অনলাইন ডেস্ক
২০৩০ সালের মধ্যে শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের নিঃসরণ ৩০ শতাংশ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতৃত্বাধীন উদ্যোগে যোগ দিয়েছে বিশ্বের শতাধিক দেশ। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যে চুক্তিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অংশীদারত্ব চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
কার্বন ডাই অক্সাইডের পর মিথেনই প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাস। তবে কার্বনের তুলনায় এটি দ্রুত বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। এর অর্থ হলো, মিথেন নিঃসরণ কমানো গেলে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের লাগাম টানা সহজ হতে পারে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার ক্ষেত্রেও তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, বৈশ্বিক মিথেন কমানোর প্রতিশ্রুতির প্রথম ঘোষণা আসে গত সেপ্টেম্বরে। এ সময় চুক্তিটিতে যোগ দেয় ৩০টি দেশ, যারা সারা বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মিথেন নিঃসরণের জন্য দায়ী। আর আজকের এই চুক্তিতে নতুন স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ব্রাজিল অন্যতম। দেশটি বিশ্বের পাঁচটি বৃহত্তম মিথেন নির্গমনকারীর মধ্যে একটি। যদিও শীর্ষ পাঁচ মিথেন নির্গমনকারীর তালিকায় থাকা চীন, রাশিয়া এবং ভারত এই প্রতিশ্রুতিতে স্বাক্ষর করেনি।
গত সেপ্টেম্বরে প্রথম ঘোষণা আসার পর বৈশ্বিক এই অংশীদারত্ব চুক্তিতে বৃহত্তম মিথেন নির্গমনকারী দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ এর আগে ওয়াশিংটন এবং ইইউ থেকে চূড়ান্ত কূটনৈতিক চাপের পর, গত সপ্তাহে প্রায় ৬০টি দেশ এই প্রতিশ্রুতিতে স্বাক্ষর করে। অর্থাৎ মিথেনের নিঃসরণ কমাতে এ পর্যন্ত একমত হয়েছে একশোর বেশি দেশ।
জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক আলোচনার অংশ না হলেও, জলবায়ু পরিবর্তনগত বিপর্যয় ঠেকাতে কপ-২৬ সম্মেলনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফলাফলের মধ্যে স্থান পেতে পারে মিথেন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি। এর আগে গত মে মাসে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উল্লেখযোগ্য হারে মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ কমানো গেলে ২০৪০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি প্রায় ০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত এড়ানো সম্ভব। তবে মিথেন মোকাবিলায় ব্যর্থ হলে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্থাৎ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
প্রতিশ্রুতি দেওয়া দেশগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে মিথেন নিঃসরণ ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য অর্জনে সফল হলে তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরাও। মিথেন নির্গমনের মূল উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে তেল এবং গ্যাস অবকাঠামো, পুরোনো কয়লা খনি, কৃষি এবং ল্যান্ডফিল সাইট। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম তেল ও গ্যাস উৎপাদক, যেখানে ইইউ গ্যাসের বৃহত্তম আমদানিকারক।
চলতি সপ্তাহেই তেল ও গ্যাস-মিথেন আইন প্রকাশ করার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। আর এই বছরের শেষের দিকে মিথেন আইন উন্মোচনের পরিকল্পনা রয়েছে ইইউ এবং কানাডার।
মোদির প্রতিশ্রুতি।
২০৭০ সালের মধ্যে ভারতের কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত সোমবার কপ-২৬ সম্মেলনে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। গতকাল সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, মোদি ভারতের কার্বন নিঃসরণের মাত্রা ২০৭০ সালের মধ্যে শূন্যে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করলেও, এটি জলবায়ু সম্মেলনের লক্ষ্যমাত্রা বিরোধী। কারণ জলবায়ু সম্মেলনে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের সকল দেশকে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে।
২০৩০ সালের মধ্যে শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের নিঃসরণ ৩০ শতাংশ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতৃত্বাধীন উদ্যোগে যোগ দিয়েছে বিশ্বের শতাধিক দেশ। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যে চুক্তিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অংশীদারত্ব চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
কার্বন ডাই অক্সাইডের পর মিথেনই প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাস। তবে কার্বনের তুলনায় এটি দ্রুত বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। এর অর্থ হলো, মিথেন নিঃসরণ কমানো গেলে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের লাগাম টানা সহজ হতে পারে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার ক্ষেত্রেও তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, বৈশ্বিক মিথেন কমানোর প্রতিশ্রুতির প্রথম ঘোষণা আসে গত সেপ্টেম্বরে। এ সময় চুক্তিটিতে যোগ দেয় ৩০টি দেশ, যারা সারা বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মিথেন নিঃসরণের জন্য দায়ী। আর আজকের এই চুক্তিতে নতুন স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ব্রাজিল অন্যতম। দেশটি বিশ্বের পাঁচটি বৃহত্তম মিথেন নির্গমনকারীর মধ্যে একটি। যদিও শীর্ষ পাঁচ মিথেন নির্গমনকারীর তালিকায় থাকা চীন, রাশিয়া এবং ভারত এই প্রতিশ্রুতিতে স্বাক্ষর করেনি।
গত সেপ্টেম্বরে প্রথম ঘোষণা আসার পর বৈশ্বিক এই অংশীদারত্ব চুক্তিতে বৃহত্তম মিথেন নির্গমনকারী দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ এর আগে ওয়াশিংটন এবং ইইউ থেকে চূড়ান্ত কূটনৈতিক চাপের পর, গত সপ্তাহে প্রায় ৬০টি দেশ এই প্রতিশ্রুতিতে স্বাক্ষর করে। অর্থাৎ মিথেনের নিঃসরণ কমাতে এ পর্যন্ত একমত হয়েছে একশোর বেশি দেশ।
জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক আলোচনার অংশ না হলেও, জলবায়ু পরিবর্তনগত বিপর্যয় ঠেকাতে কপ-২৬ সম্মেলনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফলাফলের মধ্যে স্থান পেতে পারে মিথেন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি। এর আগে গত মে মাসে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উল্লেখযোগ্য হারে মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ কমানো গেলে ২০৪০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি প্রায় ০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত এড়ানো সম্ভব। তবে মিথেন মোকাবিলায় ব্যর্থ হলে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্থাৎ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
প্রতিশ্রুতি দেওয়া দেশগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে মিথেন নিঃসরণ ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য অর্জনে সফল হলে তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরাও। মিথেন নির্গমনের মূল উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে তেল এবং গ্যাস অবকাঠামো, পুরোনো কয়লা খনি, কৃষি এবং ল্যান্ডফিল সাইট। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম তেল ও গ্যাস উৎপাদক, যেখানে ইইউ গ্যাসের বৃহত্তম আমদানিকারক।
চলতি সপ্তাহেই তেল ও গ্যাস-মিথেন আইন প্রকাশ করার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। আর এই বছরের শেষের দিকে মিথেন আইন উন্মোচনের পরিকল্পনা রয়েছে ইইউ এবং কানাডার।
মোদির প্রতিশ্রুতি।
২০৭০ সালের মধ্যে ভারতের কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত সোমবার কপ-২৬ সম্মেলনে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। গতকাল সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, মোদি ভারতের কার্বন নিঃসরণের মাত্রা ২০৭০ সালের মধ্যে শূন্যে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করলেও, এটি জলবায়ু সম্মেলনের লক্ষ্যমাত্রা বিরোধী। কারণ জলবায়ু সম্মেলনে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের সকল দেশকে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে।
উন্নতি হয়নি ঢাকার বাতাসের। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১২৫টি দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশের রাজধানী। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার রেকর্ড অনুযায়ী, ১৫৯ বায়ুমান নিয়ে ঢাকার বাতাস আজকে অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে ছিল।
১২ ঘণ্টা আগেপানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে এখানকার খালগুলো খননের বিকল্প নেই। একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকার ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে আমাদের ঢাকার খালগুলোতে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে
১ দিন আগেযেহেতু প্রভাবশালী ও বিত্তশালীরা বর্তমানে বিভিন্ন স্তরে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। সুতরাং নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে যদি পরিবেশ দূষণ ও নদী দখলকারীদের অযোগ্য ঘোষণা করার আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, তবে পরিবেশ সংরক্ষণ সহজতর হবে...
১ দিন আগেঢাকার বাতাসের তেমন উন্নতি হয়নি। আজ বুধবার বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১২৫টি দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী। সকাল ৮টার রেকর্ড অনুযায়ী, ১৭১ বায়ুমান নিয়ে ঢাকার বাতাস আজকে অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী, ১৫৯ বায়ুমান নিয়ে ৭ম স্থানে ছিল
১ দিন আগে