আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি এর কারণ কী। তবে বায়ুদূষণ ও সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে শক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে একবার যদি দূষণ কমে যায় ও সেচ সম্প্রসারণের গতি থেমে যায়, তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাবে।
দক্ষিণ এশিয়া এমনিতেই তাপমাত্রার দিক থেকে একটি উত্তপ্ত অঞ্চল। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত (বর্ষা আসার আগে)—এই সময়টিই সবচেয়ে গরম থাকে। পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল থেকে শুরু করে ভারতের উত্তরাঞ্চল ও বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে নিয়মিতভাবেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর যারা সবচেয়ে তীব্র বা চরম তাপমাত্রার সঙ্গে লড়ছে, তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই বাস করে দক্ষিণ এশিয়ায়। এই ধরনের তাপমাত্রা বিশেষ করে বয়স্ক বা অসুস্থ মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
এই বিপজ্জনক গরম দিনগুলো আরও ঘন ঘন দেখা দিচ্ছে। ২০২৫ সালেই ভারতের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। তাপমাত্রা বাড়ছে ঠিকই, তবে দক্ষিণ এশিয়া এখনো বৈশ্বিক উষ্ণতার পূর্ণ প্রভাব থেকে রক্ষা পেয়েছে। এর এক বড় কারণ এই অঞ্চলের চরম মাত্রার দূষণ।
কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো দীর্ঘমেয়াদি গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো বিশ্বব্যাপী সমভাবে ছড়িয়ে পড়লেও অন্য দূষণ অনেক বেশি স্থানীয়। এই স্থানীয় দূষণের একটি বড় অংশ আবার পৃথিবীর তলদেশ ঠান্ডা রাখে। সালফেট কণা, ধোঁয়া ও অন্যান্য অ্যারোসল (ছোট ছোট বায়ু কণা) সূর্যালোককে মাটিতে পৌঁছাতে বাধা দেয়—কখনো তা প্রতিফলিত হয়ে মহাকাশে ফিরে যায়, আবার কখনো তা বাতাসে শোষিত হয়। অ্যারোসল মেঘের গঠনে প্রভাব ফেলে, যা আরও সূর্যালোক আটকে রাখে।
আন্তসরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) মতে, শিল্পযুগের আগের সময়ের তুলনায় এখন পর্যন্ত অ্যারোসল দূষণের গড় প্রভাব পৃথিবীকে দশমিক ৪ ডিগ্রি ঠান্ডা করেছে, যা গ্রিনহাউস গ্যাসের উষ্ণতার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পুষিয়ে দিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ চলাচলে জ্বালানি পরিবর্তনের কারণে অ্যারোসল কমে যাওয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণতা আবার দ্রুত বাড়ছে।
ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি পৃথিবীর অন্যতম দূষিত এলাকা। ভারী শিল্প, যানবাহনের ধোঁয়া, ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো ও রান্নার কাজে কঠিন জ্বালানির ব্যবহার অ্যারোসল বাড়াচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, এই দূষণ দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বৃদ্ধিকে কিছুটা ঠেকিয়ে রেখেছে। তবে কালো ধোঁয়া সূর্যালোক শোষণ করে মাটিকে ঠান্ডা রাখলেও বাতাসকে গরম করে তোলে—এটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
এক গবেষণা দেখা যায়, ২০২০ সালের বসন্তে করোনা মহামারির লকডাউনের সময় দূষণ হঠাৎ কমে গেলে বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন তাপমাত্রা বেড়ে যাবে, তবে উল্টো অনেক শহরে তাপমাত্রা কমে গিয়েছিল। গবেষণায় মাত্র কয়েক মাসের তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাই এই পরিবর্তনগুলো কাকতালীয়ভাবেও ঘটতে পারে। তবে বিষয়টি এখনো কিছুটা রহস্যজনক বলে মনে করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ুবিদ লরেটা মিকলি।
দক্ষিণ এশিয়ায় ধীর গতির উষ্ণতার আরেকটি কারণ হলো ব্যাপক সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ। বাষ্পীভবনের সময় পানি তাপ শোষণ করে চারপাশ ঠান্ডা রাখে। ১৯৮০ সাল থেকে ভারতে সেচকৃত জমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই বাড়তি সেচ ব্যবস্থা বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবকে ঢেকে রেখেছে। ২০২০ সালে ‘নেচার কমিউনিকেশনসে’ প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, যদি সেচ না থাকত, তবে দক্ষিণ এশিয়ায় এখনকার তুলনায় ২ থেকে ৮ গুণ বেশি ‘চরম’ গরমের দিন থাকত।
তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন—দূষণ ও সেচ ঠিক কতটা ভূমিকা রেখেছে। এর প্রভাবে শুধু তাপমাত্রা নয়, বর্ষা ও বৃষ্টিপাতের ধরনও বদলাচ্ছে। তবে একটি বিষয়ে সব বিশেষজ্ঞ একমত: আগামী ২০ বছরে দক্ষিণ এশিয়ার উষ্ণতা বিগত ২০ বছরের দ্বিগুণ হারে বাড়বে। ভারতের দিল্লিতে আয়োজিত এক সম্মেলনে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিদ ডেভিড ব্যাটিস্টি বলেন, ‘ভারতের জন্য এটা একপ্রকার নিশ্চিত।’
