Ajker Patrika

নবায়নযোগ্য শক্তির স্থানান্তর মন্থর ছিল ২০২৩ সালে

আপডেট : ৩০ মে ২০২৪, ১৫: ৩৪
নবায়নযোগ্য শক্তির স্থানান্তর মন্থর ছিল ২০২৩ সালে

প্রধান শক্তি খাতগুলোয় নবায়নযোগ্য শক্তির স্থানান্তর ২০২৩ সালে মন্থর ছিল। নিয়ন্ত্রণে ফাঁকফোকর, রাজনৈতিক চাপ এবং স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণে ব্যর্থতার কারণেই নবায়নযোগ্য শক্তির এই স্থানান্তর বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে গতকাল বুধবার জানিয়েছে ক্লিন এনার্জিতে শক্তির স্থানান্তরের পক্ষে কাজ করা সংস্থা রেন টুয়েন্টি ওয়ান। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

প্যারিসভিত্তিক সংস্থা রেন টুয়েন্টি ওয়ান তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলেছে, শক্তি নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধ নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলোতে স্থানান্তরের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে পূরণ করতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু বিভিন্ন দেশের সরকার স্থানান্তরের সেই গতিকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে।

গত বছরের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীনসহ শুধু ১৩টি দেশ পুনর্নবীকরণযোগ্য নীতিগুলোর বাস্তবায়ন করেছিল—যার মধ্যে রয়েছে ভবন, শিল্প, পরিবহন এবং কৃষি খাত। আর এসব খাতের শক্তির মাত্র ১২ দশমিক ৭ শতাংশ আসে ক্লিন এনার্জি থেকে।

অনেক দেশ নবায়নযোগ্য শক্তিতে স্থানান্তরের উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে পিছিয়ে গেছে। যে ৬৯টি দেশ ভোক্তা পর্যায়ে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল তার মধ্যে কেবল ১৭টি দেশই এই লক্ষ্যকে ২০২৪ সালের পরেও প্রসারিত করেছে।

রেন টুয়েন্টি ওয়ানের নির্বাহী পরিচালক রানা আদিব বলেন, বিভিন্ন দেশের সরকার এ ব্যাপারে তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে সরে এসেছে এবং শক্তি ব্যবহারকারী খাতগুলোর জন্য আর অর্থনৈতিক প্রণোদনা নেই।

প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এ–সংক্রান্ত সংস্কারে দেশগুলোর ধীর গতি এবং জীবাশ্ম জ্বালানিতে, বিশেষ করে শিল্প ও কৃষিতে প্রদত্ত ট্রিলিয়ন ডলার ভর্তুকি এখনো শক্তি স্থানান্তরকে আটকে রেখেছে।

রানা আদিব বলেন, ২০২৩ সালে জীবাশ্ম জ্বালানির দাম কমে যাওয়া এবং ক্লিন এনার্জিতে শক্তির স্থানান্তরের খরচ সম্পর্কে তীব্র বিতর্ক এ–সংক্রান্ত নীতি প্রণয়নে প্রভাব রেখেছে। কারণ, এই সময়ে অনেক দেশের সামনেই নির্বাচন।

ভারী শিল্পকে কার্বন নির্গমন মুক্ত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই রয়ে গেছে। সিমেন্ট ও স্টিলের মতো খাতগুলো যুক্তি দেয় যে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎসগুলো তাদের ভাটা এবং ব্লাস্ট ফার্নেসগুলোতে আগুন দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তাপ তৈরি করতে পারে না।

পরিবহনের চেয়েও শক্তির রূপান্তর বেশি চ্যালেঞ্জিং বলে প্রমাণিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে, ইস্পাত তৈরিতে বৈদ্যুতিক আর্ক ফার্নেস ব্যবহারসহ সমাধানও রয়েছে বলে জানান আদিব। তিনি বলেন, ইস্পাতের মতো ভারী শিল্প খাত থেকে বলা হয়, এসব জায়গা কার্বনমুক্ত করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু এটা সত্যি নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত