
আজ থেকে পাঁচ দশক আগে আঘাত হেনেছিল এক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। কেড়ে নিয়েছিল ৩ থেকে ৫ লাখ মানুষের প্রাণ। মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল ঘরবাড়ি। তছনছ করে দিয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। জাতিসংঘের আওতাধীন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ২০১৭ সালের ১৮ মে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করে। এতে এই ঘূর্ণিঝড়কেই ‘সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়’ হিসেবে চিহ্নিত করে সংস্থাটি।
বাংলাদেশের ভোলায় আঘাত হানা এই সামুদ্রিক ঝড় বিশ্বব্যাপী ‘দ্য গ্রেট ভোলা সাইক্লোন’ নামে পরিচিত। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের দক্ষিণ উপকূল দিয়ে এই সাইক্লোন বয়ে যায়। তবে সবচেয়ে তীব্র আঘাতটি হেনেছিল ভোলায়।
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২৪ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ছিল ১০-৩৩ ফুট!
এই ঘূর্ণিঝড়ের পরই এমন একটি বিপর্যয়কর প্রাণহানির পুনরাবৃত্তি রোধ করতে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ডব্লিউএমও-এর ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় কর্মসূচির ভিত্তি স্থাপন করে এই বিপর্যয়।
ঘূর্ণিঝড় ভোলা দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ থেকে শক্তি বৃদ্ধি করে ১৯৭০ সালের ১২-১৩ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ভোলায় আঘাত হানে। ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় এই ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। বেশির ভাগ মৃত্যুই ঘটেছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে আছড়ে পড়া বৃহৎ জলোচ্ছ্বাসের কারণে। জোয়ারের পানিতে ভেসে যায় সমতল। ডুবে যায় উপকূলের কাছে থাকা দ্বীপাঞ্চল। ডব্লিউএমওর ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যান্ড ক্লাইমেট এক্সট্রিমস আর্কাইভ ভোলার এই ঝড়কে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ঘোষণা করেছে।
এই ট্র্যাজেডির পর জাতিসংঘ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপন এবং ‘ক্রান্তীয় সাইক্লোনের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো প্রশমিত করার উপায় খুঁজে বের করার’ আহ্বান জানায়। পরবর্তীতে অবশ্য স্বাধীন বাংলাদেশ জনসংখ্যার ব্যাপক ঘনত্ব এবং বিস্তীর্ণ নিচু উপকূলীয় সমভূমি থাকা সত্ত্বেও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং স্থিতিস্থাপকতার জন্য ‘আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়ন’ হয়ে উঠেছে।
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলো এমনকি বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়েও জীবন ও সম্পত্তির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারে। ঝড়, বন্যা, দমকা বাতাস, টর্নেডো এবং বজ্রপাতের মতো ভয়ানক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ডেকে আনে এসব ঝড়। এই বিপদগুলো একসঙ্গে আসে। এ কারণে জীবনহানি এবং অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।
ভোলার ঘূর্ণিঝড়ের পর বিগত ২০ বছরে ১ হাজার ৯৪২টি মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগই ঘটেছে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে। এতে প্রাণ গেছে ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩২৪ জন মানুষের। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার ৪০৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সে হিসাবে এই সময়ে শুধু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের কারণেই দৈনিক গড়ে ৪৩ জনের প্রাণহানি এবং ৭৮ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে!
বলা হয়, গত ৪২ বছরে ডব্লিউএমওর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় কর্মসূচি সারা বিশ্বে যে ভূমিকা রেখেছে, তা না থাকলে প্রাণহানি আরও অনেক বেশি হতো।
ডব্লিউএমওর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় কর্মসূচিটি ১৯৭১ সালে সংস্থার ষষ্ঠ কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের বিপর্যয়কর ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির প্রভাবগুলো প্রশমিত করার জন্য এটি করা হয়।
ওই সময় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের সঙ্গে ডব্লিউএমও দুটি আন্তঃসরকারি আঞ্চলিক সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু করে। আন্তরাষ্ট্রীয় আঞ্চলিক সংগঠন দুটি হলো টাইফুন কমিটি এবং ট্রপিক্যাল সাইক্লোন প্যানেল। এই সংগঠনকে সহায়তা করে আসছে ডব্লিউএমও।
ডব্লিউএমও-এর ছত্রচ্ছায়ায় অনন্য বৈশ্বিক সমন্বয় ও সহযোগিতা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস এবং সতর্কতার সঠিকতার ক্ষেত্রে নাটকীয় অগ্রগতি হয়েছে। এই উদ্যোগ বছরের পর বছর ধরে হাজার হাজার জীবন বাঁচিয়ে আসছে।
তবে জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, জনসংখ্যা এবং নগরায়ণ বৃদ্ধির কারণে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতিক্রিয়ায় ডব্লিউএমও প্রভাব-ভিত্তিক পূর্বাভাস নিয়ে কাজ করছে।
২০২২ সালে মিসরে অনুষ্ঠিত কোপ-২৭ শীর্ষ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৈশ্বিক ‘আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা’ নির্মাণে ৩০০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্পের ঘোষণা দেন। সারা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খরা, বন্যা এবং তাপপ্রবাহের মতো যে চরম আবহাওয়াজনিত সংকট বাড়ছে, এর প্রভাব বিবেচনায় আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা চালু করতেই এই উদ্যোগ।
উল্লেখ্য, ভোলায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর থেকে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার একেবারেই উদাসীন ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করার জন্য প্রথম দিন কার্যত কিছুই করেনি তারা।
ঘূর্ণিঝড় যখন আঘাত হানে তখন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে ছিলেন। ঝড়ের দুই দিন পরে তিনি চীন থেকে ঢাকায় আসেন। কিন্তু উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে না গিয়ে ইয়াহিয়া খান পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে যান। ঘূর্ণিঝড়ের ১৪ দিন পরে সি প্লেনে করে ভোলায় আসেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ তাঁদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। বলতে গেলে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের অবিশ্বাসের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছিল ভোলার সেই সাইক্লোন। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে জয়লাভ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।

আজ থেকে পাঁচ দশক আগে আঘাত হেনেছিল এক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। কেড়ে নিয়েছিল ৩ থেকে ৫ লাখ মানুষের প্রাণ। মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল ঘরবাড়ি। তছনছ করে দিয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। জাতিসংঘের আওতাধীন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ২০১৭ সালের ১৮ মে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করে। এতে এই ঘূর্ণিঝড়কেই ‘সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়’ হিসেবে চিহ্নিত করে সংস্থাটি।
বাংলাদেশের ভোলায় আঘাত হানা এই সামুদ্রিক ঝড় বিশ্বব্যাপী ‘দ্য গ্রেট ভোলা সাইক্লোন’ নামে পরিচিত। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের দক্ষিণ উপকূল দিয়ে এই সাইক্লোন বয়ে যায়। তবে সবচেয়ে তীব্র আঘাতটি হেনেছিল ভোলায়।
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২৪ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ছিল ১০-৩৩ ফুট!
এই ঘূর্ণিঝড়ের পরই এমন একটি বিপর্যয়কর প্রাণহানির পুনরাবৃত্তি রোধ করতে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ডব্লিউএমও-এর ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় কর্মসূচির ভিত্তি স্থাপন করে এই বিপর্যয়।
ঘূর্ণিঝড় ভোলা দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ থেকে শক্তি বৃদ্ধি করে ১৯৭০ সালের ১২-১৩ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ভোলায় আঘাত হানে। ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় এই ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। বেশির ভাগ মৃত্যুই ঘটেছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে আছড়ে পড়া বৃহৎ জলোচ্ছ্বাসের কারণে। জোয়ারের পানিতে ভেসে যায় সমতল। ডুবে যায় উপকূলের কাছে থাকা দ্বীপাঞ্চল। ডব্লিউএমওর ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যান্ড ক্লাইমেট এক্সট্রিমস আর্কাইভ ভোলার এই ঝড়কে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ঘোষণা করেছে।
এই ট্র্যাজেডির পর জাতিসংঘ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপন এবং ‘ক্রান্তীয় সাইক্লোনের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো প্রশমিত করার উপায় খুঁজে বের করার’ আহ্বান জানায়। পরবর্তীতে অবশ্য স্বাধীন বাংলাদেশ জনসংখ্যার ব্যাপক ঘনত্ব এবং বিস্তীর্ণ নিচু উপকূলীয় সমভূমি থাকা সত্ত্বেও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং স্থিতিস্থাপকতার জন্য ‘আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়ন’ হয়ে উঠেছে।
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলো এমনকি বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়েও জীবন ও সম্পত্তির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারে। ঝড়, বন্যা, দমকা বাতাস, টর্নেডো এবং বজ্রপাতের মতো ভয়ানক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ডেকে আনে এসব ঝড়। এই বিপদগুলো একসঙ্গে আসে। এ কারণে জীবনহানি এবং অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।
ভোলার ঘূর্ণিঝড়ের পর বিগত ২০ বছরে ১ হাজার ৯৪২টি মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগই ঘটেছে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে। এতে প্রাণ গেছে ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩২৪ জন মানুষের। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার ৪০৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সে হিসাবে এই সময়ে শুধু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের কারণেই দৈনিক গড়ে ৪৩ জনের প্রাণহানি এবং ৭৮ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে!
বলা হয়, গত ৪২ বছরে ডব্লিউএমওর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় কর্মসূচি সারা বিশ্বে যে ভূমিকা রেখেছে, তা না থাকলে প্রাণহানি আরও অনেক বেশি হতো।
ডব্লিউএমওর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় কর্মসূচিটি ১৯৭১ সালে সংস্থার ষষ্ঠ কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের বিপর্যয়কর ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির প্রভাবগুলো প্রশমিত করার জন্য এটি করা হয়।
ওই সময় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের সঙ্গে ডব্লিউএমও দুটি আন্তঃসরকারি আঞ্চলিক সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু করে। আন্তরাষ্ট্রীয় আঞ্চলিক সংগঠন দুটি হলো টাইফুন কমিটি এবং ট্রপিক্যাল সাইক্লোন প্যানেল। এই সংগঠনকে সহায়তা করে আসছে ডব্লিউএমও।
ডব্লিউএমও-এর ছত্রচ্ছায়ায় অনন্য বৈশ্বিক সমন্বয় ও সহযোগিতা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস এবং সতর্কতার সঠিকতার ক্ষেত্রে নাটকীয় অগ্রগতি হয়েছে। এই উদ্যোগ বছরের পর বছর ধরে হাজার হাজার জীবন বাঁচিয়ে আসছে।
তবে জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, জনসংখ্যা এবং নগরায়ণ বৃদ্ধির কারণে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতিক্রিয়ায় ডব্লিউএমও প্রভাব-ভিত্তিক পূর্বাভাস নিয়ে কাজ করছে।
২০২২ সালে মিসরে অনুষ্ঠিত কোপ-২৭ শীর্ষ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৈশ্বিক ‘আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা’ নির্মাণে ৩০০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্পের ঘোষণা দেন। সারা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খরা, বন্যা এবং তাপপ্রবাহের মতো যে চরম আবহাওয়াজনিত সংকট বাড়ছে, এর প্রভাব বিবেচনায় আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা চালু করতেই এই উদ্যোগ।
উল্লেখ্য, ভোলায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর থেকে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার একেবারেই উদাসীন ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করার জন্য প্রথম দিন কার্যত কিছুই করেনি তারা।
ঘূর্ণিঝড় যখন আঘাত হানে তখন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে ছিলেন। ঝড়ের দুই দিন পরে তিনি চীন থেকে ঢাকায় আসেন। কিন্তু উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে না গিয়ে ইয়াহিয়া খান পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে যান। ঘূর্ণিঝড়ের ১৪ দিন পরে সি প্লেনে করে ভোলায় আসেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ তাঁদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। বলতে গেলে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের অবিশ্বাসের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছিল ভোলার সেই সাইক্লোন। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে জয়লাভ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।

আজ থেকে পাঁচ দশক আগে আঘাত হেনেছিল এক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। কেড়ে নিয়েছিল ৩ থেকে ৫ লাখ মানুষের প্রাণ। মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল ঘরবাড়ি। তছনছ করে দিয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। জাতিসংঘের আওতাধীন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ২০১৭ সালের ১৮ মে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করে। এতে এই ঘূর্ণিঝড়কেই ‘সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়’ হিসেবে চিহ্নিত করে সংস্থাটি।
বাংলাদেশের ভোলায় আঘাত হানা এই সামুদ্রিক ঝড় বিশ্বব্যাপী ‘দ্য গ্রেট ভোলা সাইক্লোন’ নামে পরিচিত। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের দক্ষিণ উপকূল দিয়ে এই সাইক্লোন বয়ে যায়। তবে সবচেয়ে তীব্র আঘাতটি হেনেছিল ভোলায়।
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২৪ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ছিল ১০-৩৩ ফুট!
এই ঘূর্ণিঝড়ের পরই এমন একটি বিপর্যয়কর প্রাণহানির পুনরাবৃত্তি রোধ করতে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ডব্লিউএমও-এর ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় কর্মসূচির ভিত্তি স্থাপন করে এই বিপর্যয়।
ঘূর্ণিঝড় ভোলা দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ থেকে শক্তি বৃদ্ধি করে ১৯৭০ সালের ১২-১৩ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ভোলায় আঘাত হানে। ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় এই ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। বেশির ভাগ মৃত্যুই ঘটেছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে আছড়ে পড়া বৃহৎ জলোচ্ছ্বাসের কারণে। জোয়ারের পানিতে ভেসে যায় সমতল। ডুবে যায় উপকূলের কাছে থাকা দ্বীপাঞ্চল। ডব্লিউএমওর ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যান্ড ক্লাইমেট এক্সট্রিমস আর্কাইভ ভোলার এই ঝড়কে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ঘোষণা করেছে।
এই ট্র্যাজেডির পর জাতিসংঘ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপন এবং ‘ক্রান্তীয় সাইক্লোনের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো প্রশমিত করার উপায় খুঁজে বের করার’ আহ্বান জানায়। পরবর্তীতে অবশ্য স্বাধীন বাংলাদেশ জনসংখ্যার ব্যাপক ঘনত্ব এবং বিস্তীর্ণ নিচু উপকূলীয় সমভূমি থাকা সত্ত্বেও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং স্থিতিস্থাপকতার জন্য ‘আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়ন’ হয়ে উঠেছে।
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলো এমনকি বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়েও জীবন ও সম্পত্তির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারে। ঝড়, বন্যা, দমকা বাতাস, টর্নেডো এবং বজ্রপাতের মতো ভয়ানক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ডেকে আনে এসব ঝড়। এই বিপদগুলো একসঙ্গে আসে। এ কারণে জীবনহানি এবং অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।
ভোলার ঘূর্ণিঝড়ের পর বিগত ২০ বছরে ১ হাজার ৯৪২টি মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগই ঘটেছে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে। এতে প্রাণ গেছে ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩২৪ জন মানুষের। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার ৪০৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সে হিসাবে এই সময়ে শুধু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের কারণেই দৈনিক গড়ে ৪৩ জনের প্রাণহানি এবং ৭৮ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে!