হার্ভার্ডের ডেনিয়েল শ্রাগ বলেন, ভারতের উষ্ণতা বৈশ্বিক গড়ের চেয়েও দ্রুত বাড়বে।
আগামী দিনে দূষণ ও সেচ—দুটিই আগের মতো বাড়বে না। কারণ, এগুলোর তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখার ভূমিকা কেবল তখনই থাকে যখন এগুলোর পরিমাণ বাড়ে। একবার যদি এগুলো স্থির হয়ে যায় বা কমে যায়, তখন দক্ষিণ এশিয়া বিগত দশকের লুকানো উষ্ণতার পুরো চাপ একসঙ্গে অনুভব করবে।
ড. শ্রাগ বলেন, ‘ভারত এভাবে সেচ দিতে পারবে না। কারণ, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। আর এ রকম দূষণও দেশটি ধরে রাখতে পারবে না।’
ভারত সরকার ইতিমধ্যে বায়ুদূষণ রোধে উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ২০১৭ সালের তুলনায় কণিকা দূষণ ২০-৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। ২০২৬ সালের লক্ষ্য ৪০ শতাংশ। তবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হলো নতুন অ্যারোসল মনিটরিং স্টেশন স্থাপন। অনেক শহর ২০২৪ সালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি, তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, গত এক দশকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
১৯৬০-এর দশকে ছিল বিশ্বের অন্যতম দূষিত দেশ জাপান। পরবর্তী দুই দশকে কঠোর আইন ও পরিবেশ কর আরোপ করে পরিস্থিতির উন্নতি আনে। ১৯৮০ সাল নাগাদ সেখানে অ্যারোসল দূষণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। চীনও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপকভাবে দূষণ কমাতে সক্ষম হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত, দক্ষিণ এশিয়ায় দূষণ চরম গরমের চেয়েও অনেক বড় হুমকি। ২০২১ সালে ‘গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ’ গবেষণা বলছে, কণিকা দূষণের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় ২০-৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে চরম গরমে মৃত্যু হয়েছে ১ থেকে ৬ লাখ মানুষের। দিল্লির সাসটেইনেবল ফিউচারস কল্যাবোরেটিভের গবেষক ভাগরব কৃষ্ণ বলেন, ‘বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ভয়াবহ। কারণ, মানুষ বছরে ৩৬৫ দিন দূষণের সংস্পর্শে থাকে।’
এমনকি অল্প একটু উষ্ণতা বাড়লেও দক্ষিণ এশিয়ার জন্য তা ধ্বংসাত্মক হতে পারে। এরই মধ্যে কিছু এলাকায় এমন গরম ও আর্দ্রতা অনুভূত হয় যা মানুষের সহ্যসীমার কাছাকাছি (৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ৫০ শতাংশ আপেক্ষিক আর্দ্রতা)। আগামী দিনে এই ধরনের পরিস্থিতি আরও বেশি ঘন ঘন হবে।
ড. ব্যাটিস্টি বলেন, যদি দূষণ ও সেচ একই রকম থাকে, তাহলেও ২০৪৭ সালের মধ্যে একজন ভারতীয় বছরে যত দিন তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার কারণে তীব্র চাপ সহ্য করেন, তা চারগুণ বেড়ে যাবে। আর এই দুই উপাদান যদি কমে যায়, তবে চাপ হবে আরও বেশি।
ভারতের প্রায় অর্ধেক মানুষ বাইরে কাজ করেন এবং মাত্র ১০ শতাংশ পরিবারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা আছে। কিছু শহর ইতিমধ্যে গরম মোকাবিলায় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে—কোথায় ঠান্ডা জায়গা তৈরি করা হবে বা পানি বিতরণ হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করছে। তবে এখনো অধিকাংশ শহরেই তাপ-সহনশীল অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
তথ্যসূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি এর কারণ কী। তবে বায়ুদূষণ ও সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে শক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে একবার যদি দূষণ কমে যায় ও সেচ সম্প্রসারণের গতি থেমে যায়, তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাবে।
দক্ষিণ এশিয়া এমনিতেই তাপমাত্রার দিক থেকে একটি উত্তপ্ত অঞ্চল। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত (বর্ষা আসার আগে)—এই সময়টিই সবচেয়ে গরম থাকে। পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল থেকে শুরু করে ভারতের উত্তরাঞ্চল ও বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে নিয়মিতভাবেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর যারা সবচেয়ে তীব্র বা চরম তাপমাত্রার সঙ্গে লড়ছে, তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই বাস করে দক্ষিণ এশিয়ায়। এই ধরনের তাপমাত্রা বিশেষ করে বয়স্ক বা অসুস্থ মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
