Ajker Patrika

বিশ্বে ৯৯% ‘বাংলা শকুন’ বিলুপ্ত, বাংলাদেশে আশার আলো

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

বিশ্বের ৯৯ শতাংশ হোয়াইট রাম্পড ভালচার বা বাংলা শকুন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বর্তমানে বিশ্বে এ প্রজাতির শকুন আছে মাত্র ১১ হাজার। আর দেশে বাংলা শকুনের সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে কমে ২৬০টিতে নেমে এসেছে। 

আজ শনিবার দুপুরে প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা আইইউসিএন বাংলাদেশ আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এ তথ্য জানানো হয়। শকুন সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এ ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। 

মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণে ‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী’ শকুনের বিকল্প নেই। শকুন সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। এ বছর জানুয়ারি মাসে সরকার শকুনের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ কিটো প্রোফেন নিষিদ্ধ করেছে। এটি বাংলা শকুন রক্ষায় বিশ্বব্যাপী একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। 

মন্ত্রী জানান, শকুনের জন্য ক্ষতিকর অন্যান্য ওষুধ যেমন ফ্লুনিক্সিন, এসিক্লোফেনাক যেন আমাদের দেশের বাজারে না আসে সে ব্যাপারেও মন্ত্রিপরিষদ নির্দেশনা দিয়েছে। রোগাক্রান্ত পশুর জন্য শকুনের জন্য নিরাপদ ওষুধ মেলোক্সিক্যাম ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। শকুন সংরক্ষণে ‘বাংলাদেশ জাতীয় শকুন সংরক্ষণ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। ২০১৪ সালে দেশের দু’টি অঞ্চলকে শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৫ সালে শকুনের প্রজননকালীন বাড়তি খাবারের চাহিদা মেটানোর জন্য হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ও সুন্দরবনে দু’টি ফিডিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। শকুন সংরক্ষণকারী ব্যক্তি ও সংস্থাকে সরকারি স্বীকৃতি ও প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান পরিবেশ মন্ত্রী। 

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব মোস্তফা কামাল এবং অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইইউসিএন-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার এবিএম সরোয়ার আলম। 

ওয়েবিনারে জানানো হয়, সারা বিশ্ব থেকেই শকুন বিলুপ্ত হওয়া পথে। তবে এর মধ্যেও আশার কথা হলো, বাংলাদেশের শকুনের প্রাকৃতিক প্রজনন কিছুটা বেড়েছে। হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গায় শকুনের প্রাকৃতিক প্রজনন সফলতা ৪৪ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২০ সালে ৫৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সভায় শকুন বিপন্ন হওয়ার কারণ এবং তা প্রতিকারের বিষয়ে আরও গবেষণা করার আহ্বান জানান বক্তারা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত