ইটভাটার মালিক আব্দুল লতিফ বলেন, তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এসব ভাটা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তবে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য থেকে জানা যায়, তাঁর চারটি ইটভাটার অনুমোদন রয়েছে।
নাম বদলে আবারও চালু
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মধুডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ঘনবসতির ১০০ গজের মধ্যে অবস্থিত খান ব্রিকস গুঁড়িয়ে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এই ইটভাটার মালিক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খালেদ মাসুদ খান (লালটু)। তবে তাঁর ভাই সিরাজুল ইসলাম একই জায়গায় সাজেদা ব্রিকস নামে ইটভাটা করছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়টির আশপাশে আরও ৬টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটারও কোনো অনুমোদন নেই। সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যরা যেভাবে করছেন, আমরাও সেভাবেই করছি।’
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু খান ব্রিকস নয়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আরও ৯টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়ে ওই সব ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছিল। প্রায় সব কটি ভাটা নতুন নির্মাণ করে এবার ইট পোড়ানো হচ্ছে। এভাবে বাড়ছে পরিবেশদূষণ।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান বলেন, যত্রতত্র ইটভাটা গড়ে ওঠার কারণে বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। তাই আইন অনুযায়ী যাতে ইটভাটা স্থাপিত হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের তা নিশ্চিত করা উচিত।
আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেপূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। তবে এর প্রভাবে আজ দেশের কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই। অবশ্য ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
আজ বুধবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৩ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে।
গতকালের পূর্বাভাসে আজকের বৃষ্টি সম্পর্কে জানানো হয়েছিল, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ না-ও নিতে পারে। এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। তবে সারা দেশে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রাও খুব একটা কমবে না।
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। তবে এর প্রভাবে আজ দেশের কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই। অবশ্য ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
আজ বুধবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৩ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে।
গতকালের পূর্বাভাসে আজকের বৃষ্টি সম্পর্কে জানানো হয়েছিল, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ না-ও নিতে পারে। এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। তবে সারা দেশে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রাও খুব একটা কমবে না।
ঢাকার ধামরাইয়ে ইটভাটা তৈরিতে ঘুষ দিয়ে মিলছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এভাবে গত ৮ মাসে ধামরাইয়ে ‘বৈধ’ ইটভাটার সংখ্যা বেড়েছে ৩২। একাধিক ইটভাটার মালিক স্বীকার করেছেন, টাকার বিনিময়ে তাঁরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেয়েছেন। আবার একটি ইটভাটার অনুমোদন নিয়ে একাধিক ইটভাটা স্থাপন, ভেঙে দেওয়া ইটভাটা নতুন নামে
২৫ নভেম্বর ২০২৩পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
কার্তিক মাস আসার পর সারা দেশে বৃষ্টি প্রায় হচ্ছেই না। এর সঙ্গে বেড়েছে গরম। আজ মঙ্গলবারও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
এ ছাড়া সারা দেশে আজকের আবহাওয়াও প্রায় একই রকম শুষ্ক থাকতে পারে। তবে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরে আজকের সারা দেশের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আবহাওয়া আংশিক মেঘলা আকাশসহ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাস আসার পর সারা দেশে বৃষ্টি প্রায় হচ্ছেই না। এর সঙ্গে বেড়েছে গরম। আজ মঙ্গলবারও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
এ ছাড়া সারা দেশে আজকের আবহাওয়াও প্রায় একই রকম শুষ্ক থাকতে পারে। তবে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরে আজকের সারা দেশের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আবহাওয়া আংশিক মেঘলা আকাশসহ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ঢাকার ধামরাইয়ে ইটভাটা তৈরিতে ঘুষ দিয়ে মিলছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এভাবে গত ৮ মাসে ধামরাইয়ে ‘বৈধ’ ইটভাটার সংখ্যা বেড়েছে ৩২। একাধিক ইটভাটার মালিক স্বীকার করেছেন, টাকার বিনিময়ে তাঁরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেয়েছেন। আবার একটি ইটভাটার অনুমোদন নিয়ে একাধিক ইটভাটা স্থাপন, ভেঙে দেওয়া ইটভাটা নতুন নামে
২৫ নভেম্বর ২০২৩আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
ঢাকার ধামরাইয়ে ইটভাটা তৈরিতে ঘুষ দিয়ে মিলছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এভাবে গত ৮ মাসে ধামরাইয়ে ‘বৈধ’ ইটভাটার সংখ্যা বেড়েছে ৩২। একাধিক ইটভাটার মালিক স্বীকার করেছেন, টাকার বিনিময়ে তাঁরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেয়েছেন। আবার একটি ইটভাটার অনুমোদন নিয়ে একাধিক ইটভাটা স্থাপন, ভেঙে দেওয়া ইটভাটা নতুন নামে
২৫ নভেম্বর ২০২৩আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেপূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে চলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু আবহাওয়ার আচরণ অনেকটাই গ্রীষ্মকালের মতো। কয়েক দিন ধরে সকালে সূর্যের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেলের আগপর্যন্ত এর তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে।
নিম্নচাপ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২১ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, মধ্য অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কমে গেছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ পড়বে সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সোমবার সকাল ৭টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, আর সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৫ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাসে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যে ধরনের গরম পড়ছে সেটি বৃষ্টি কমে যাওয়ার জন্য হয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসের এই সময় মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কম হয়। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত মনে হচ্ছে কালকের (২১ অক্টোবর) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে শীতের আমেজ পড়বে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সূর্যের দক্ষিণায়ন (দক্ষিণ দিকে হেলে পড়া) এখনো পুরোপুরি হয়নি। এই দক্ষিণায়ন হলে দিনের ব্যাপ্তি আরও কমবে, তাপমাত্রা তখন কমে শীতও বাড়বে।
বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে চলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু আবহাওয়ার আচরণ অনেকটাই গ্রীষ্মকালের মতো। কয়েক দিন ধরে সকালে সূর্যের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেলের আগপর্যন্ত এর তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে।
নিম্নচাপ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২১ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, মধ্য অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কমে গেছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ পড়বে সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সোমবার সকাল ৭টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, আর সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৫ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাসে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যে ধরনের গরম পড়ছে সেটি বৃষ্টি কমে যাওয়ার জন্য হয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসের এই সময় মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কম হয়। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত মনে হচ্ছে কালকের (২১ অক্টোবর) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে শীতের আমেজ পড়বে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সূর্যের দক্ষিণায়ন (দক্ষিণ দিকে হেলে পড়া) এখনো পুরোপুরি হয়নি। এই দক্ষিণায়ন হলে দিনের ব্যাপ্তি আরও কমবে, তাপমাত্রা তখন কমে শীতও বাড়বে।
ঢাকার ধামরাইয়ে ইটভাটা তৈরিতে ঘুষ দিয়ে মিলছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এভাবে গত ৮ মাসে ধামরাইয়ে ‘বৈধ’ ইটভাটার সংখ্যা বেড়েছে ৩২। একাধিক ইটভাটার মালিক স্বীকার করেছেন, টাকার বিনিময়ে তাঁরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেয়েছেন। আবার একটি ইটভাটার অনুমোদন নিয়ে একাধিক ইটভাটা স্থাপন, ভেঙে দেওয়া ইটভাটা নতুন নামে
২৫ নভেম্বর ২০২৩আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেপূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২ দিন আগে