এই বিপজ্জনক গরম দিনগুলো আরও ঘন ঘন দেখা দিচ্ছে। ২০২৫ সালেই ভারতের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। তাপমাত্রা বাড়ছে ঠিকই, তবে দক্ষিণ এশিয়া এখনো বৈশ্বিক উষ্ণতার পূর্ণ প্রভাব থেকে রক্ষা পেয়েছে। এর এক বড় কারণ এই অঞ্চলের চরম মাত্রার দূষণ।
কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো দীর্ঘমেয়াদি গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো বিশ্বব্যাপী সমভাবে ছড়িয়ে পড়লেও অন্য দূষণ অনেক বেশি স্থানীয়। এই স্থানীয় দূষণের একটি বড় অংশ আবার পৃথিবীর তলদেশ ঠান্ডা রাখে। সালফেট কণা, ধোঁয়া ও অন্যান্য অ্যারোসল (ছোট ছোট বায়ু কণা) সূর্যালোককে মাটিতে পৌঁছাতে বাধা দেয়—কখনো তা প্রতিফলিত হয়ে মহাকাশে ফিরে যায়, আবার কখনো তা বাতাসে শোষিত হয়। অ্যারোসল মেঘের গঠনে প্রভাব ফেলে, যা আরও সূর্যালোক আটকে রাখে।
আন্তসরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) মতে, শিল্পযুগের আগের সময়ের তুলনায় এখন পর্যন্ত অ্যারোসল দূষণের গড় প্রভাব পৃথিবীকে দশমিক ৪ ডিগ্রি ঠান্ডা করেছে, যা গ্রিনহাউস গ্যাসের উষ্ণতার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পুষিয়ে দিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ চলাচলে জ্বালানি পরিবর্তনের কারণে অ্যারোসল কমে যাওয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণতা আবার দ্রুত বাড়ছে।
ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি পৃথিবীর অন্যতম দূষিত এলাকা। ভারী শিল্প, যানবাহনের ধোঁয়া, ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো ও রান্নার কাজে কঠিন জ্বালানির ব্যবহার অ্যারোসল বাড়াচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, এই দূষণ দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বৃদ্ধিকে কিছুটা ঠেকিয়ে রেখেছে। তবে কালো ধোঁয়া সূর্যালোক শোষণ করে মাটিকে ঠান্ডা রাখলেও বাতাসকে গরম করে তোলে—এটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
এক গবেষণা দেখা যায়, ২০২০ সালের বসন্তে করোনা মহামারির লকডাউনের সময় দূষণ হঠাৎ কমে গেলে বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন তাপমাত্রা বেড়ে যাবে, তবে উল্টো অনেক শহরে তাপমাত্রা কমে গিয়েছিল। গবেষণায় মাত্র কয়েক মাসের তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাই এই পরিবর্তনগুলো কাকতালীয়ভাবেও ঘটতে পারে। তবে বিষয়টি এখনো কিছুটা রহস্যজনক বলে মনে করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ুবিদ লরেটা মিকলি।
দক্ষিণ এশিয়ায় ধীর গতির উষ্ণতার আরেকটি কারণ হলো ব্যাপক সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ। বাষ্পীভবনের সময় পানি তাপ শোষণ করে চারপাশ ঠান্ডা রাখে। ১৯৮০ সাল থেকে ভারতে সেচকৃত জমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই বাড়তি সেচ ব্যবস্থা বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবকে ঢেকে রেখেছে। ২০২০ সালে ‘নেচার কমিউনিকেশনসে’ প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, যদি সেচ না থাকত, তবে দক্ষিণ এশিয়ায় এখনকার তুলনায় ২ থেকে ৮ গুণ বেশি ‘চরম’ গরমের দিন থাকত।
তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন—দূষণ ও সেচ ঠিক কতটা ভূমিকা রেখেছে। এর প্রভাবে শুধু তাপমাত্রা নয়, বর্ষা ও বৃষ্টিপাতের ধরনও বদলাচ্ছে। তবে একটি বিষয়ে সব বিশেষজ্ঞ একমত: আগামী ২০ বছরে দক্ষিণ এশিয়ার উষ্ণতা বিগত ২০ বছরের দ্বিগুণ হারে বাড়বে। ভারতের দিল্লিতে আয়োজিত এক সম্মেলনে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিদ ডেভিড ব্যাটিস্টি বলেন, ‘ভারতের জন্য এটা একপ্রকার নিশ্চিত।’
হার্ভার্ডের ডেনিয়েল শ্রাগ বলেন, ভারতের উষ্ণতা বৈশ্বিক গড়ের চেয়েও দ্রুত বাড়বে।
আগামী দিনে দূষণ ও সেচ—দুটিই আগের মতো বাড়বে না। কারণ, এগুলোর তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখার ভূমিকা কেবল তখনই থাকে যখন এগুলোর পরিমাণ বাড়ে। একবার যদি এগুলো স্থির হয়ে যায় বা কমে যায়, তখন দক্ষিণ এশিয়া বিগত দশকের লুকানো উষ্ণতার পুরো চাপ একসঙ্গে অনুভব করবে।
ড. শ্রাগ বলেন, ‘ভারত এভাবে সেচ দিতে পারবে না। কারণ, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। আর এ রকম দূষণও দেশটি ধরে রাখতে পারবে না।’
ভারত সরকার ইতিমধ্যে বায়ুদূষণ রোধে উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ২০১৭ সালের তুলনায় কণিকা দূষণ ২০-৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। ২০২৬ সালের লক্ষ্য ৪০ শতাংশ। তবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হলো নতুন অ্যারোসল মনিটরিং স্টেশন স্থাপন। অনেক শহর ২০২৪ সালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি, তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, গত এক দশকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