বলা হয়, গত ৪২ বছরে ডব্লিউএমওর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় কর্মসূচি সারা বিশ্বে যে ভূমিকা রেখেছে, তা না থাকলে প্রাণহানি আরও অনেক বেশি হতো।
ডব্লিউএমওর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় কর্মসূচিটি ১৯৭১ সালে সংস্থার ষষ্ঠ কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের বিপর্যয়কর ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির প্রভাবগুলো প্রশমিত করার জন্য এটি করা হয়।
ওই সময় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের সঙ্গে ডব্লিউএমও দুটি আন্তঃসরকারি আঞ্চলিক সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু করে। আন্তরাষ্ট্রীয় আঞ্চলিক সংগঠন দুটি হলো টাইফুন কমিটি এবং ট্রপিক্যাল সাইক্লোন প্যানেল। এই সংগঠনকে সহায়তা করে আসছে ডব্লিউএমও।
ডব্লিউএমও-এর ছত্রচ্ছায়ায় অনন্য বৈশ্বিক সমন্বয় ও সহযোগিতা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস এবং সতর্কতার সঠিকতার ক্ষেত্রে নাটকীয় অগ্রগতি হয়েছে। এই উদ্যোগ বছরের পর বছর ধরে হাজার হাজার জীবন বাঁচিয়ে আসছে।
তবে জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, জনসংখ্যা এবং নগরায়ণ বৃদ্ধির কারণে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতিক্রিয়ায় ডব্লিউএমও প্রভাব-ভিত্তিক পূর্বাভাস নিয়ে কাজ করছে।
২০২২ সালে মিসরে অনুষ্ঠিত কোপ-২৭ শীর্ষ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৈশ্বিক ‘আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা’ নির্মাণে ৩০০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্পের ঘোষণা দেন। সারা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খরা, বন্যা এবং তাপপ্রবাহের মতো যে চরম আবহাওয়াজনিত সংকট বাড়ছে, এর প্রভাব বিবেচনায় আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা চালু করতেই এই উদ্যোগ।
উল্লেখ্য, ভোলায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর থেকে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার একেবারেই উদাসীন ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করার জন্য প্রথম দিন কার্যত কিছুই করেনি তারা।
ঘূর্ণিঝড় যখন আঘাত হানে তখন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে ছিলেন। ঝড়ের দুই দিন পরে তিনি চীন থেকে ঢাকায় আসেন। কিন্তু উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে না গিয়ে ইয়াহিয়া খান পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে যান। ঘূর্ণিঝড়ের ১৪ দিন পরে সি প্লেনে করে ভোলায় আসেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ তাঁদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। বলতে গেলে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের অবিশ্বাসের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছিল ভোলার সেই সাইক্লোন। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে জয়লাভ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।

আজ থেকে পাঁচ দশক আগে আঘাত হেনেছিল এক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। কেড়ে নিয়েছিল ৩ থেকে ৫ লাখ মানুষের প্রাণ। মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল ঘরবাড়ি। তছনছ করে দিয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। জাতিসংঘের আওতাধীন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ২০১৭ সালের ১৮ মে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করে। এতে এই ঘূর্ণিঝড়কেই ‘সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়’ হিসেবে চিহ্নিত করে সংস্থাটি।
বাংলাদেশের ভোলায় আঘাত হানা এই সামুদ্রিক ঝড় বিশ্বব্যাপী ‘দ্য গ্রেট ভোলা সাইক্লোন’ নামে পরিচিত। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের দক্ষিণ উপকূল দিয়ে এই সাইক্লোন বয়ে যায়। তবে সবচেয়ে তীব্র আঘাতটি হেনেছিল ভোলায়।
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২৪ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ছিল ১০-৩৩ ফুট!