১৯৬০-এর দশকে ছিল বিশ্বের অন্যতম দূষিত দেশ জাপান। পরবর্তী দুই দশকে কঠোর আইন ও পরিবেশ কর আরোপ করে পরিস্থিতির উন্নতি আনে। ১৯৮০ সাল নাগাদ সেখানে অ্যারোসল দূষণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। চীনও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপকভাবে দূষণ কমাতে সক্ষম হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত, দক্ষিণ এশিয়ায় দূষণ চরম গরমের চেয়েও অনেক বড় হুমকি। ২০২১ সালে ‘গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ’ গবেষণা বলছে, কণিকা দূষণের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় ২০-৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে চরম গরমে মৃত্যু হয়েছে ১ থেকে ৬ লাখ মানুষের। দিল্লির সাসটেইনেবল ফিউচারস কল্যাবোরেটিভের গবেষক ভাগরব কৃষ্ণ বলেন, ‘বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ভয়াবহ। কারণ, মানুষ বছরে ৩৬৫ দিন দূষণের সংস্পর্শে থাকে।’
এমনকি অল্প একটু উষ্ণতা বাড়লেও দক্ষিণ এশিয়ার জন্য তা ধ্বংসাত্মক হতে পারে। এরই মধ্যে কিছু এলাকায় এমন গরম ও আর্দ্রতা অনুভূত হয় যা মানুষের সহ্যসীমার কাছাকাছি (৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ৫০ শতাংশ আপেক্ষিক আর্দ্রতা)। আগামী দিনে এই ধরনের পরিস্থিতি আরও বেশি ঘন ঘন হবে।
ড. ব্যাটিস্টি বলেন, যদি দূষণ ও সেচ একই রকম থাকে, তাহলেও ২০৪৭ সালের মধ্যে একজন ভারতীয় বছরে যত দিন তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার কারণে তীব্র চাপ সহ্য করেন, তা চারগুণ বেড়ে যাবে। আর এই দুই উপাদান যদি কমে যায়, তবে চাপ হবে আরও বেশি।
ভারতের প্রায় অর্ধেক মানুষ বাইরে কাজ করেন এবং মাত্র ১০ শতাংশ পরিবারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা আছে। কিছু শহর ইতিমধ্যে গরম মোকাবিলায় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে—কোথায় ঠান্ডা জায়গা তৈরি করা হবে বা পানি বিতরণ হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করছে। তবে এখনো অধিকাংশ শহরেই তাপ-সহনশীল অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
তথ্যসূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি এর কারণ কী। তবে বায়ুদূষণ ও সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে শক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে একবার যদি দূষণ কমে যায় ও সেচ সম্প্রসারণের গতি থেমে যায়, তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাবে।
দক্ষিণ এশিয়া এমনিতেই তাপমাত্রার দিক থেকে একটি উত্তপ্ত অঞ্চল। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত (বর্ষা আসার আগে)—এই সময়টিই সবচেয়ে গরম থাকে। পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল থেকে শুরু করে ভারতের উত্তরাঞ্চল ও বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে নিয়মিতভাবেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর যারা সবচেয়ে তীব্র বা চরম তাপমাত্রার সঙ্গে লড়ছে, তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই বাস করে দক্ষিণ এশিয়ায়। এই ধরনের তাপমাত্রা বিশেষ করে বয়স্ক বা অসুস্থ মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
এই বিপজ্জনক গরম দিনগুলো আরও ঘন ঘন দেখা দিচ্ছে। ২০২৫ সালেই ভারতের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। তাপমাত্রা বাড়ছে ঠিকই, তবে দক্ষিণ এশিয়া এখনো বৈশ্বিক উষ্ণতার পূর্ণ প্রভাব থেকে রক্ষা পেয়েছে। এর এক বড় কারণ এই অঞ্চলের চরম মাত্রার দূষণ।
কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো দীর্ঘমেয়াদি গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো বিশ্বব্যাপী সমভাবে ছড়িয়ে পড়লেও অন্য দূষণ অনেক বেশি স্থানীয়। এই স্থানীয় দূষণের একটি বড় অংশ আবার পৃথিবীর তলদেশ ঠান্ডা রাখে। সালফেট কণা, ধোঁয়া ও অন্যান্য অ্যারোসল (ছোট ছোট বায়ু কণা) সূর্যালোককে মাটিতে পৌঁছাতে বাধা দেয়—কখনো তা প্রতিফলিত হয়ে মহাকাশে ফিরে যায়, আবার কখনো তা বাতাসে শোষিত হয়। অ্যারোসল মেঘের গঠনে প্রভাব ফেলে, যা আরও সূর্যালোক আটকে রাখে।
আন্তসরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) মতে, শিল্পযুগের আগের সময়ের তুলনায় এখন পর্যন্ত অ্যারোসল দূষণের গড় প্রভাব পৃথিবীকে দশমিক ৪ ডিগ্রি ঠান্ডা করেছে, যা গ্রিনহাউস গ্যাসের উষ্ণতার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পুষিয়ে দিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ চলাচলে জ্বালানি পরিবর্তনের কারণে অ্যারোসল কমে যাওয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণতা আবার দ্রুত বাড়ছে।
ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি পৃথিবীর অন্যতম দূষিত এলাকা। ভারী শিল্প, যানবাহনের ধোঁয়া, ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো ও রান্নার কাজে কঠিন জ্বালানির ব্যবহার অ্যারোসল বাড়াচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, এই দূষণ দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বৃদ্ধিকে কিছুটা ঠেকিয়ে রেখেছে। তবে কালো ধোঁয়া সূর্যালোক শোষণ করে মাটিকে ঠান্ডা রাখলেও বাতাসকে গরম করে তোলে—এটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
এক গবেষণা দেখা যায়, ২০২০ সালের বসন্তে করোনা মহামারির লকডাউনের সময় দূষণ হঠাৎ কমে গেলে বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন তাপমাত্রা বেড়ে যাবে, তবে উল্টো অনেক শহরে তাপমাত্রা কমে গিয়েছিল। গবেষণায় মাত্র কয়েক মাসের তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাই এই পরিবর্তনগুলো কাকতালীয়ভাবেও ঘটতে পারে। তবে বিষয়টি এখনো কিছুটা রহস্যজনক বলে মনে করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ুবিদ লরেটা মিকলি।
দক্ষিণ এশিয়ায় ধীর গতির উষ্ণতার আরেকটি কারণ হলো ব্যাপক সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ। বাষ্পীভবনের সময় পানি তাপ শোষণ করে চারপাশ ঠান্ডা রাখে। ১৯৮০ সাল থেকে ভারতে সেচকৃত জমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই বাড়তি সেচ ব্যবস্থা বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবকে ঢেকে রেখেছে। ২০২০ সালে ‘নেচার কমিউনিকেশনসে’ প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, যদি সেচ না থাকত, তবে দক্ষিণ এশিয়ায় এখনকার তুলনায় ২ থেকে ৮ গুণ বেশি ‘চরম’ গরমের দিন থাকত।
তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন—দূষণ ও সেচ ঠিক কতটা ভূমিকা রেখেছে। এর প্রভাবে শুধু তাপমাত্রা নয়, বর্ষা ও বৃষ্টিপাতের ধরনও বদলাচ্ছে। তবে একটি বিষয়ে সব বিশেষজ্ঞ একমত: আগামী ২০ বছরে দক্ষিণ এশিয়ার উষ্ণতা বিগত ২০ বছরের দ্বিগুণ হারে বাড়বে। ভারতের দিল্লিতে আয়োজিত এক সম্মেলনে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিদ ডেভিড ব্যাটিস্টি বলেন, ‘ভারতের জন্য এটা একপ্রকার নিশ্চিত।’
হার্ভার্ডের ডেনিয়েল শ্রাগ বলেন, ভারতের উষ্ণতা বৈশ্বিক গড়ের চেয়েও দ্রুত বাড়বে।
আগামী দিনে দূষণ ও সেচ—দুটিই আগের মতো বাড়বে না। কারণ, এগুলোর তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখার ভূমিকা কেবল তখনই থাকে যখন এগুলোর পরিমাণ বাড়ে। একবার যদি এগুলো স্থির হয়ে যায় বা কমে যায়, তখন দক্ষিণ এশিয়া বিগত দশকের লুকানো উষ্ণতার পুরো চাপ একসঙ্গে অনুভব করবে।
ড. শ্রাগ বলেন, ‘ভারত এভাবে সেচ দিতে পারবে না। কারণ, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। আর এ রকম দূষণও দেশটি ধরে রাখতে পারবে না।’
ভারত সরকার ইতিমধ্যে বায়ুদূষণ রোধে উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ২০১৭ সালের তুলনায় কণিকা দূষণ ২০-৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। ২০২৬ সালের লক্ষ্য ৪০ শতাংশ। তবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হলো নতুন অ্যারোসল মনিটরিং স্টেশন স্থাপন। অনেক শহর ২০২৪ সালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি, তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, গত এক দশকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
১৯৬০-এর দশকে ছিল বিশ্বের অন্যতম দূষিত দেশ জাপান। পরবর্তী দুই দশকে কঠোর আইন ও পরিবেশ কর আরোপ করে পরিস্থিতির উন্নতি আনে। ১৯৮০ সাল নাগাদ সেখানে অ্যারোসল দূষণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। চীনও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপকভাবে দূষণ কমাতে সক্ষম হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত, দক্ষিণ এশিয়ায় দূষণ চরম গরমের চেয়েও অনেক বড় হুমকি। ২০২১ সালে ‘গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ’ গবেষণা বলছে, কণিকা দূষণের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় ২০-৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে চরম গরমে মৃত্যু হয়েছে ১ থেকে ৬ লাখ মানুষের। দিল্লির সাসটেইনেবল ফিউচারস কল্যাবোরেটিভের গবেষক ভাগরব কৃষ্ণ বলেন, ‘বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ভয়াবহ। কারণ, মানুষ বছরে ৩৬৫ দিন দূষণের সংস্পর্শে থাকে।’
এমনকি অল্প একটু উষ্ণতা বাড়লেও দক্ষিণ এশিয়ার জন্য তা ধ্বংসাত্মক হতে পারে। এরই মধ্যে কিছু এলাকায় এমন গরম ও আর্দ্রতা অনুভূত হয় যা মানুষের সহ্যসীমার কাছাকাছি (৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ৫০ শতাংশ আপেক্ষিক আর্দ্রতা)। আগামী দিনে এই ধরনের পরিস্থিতি আরও বেশি ঘন ঘন হবে।
ড. ব্যাটিস্টি বলেন, যদি দূষণ ও সেচ একই রকম থাকে, তাহলেও ২০৪৭ সালের মধ্যে একজন ভারতীয় বছরে যত দিন তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার কারণে তীব্র চাপ সহ্য করেন, তা চারগুণ বেড়ে যাবে। আর এই দুই উপাদান যদি কমে যায়, তবে চাপ হবে আরও বেশি।
ভারতের প্রায় অর্ধেক মানুষ বাইরে কাজ করেন এবং মাত্র ১০ শতাংশ পরিবারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা আছে। কিছু শহর ইতিমধ্যে গরম মোকাবিলায় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে—কোথায় ঠান্ডা জায়গা তৈরি করা হবে বা পানি বিতরণ হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করছে। তবে এখনো অধিকাংশ শহরেই তাপ-সহনশীল অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
তথ্যসূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি এর কারণ কী। তবে বায়ুদূষণ ও সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে শক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে একবার যদি দূষণ কমে যায় ও সেচ সম্প্রসারণের গতি থেমে যায়, তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাবে।
দক্ষিণ এশিয়া এমনিতেই তাপমাত্রার দিক থেকে একটি উত্তপ্ত অঞ্চল। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত (বর্ষা আসার আগে)—এই সময়টিই সবচেয়ে গরম থাকে। পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল থেকে শুরু করে ভারতের উত্তরাঞ্চল ও বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে নিয়মিতভাবেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর যারা সবচেয়ে তীব্র বা চরম তাপমাত্রার সঙ্গে লড়ছে, তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই বাস করে দক্ষিণ এশিয়ায়। এই ধরনের তাপমাত্রা বিশেষ করে বয়স্ক বা অসুস্থ মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
এই বিপজ্জনক গরম দিনগুলো আরও ঘন ঘন দেখা দিচ্ছে। ২০২৫ সালেই ভারতের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। তাপমাত্রা বাড়ছে ঠিকই, তবে দক্ষিণ এশিয়া এখনো বৈশ্বিক উষ্ণতার পূর্ণ প্রভাব থেকে রক্ষা পেয়েছে। এর এক বড় কারণ এই অঞ্চলের চরম মাত্রার দূষণ।
কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো দীর্ঘমেয়াদি গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো বিশ্বব্যাপী সমভাবে ছড়িয়ে পড়লেও অন্য দূষণ অনেক বেশি স্থানীয়। এই স্থানীয় দূষণের একটি বড় অংশ আবার পৃথিবীর তলদেশ ঠান্ডা রাখে। সালফেট কণা, ধোঁয়া ও অন্যান্য অ্যারোসল (ছোট ছোট বায়ু কণা) সূর্যালোককে মাটিতে পৌঁছাতে বাধা দেয়—কখনো তা প্রতিফলিত হয়ে মহাকাশে ফিরে যায়, আবার কখনো তা বাতাসে শোষিত হয়। অ্যারোসল মেঘের গঠনে প্রভাব ফেলে, যা আরও সূর্যালোক আটকে রাখে।
আন্তসরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) মতে, শিল্পযুগের আগের সময়ের তুলনায় এখন পর্যন্ত অ্যারোসল দূষণের গড় প্রভাব পৃথিবীকে দশমিক ৪ ডিগ্রি ঠান্ডা করেছে, যা গ্রিনহাউস গ্যাসের উষ্ণতার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পুষিয়ে দিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ চলাচলে জ্বালানি পরিবর্তনের কারণে অ্যারোসল কমে যাওয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণতা আবার দ্রুত বাড়ছে।
ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি পৃথিবীর অন্যতম দূষিত এলাকা। ভারী শিল্প, যানবাহনের ধোঁয়া, ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো ও রান্নার কাজে কঠিন জ্বালানির ব্যবহার অ্যারোসল বাড়াচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, এই দূষণ দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বৃদ্ধিকে কিছুটা ঠেকিয়ে রেখেছে। তবে কালো ধোঁয়া সূর্যালোক শোষণ করে মাটিকে ঠান্ডা রাখলেও বাতাসকে গরম করে তোলে—এটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
এক গবেষণা দেখা যায়, ২০২০ সালের বসন্তে করোনা মহামারির লকডাউনের সময় দূষণ হঠাৎ কমে গেলে বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন তাপমাত্রা বেড়ে যাবে, তবে উল্টো অনেক শহরে তাপমাত্রা কমে গিয়েছিল। গবেষণায় মাত্র কয়েক মাসের তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাই এই পরিবর্তনগুলো কাকতালীয়ভাবেও ঘটতে পারে। তবে বিষয়টি এখনো কিছুটা রহস্যজনক বলে মনে করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ুবিদ লরেটা মিকলি।