এই ঘূর্ণিঝড়ের পরই এমন একটি বিপর্যয়কর প্রাণহানির পুনরাবৃত্তি রোধ করতে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ডব্লিউএমও-এর ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় কর্মসূচির ভিত্তি স্থাপন করে এই বিপর্যয়।
ঘূর্ণিঝড় ভোলা দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ থেকে শক্তি বৃদ্ধি করে ১৯৭০ সালের ১২-১৩ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ভোলায় আঘাত হানে। ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় এই ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। বেশির ভাগ মৃত্যুই ঘটেছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে আছড়ে পড়া বৃহৎ জলোচ্ছ্বাসের কারণে। জোয়ারের পানিতে ভেসে যায় সমতল। ডুবে যায় উপকূলের কাছে থাকা দ্বীপাঞ্চল। ডব্লিউএমওর ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যান্ড ক্লাইমেট এক্সট্রিমস আর্কাইভ ভোলার এই ঝড়কে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ঘোষণা করেছে।
এই ট্র্যাজেডির পর জাতিসংঘ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপন এবং ‘ক্রান্তীয় সাইক্লোনের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো প্রশমিত করার উপায় খুঁজে বের করার’ আহ্বান জানায়। পরবর্তীতে অবশ্য স্বাধীন বাংলাদেশ জনসংখ্যার ব্যাপক ঘনত্ব এবং বিস্তীর্ণ নিচু উপকূলীয় সমভূমি থাকা সত্ত্বেও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং স্থিতিস্থাপকতার জন্য ‘আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়ন’ হয়ে উঠেছে।
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলো এমনকি বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়েও জীবন ও সম্পত্তির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারে। ঝড়, বন্যা, দমকা বাতাস, টর্নেডো এবং বজ্রপাতের মতো ভয়ানক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ডেকে আনে এসব ঝড়। এই বিপদগুলো একসঙ্গে আসে। এ কারণে জীবনহানি এবং অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।
ভোলার ঘূর্ণিঝড়ের পর বিগত ২০ বছরে ১ হাজার ৯৪২টি মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগই ঘটেছে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে। এতে প্রাণ গেছে ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩২৪ জন মানুষের। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার ৪০৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সে হিসাবে এই সময়ে শুধু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের কারণেই দৈনিক গড়ে ৪৩ জনের প্রাণহানি এবং ৭৮ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে!
বলা হয়, গত ৪২ বছরে ডব্লিউএমওর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় কর্মসূচি সারা বিশ্বে যে ভূমিকা রেখেছে, তা না থাকলে প্রাণহানি আরও অনেক বেশি হতো।
ডব্লিউএমওর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় কর্মসূচিটি ১৯৭১ সালে সংস্থার ষষ্ঠ কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের বিপর্যয়কর ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির প্রভাবগুলো প্রশমিত করার জন্য এটি করা হয়।
ওই সময় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের সঙ্গে ডব্লিউএমও দুটি আন্তঃসরকারি আঞ্চলিক সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু করে। আন্তরাষ্ট্রীয় আঞ্চলিক সংগঠন দুটি হলো টাইফুন কমিটি এবং ট্রপিক্যাল সাইক্লোন প্যানেল। এই সংগঠনকে সহায়তা করে আসছে ডব্লিউএমও।
ডব্লিউএমও-এর ছত্রচ্ছায়ায় অনন্য বৈশ্বিক সমন্বয় ও সহযোগিতা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস এবং সতর্কতার সঠিকতার ক্ষেত্রে নাটকীয় অগ্রগতি হয়েছে। এই উদ্যোগ বছরের পর বছর ধরে হাজার হাজার জীবন বাঁচিয়ে আসছে।
তবে জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, জনসংখ্যা এবং নগরায়ণ বৃদ্ধির কারণে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতিক্রিয়ায় ডব্লিউএমও প্রভাব-ভিত্তিক পূর্বাভাস নিয়ে কাজ করছে।
২০২২ সালে মিসরে অনুষ্ঠিত কোপ-২৭ শীর্ষ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৈশ্বিক ‘আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা’ নির্মাণে ৩০০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্পের ঘোষণা দেন। সারা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খরা, বন্যা এবং তাপপ্রবাহের মতো যে চরম আবহাওয়াজনিত সংকট বাড়ছে, এর প্রভাব বিবেচনায় আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা চালু করতেই এই উদ্যোগ।
উল্লেখ্য, ভোলায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর থেকে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার একেবারেই উদাসীন ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করার জন্য প্রথম দিন কার্যত কিছুই করেনি তারা।
ঘূর্ণিঝড় যখন আঘাত হানে তখন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে ছিলেন। ঝড়ের দুই দিন পরে তিনি চীন থেকে ঢাকায় আসেন। কিন্তু উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে না গিয়ে ইয়াহিয়া খান পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে যান। ঘূর্ণিঝড়ের ১৪ দিন পরে সি প্লেনে করে ভোলায় আসেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ তাঁদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। বলতে গেলে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের অবিশ্বাসের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছিল ভোলার সেই সাইক্লোন। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে জয়লাভ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
১ দিন আগে
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