দক্ষিণ এশিয়ায় ধীর গতির উষ্ণতার আরেকটি কারণ হলো ব্যাপক সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ। বাষ্পীভবনের সময় পানি তাপ শোষণ করে চারপাশ ঠান্ডা রাখে। ১৯৮০ সাল থেকে ভারতে সেচকৃত জমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই বাড়তি সেচ ব্যবস্থা বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবকে ঢেকে রেখেছে। ২০২০ সালে ‘নেচার কমিউনিকেশনসে’ প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, যদি সেচ না থাকত, তবে দক্ষিণ এশিয়ায় এখনকার তুলনায় ২ থেকে ৮ গুণ বেশি ‘চরম’ গরমের দিন থাকত।
তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন—দূষণ ও সেচ ঠিক কতটা ভূমিকা রেখেছে। এর প্রভাবে শুধু তাপমাত্রা নয়, বর্ষা ও বৃষ্টিপাতের ধরনও বদলাচ্ছে। তবে একটি বিষয়ে সব বিশেষজ্ঞ একমত: আগামী ২০ বছরে দক্ষিণ এশিয়ার উষ্ণতা বিগত ২০ বছরের দ্বিগুণ হারে বাড়বে। ভারতের দিল্লিতে আয়োজিত এক সম্মেলনে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিদ ডেভিড ব্যাটিস্টি বলেন, ‘ভারতের জন্য এটা একপ্রকার নিশ্চিত।’
হার্ভার্ডের ডেনিয়েল শ্রাগ বলেন, ভারতের উষ্ণতা বৈশ্বিক গড়ের চেয়েও দ্রুত বাড়বে।
আগামী দিনে দূষণ ও সেচ—দুটিই আগের মতো বাড়বে না। কারণ, এগুলোর তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখার ভূমিকা কেবল তখনই থাকে যখন এগুলোর পরিমাণ বাড়ে। একবার যদি এগুলো স্থির হয়ে যায় বা কমে যায়, তখন দক্ষিণ এশিয়া বিগত দশকের লুকানো উষ্ণতার পুরো চাপ একসঙ্গে অনুভব করবে।
ড. শ্রাগ বলেন, ‘ভারত এভাবে সেচ দিতে পারবে না। কারণ, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। আর এ রকম দূষণও দেশটি ধরে রাখতে পারবে না।’
ভারত সরকার ইতিমধ্যে বায়ুদূষণ রোধে উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ২০১৭ সালের তুলনায় কণিকা দূষণ ২০-৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। ২০২৬ সালের লক্ষ্য ৪০ শতাংশ। তবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হলো নতুন অ্যারোসল মনিটরিং স্টেশন স্থাপন। অনেক শহর ২০২৪ সালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি, তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, গত এক দশকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
১৯৬০-এর দশকে ছিল বিশ্বের অন্যতম দূষিত দেশ জাপান। পরবর্তী দুই দশকে কঠোর আইন ও পরিবেশ কর আরোপ করে পরিস্থিতির উন্নতি আনে। ১৯৮০ সাল নাগাদ সেখানে অ্যারোসল দূষণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। চীনও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপকভাবে দূষণ কমাতে সক্ষম হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত, দক্ষিণ এশিয়ায় দূষণ চরম গরমের চেয়েও অনেক বড় হুমকি। ২০২১ সালে ‘গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ’ গবেষণা বলছে, কণিকা দূষণের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় ২০-৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে চরম গরমে মৃত্যু হয়েছে ১ থেকে ৬ লাখ মানুষের। দিল্লির সাসটেইনেবল ফিউচারস কল্যাবোরেটিভের গবেষক ভাগরব কৃষ্ণ বলেন, ‘বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ভয়াবহ। কারণ, মানুষ বছরে ৩৬৫ দিন দূষণের সংস্পর্শে থাকে।’
এমনকি অল্প একটু উষ্ণতা বাড়লেও দক্ষিণ এশিয়ার জন্য তা ধ্বংসাত্মক হতে পারে। এরই মধ্যে কিছু এলাকায় এমন গরম ও আর্দ্রতা অনুভূত হয় যা মানুষের সহ্যসীমার কাছাকাছি (৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ৫০ শতাংশ আপেক্ষিক আর্দ্রতা)। আগামী দিনে এই ধরনের পরিস্থিতি আরও বেশি ঘন ঘন হবে।
ড. ব্যাটিস্টি বলেন, যদি দূষণ ও সেচ একই রকম থাকে, তাহলেও ২০৪৭ সালের মধ্যে একজন ভারতীয় বছরে যত দিন তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার কারণে তীব্র চাপ সহ্য করেন, তা চারগুণ বেড়ে যাবে। আর এই দুই উপাদান যদি কমে যায়, তবে চাপ হবে আরও বেশি।
ভারতের প্রায় অর্ধেক মানুষ বাইরে কাজ করেন এবং মাত্র ১০ শতাংশ পরিবারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা আছে। কিছু শহর ইতিমধ্যে গরম মোকাবিলায় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে—কোথায় ঠান্ডা জায়গা তৈরি করা হবে বা পানি বিতরণ হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করছে। তবে এখনো অধিকাংশ শহরেই তাপ-সহনশীল অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
তথ্যসূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
১৩ ঘণ্টা আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
১৫ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
২ দিন আগেখুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস...
০২ জুন ২০২৫নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
১৫ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
২ দিন আগেখুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে চলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু আবহাওয়ার আচরণ অনেকটাই গ্রীষ্মকালের মতো। কয়েক দিন ধরে সকালে সূর্যের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেলের আগপর্যন্ত এর তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে।
নিম্নচাপ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২১ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, মধ্য অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কমে গেছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ পড়বে সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সোমবার সকাল ৭টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, আর সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৫ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাসে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যে ধরনের গরম পড়ছে সেটি বৃষ্টি কমে যাওয়ার জন্য হয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসের এই সময় মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কম হয়। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত মনে হচ্ছে কালকের (২১ অক্টোবর) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে শীতের আমেজ পড়বে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সূর্যের দক্ষিণায়ন (দক্ষিণ দিকে হেলে পড়া) এখনো পুরোপুরি হয়নি। এই দক্ষিণায়ন হলে দিনের ব্যাপ্তি আরও কমবে, তাপমাত্রা তখন কমে শীতও বাড়বে।
বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে চলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু আবহাওয়ার আচরণ অনেকটাই গ্রীষ্মকালের মতো। কয়েক দিন ধরে সকালে সূর্যের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেলের আগপর্যন্ত এর তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে।
নিম্নচাপ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২১ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, মধ্য অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কমে গেছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ পড়বে সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সোমবার সকাল ৭টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, আর সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৫ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাসে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যে ধরনের গরম পড়ছে সেটি বৃষ্টি কমে যাওয়ার জন্য হয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসের এই সময় মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কম হয়। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত মনে হচ্ছে কালকের (২১ অক্টোবর) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে শীতের আমেজ পড়বে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সূর্যের দক্ষিণায়ন (দক্ষিণ দিকে হেলে পড়া) এখনো পুরোপুরি হয়নি। এই দক্ষিণায়ন হলে দিনের ব্যাপ্তি আরও কমবে, তাপমাত্রা তখন কমে শীতও বাড়বে।
গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস...
০২ জুন ২০২৫বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
১৩ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
২ দিন আগেখুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। যা গতকাল শনিবার ৯টা ১৫ মিনিটে ছিল ১৭২। সে অনুযায়ী বলা যায় আজ দূষণ কিছুটা কমতির দিকে।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ঢাকা রয়েছে ৭ম স্থানে। গতকাল ছিল ৪র্থ স্থানে।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ৩১১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের করাচি ও ভিয়েতনামের হ্যানয়। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪১, ১৯০, ১৭৭ ও ১৫৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। যা গতকাল শনিবার ৯টা ১৫ মিনিটে ছিল ১৭২। সে অনুযায়ী বলা যায় আজ দূষণ কিছুটা কমতির দিকে।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ঢাকা রয়েছে ৭ম স্থানে। গতকাল ছিল ৪র্থ স্থানে।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ৩১১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের করাচি ও ভিয়েতনামের হ্যানয়। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪১, ১৯০, ১৭৭ ও ১৫৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস...
০২ জুন ২০২৫বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
১৩ ঘণ্টা আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
১৫ ঘণ্টা আগেখুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
কার্তিক মাস চলে এলেও বেশ ভ্যাপসা গরম পড়েছে সারা দেশে। গতকাল শনিবার সিলেটে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ৩৫ দশমিক ৭। আজ রোববারও আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তন হবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশের আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাস চলে এলেও বেশ ভ্যাপসা গরম পড়েছে সারা দেশে। গতকাল শনিবার সিলেটে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ৩৫ দশমিক ৭। আজ রোববারও আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তন হবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশের আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস...
০২ জুন ২০২৫বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
১৩ ঘণ্টা আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
১৫ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
২ দিন আগে