১ দিন আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ (২৭ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা বা রাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে, শেষ ৬ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পশ্চিম এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১৭ কিলোমিটার গতিতে স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে মোন্থা। সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, দুপুরে চেন্নাই থেকে ৪৪০ কিলোমিটার পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্বে, কাকিনাড়া থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং বিশাখাপট্টনম থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব এবং গোপালপুর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে অবস্থান করছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালের মধ্যে ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হবে। ‘প্রবল’ আকারেই মঙ্গলবার রাতে অন্ধ্র প্রদেশের মছলিপট্টনম এবং কাকিনাড়ার কাছে কলিঙ্গপট্টনম উপকূলের মধ্যবর্তী অংশে আছড়ে পড়বে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার বেগ ছুঁতে পারে ১১০ কিলোমিটারের গণ্ডি।

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ (২৭ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা বা রাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে, শেষ ৬ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পশ্চিম এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১৭ কিলোমিটার গতিতে স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে মোন্থা। সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, দুপুরে চেন্নাই থেকে ৪৪০ কিলোমিটার পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্বে, কাকিনাড়া থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং বিশাখাপট্টনম থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব এবং গোপালপুর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে অবস্থান করছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালের মধ্যে ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হবে। ‘প্রবল’ আকারেই মঙ্গলবার রাতে অন্ধ্র প্রদেশের মছলিপট্টনম এবং কাকিনাড়ার কাছে কলিঙ্গপট্টনম উপকূলের মধ্যবর্তী অংশে আছড়ে পড়বে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার বেগ ছুঁতে পারে ১১০ কিলোমিটারের গণ্ডি।

আজ থেকে পাঁচ দশক আগে আঘাত হেনেছিল এক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। কেড়ে নিয়েছিল ৩ থেকে ৫ লাখ মানুষের প্রাণ। মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল ঘরবাড়ি। তছনছ করে দিয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। জাতিসংঘের আওতাধীন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ২০১৭ সালের ১৮ মে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করে। এতে
১২ মে ২০২৩
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
১ দিন আগে
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
১ দিন আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
এটি আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মোন্থা’ ২৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থকে ১৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থকে ১৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থকে ১২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থকে ১২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। ‘মোন্থা’ আগামীকাল মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা অথবা রাতের দিকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরর্বতী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যার কিছুটা প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানতে পারে কাল সন্ধ্যা বা এর পরবর্তী সময়। আজ বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে না। তবে কাল আঘাত হানার সময় বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রাজধানী ঢাকায়ও কাল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মোন্থা’ প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
এদিকে আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। উত্তর উত্তরপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫-১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
এটি আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মোন্থা’ ২৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থকে ১৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থকে ১৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থকে ১২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থকে ১২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। ‘মোন্থা’ আগামীকাল মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা অথবা রাতের দিকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরর্বতী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যার কিছুটা প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানতে পারে কাল সন্ধ্যা বা এর পরবর্তী সময়। আজ বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে না। তবে কাল আঘাত হানার সময় বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রাজধানী ঢাকায়ও কাল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মোন্থা’ প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
এদিকে আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। উত্তর উত্তরপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫-১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ থেকে পাঁচ দশক আগে আঘাত হেনেছিল এক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। কেড়ে নিয়েছিল ৩ থেকে ৫ লাখ মানুষের প্রাণ। মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল ঘরবাড়ি। তছনছ করে দিয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। জাতিসংঘের আওতাধীন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ২০১৭ সালের ১৮ মে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করে। এতে
১২ মে ২০২৩
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
৮ ঘণ্টা আগে
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
১ দিন আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগ্নেয়গিরিটির নিচে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনো না কোনোভাবে ভবিষ্যতে নির্গত হতে বাধ্য। এটি সহিংস বিস্ফোরণের মাধ্যমেও ঘটতে পারে, অথবা ধীরে ধীরে গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ও আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ পাবলো গনজালেস লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, ‘এটি আতঙ্ক তৈরির জন্য নয়, বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সতর্কবার্তা—যাতে তারা অঞ্চলটিতে পর্যবেক্ষণের জন্য রসদ বরাদ্দ করে।’
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইতিমধ্যে ২০২৩ সাল থেকেই আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি এলাকায় গ্যাস নিঃসরণের ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ লক্ষ্য করেছেন। এমনকি চূড়া থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরেও এমনটি টের পাওয়া গেছে। ১২ হাজার ৯২৭ ফুট উচ্চতার এই বিশাল আগ্নেয়গিরি দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের সবচেয়ে বড় এবং পার্শ্ববর্তী ছোট পাহাড়গুলোকে ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অবস্থানের কারণে এটিকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করাও কঠিন। এ অবস্থায় গবেষণারত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হোসেইন মোহাম্মদনিয়া ও পাবলো গনজালেস স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে আগ্নেয়গিরির চূড়ার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রমাণ পান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তনের কারণ সম্ভবত আগ্নেয়গিরির নিচের হাইড্রোথার্মাল ব্যবস্থায় পরিবর্তন, যা গ্যাস জমা বা ম্যাগমার স্থানচ্যুতি ঘটাতে পারে। তাঁরা জানিয়েছেন, তাফতান আগ্নেয়গিরির পরিস্থিতি এখন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং গবেষণা অব্যাহত থাকবে।

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগ্নেয়গিরিটির নিচে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনো না কোনোভাবে ভবিষ্যতে নির্গত হতে বাধ্য। এটি সহিংস বিস্ফোরণের মাধ্যমেও ঘটতে পারে, অথবা ধীরে ধীরে গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ও আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ পাবলো গনজালেস লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, ‘এটি আতঙ্ক তৈরির জন্য নয়, বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সতর্কবার্তা—যাতে তারা অঞ্চলটিতে পর্যবেক্ষণের জন্য রসদ বরাদ্দ করে।’
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইতিমধ্যে ২০২৩ সাল থেকেই আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি এলাকায় গ্যাস নিঃসরণের ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ লক্ষ্য করেছেন। এমনকি চূড়া থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরেও এমনটি টের পাওয়া গেছে। ১২ হাজার ৯২৭ ফুট উচ্চতার এই বিশাল আগ্নেয়গিরি দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের সবচেয়ে বড় এবং পার্শ্ববর্তী ছোট পাহাড়গুলোকে ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অবস্থানের কারণে এটিকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করাও কঠিন। এ অবস্থায় গবেষণারত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হোসেইন মোহাম্মদনিয়া ও পাবলো গনজালেস স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে আগ্নেয়গিরির চূড়ার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রমাণ পান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তনের কারণ সম্ভবত আগ্নেয়গিরির নিচের হাইড্রোথার্মাল ব্যবস্থায় পরিবর্তন, যা গ্যাস জমা বা ম্যাগমার স্থানচ্যুতি ঘটাতে পারে। তাঁরা জানিয়েছেন, তাফতান আগ্নেয়গিরির পরিস্থিতি এখন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং গবেষণা অব্যাহত থাকবে।

আজ থেকে পাঁচ দশক আগে আঘাত হেনেছিল এক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। কেড়ে নিয়েছিল ৩ থেকে ৫ লাখ মানুষের প্রাণ। মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল ঘরবাড়ি। তছনছ করে দিয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। জাতিসংঘের আওতাধীন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ২০১৭ সালের ১৮ মে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করে। এতে
১২ মে ২০২৩
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
১ দিন আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

আজ থেকে পাঁচ দশক আগে আঘাত হেনেছিল এক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। কেড়ে নিয়েছিল ৩ থেকে ৫ লাখ মানুষের প্রাণ। মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল ঘরবাড়ি। তছনছ করে দিয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। জাতিসংঘের আওতাধীন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ২০১৭ সালের ১৮ মে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করে। এতে
১২ মে ২০২৩
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
১ দিন আগে
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
১ দিন আগে